Ajker Patrika

ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল মায়ের মরদেহ, মেঝেতে দুই শিশুর লাশ

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯: ২৫
ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল মায়ের মরদেহ, মেঝেতে দুই শিশুর লাশ

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কমলপুর গ্রামের এক ঘর থেকে মা ও দুই শিশুসন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে ওই ঘর থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও মেঝে থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

মৃতরা হলেন—ডুমুরিয়া উপজেলার কমলপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান সরদারের স্ত্রী ডলি বেগম (৩৮), তাঁর মেয়ে ফাতেমা (৬) ও ৭ মাস বয়সী ছেলে ওমর।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ডলি বেগমের স্বামী আব্দুল মান্নান সরদার লেকসাস গাইড বইয়ের মার্কেটিং অফিসার। প্রতিদিন সকালে তিনি বাড়ি থেকে কর্মস্থল খুলনার উদ্দেশে বেরিয়ে যান। তবে আজ শনিবার ছুটি থাকার কারণে কাজের চাপ কম থাকায় তিনি উপজেলা সদর ডুমুরিয়া বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় তিনি তাঁর মা ও স্ত্রী-সন্তানদের ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পাশে চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের না পেয়ে মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরে হাঁসুয়া দিয়ে দরজার খিল ভেঙে স্ত্রী ডলি বেগমকে গলায় দড়ি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তাঁর শিশুসন্তান ফাতেমা ও ওমরের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে এ ঘটনা জানতে পারেন।

এলাকাবাসী জানান, পারিবারিক কোনো কারণে আজ সকালে শাশুড়ির সঙ্গে ডলি বেগমের সামান্য ঝগড়া হয়েছিল। হয়তো সেই কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। 

গুটুদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমলাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ইজ্জত আলী বলেন, ‘ডলি বেগমের স্বামী আব্দুল মান্নানের সঙ্গে এলাকায় সবার ভালো সম্পর্ক। তাঁর স্ত্রী একটু জেদি প্রকৃতির হলেও আমি কখনো তাঁকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া অথবা রাগারাগি হতে দেখিনি। তবে, কী কারণে এ রকম ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, দুপুরে মান্নানের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে তাঁদের দাওয়াত ছিল। ছুটির দিন ও দাওয়াত থাকার কারণে মান্নান বাড়ি থেকে দূরেও যাননি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাড়িতে ফিরে স্ত্রী, সন্তানদের মৃত অবস্থায় দেখতে পান। 

গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহীনুল ইসলাম তুহীন বলেন, ‘এ রকম মর্মান্তিক একটি ঘটনা ঘটবে, তা আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না।’ 

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘খবর পেয়ে বেলা ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে, কী কারণে ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।’ 
 
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, ‘সবকিছু দেখে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মা ডলি বেগম আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার আগে তিনি তাঁর দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করেন। এ ব্যাপারে আমরা বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত