Ajker Patrika

ইবিতে সিট নিয়ে দ্বন্দ্বে ছাত্রীকে হেনস্তা, ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

ইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২২, ১০: ৫৪
ইবিতে সিট নিয়ে দ্বন্দ্বে ছাত্রীকে হেনস্তা, ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে মেহেদী হাসান হাফিজ নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বিক্ষোভ করেছেন খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন হল প্রভোস্ট ইয়াসমিন আরা সাথী।
 
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান ফটক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী পপি আক্তার, উম্মে সালমা ও তাঁর বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় ছাত্রলীগের নেতা মেহেদী হাসান হাফিজ তাঁর সহযোগীসহ পপিকে জেরা করেন। একপর্যায়ে হাফিজ ও তাঁর সহযোগীরা পপিকে হেনস্তা করেন। পপির সঙ্গে থাকা বন্ধুদেরও হেনস্তা করা হয়।

বিক্ষোভকারী খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আজকে আমাদের আপুকে হেনস্তা করা হয়েছে। কাল আমিও হেনস্তার স্বীকার হতে পারি। আমরা আপু ও তাঁর বন্ধুদের ওপর হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের বহিষ্কার করা না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।’ 

খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।জানা গেছে, জানালার পাশের সিট নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। হাফিজের সুপারিশে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৈয়দা সায়মা রহমান খালেদা জিয়া হলের নতুন ব্লকের ২০৪ নম্বর রুমে অতিথি হিসেবে ওঠেন। সায়মা ওই রুমের জানালার পাশের সিটে উঠতে চান। আগে থেকে ওই সিটে অবস্থান করছিলেন এক সিনিয়র। ওই সিনিয়রের পক্ষ নেন রুমের আরেক সিনিয়র পপি। এর জের ধরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে পপিকে জেরা করেন ছাত্রলীগের নেতা মেহেদী। পরে অবশ্য সায়মাকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ভুক্তভোগী পপি বলেন, ‘জুনিয়র জানালার পাশের সিটে উঠতে চাইলে আমি বলি, সিনিয়ররা জানালার পাশে উঠতে পারে। আপাতত ওখানে এক সিনিয়র আছেন। তুমিও সিনিয়র হলে জানালার পাশে যেতে পারবে। তাঁকে সেখানে উঠতে নিষেধ করায় হাফিজ আমাকে হেনস্তা করেন এবং সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মারধর করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদী হাসান হাফিজ বলেন, ‘ওই মেয়েকে আমি চিনি না। মেইন গেটে বহিরাগত এক ছেলে ফাউল টক করায় একটু ঝামেলা বাধছিল।’ 

হলের সিট নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদী বলেন, ‘এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা এবং ষড়যন্ত্রমূলক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত