Ajker Patrika

এমপি আজীমের মৃত্যুর প্রমাণ চান কালীগঞ্জবাসী

রাসেল মাহমুদ, ঝিনাইদহ থেকে
আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ১১: ০৬
এমপি আজীমের মৃত্যুর প্রমাণ চান কালীগঞ্জবাসী

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার বেঁচে নেই—প্রমাণ ছাড়া এ তথ্য মানতে পারছে না তাঁর নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মানুষ। কলকাতায় এমপিকে হত্যা করা হয়েছে—দুই দেশের পুলিশ এমন তথ্য দিলেও তাঁর কাছের লোকজন বলছেন, লাশ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি তাঁকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্নও আছে কারও কারও মনে। গতকাল সোমবার এমপি আনারের এলাকা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার নতুন বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী মো. জিন্নাহর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করে হত্যার ঘটনায় জড়িত এমন কয়েকজনকে ধরেছে, কিন্তু কোনো আলামত পায়নি। তদন্ত করছে, কিন্তু এখনো কোনো কিছু পায়নি। মিডিয়ায় শুধু দেখতেছি একটা ব্যাগে করে লিফটে উঠতেছে। এখন আসলে ঘটনা কী? মারা গেছেন, নাকি আত্মগোপনে আছেন, তা পরিষ্কার না।’

কালীগঞ্জের নিমতলা এলাকার মো. আমিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসই হচ্ছে না তাঁকে এভাবে মেরে ফেলেছে। সরকারিভাবে এখনো ঘোষণাও দিতেছে না যে মেরে ফেলছে। আমরা একটা ধোঁয়াশার মধ্যে আছি।’ 

শৈলেন মুখার্জি নামের এক চায়ের দোকানি বলেন, ‘তার চেহারা এখনো চোখে ভাসছে। মনে তো হচ্ছে না সে (আনার) নাই। আমার মনে হয়, কেউ তাকে আটকে রাখছে। হয়তো বিশাল অঙ্কের টাকার ব্যাপার-স্যাপার।’

শুধু স্থানীয় সাধারণ লোকজনই নয়, এমপি আনারের পরিবার বা পরিচিতরাও এখনো তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে। গত রোববারও এমপির ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর বাবার মৃত্যুর প্রমাণ হিসেবে বাবার ব্যবহৃত জিনিস অথবা অন্তত এক টুকরা মাংস চান তাঁরা।

ডরিন বলেন, পরনে শার্ট, প্যান্ট ও জুতা ছিল। চোখে সব সময় চশমা পরতেন, পকেটে টুপি এবং ছোট একটা চিরুনি, হাতে দুটি আংটি এবং একটি ব্রেসলেট থাকত। এসবের একটি জিনিস হলেও দেখাতে হবে। কিছু না কিছু একটা পাওয়া যাবেই। না হলে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।

আনোয়ারুল আজীমের স্কুলজীবনের বন্ধু মো. জয়নাল আবেদীন। তাঁর কাছেও বন্ধুর মৃত্যুটা অবিশ্বাস্য ঠেকছে এখনো। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার স্কুলজীবনের বন্ধু। মানুষের কাছে সে অনেক জনপ্রিয়। কেউ বলবে না সে খারাপ ছিল। তার মৃত্যু হয়েছে কি হয়নি, এখনো বলা যাবে না। কারণ এখনো পর্যন্ত তার লাশ বা কোনো কিছুই পায়নি। তাহলে নিহত হয়েছে শনাক্ত করবে কী করে? তাই মৃত্যুটা এখনো রহস্যজনক।’  

চিকিৎসার কথা বলে কলকাতায় গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে পুলিশ জানায়, ১৩ মে কলকাতায় খুন হন আনোয়ারুল আজীম। সোনা চোরাচালানের টাকার দ্বন্দ্বে কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আমানউল্লাহ ওরফে শিমুলসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্যদিকে মরদেহের খোঁজ পেতে নানা জায়গায় চষে বেড়াচ্ছে কলকাতার পুলিশ। তবে এখনো আনারের মরদেহের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাকরির শেষ কর্মদিবসে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
মো. ফজলুল করিম। ছবি: সংগৃহীত
মো. ফজলুল করিম। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় চাকরিজীবনের শেষ কর্মদিবসে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারা গেছেন।

নিহত শিক্ষকের নাম মো. ফজলুল করিম (৬০)। তিনি উপজেলার ব্রহ্মগাছা ক্লাস্টারের হামিন দামিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বাড়ি রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মীরের দেউলমুরা গ্রামে। স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন তিনি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ছিল তাঁর চাকরিজীবনের শেষ কর্মদিবস। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মো. ফজলুল করিম ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও শান্ত স্বভাবের মানুষ। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর জানাজা শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে।

রায়গঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ফজলুল করিম ছিলেন দায়িত্বশীল ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। চাকরির শেষ দিনে তাঁর মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। শিক্ষা পরিবার একজন ভালো মানুষকে হারাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘর ভাঙলেও জমি আঁকড়ে কোল পরিবারগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উচ্ছেদের শিকার ভুক্তভোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উচ্ছেদের শিকার ভুক্তভোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এক্সকাভেটরের চাপায় ঘরের টিনগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে ঘরের স্টিলের খাট, হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্য জিনিসপত্র। বাড়ির মাটির দেয়ালগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবু ডাইংয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোল সম্প্রদায়ের পাঁচজনের বাড়ি এভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও তাঁরা ভিটা ছেড়ে যাননি। পাশেই বাঁশঝাড়ে অল্প কিছু জিনিসপত্র নিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন। এখানেই থাকতে চান তাঁরা।

গত সোমবার দুপুরে সনাতন সরেন, সুজন সরেন, ভুটু কিসকু, ভারত টুডু ও শনিলাল টুডুর বাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। খাস জায়গা ভেবে এই পরিবারগুলো ১৯৯৮ সাল থেকে এখানে বাস করে আসছিলেন। পরে শোনেন যে, জমিটি তিলক মাঝি, দিনু মাঝি ও ভাদু মাঝি নামের কয়েকজনের নামে রেকর্ড আছে। তাঁরা তাঁদের জাত ভাই। এখন এখানে নেই। তাঁদের হিন্দু সাজিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেন মকবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

পরে মকবুলের ওয়ারিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের আলমগীর কবিরসহ কয়েকজন জমি পেতে আদালতে মামলা করেন। কোল সম্প্রদায়ের মানুষগুলো মামলা পরিচালনা করতে পারেননি। একতরফা রায়ে এই ৭৭ শতাংশ জায়গার রায় হয়েছে আলমগীরদের পক্ষে। গত সোমবার পুলিশ ও আদালতের প্রতিনিধি গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।

গোদাগাড়ীর মোহনপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাবু ডাইং গ্রামটি রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি বাড়ি একেবারেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর দুটি বাড়ির আংশিক ভাঙা হয়েছে। শনিলাল টুডুর বাড়ির অর্ধেক ভেঙে আঙিনায় কয়েকটি সীমানা পিলার পুঁতে দেওয়া হয়েছে। শনিলালের স্ত্রী চম্পলি মুর্মু বলেন, ‘একদিক থেকে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙছিল, আরেক দিক দিয়ে নিজেরা নিজেরাই মাপামাপি করে বাড়ির আঙিনায় সীমানা পিলার পুঁতে দিয়েছে। আমাদের কোনো কথাই শোনেনি।’

সনাতন টুডু বলেন, ‘পুলিশসহ কোর্টের লোকজন এসে বাড়ি ভাঙতে চাইলে আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে যাই। তখন পুলিশ বলে যে, ‘‘আপনি আইনের কাজে বাধা দেবেন না’’। আমাকে সরিয়ে দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দেয়। জিনিসপত্র সরাতে আমরা ৩০ মিনিটও সময় পাইনি।’

ঘরহারা সুজন সরেন বলেন, ‘অল্প কিছু জিনিস বের করতে পেরেছি। সেগুলো এখানেই রেখেছি বাঁশতলায়। বাকিগুলো বুলডোজারের নিচে গেছে। গরু-ছাগলগুলো মানুষের বাড়িতে রেখেছি। দুই দিন আমরা বাঁশঝাড়ের মধ্যেই ছিলাম। গতকাল রাতে বৃষ্টি এলে পাশের বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিই। আমরা এখানেই থাকতে চাই। আমাদের তো আর যাওয়ার কোনো জায়গা নাই।’

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উচ্ছেদের শিকার ভুক্তভোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উচ্ছেদের শিকার ভুক্তভোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ দিন পরিবারগুলোকে দেখতে যান বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) রাজশাহী ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম, সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারি অর্গানাইজেশনের (সিসিবিভিও) সমন্বয়কারী আরিফ ইথার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার, রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সুধীর সরেন, বন্ধু আমরার সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম লিটন, সিসিবিভিওর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নিরাবুল ইসলাম ও ব্লাস্টের প্যারালিগ্যাল আবু তালেব।

সিসিবিভিওর সমন্বয়কারী আরিফ ইথার বলেন, ‘আগে এ জমি কোল সম্প্রদায়েরই ছিল। তাদের হিন্দু দেখিয়ে জমির রেকর্ড করে নেওয়া হয়েছে বাঙালিদের নামে। কারণ, আদিবাসীদের জমি নিতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন লাগে। হিন্দু হলে অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। ভিন্নপথে জমির মালিকানা নিয়ে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক কাজ হয়েছে। আমরা অনুরোধ করব, যেন দ্রুতই তাদের পুনর্বাসন করা হয়।’

জানতে চাইলে কোল পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী আলমগীর কবির বলেন, ‘এই জমি কিনেছিলেন আমার দাদা মকবুল হোসেন। তিনি কীভাবে এটা কিনেছিলেন, তা তো আমরা বলতে পারব না। তবে এটা রেকর্ডীয় সম্পত্তি। তারপরও আদিবাসীরা জমি ছাড়েনি। বাধ্য হয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়ে তাদের উচ্ছেদ করেছি। জমি এখন আমাদের দখলে।’

ব্লাস্টের রাজশাহী ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম জানান, এই জমির সমস্ত কাগজপত্র তাঁরা সংগ্রহ করবেন। তারপর ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে আইনি সহায়তা দেবেন। গতকাল গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহম্মেদ জানিয়েছিলেন, পরিবারগুলোর থাকার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে আজ পর্যন্ত তাঁদের কোনো গতি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএম কলেজে যুগলের ওপর চড়াও, উগ্র অনলাইন গ্রুপের ১০ জন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে এক যুগলের ওপর চড়াও হওয়ায় ১০ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে এক যুগলের ওপর চড়াও হওয়ায় ১০ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে এক যুগলের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে একদল তরুণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের মারামারি হয়েছে। পরে পুলিশের হাতে ১০ জনকে তুলে দেওয়া হয়।

যুগলের ওপর চড়াও হওয়া তরুণেরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘টিম প্রটেক্ট আওয়ার সিস্টার্স’ নাম একটি উগ্র অনলাইন গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন বিএম কলেজের মীর বাহার মিয়া ও তাকরিম হোসেন, ইনফ্রা পলিটেকনিকের মো. ফজলুল হক আকিব, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মো. রাব্বি, বেলতলা দারুল উলুম মাদ্রাসার ইনাম আহমেদ, নগরের কাশিপুরের মো. মাহমুদ মোস্তফা, রূপাতলী এলাকার মো. রাফি, মুসলিমপাড়ার নাসিম মাহমুদ এবং লুৎফুর রহমান সড়কের কাজী মিরাজ ও মো. তাওহিদ।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের তথ্যমতে, আটক ব্যক্তিরা একটি উগ্র অনলাইন গ্রুপের সদস্য। তাঁরা নারীদের রক্ষার নামে বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা করে আসছেন।

পুলিশ জানায়, আটক তরুণেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে গ্রুপের প্রধান মালয়েশিয়াপ্রবাসী।

বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. আবু তাহের মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের কাছাকাছি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী দুটি ছেলে-মেয়ে গল্প করছিলেন। ছেলেটি হাতেম আলী কলেজের এবং মেয়েটি বিএম কলেজের। একপর্যায়ে কলেজেরই এক ছেলে ওদের দেখে তাঁর সহযোগী বহিরাগত কয়েকজনকে ডেকে আনেন। সেখানে ওই ছেলে-মেয়ের ভিডিও করে হাতেম আলী কলেজের ছেলেটিকে মারধর করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে বিএম কলেজছাত্ররা বহিরাগত কয়েকজনকে ধরে তাঁর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

উপাধ্যক্ষ জানান, এই ছেলেরা ‘টিম প্রটেক্ট আওয়ার সিস্টার্স’ নাম একটি উগ্র অনলাইন গ্রুপের সদস্য। তাঁরা কলেজে আটকা পড়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে দিলে দলে দলে কলেজ গেটের সামনে হাজির হয়। একপর্যায়ে বিএম কলেজে ছাত্ররা তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে ধরে পুলিশে খবর দেন। এঁরা নগরের টেক্সটাইল কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ, বিএম কলেজ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও মাহমুদিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। খবর পেয়ে পুলিশ ১০ জনকে ১১টি মোবাইলসহ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন আইস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএম কলেজ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ জন ছাত্রকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিএম কলেজছাত্ররা তাদের ধরে দিয়েছে। তাদের নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুনেছেন যে একটি অনলাইন গ্রুপের সদস্য তারা। তবে তদন্ত করে দেখা হবে আটককৃতদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে কি না। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৪৮
বিএনপি নেতা আব্দুল মুজিদ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি নেতা আব্দুল মুজিদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল মজিদ (৬০)। তিনি যশোর জেলার চৌগাছা থানার সিংহঝুলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালে মৃত আব্দুল মজিদের বন্ধু আলমগীর হোসেন জানান, তাঁদের বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা থানার জামালতা গ্রামে। এলাকায় কেবলের ব্যবসা করতেন মজিদ।

আলমগীর হোসেন আরও জানান, তাঁরা চারজন দুই মোটরসাইকেলে করে যশোর থেকে রাঙামাটি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে যশোর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসছিলেন। মজিদ তাঁর সঙ্গে একই মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলেন। যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মজিদ। পরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানায় অবহিত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত