Ajker Patrika

রাস্তার সংস্কারকাজ নিয়ে আ.লীগ–যুবলীগে সংঘর্ষ, আহত ৪

প্রতিনিধি যশোর
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১৫: ০৮
রাস্তার সংস্কারকাজ নিয়ে আ.লীগ–যুবলীগে সংঘর্ষ, আহত ৪

রাস্তার সংস্কারকাজকে কেন্দ্র করে যশোরের মণিরামপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের শয়লা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যুবলীগের লোকেরা চাঁদা দাবি করলে এ সংঘর্ষ ঘটে। আর যুবলীগের অভিযোগ, রাস্তায় বালির পরিবর্তে মাটি ফেলায় স্থানীয়রা বাধা দিয়েছে। এসময় তাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে।

আহতরা হলেন স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন (৪২), আব্দুল হালিম (৪১), পথচারী লিয়াকত হোসেন ও এলাহি বক্স। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বিল্লাল হোসেন ও আব্দুল হালিমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে রাজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

চালুয়াহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আবুল বাশার জানান, শয়লাঘাট থেকে রসুলপুর বাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রাস্তায় তারা বালি দেওয়ার কাজ নেন। রাস্তায় বালি দেওয়ার সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) চন্টা, আব্দুল্লাহ, বাপ্পী ও মিন্টু নামে তার চারজন লোককে মারপিট করে জিয়াউর ও তার লোকজন। এসময় তারা এস্কেভেটর মেশিন ও চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুরে যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন, আব্দুস সামাদ, পারভেজ, মোস্তাক মিলে আবুল বাশারের ছেলে রেজাউর রহমানকে মারপিট করে। বিষয়টি নিয়ে তিনি সেদিন বিকালে থানায় মামলা করেন। মামলার বিষয়টি টের টেয়ে সন্ধ্যায় আবার জিয়াউরের লোকজন তার ভাই আব্দুল হালিমকে মারপিট করে। এরপর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

চালুয়াহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান অভিযোগ করেন, আবুল বাশার ও চন্টা মিলে নির্মাণাধীন সড়কে বালির পরিবর্তে মাটি দিলে স্থানীয় জনগণ বাধা দেয়। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে মারপিট করে। ঘটনার দিন তিনিসহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা শয়লা বাজারে গেলে তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করা হয়। এতে যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন গুরুতর আহত
হন।

মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত