Ajker Patrika

গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ২০: ০৭
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় গিয়েছেন। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার কথা রয়েছে তাঁদের। এ দিন সন্ধ্যার পর ওই নেতারা খুলনায় পৌঁছান।

সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি জানিয়েছেন খুলনা প্রেসক্লাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সঞ্জয় দত্ত।

খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক বলেন, এনসিপির নেতারা ফোন করে রাত সাড়ে ৯টায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ওইসময় সকল সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।

এর আগে এদিন সেনা-পুলিশ পাহারায় নাহিদ, আখতারসহ এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জ ছাড়েন বলে জানায় বিবিসি। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তাঁরা বিকাল ৫টার পরে গোপালগঞ্জ ছেড়ে বের হয়ে যান।

কড়াপাহাড়ায় তাদের ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ির বহর গোপালগঞ্জ ছাড়ে। এই বহরে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা ছিলেন।

এ দিন দুপুরে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ শেষে দলটির নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর ঘিরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।

কড়াপাহাড়ায় তাদের ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ির বহর গোপালগঞ্জ ছাড়ে। এই বহরে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা ছিলেন।

এ দিন দুপুরে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ শেষে দলটির নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর ঘিরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনি: গোবিন্দগঞ্জে ৩ জনের মৃত্যু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে এলাকাবাসীর পিটুনিতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বুলবুল ইসলামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাত ৩টার দিকে নাসিরাবাদ গ্রামের আব্দুস ছালামের গোয়ালঘর থেকে ওই তিন ব্যক্তি তিনটি গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী তাঁদের ধাওয়া করে। ধাওয়ার মুখে প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা ওই গ্রামের একটি পুকুরে লাফ দেন। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গ্রামবাসী তাঁদের পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে এবং অপর একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নবীনগরে পাল্টাপাল্টি হামলা: একজন নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হন, যাঁদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির নাম শিপন মিয়া (৩০)। তিনি স্থানীয় মোন্নাফ মিয়ার ছেলে। এই ঘটনার পর এক পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। এলাকায় নতুন করে সংঘাত ও হামলার আশঙ্কায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারে একটি স্থানীয় হোটেলে এলাকার কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেকের ছেলে শিপন মিয়া আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় একদল অস্ত্রধারী লোক হোটেলটিতে গুলি করতে থাকে। এতে শিপন মিয়া (৩০) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন।

মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর তাঁর গ্রাম নূরজাহানপুরে ছড়িয়ে পড়লে মনেকের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় গণি শাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় মনেকের সশস্ত্র লোকজনের ছোড়া গুলিতে এমরান মাস্টার (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন।

এমরান মাস্টার ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই। তিনি পার্শ্ববর্তী শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এমরান মাস্টারের বাড়ি বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে। বিক্ষুব্ধ সশস্ত্র লোকজন এরপর থোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন সকালে মারা যান ও হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোন্নাফ মিয়া ও তাঁর ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের আরাফাতের নেতৃত্বে থাকা সশস্ত্র লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। আরাফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন মাস্টারের জ্ঞাতিগোষ্ঠীর একজন। এই আধিপত্যের দ্বন্দ্বই পাল্টাপাল্টি হামলার মূল কারণ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন।

হামলার খবর পেয়ে রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক এবং নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো ডাকাতির ভাগাভাগি নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির কমিটির কার্যক্রম স্থগিত

ভোলা প্রতিনিধি 
কার্যক্রম স্থগিত করা বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত
কার্যক্রম স্থগিত করা বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সদর উপজেলা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিএনপি।

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা শহরে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পর সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভোলা জেলাধীন সদর উপজেলা বিএনপির কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ এবং বিজেপি অফিসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ও কার্যক্রম স্থগিত হওয়া ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ। সদর উপজেলা বিএনপির কমিটির কার্যক্রম স্থগিতাদেশের সঙ্গে বিজেপি-বিএনপির সংঘর্ষের যোগসূত্র থাকতে পারে বলেও মনে করছেন বিএনপির এই দুই নেতা।

অন্যদিকে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কার্যক্রম স্থগিত হওয়া ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. হেলালউদ্দিন বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। কারণ উল্লেখ থাকলে জবাব দেওয়া যেত।’ হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে যারা কটূক্তি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল বাবার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার মদনে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে সাজ্জাদ মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতেন। শনিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার গ্রহণ শেষে নিজের ঘরে শুয়েছিলেন মোস্তফা। হঠাৎ ছেলে সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে মোস্তফা মারা যান।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ আজ রোববার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সাজ্জাদকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত