যশোর প্রতিনিধি

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় সম্প্রতি চারজন বিএনপির নেতা-কর্মী দোকানঘর তোলেন। দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে আজ সোমবার দোকানঘরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট চিত্রা নদীর পাড়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে তৈরি করা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিশৃঙ্খলাকারীরা। এর পরদিনই এ জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করা হয়।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদর উদ্দীন, তাঁর ফুফাতো ভাই বাঘারপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দাউদ হোসেন, বাঘারপাড়া পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম ও বিএনপির কর্মী মহাসিন আলী ওই জায়গা দখলে নিয়ে এসব দোকানঘর নির্মাণ করেন।
বিএনপি নেতা সদর উদ্দীন বলেন, ‘গতকাল রোববার আমি ইউএনও ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাকে দোকানঘর ভেঙে সরিয়ে নিতে বলেন। এ জন্য আজ সোমবার সকালে আমি দোকানঘর সরিয়ে নিয়েছি। ইটের ভিতও (ইটের দোকানও) ভেঙে সরিয়ে নেব।’
আজ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে দোকান ভাঙার কাজ। চার-পাঁচজন শ্রমিক টিনের ছাউনি ও বেড়ার দোকানঘর ভাঙেন। প্রথমে তাঁরা দোকানের টিনের ছাউনি খোলেন। এরপর তাঁরা তার দিয়ে দেওয়া বাঁধন কেটে টিনের বেড়া এবং বেড়ায় ব্যবহৃত বাঁশ সরান।
পরে তাঁরা কংক্রিটের খুঁটিগুলো তোলেন। এসব টিন, বাঁশ ও কংক্রিটের খুঁটি পাশের চাড়াভিটা-নারিকেলবাড়িয়া সড়কে রাখা ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ইট দিয়ে তৈরি করা দোকানের ভিত্তি তখনো সরানো হয়নি। সেখানে তিনটি কংক্রিটের খুঁটিও রয়েছে।
সদর উদ্দীন আরও বলেন, ‘ওই জায়গার পাঁচ শতক জমি আমি সরকারের কাছ থেকে স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়েছিলাম। সেখানে একতলা একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্যবসা করেছি। কিন্তু ২০০৬ সালে সরকার ওই জমি নিয়ে নেয়। আমার করা ভবনটি ভেঙে ফেলে। এরপর সরকার সেই জায়গায় প্রথমে স্বাধীনতা চত্বর এবং পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। আমি ১৮ বছর ধরে বেকার হয়ে আছি। ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে দেয়। কেউ যাতে দখল না করতে পারে, এ জন্য আমি সড়ক ঘেঁষে একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করেছি। এতে আমার ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।’
বিএনপি নেতা দাউদ হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় আমি ঘর তুলিনি। স্বাধীনতা চত্বরের বাইরে নদীর সঙ্গে কিছুটা ফাঁকা জায়গা ছিল। আমি সেখানে কয়েকটি কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে রেখেছিলাম। এই নিয়ে কথা ওঠায় আমি সেখান থেকে পিলারগুলো সরিয়ে নিয়েছি।’
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে যশোরের বাঘারপাড়ায় উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন লোকজন। একপর্যায়ে মিছিল বের হয়। মিছিলে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল লোকজন স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে হামলা চালিয়ে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন।
এর পরদিন বিএনপির চার কর্মী ওই জায়গা দখলে নেন। তাঁরা বৈদ্যুতিক কাটার দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের রড কেটে ফেলেন। এরপর দোকানঘর তোলা শুরু করেন।
উপজেলার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, ২০০৯ সালে উপজেলা প্রশাসন চিত্রা নদীর পাড়ে মাটি ভরাট করে স্বাধীনতা চত্বর তৈরি করে। তখন থেকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে স্বাধীনতা চত্বরে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের স্মরণ করতেন। সাধারণ মানুষও সেখানে শ্রদ্ধা জানাতেন।
২০১৮ সালে উপজেলা প্রশাসন স্বাধীনতা চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। সেখানে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক ছিল। ওই স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে দেওয়া এবং সেখানে দোকান নির্মাণ করায় তাঁরা হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বলেন, স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। হামলা চালিয়ে সেটি ভেঙে ফেলায় তাঁরা হতবাক। স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুধু দোকান ভেঙে সরিয়ে নেওয়ায় তাঁরা আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) খুশি নন। তাঁদের দাবি, যাঁরা এসব করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ আগের মতো করে পুনরায় নির্মাণ করতে হবে।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় সম্প্রতি চারজন বিএনপির নেতা-কর্মী দোকানঘর তোলেন। দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে আজ সোমবার দোকানঘরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট চিত্রা নদীর পাড়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে তৈরি করা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিশৃঙ্খলাকারীরা। এর পরদিনই এ জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করা হয়।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদর উদ্দীন, তাঁর ফুফাতো ভাই বাঘারপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দাউদ হোসেন, বাঘারপাড়া পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম ও বিএনপির কর্মী মহাসিন আলী ওই জায়গা দখলে নিয়ে এসব দোকানঘর নির্মাণ করেন।
বিএনপি নেতা সদর উদ্দীন বলেন, ‘গতকাল রোববার আমি ইউএনও ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাকে দোকানঘর ভেঙে সরিয়ে নিতে বলেন। এ জন্য আজ সোমবার সকালে আমি দোকানঘর সরিয়ে নিয়েছি। ইটের ভিতও (ইটের দোকানও) ভেঙে সরিয়ে নেব।’
আজ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে দোকান ভাঙার কাজ। চার-পাঁচজন শ্রমিক টিনের ছাউনি ও বেড়ার দোকানঘর ভাঙেন। প্রথমে তাঁরা দোকানের টিনের ছাউনি খোলেন। এরপর তাঁরা তার দিয়ে দেওয়া বাঁধন কেটে টিনের বেড়া এবং বেড়ায় ব্যবহৃত বাঁশ সরান।
পরে তাঁরা কংক্রিটের খুঁটিগুলো তোলেন। এসব টিন, বাঁশ ও কংক্রিটের খুঁটি পাশের চাড়াভিটা-নারিকেলবাড়িয়া সড়কে রাখা ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ইট দিয়ে তৈরি করা দোকানের ভিত্তি তখনো সরানো হয়নি। সেখানে তিনটি কংক্রিটের খুঁটিও রয়েছে।
সদর উদ্দীন আরও বলেন, ‘ওই জায়গার পাঁচ শতক জমি আমি সরকারের কাছ থেকে স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়েছিলাম। সেখানে একতলা একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্যবসা করেছি। কিন্তু ২০০৬ সালে সরকার ওই জমি নিয়ে নেয়। আমার করা ভবনটি ভেঙে ফেলে। এরপর সরকার সেই জায়গায় প্রথমে স্বাধীনতা চত্বর এবং পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। আমি ১৮ বছর ধরে বেকার হয়ে আছি। ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে দেয়। কেউ যাতে দখল না করতে পারে, এ জন্য আমি সড়ক ঘেঁষে একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করেছি। এতে আমার ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।’
বিএনপি নেতা দাউদ হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় আমি ঘর তুলিনি। স্বাধীনতা চত্বরের বাইরে নদীর সঙ্গে কিছুটা ফাঁকা জায়গা ছিল। আমি সেখানে কয়েকটি কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে রেখেছিলাম। এই নিয়ে কথা ওঠায় আমি সেখান থেকে পিলারগুলো সরিয়ে নিয়েছি।’
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে যশোরের বাঘারপাড়ায় উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন লোকজন। একপর্যায়ে মিছিল বের হয়। মিছিলে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল লোকজন স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে হামলা চালিয়ে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন।
এর পরদিন বিএনপির চার কর্মী ওই জায়গা দখলে নেন। তাঁরা বৈদ্যুতিক কাটার দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের রড কেটে ফেলেন। এরপর দোকানঘর তোলা শুরু করেন।
উপজেলার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, ২০০৯ সালে উপজেলা প্রশাসন চিত্রা নদীর পাড়ে মাটি ভরাট করে স্বাধীনতা চত্বর তৈরি করে। তখন থেকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে স্বাধীনতা চত্বরে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের স্মরণ করতেন। সাধারণ মানুষও সেখানে শ্রদ্ধা জানাতেন।
২০১৮ সালে উপজেলা প্রশাসন স্বাধীনতা চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। সেখানে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক ছিল। ওই স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে দেওয়া এবং সেখানে দোকান নির্মাণ করায় তাঁরা হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বলেন, স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। হামলা চালিয়ে সেটি ভেঙে ফেলায় তাঁরা হতবাক। স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুধু দোকান ভেঙে সরিয়ে নেওয়ায় তাঁরা আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) খুশি নন। তাঁদের দাবি, যাঁরা এসব করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ আগের মতো করে পুনরায় নির্মাণ করতে হবে।
যশোর প্রতিনিধি

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় সম্প্রতি চারজন বিএনপির নেতা-কর্মী দোকানঘর তোলেন। দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে আজ সোমবার দোকানঘরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট চিত্রা নদীর পাড়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে তৈরি করা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিশৃঙ্খলাকারীরা। এর পরদিনই এ জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করা হয়।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদর উদ্দীন, তাঁর ফুফাতো ভাই বাঘারপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দাউদ হোসেন, বাঘারপাড়া পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম ও বিএনপির কর্মী মহাসিন আলী ওই জায়গা দখলে নিয়ে এসব দোকানঘর নির্মাণ করেন।
বিএনপি নেতা সদর উদ্দীন বলেন, ‘গতকাল রোববার আমি ইউএনও ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাকে দোকানঘর ভেঙে সরিয়ে নিতে বলেন। এ জন্য আজ সোমবার সকালে আমি দোকানঘর সরিয়ে নিয়েছি। ইটের ভিতও (ইটের দোকানও) ভেঙে সরিয়ে নেব।’
আজ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে দোকান ভাঙার কাজ। চার-পাঁচজন শ্রমিক টিনের ছাউনি ও বেড়ার দোকানঘর ভাঙেন। প্রথমে তাঁরা দোকানের টিনের ছাউনি খোলেন। এরপর তাঁরা তার দিয়ে দেওয়া বাঁধন কেটে টিনের বেড়া এবং বেড়ায় ব্যবহৃত বাঁশ সরান।
পরে তাঁরা কংক্রিটের খুঁটিগুলো তোলেন। এসব টিন, বাঁশ ও কংক্রিটের খুঁটি পাশের চাড়াভিটা-নারিকেলবাড়িয়া সড়কে রাখা ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ইট দিয়ে তৈরি করা দোকানের ভিত্তি তখনো সরানো হয়নি। সেখানে তিনটি কংক্রিটের খুঁটিও রয়েছে।
সদর উদ্দীন আরও বলেন, ‘ওই জায়গার পাঁচ শতক জমি আমি সরকারের কাছ থেকে স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়েছিলাম। সেখানে একতলা একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্যবসা করেছি। কিন্তু ২০০৬ সালে সরকার ওই জমি নিয়ে নেয়। আমার করা ভবনটি ভেঙে ফেলে। এরপর সরকার সেই জায়গায় প্রথমে স্বাধীনতা চত্বর এবং পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। আমি ১৮ বছর ধরে বেকার হয়ে আছি। ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে দেয়। কেউ যাতে দখল না করতে পারে, এ জন্য আমি সড়ক ঘেঁষে একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করেছি। এতে আমার ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।’
বিএনপি নেতা দাউদ হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় আমি ঘর তুলিনি। স্বাধীনতা চত্বরের বাইরে নদীর সঙ্গে কিছুটা ফাঁকা জায়গা ছিল। আমি সেখানে কয়েকটি কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে রেখেছিলাম। এই নিয়ে কথা ওঠায় আমি সেখান থেকে পিলারগুলো সরিয়ে নিয়েছি।’
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে যশোরের বাঘারপাড়ায় উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন লোকজন। একপর্যায়ে মিছিল বের হয়। মিছিলে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল লোকজন স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে হামলা চালিয়ে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন।
এর পরদিন বিএনপির চার কর্মী ওই জায়গা দখলে নেন। তাঁরা বৈদ্যুতিক কাটার দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের রড কেটে ফেলেন। এরপর দোকানঘর তোলা শুরু করেন।
উপজেলার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, ২০০৯ সালে উপজেলা প্রশাসন চিত্রা নদীর পাড়ে মাটি ভরাট করে স্বাধীনতা চত্বর তৈরি করে। তখন থেকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে স্বাধীনতা চত্বরে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের স্মরণ করতেন। সাধারণ মানুষও সেখানে শ্রদ্ধা জানাতেন।
২০১৮ সালে উপজেলা প্রশাসন স্বাধীনতা চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। সেখানে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক ছিল। ওই স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে দেওয়া এবং সেখানে দোকান নির্মাণ করায় তাঁরা হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বলেন, স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। হামলা চালিয়ে সেটি ভেঙে ফেলায় তাঁরা হতবাক। স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুধু দোকান ভেঙে সরিয়ে নেওয়ায় তাঁরা আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) খুশি নন। তাঁদের দাবি, যাঁরা এসব করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ আগের মতো করে পুনরায় নির্মাণ করতে হবে।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় সম্প্রতি চারজন বিএনপির নেতা-কর্মী দোকানঘর তোলেন। দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে আজ সোমবার দোকানঘরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট চিত্রা নদীর পাড়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে তৈরি করা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিশৃঙ্খলাকারীরা। এর পরদিনই এ জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করা হয়।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদর উদ্দীন, তাঁর ফুফাতো ভাই বাঘারপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দাউদ হোসেন, বাঘারপাড়া পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম ও বিএনপির কর্মী মহাসিন আলী ওই জায়গা দখলে নিয়ে এসব দোকানঘর নির্মাণ করেন।
বিএনপি নেতা সদর উদ্দীন বলেন, ‘গতকাল রোববার আমি ইউএনও ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাকে দোকানঘর ভেঙে সরিয়ে নিতে বলেন। এ জন্য আজ সোমবার সকালে আমি দোকানঘর সরিয়ে নিয়েছি। ইটের ভিতও (ইটের দোকানও) ভেঙে সরিয়ে নেব।’
আজ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে দোকান ভাঙার কাজ। চার-পাঁচজন শ্রমিক টিনের ছাউনি ও বেড়ার দোকানঘর ভাঙেন। প্রথমে তাঁরা দোকানের টিনের ছাউনি খোলেন। এরপর তাঁরা তার দিয়ে দেওয়া বাঁধন কেটে টিনের বেড়া এবং বেড়ায় ব্যবহৃত বাঁশ সরান।
পরে তাঁরা কংক্রিটের খুঁটিগুলো তোলেন। এসব টিন, বাঁশ ও কংক্রিটের খুঁটি পাশের চাড়াভিটা-নারিকেলবাড়িয়া সড়কে রাখা ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ইট দিয়ে তৈরি করা দোকানের ভিত্তি তখনো সরানো হয়নি। সেখানে তিনটি কংক্রিটের খুঁটিও রয়েছে।
সদর উদ্দীন আরও বলেন, ‘ওই জায়গার পাঁচ শতক জমি আমি সরকারের কাছ থেকে স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়েছিলাম। সেখানে একতলা একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্যবসা করেছি। কিন্তু ২০০৬ সালে সরকার ওই জমি নিয়ে নেয়। আমার করা ভবনটি ভেঙে ফেলে। এরপর সরকার সেই জায়গায় প্রথমে স্বাধীনতা চত্বর এবং পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। আমি ১৮ বছর ধরে বেকার হয়ে আছি। ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে দেয়। কেউ যাতে দখল না করতে পারে, এ জন্য আমি সড়ক ঘেঁষে একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করেছি। এতে আমার ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।’
বিএনপি নেতা দাউদ হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় আমি ঘর তুলিনি। স্বাধীনতা চত্বরের বাইরে নদীর সঙ্গে কিছুটা ফাঁকা জায়গা ছিল। আমি সেখানে কয়েকটি কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে রেখেছিলাম। এই নিয়ে কথা ওঠায় আমি সেখান থেকে পিলারগুলো সরিয়ে নিয়েছি।’
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে যশোরের বাঘারপাড়ায় উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন লোকজন। একপর্যায়ে মিছিল বের হয়। মিছিলে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল লোকজন স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে হামলা চালিয়ে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন।
এর পরদিন বিএনপির চার কর্মী ওই জায়গা দখলে নেন। তাঁরা বৈদ্যুতিক কাটার দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের রড কেটে ফেলেন। এরপর দোকানঘর তোলা শুরু করেন।
উপজেলার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, ২০০৯ সালে উপজেলা প্রশাসন চিত্রা নদীর পাড়ে মাটি ভরাট করে স্বাধীনতা চত্বর তৈরি করে। তখন থেকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে স্বাধীনতা চত্বরে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের স্মরণ করতেন। সাধারণ মানুষও সেখানে শ্রদ্ধা জানাতেন।
২০১৮ সালে উপজেলা প্রশাসন স্বাধীনতা চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। সেখানে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক ছিল। ওই স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে দেওয়া এবং সেখানে দোকান নির্মাণ করায় তাঁরা হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বলেন, স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। হামলা চালিয়ে সেটি ভেঙে ফেলায় তাঁরা হতবাক। স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুধু দোকান ভেঙে সরিয়ে নেওয়ায় তাঁরা আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) খুশি নন। তাঁদের দাবি, যাঁরা এসব করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং স্বাধীনতা চত্বর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ আগের মতো করে পুনরায় নির্মাণ করতে হবে।

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় সম্প্রতি চারজন বিএনপির নেতা-কর্মী দোকানঘর তোলেন। দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে আজ সোমবার দোকানঘরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৪
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় সম্প্রতি চারজন বিএনপির নেতা-কর্মী দোকানঘর তোলেন। দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে আজ সোমবার দোকানঘরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৪
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় সম্প্রতি চারজন বিএনপির নেতা-কর্মী দোকানঘর তোলেন। দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে আজ সোমবার দোকানঘরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৪
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া স্বাধীনতা চত্বরের জায়গায় সম্প্রতি চারজন বিএনপির নেতা-কর্মী দোকানঘর তোলেন। দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে আজ সোমবার দোকানঘরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৪
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে