Ajker Patrika

যশোর-বেনাপোল সড়কে ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে আহত ২, দুই ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি 
যশোর-বেনাপোল রেল সড়কের নাভারনে রোববার বিকেলে খুলনা-বেনাপোলগামী বেত্রাবতী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ওই রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর-বেনাপোল রেল সড়কের নাভারনে রোববার বিকেলে খুলনা-বেনাপোলগামী বেত্রাবতী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ওই রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোর-বেনাপোল রেল সড়কের নাভারনে খুলনা-বেনাপোলগামী বেত্রাবতী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই ঘণ্টা খুলনা-যশোর-বেনাপোল রুটে সব ধরনের রেল চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাভারন সাতক্ষীরা মহাসড়কের অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান বা সতর্কতা সংকেত ছিল না। ট্রাকটি রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনটি এসে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে হেলপার কওসার আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় যশোর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

যশোর-বেনাপোল রেল সড়কের নাভারনে রোববার বিকেলে খুলনা-বেনাপোলগামী বেত্রাবতী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ওই রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর-বেনাপোল রেল সড়কের নাভারনে রোববার বিকেলে খুলনা-বেনাপোলগামী বেত্রাবতী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ওই রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বেনাপোল স্টেশনমাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেলকর্মীরা উপস্থিত হন। এতে উদ্ধারকাজে দুই ঘণ্টা সময় লাগায় এ রুটে সব ধরনের রেল চলাচল বন্ধ ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত অটোচালককে কুপিয়ে হত্যা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় মোশারেফ খান (৪৫) নামের এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার সেয়াকাঠি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত মোশারেফ খান সেয়াকাঠি গ্রামের হানিফ খানের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাতে নিজ ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোশারেফ। পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় মোশারেফকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ এখনো সেখানে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৫৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুজন মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় ও বেলা ১টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মারা যাওয়া দুজন হলো রিনা বেগম (৩৮) ও তাঁর ছেলে ফরহাদ (১৫)। এই ঘটনায় রিনা বেগমের আরেক ছেলে তাওহীদ (৭) চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে রিনা বেগমের ছেলে জিহাদ (২৪), বোন সালমা বেগম (৩৪) ও তাঁর ছেলে আরাফাত (১৫)।

অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া (৪৪) পেশায় একজন পিকআপচালক ও ঘোড়াদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৯টায় রিনা বেগম এবং বেলা ১টায় ছেলে ফরহাদের মৃত্যু হয়। রিনার শরীরের ৫৮ শতাংশ এবং ফরহাদের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের পর নরসিংদীতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এর আগে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায় স্ত্রী রিনা বেগম, সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান স্বামী ফরিদ মিয়া। শুক্রবার রাতে ফরিদ মিয়াকে একমাত্র আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন রিনার মা হোসনা বেগম। পরদিন শনিবার রাত ৮টার দিকে বেলাব থানার বারৈচা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলায় বসবাসকারী স্বামী ফরিদ মিয়া একজন মাদকাসক্ত ও চিহ্নিত অপরাধী। দীর্ঘদিনের সংসারজীবনে ভরণপোষণসহ দায়িত্ব পালন না করায় স্বামীর সংসার ছেড়ে সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়ায় বাবার বাড়িতে সন্তানসহ আশ্রয় নেন রিনা বেগম। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহযোগী হিসেবে কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষিজমির মাটি তোলা বন্ধে অভিযান, ৫ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
কৃষিজমির মাটি তোলা বন্ধে অভিযান, ৫ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই পূর্বপাড়া ও শিদলাই বড় মাঠ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কৃষিজমি রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ সময় পাঁচটি খননযন্ত্র (ড্রেজার মেশিন), পাইপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ড্রেজারের মালিকদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান বলেন, ‘শিদলাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ড্রেজার ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ ধ্বংস করা হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দায়ী ব্যক্তিদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষায় অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আশুগঞ্জ সার কারখানায় উৎপাদন চালুর দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করে আবার উৎপাদন শুরুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে কারখানার সামনে সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন এই কর্মসূচি পালন করে।

গত ১ মার্চ আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এর ফলে প্রতিদিন ১ হাজার ১০০ টনের বেশি ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. বজলুর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সার কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদী মো. তানভীর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় আশুগঞ্জ সার কারখানার ইউরিয়ার চাহিদা বেশি। কারখানাটি চালু রাখতে পারলে সরকারের লাভ। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল বিদেশ থেকে সার আমদানির মাধ্যমে কমিশন-বাণিজ্য করতে বছরের বেশির ভাগ সময় আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে। এতে কারখানাটি দিন দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে সার উৎপাদন চালু না করলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। সমাবেশ শেষে সার কারখানা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত