কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল চরমপন্থার রাজনীতি। সেই দিন আর এখন নেই, পরিস্থিতি প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সেকালে পারিবারিক আবহে পড়ে এই ভুলের পথে নেমেছিলেন শিমুল বিশ্বাস। আর ফিরতে পারেননি। দুই খুনের মামলায় ২০ বছরের মতো জেল খেটেছেন। এর বাইরেও কয়েকজন চেয়ারম্যানসহ অনেক খুনের অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
দক্ষিণের এই মূর্তিমান আতঙ্ক শিমুল ভূঁইয়ার নাম আবার আলোচনায় এসেছে ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর। আমানউল্লাহ নামেই পুলিশ তাঁকে গণমাধ্যমের কাছে হাজির করেছে। এটা তাঁর ছদ্মনাম। এমন নাম আরও আছে।
পুলিশের হাতে শিমুল ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সাবিনা মুক্তা এবং ভাইপো তানভীর ভূঁইয়া। এরপরই এই পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। শিমুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যশোর সদর, অভয়নগর ও ফুলতলা থানায় হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরকসহ মোট ৮টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে।
পারিবারিক আবহেই শিমুল ভূঁইয়ার উত্থান
চাচা প্রয়াত হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতা। ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, খুলনার বিএল কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় শিমুল প্রথমে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর রাজনীতি করতেন। তাঁর ছোট ভগ্নিপতি ছিলেন আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির অন্যতম রূপকার ও পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) নেতা এবং ভাগ হয়ে যাওয়া জনযুদ্ধের প্রতিষ্ঠাতা তাত্ত্বিক নেতা মোফাখ্খারুল ইসলাম। তাঁর হাত ধরেই তিনি আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯১ সালে যশোরের অভয়নগর থানা এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী গণেশকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করে আলোচনায় আসেন শিমুল ভূঁইয়া। এ মামলায় তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। ২০০২ সালে তিনি ইমান আলী নামে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেন। ২০০৩ সালের জুলাই মাসে মোফাখ্খারুল ইসলামের নির্দেশে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) ভেঙে দিয়ে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল জনযুদ্ধ) আত্মপ্রকাশ করে। তখন জনযুদ্ধের বিভাগীয় সামরিক শাখার দায়িত্ব পান শিমুল ভূঁইয়া। তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড করা হয় ঝিনাইদহ সদরের বিষয়খালী গ্রামের আব্দুর রশিদ মালিথা ওরফে দাদা তপনকে। সংগঠনটি হত্যা ও চাঁদাবাজি করে দায় স্বীকার করার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসে। একই বছর ২৫ আগস্ট খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল ইমামকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে শিমুল ভূঁইয়া ও দাদা তপনের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
একই পরিবারের তিন চেয়ারম্যান খুন
খুলনার ফুলতলায় উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভূঁইয়া পরিবারের সঙ্গে সরদার পরিবারের বিরোধ প্রায় তিন যুগ ধরে। আধিপত্যের কারণে ১৯৯৮ সালের ১৮ আগস্ট হত্যা করা হয় উপজেলার দামোদর ইউপির চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা সরদার আবুল কাশেমকে। অভিযোগ আছে, সেদিন দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় শিমুল তাঁর ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যানের মাথায় গুলি করেন। এরপর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তাঁরই বড় ছেলে সরদার আবু সাঈদ বাদল। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার ঘটনায়ও শিমুল ভূঁইয়া সরাসরি অংশ নেন বলে অভিযোগ আছে। এ দুটি হত্যা মামলার বাদী ছিলেন সরদার আবুল কাশেমের ছোট ছেলে সরদার আলাউদ্দিন মিঠু। তিনি বিপুল ভোটে ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৬ মে রাতে নিজ অফিসে বসে থাকা অবস্থায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় পুলিশের তদন্তে নেপথ্যে শিমুল ভূঁইয়ার ছোট ভাই দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ মো. শিপলু ভূঁইয়ার নাম আসে।
শিমুলের বিরুদ্ধে ৮ মামলার রেকর্ড
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শিমুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যশোর সদর, অভয়নগর ও ফুলতলা থানায় এ পর্যন্ত ৮টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা এবং চাঁদাবাজি, অপহরণ ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আরও মামলা আছে কি না তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
খুলনার পুলিশ সুপার সাঈদুর রহমান বলেন, ‘শিমুল ভূঁইয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমাদের জানা নেই।’
শিমুল ভূঁইয়ার ‘ফুফাতো ভাই’ পলাতক শাহিন
ফুলতলার দামোদর গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশের কাছে চিহ্নিত পলাতক মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন সম্পর্কে শিমুল ভূঁইয়ার ফুফাতো ভাই। তবে পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
বহুরূপী শিমুল ভূঁইয়া
সৈয়দ আমানুল্লাহ, আমানুল্লাহ সাঈদ, শিহাব, ফজল মোল্লা, ফজলসহ বিভিন্ন ছদ্মনাম রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘর তালাবদ্ধ। ছোট ভাই শিপলু ভূঁইয়ার বাড়িতেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। পাশের আরেকটি বাড়িতে বাস করেন বড় ভাই হানিফ মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে লাকি ভূঁইয়া। লাকি ভূঁইয়ার ছেলে তানভীর ভূঁইয়াও সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। লাকি ভূঁইয়ার বাড়িটিও তালাবদ্ধ। জানালার কপাট খোলা থাকলেও ঘরের মধ্যে কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাঁরা কোথায় গেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি প্রতিবেশীরা।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল চরমপন্থার রাজনীতি। সেই দিন আর এখন নেই, পরিস্থিতি প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সেকালে পারিবারিক আবহে পড়ে এই ভুলের পথে নেমেছিলেন শিমুল বিশ্বাস। আর ফিরতে পারেননি। দুই খুনের মামলায় ২০ বছরের মতো জেল খেটেছেন। এর বাইরেও কয়েকজন চেয়ারম্যানসহ অনেক খুনের অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
দক্ষিণের এই মূর্তিমান আতঙ্ক শিমুল ভূঁইয়ার নাম আবার আলোচনায় এসেছে ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর। আমানউল্লাহ নামেই পুলিশ তাঁকে গণমাধ্যমের কাছে হাজির করেছে। এটা তাঁর ছদ্মনাম। এমন নাম আরও আছে।
পুলিশের হাতে শিমুল ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সাবিনা মুক্তা এবং ভাইপো তানভীর ভূঁইয়া। এরপরই এই পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। শিমুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যশোর সদর, অভয়নগর ও ফুলতলা থানায় হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরকসহ মোট ৮টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে।
পারিবারিক আবহেই শিমুল ভূঁইয়ার উত্থান
চাচা প্রয়াত হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতা। ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, খুলনার বিএল কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় শিমুল প্রথমে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর রাজনীতি করতেন। তাঁর ছোট ভগ্নিপতি ছিলেন আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির অন্যতম রূপকার ও পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) নেতা এবং ভাগ হয়ে যাওয়া জনযুদ্ধের প্রতিষ্ঠাতা তাত্ত্বিক নেতা মোফাখ্খারুল ইসলাম। তাঁর হাত ধরেই তিনি আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯১ সালে যশোরের অভয়নগর থানা এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী গণেশকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করে আলোচনায় আসেন শিমুল ভূঁইয়া। এ মামলায় তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। ২০০২ সালে তিনি ইমান আলী নামে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেন। ২০০৩ সালের জুলাই মাসে মোফাখ্খারুল ইসলামের নির্দেশে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) ভেঙে দিয়ে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল জনযুদ্ধ) আত্মপ্রকাশ করে। তখন জনযুদ্ধের বিভাগীয় সামরিক শাখার দায়িত্ব পান শিমুল ভূঁইয়া। তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড করা হয় ঝিনাইদহ সদরের বিষয়খালী গ্রামের আব্দুর রশিদ মালিথা ওরফে দাদা তপনকে। সংগঠনটি হত্যা ও চাঁদাবাজি করে দায় স্বীকার করার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসে। একই বছর ২৫ আগস্ট খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল ইমামকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে শিমুল ভূঁইয়া ও দাদা তপনের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
একই পরিবারের তিন চেয়ারম্যান খুন
