অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
শিল্পবাণিজ্য ও বন্দরনগরী নওয়াপাড়ার ব্যস্ততম হাসপাতাল সড়কে সীমাহীন যানজটে অতিষ্ঠ অভয়নগরবাসী। দিনের বেশির ভাগ সময় এই সড়কে যানজট লেগেই থাকে। রোগীর পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। এদিকে প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
হাসপাতালের ব্যস্ততম এই সড়কে দেখা যায়, রাস্তা দখল করে দোকানিরা চাল, খৈল, ভুসি লোড-আনলোড অব্যাহত রেখেছেন। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা ও বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত লোড-আনলোড চলে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। আর এর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষকে। দিনের অধিকাংশ সময় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ইজিবাইকসহ ছোট বড় যানবাহন সড়কের ৬০ শতাংশ দখল করে রাখায় ঘটছে ছোটবড় নানা দুর্ঘটনা। সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি হাসপাতালে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যানজট লেগে থাকায় প্রায় সময় অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়ি যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায়।
বিশেষ করে স্বাধীনতা চত্বরকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও সিএনজি স্ট্যান্ডের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ভারী যানবাহন বাইপাস সড়কে ঢুকে পড়াকে দায়ী করছেন বিভিন্ন স্ট্যান্ডের গাড়িচালকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নূরবাগ থেকে স্বাধীনতা চত্বর পর্যন্ত বেশ কিছু চালের আড়ত রয়েছে। তারা অধিক মুনাফার লোভে দিনের ব্যস্ততম সময়ে সড়কে গাড়ি রেখে চালের গুদাম লোড-আনলোড করছেন। আবার স্বাধীনতা চত্বর থেকে টেকারস্ট্যান্ড পর্যন্ত বেশ কিছু খৈল, ভুসির ছোটবড় দোকান রয়েছে, তারাও সড়ক দখল করে আলমসাধু, পিকআপে লোড-আনলোড চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব অনুমোদনহীন স্ট্যান্ডের কারণে যানজটের আকার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
অ্যাম্বুলেন্সচালক আবুল হাসান বলেন, একবার এই সড়কে ঢুকে পড়লে বের হতে ৩০-৪০ মিনিট লাগে। কখনো কখনো ঘণ্টা পেরিয়ে যায়। তাই এই রোড এড়িয়ে চলি।
স্বাধীনতা চত্বরের মুদিদোকানি হযরত বলেন, যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা এবং জায়গা পেলেই সিরিয়াল না মেনে গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়া এই সড়কে যানজটের মূল কারণ।
এ সড়কে চলাচলকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বাধীনতা চত্বরের যানজট নিরসনে ভ্যান স্ট্যান্ডসহ সব স্ট্যান্ড স্থানান্তর করতে হবে। অন্যথায় এর কোনো প্রতিকার সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন তাঁরা।
এদিকে যানজট নিরসনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, স্বাধীনতা চত্বর, চার রাস্তার সংযোগস্থল। এখানে রাজঘাট, নওয়াপাড়া বাজার, বসুন্দিয়া-ভাঙ্গাগেট এবং মনিরামপুর থেকে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ আসে। ফলে বেশির ভাগ সময়ে যানবাহনের বিশৃঙ্খলতার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই সড়ক গুরুত্বপূর্ণ হলেও পুলিশ এখানে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, যানজট বাঁধলে পুলিশকে দেখা যায় না। তা ছাড়া যানজট তীব্র অথচ তাদের বেঙ্গল রেলগেটে মোটরসাইকেল ধরার জন্য বসে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান যানজটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালের সড়কটির প্রশস্ততা বেশি নয়। এ ছাড়া চারদিক দিয়ে বিভিন্ন ছোট-বড় যানবাহন আসার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতা চত্বর, নুরবাগ মোড় যানজটমুক্ত করার জন্য অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করার চিন্তাভাবনা আছে। আশা করি আগামী জুন মাসের মধ্যে যানজটের স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টা করব। এ জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
শিল্পবাণিজ্য ও বন্দরনগরী নওয়াপাড়ার ব্যস্ততম হাসপাতাল সড়কে সীমাহীন যানজটে অতিষ্ঠ অভয়নগরবাসী। দিনের বেশির ভাগ সময় এই সড়কে যানজট লেগেই থাকে। রোগীর পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। এদিকে প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
হাসপাতালের ব্যস্ততম এই সড়কে দেখা যায়, রাস্তা দখল করে দোকানিরা চাল, খৈল, ভুসি লোড-আনলোড অব্যাহত রেখেছেন। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা ও বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত লোড-আনলোড চলে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। আর এর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষকে। দিনের অধিকাংশ সময় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ইজিবাইকসহ ছোট বড় যানবাহন সড়কের ৬০ শতাংশ দখল করে রাখায় ঘটছে ছোটবড় নানা দুর্ঘটনা। সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি হাসপাতালে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যানজট লেগে থাকায় প্রায় সময় অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়ি যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায়।
বিশেষ করে স্বাধীনতা চত্বরকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও সিএনজি স্ট্যান্ডের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ভারী যানবাহন বাইপাস সড়কে ঢুকে পড়াকে দায়ী করছেন বিভিন্ন স্ট্যান্ডের গাড়িচালকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নূরবাগ থেকে স্বাধীনতা চত্বর পর্যন্ত বেশ কিছু চালের আড়ত রয়েছে। তারা অধিক মুনাফার লোভে দিনের ব্যস্ততম সময়ে সড়কে গাড়ি রেখে চালের গুদাম লোড-আনলোড করছেন। আবার স্বাধীনতা চত্বর থেকে টেকারস্ট্যান্ড পর্যন্ত বেশ কিছু খৈল, ভুসির ছোটবড় দোকান রয়েছে, তারাও সড়ক দখল করে আলমসাধু, পিকআপে লোড-আনলোড চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব অনুমোদনহীন স্ট্যান্ডের কারণে যানজটের আকার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
অ্যাম্বুলেন্সচালক আবুল হাসান বলেন, একবার এই সড়কে ঢুকে পড়লে বের হতে ৩০-৪০ মিনিট লাগে। কখনো কখনো ঘণ্টা পেরিয়ে যায়। তাই এই রোড এড়িয়ে চলি।
স্বাধীনতা চত্বরের মুদিদোকানি হযরত বলেন, যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা এবং জায়গা পেলেই সিরিয়াল না মেনে গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়া এই সড়কে যানজটের মূল কারণ।
এ সড়কে চলাচলকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বাধীনতা চত্বরের যানজট নিরসনে ভ্যান স্ট্যান্ডসহ সব স্ট্যান্ড স্থানান্তর করতে হবে। অন্যথায় এর কোনো প্রতিকার সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন তাঁরা।
এদিকে যানজট নিরসনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, স্বাধীনতা চত্বর, চার রাস্তার সংযোগস্থল। এখানে রাজঘাট, নওয়াপাড়া বাজার, বসুন্দিয়া-ভাঙ্গাগেট এবং মনিরামপুর থেকে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ আসে। ফলে বেশির ভাগ সময়ে যানবাহনের বিশৃঙ্খলতার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই সড়ক গুরুত্বপূর্ণ হলেও পুলিশ এখানে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, যানজট বাঁধলে পুলিশকে দেখা যায় না। তা ছাড়া যানজট তীব্র অথচ তাদের বেঙ্গল রেলগেটে মোটরসাইকেল ধরার জন্য বসে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান যানজটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালের সড়কটির প্রশস্ততা বেশি নয়। এ ছাড়া চারদিক দিয়ে বিভিন্ন ছোট-বড় যানবাহন আসার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতা চত্বর, নুরবাগ মোড় যানজটমুক্ত করার জন্য অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করার চিন্তাভাবনা আছে। আশা করি আগামী জুন মাসের মধ্যে যানজটের স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টা করব। এ জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
মে দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা–শ্রমিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার রাজঘাট চা–বাগানের নাট মণ্ডপ প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৮ মিনিট আগেরাজারহাটে জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের এক নেতার ‘কলিজা টেনে ছিঁড়ে ফেলা’ ও তাঁর দলকে (জামায়াত) নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠি পাঠানো হয়।
৩৮ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ববিরোধ ও এক নারীর দিকে তাকানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চানমনিপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেছেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা কোন জায়গায় যাবে সেটি জনগণের কাছে পরিষ্কার না করে আপনি করিডর দিতে চাচ্ছেন? আপনাকে জনগণের মানসিকতা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যেখানে দেশ ও মানুষ বিপন্ন হতে পারে, সেই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া
১ ঘণ্টা আগে