প্রতিনিধি
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ): মাত্র ২০ সেকেন্ডের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে একটি গ্রামের অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখী গ্রামে টর্নেডো আঘাত হানে। এ সময় বহু ঘরের চালা ও টিন উড়ে গেছে। ঝড় শেষে অনেক টিন গাছের মগডালে ঝুলতে দেখা যায়। শত শত গাছ উপড়ে গেছে, অথবা ডালপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের ঝড় ও তুমুল বৃষ্টির মধ্যে আড়মুখী কুটিপাড়া থেকে পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত একটি বাতাসের ঘূর্ণি প্রায় দেড় শ মিটারের মতো ব্যাস ধারণ করে। প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ে দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবশ্য একই গ্রামের অনেক বাসিন্দা এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ঝড়ের কোনো প্রভাব পড়েনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় গ্রামের উত্তর-দক্ষিণ থেকে মোড় নিয়ে পূর্ব পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। কালো ঘূর্ণি পাক খেতে খেতে পশ্চিম দিকে পার্শ্ববর্তী কাজুলী গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। যেদিক দিয়ে ঝড় গেছে সেদিকের গাছপালা এবং কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরের আসবাবপত্র উড়ে গাছের ডালে ঝুলে থাকতেও দেখা গেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে আজিজ বিশ্বাসের স্ত্রী ও একই গ্রামের আরও দুই শিশু দেয়াল চাপা পড়ে। তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আড়মুখী গ্রামের বাবলু শেখ, বিল্লাল বিশ্বাস, শাহিনুর রহমান, টিপু, ফেটু বিশ্বাস, আব্দুল্লাহ, জাহিদুল ইসলাম, আইনুদ্দিন, আকবর আলী, শিমুলে হোসেন, শাহিনুর রহমান, আজিজ বিশ্বাস, সলেমান মন্ডল, সিরাজ বিশ্বাস, আসলাম উদ্দীন, ইলিয়াস হোসেন, আতিয়ার রহমান, আয়ুব মন্ডল, আসাদ আলী, হাসানুর রহমান, দোস্তর আলী, নাসির উদ্দীন, গফফার হোসেন, আলমগীর হোসেন, আকরাম আলী ও আজিজুর রহমানের বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই হালকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হয়। সন্ধ্যার একটু আগে হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। শুরু হয় ঝড়। ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড স্থায়ী এ ঝড়ে আড়মুখী গ্রামের কুটিপাড়া থেকে পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত তছনছ হয়ে যায়। এতে অর্ধশত কাঁচা-পাকা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপড়ে যায় শত শত গাছপালা। ঝড়ের কবলে পড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা বাবলু শেখ বলেন, হঠাৎ করে ঝড় শুরু হলো। কিছু বোঝার আগেই ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে গাছপালা উপড়ে গেল। বাড়িঘরে ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। একই এলাকার দোস্তর আলী বলেন, যাদের মাটির ঘর বা টিনের ঘর ছিল তাদের আর কিছুই নেই।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপদ্রুত এলাকায় শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ): মাত্র ২০ সেকেন্ডের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে একটি গ্রামের অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখী গ্রামে টর্নেডো আঘাত হানে। এ সময় বহু ঘরের চালা ও টিন উড়ে গেছে। ঝড় শেষে অনেক টিন গাছের মগডালে ঝুলতে দেখা যায়। শত শত গাছ উপড়ে গেছে, অথবা ডালপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের ঝড় ও তুমুল বৃষ্টির মধ্যে আড়মুখী কুটিপাড়া থেকে পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত একটি বাতাসের ঘূর্ণি প্রায় দেড় শ মিটারের মতো ব্যাস ধারণ করে। প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ে দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবশ্য একই গ্রামের অনেক বাসিন্দা এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ঝড়ের কোনো প্রভাব পড়েনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় গ্রামের উত্তর-দক্ষিণ থেকে মোড় নিয়ে পূর্ব পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। কালো ঘূর্ণি পাক খেতে খেতে পশ্চিম দিকে পার্শ্ববর্তী কাজুলী গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। যেদিক দিয়ে ঝড় গেছে সেদিকের গাছপালা এবং কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরের আসবাবপত্র উড়ে গাছের ডালে ঝুলে থাকতেও দেখা গেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে আজিজ বিশ্বাসের স্ত্রী ও একই গ্রামের আরও দুই শিশু দেয়াল চাপা পড়ে। তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আড়মুখী গ্রামের বাবলু শেখ, বিল্লাল বিশ্বাস, শাহিনুর রহমান, টিপু, ফেটু বিশ্বাস, আব্দুল্লাহ, জাহিদুল ইসলাম, আইনুদ্দিন, আকবর আলী, শিমুলে হোসেন, শাহিনুর রহমান, আজিজ বিশ্বাস, সলেমান মন্ডল, সিরাজ বিশ্বাস, আসলাম উদ্দীন, ইলিয়াস হোসেন, আতিয়ার রহমান, আয়ুব মন্ডল, আসাদ আলী, হাসানুর রহমান, দোস্তর আলী, নাসির উদ্দীন, গফফার হোসেন, আলমগীর হোসেন, আকরাম আলী ও আজিজুর রহমানের বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই হালকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হয়। সন্ধ্যার একটু আগে হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। শুরু হয় ঝড়। ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড স্থায়ী এ ঝড়ে আড়মুখী গ্রামের কুটিপাড়া থেকে পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত তছনছ হয়ে যায়। এতে অর্ধশত কাঁচা-পাকা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপড়ে যায় শত শত গাছপালা। ঝড়ের কবলে পড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা বাবলু শেখ বলেন, হঠাৎ করে ঝড় শুরু হলো। কিছু বোঝার আগেই ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে গাছপালা উপড়ে গেল। বাড়িঘরে ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। একই এলাকার দোস্তর আলী বলেন, যাদের মাটির ঘর বা টিনের ঘর ছিল তাদের আর কিছুই নেই।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপদ্রুত এলাকায় শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাইয়ের বটির কোপে বড় ভাই সালাউদ্দিন শেখ (৩০) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালাউদ্দিন মারা যান। নিহত সালাউদ্দিন শেখ উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের ভদ্রাসন গ্ৰামের শাহজাহান শেখের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে তাঁকে...
২৯ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) আঞ্চলিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ফিতা কেটে এবং নামফলক উন্মোচন করে কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
১ ঘণ্টা আগেসরেজমিনে উপজেলার শিবনগর, আলাদীপুর, খয়েরবাড়ী ও দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, আগাম শীতকালীন সবজির চাষ শুরু হয়েছে। এসব জমিতে এখন শিম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, লাউ ও লালশাকসহ বিভিন্ন সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কিছু কিছু আগাম সবজি বাজারেও উঠতে শুরু করে
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের বুরুঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মুর্শিদা। বিয়ে হয় আট বছর আগে পাশের চন্ডিগড় গ্রামে। স্বামী রুবেল মিয়া অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। অভাব অনটন থাকলেও ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের দিন ভালোই কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু তিন মাস আগে মুর্শিদার কিডনিতে জটিলতা ধরা পড়ে। এখন তিনি আর নিজের..
২ ঘণ্টা আগে