খুলনার ফুলতলায় উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভূঁইয়া পরিবারের সঙ্গে সরদার পরিবারের বিরোধ প্রায় তিন যুগ ধরে। আধিপত্যের কারণে ১৯৯৮ সালের ১৮ আগস্ট হত্যা করা হয় উপজেলার দামোদর ইউপির চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা সরদার আবুল কাশেমকে। অভিযোগ আছে, সেদিন দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় শিমুল তাঁর ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যানের মাথায় গুলি করেন। এরপর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তাঁরই বড় ছেলে সরদার আবু সাঈদ বাদল। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার ঘটনায়ও শিমুল ভূঁইয়া সরাসরি অংশ নেন বলে অভিযোগ আছে। এ দুটি হত্যা মামলার বাদী ছিলেন সরদার আবুল কাশেমের ছোট ছেলে সরদার আলাউদ্দিন মিঠু। তিনি বিপুল ভোটে ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৬ মে রাতে নিজ অফিসে বসে থাকা অবস্থায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় পুলিশের তদন্তে নেপথ্যে শিমুল ভূঁইয়ার ছোট ভাই দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ মো. শিপলু ভূঁইয়ার নাম আসে।
শিমুলের বিরুদ্ধে ৮ মামলার রেকর্ড
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শিমুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যশোর সদর, অভয়নগর ও ফুলতলা থানায় এ পর্যন্ত ৮টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা এবং চাঁদাবাজি, অপহরণ ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আরও মামলা আছে কি না তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
খুলনার পুলিশ সুপার সাঈদুর রহমান বলেন, ‘শিমুল ভূঁইয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমাদের জানা নেই।’
শিমুল ভূঁইয়ার ‘ফুফাতো ভাই’ পলাতক শাহিন
ফুলতলার দামোদর গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশের কাছে চিহ্নিত পলাতক মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন সম্পর্কে শিমুল ভূঁইয়ার ফুফাতো ভাই। তবে পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
বহুরূপী শিমুল ভূঁইয়া
সৈয়দ আমানুল্লাহ, আমানুল্লাহ সাঈদ, শিহাব, ফজল মোল্লা, ফজলসহ বিভিন্ন ছদ্মনাম রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘর তালাবদ্ধ। ছোট ভাই শিপলু ভূঁইয়ার বাড়িতেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। পাশের আরেকটি বাড়িতে বাস করেন বড় ভাই হানিফ মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে লাকি ভূঁইয়া। লাকি ভূঁইয়ার ছেলে তানভীর ভূঁইয়াও সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। লাকি ভূঁইয়ার বাড়িটিও তালাবদ্ধ। জানালার কপাট খোলা থাকলেও ঘরের মধ্যে কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাঁরা কোথায় গেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি প্রতিবেশীরা।

বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩৩ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল চরমপন্থার রাজনীতি। সেই দিন আর এখন নেই, পরিস্থিতি প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সেকালে পারিবারিক আবহে পড়ে এই ভুলের পথে নেমেছিলেন শিমুল বিশ্বাস। আর ফিরতে পারেননি। দুই খুনের মামলায় ২০ বছরের মতো জেল খেটেছেন। এর বাইরেও কয়েকজন চেয়ারম্যানসহ অনে
২৪ মে ২০২৪
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল চরমপন্থার রাজনীতি। সেই দিন আর এখন নেই, পরিস্থিতি প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সেকালে পারিবারিক আবহে পড়ে এই ভুলের পথে নেমেছিলেন শিমুল বিশ্বাস। আর ফিরতে পারেননি। দুই খুনের মামলায় ২০ বছরের মতো জেল খেটেছেন। এর বাইরেও কয়েকজন চেয়ারম্যানসহ অনে
২৪ মে ২০২৪
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩৩ মিনিট আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২ ঘণ্টা আগেফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মিজি বাড়ির মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। পেশায় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে। এ সময় দুজন আরোহী থাকা মোটরসাইকেল থেকে অপর মোটরসাইকেল আরোহীকে গুলি করে নিজেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসার আহমেদসহ আরও অনেকে বলেন, গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোটরসাইকেলসহ সড়কের ওপর একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির চাচা মো. আলী হোসেন মিজি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের বেঙ্গল কোম্পানির চা-পাতা বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন রুহুল আমিন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানির পণ্য নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাতিজার মরদেহ শনাক্ত করি।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কারা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মিজি বাড়ির মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। পেশায় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে। এ সময় দুজন আরোহী থাকা মোটরসাইকেল থেকে অপর মোটরসাইকেল আরোহীকে গুলি করে নিজেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসার আহমেদসহ আরও অনেকে বলেন, গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোটরসাইকেলসহ সড়কের ওপর একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির চাচা মো. আলী হোসেন মিজি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের বেঙ্গল কোম্পানির চা-পাতা বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন রুহুল আমিন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানির পণ্য নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাতিজার মরদেহ শনাক্ত করি।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কারা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল চরমপন্থার রাজনীতি। সেই দিন আর এখন নেই, পরিস্থিতি প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সেকালে পারিবারিক আবহে পড়ে এই ভুলের পথে নেমেছিলেন শিমুল বিশ্বাস। আর ফিরতে পারেননি। দুই খুনের মামলায় ২০ বছরের মতো জেল খেটেছেন। এর বাইরেও কয়েকজন চেয়ারম্যানসহ অনে
২৪ মে ২০২৪
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩৩ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২ ঘণ্টা আগেশিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

মাদারীপুর জেলার শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের তল্লাশিতে ২০টি গুলিসহ ২টি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বর এলাকায় বিশেষ অভিযানে এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুটি গাড়ি জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ও ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়াও ১৫টি গাড়িতে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে অস্ত্র দুটি লাইসেন্সকৃত কি না তা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানা বলেন, ’সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিরতার মধ্যে সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় এবং সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের এই অভিযান। দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ’ঘটনাস্থল থেকে ২টি শটগান ও ২০টি গুলি জব্দ করা হয়েছে। আমরা এর লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করার পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

মাদারীপুর জেলার শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের তল্লাশিতে ২০টি গুলিসহ ২টি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বর এলাকায় বিশেষ অভিযানে এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুটি গাড়ি জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কের গোলচত্বরে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি করা হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানের সময় একটি নোয়াহ গাড়ি থেকে ২টি শটগান ও ২০টি গুলি উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়াও ১৫টি গাড়িতে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে অস্ত্র দুটি লাইসেন্সকৃত কি না তা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানা বলেন, ’সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিরতার মধ্যে সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় এবং সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের এই অভিযান। দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ’ঘটনাস্থল থেকে ২টি শটগান ও ২০টি গুলি জব্দ করা হয়েছে। আমরা এর লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করার পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল চরমপন্থার রাজনীতি। সেই দিন আর এখন নেই, পরিস্থিতি প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু সেকালে পারিবারিক আবহে পড়ে এই ভুলের পথে নেমেছিলেন শিমুল বিশ্বাস। আর ফিরতে পারেননি। দুই খুনের মামলায় ২০ বছরের মতো জেল খেটেছেন। এর বাইরেও কয়েকজন চেয়ারম্যানসহ অনে
২৪ মে ২০২৪
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৩৩ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে