জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াই নার্সের হাতে সন্তান প্রসবের চেষ্টার সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালটি ভাঙচুর করে। আজ শনিবার সকালে জামালপুর পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় নগর মাতৃসদন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নবজাতকের মৃত্যুর পর প্রসূতি নরিন জান্নাতকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। পরে হাসপাতালটির নার্স শিরিন আক্তার এবং আয়া বন্যা আক্তারকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরিন জান্নাত (২১) নামে এক নারী মাতৃসদন হাসপাতালে ভর্তি হন। নরিন পৌর শহরের বেলটিয়া এলাকার মোকাদ্দেস হোসেনের মেয়ে ও মো. সোহেল মিয়ার স্ত্রী। রোগীর স্বজনেরা জানান, গতকাল নরিনের প্রসব ব্যথা ওঠে। পরে তাঁকে নগর মাতৃসদন হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাঁকে ভর্তি করেন। হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন না থাকায় গর্ভে বাচ্চার অবস্থান দেখার কোনো সুযোগ হয়নি। গভীর রাতে প্রসূতির প্রচণ্ড ব্যথা ওঠে। সে সময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। ভোরের দিকে নার্স কোনো এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে রোগীর পরীক্ষার রিপোর্টগুলো মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেন। পরে নার্স নিজেই নরিনের সন্তান প্রসবের চেষ্টা করেন। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর মৃত সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। স্বজনদের অভিযোগ, নার্সের ভুলের কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। নার্স টানাহেঁচড়া করে সন্তান ভূমিষ্ঠ করার চেষ্টা করেন। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
নরিনের স্বামী সোহেল আনসারী বলেন, ‘বারবার ডাক্তারকে খবর দেওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু কোনো ডাক্তার আসেনি। দুজন নার্স ও একজন বয় মিলে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করেছে। তারা কোনো এক ডাক্তারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে প্রসব কাজটি করেছে। ভর্তির সময় আমরা তাদের সিজারের কথা বলেছিলাম। তারা আমাদের ছয়টি পরীক্ষার করতে বলে। আমরা পরীক্ষাগুলো করিয়েছি। তখনো তারা বলেছে, বাচ্চার স্বাভাবিক প্রসব হবে। ভোরের দিকে আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে তারা তিনজন মিলে টানাহেঁচড়া করে মৃত সন্তান ভূমিষ্ঠ করিয়েছে। প্রসব করানোর জন্য তাঁরা প্রসূতির বিভিন্ন কাটাছেঁড়া করেছে। সেটাও তারা সঠিকভাবে সেলাই দিতে পারেনি। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে ওই দুই নার্স ও বয় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তিন ঘণ্টা পরে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মফিজ উদ্দিন শেখের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তবে হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের টেকনোলজিস্ট রহিমা বেগম জানান, সেই সময় কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। নার্স প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। এ সময় মৃত নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। এ ঘটনায় উত্তেজিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতিতে ওই রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগীদের বের করে দেয়। এ সময় রোগীর ৫০-৬০ জন স্বজন হাসপাতালের আসবাব ভাঙচুর করেন। আর পুলিশ নার্স শিরিনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
জামালপুরের সিভিল সার্জন মো. আজিজুল হক বলেন, ‘নগর মাতৃসদন হাসপাতালটি জামালপুর পৌরসভার আওতাধীন। এটা পৌরসভার প্রকল্পে পরিচালিত হচ্ছে। আমি বর্তমানে পৌরসভার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। নবজাতকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ দুজনকে হেফাজতে নিয়েছেন। আর প্রসূতিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জামালপুরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াই নার্সের হাতে সন্তান প্রসবের চেষ্টার সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালটি ভাঙচুর করে। আজ শনিবার সকালে জামালপুর পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় নগর মাতৃসদন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নবজাতকের মৃত্যুর পর প্রসূতি নরিন জান্নাতকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। পরে হাসপাতালটির নার্স শিরিন আক্তার এবং আয়া বন্যা আক্তারকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরিন জান্নাত (২১) নামে এক নারী মাতৃসদন হাসপাতালে ভর্তি হন। নরিন পৌর শহরের বেলটিয়া এলাকার মোকাদ্দেস হোসেনের মেয়ে ও মো. সোহেল মিয়ার স্ত্রী। রোগীর স্বজনেরা জানান, গতকাল নরিনের প্রসব ব্যথা ওঠে। পরে তাঁকে নগর মাতৃসদন হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাঁকে ভর্তি করেন। হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন না থাকায় গর্ভে বাচ্চার অবস্থান দেখার কোনো সুযোগ হয়নি। গভীর রাতে প্রসূতির প্রচণ্ড ব্যথা ওঠে। সে সময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। ভোরের দিকে নার্স কোনো এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে রোগীর পরীক্ষার রিপোর্টগুলো মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেন। পরে নার্স নিজেই নরিনের সন্তান প্রসবের চেষ্টা করেন। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর মৃত সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। স্বজনদের অভিযোগ, নার্সের ভুলের কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। নার্স টানাহেঁচড়া করে সন্তান ভূমিষ্ঠ করার চেষ্টা করেন। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
নরিনের স্বামী সোহেল আনসারী বলেন, ‘বারবার ডাক্তারকে খবর দেওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু কোনো ডাক্তার আসেনি। দুজন নার্স ও একজন বয় মিলে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করেছে। তারা কোনো এক ডাক্তারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে প্রসব কাজটি করেছে। ভর্তির সময় আমরা তাদের সিজারের কথা বলেছিলাম। তারা আমাদের ছয়টি পরীক্ষার করতে বলে। আমরা পরীক্ষাগুলো করিয়েছি। তখনো তারা বলেছে, বাচ্চার স্বাভাবিক প্রসব হবে। ভোরের দিকে আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে তারা তিনজন মিলে টানাহেঁচড়া করে মৃত সন্তান ভূমিষ্ঠ করিয়েছে। প্রসব করানোর জন্য তাঁরা প্রসূতির বিভিন্ন কাটাছেঁড়া করেছে। সেটাও তারা সঠিকভাবে সেলাই দিতে পারেনি। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে ওই দুই নার্স ও বয় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তিন ঘণ্টা পরে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মফিজ উদ্দিন শেখের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তবে হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের টেকনোলজিস্ট রহিমা বেগম জানান, সেই সময় কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। নার্স প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। এ সময় মৃত নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। এ ঘটনায় উত্তেজিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতিতে ওই রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগীদের বের করে দেয়। এ সময় রোগীর ৫০-৬০ জন স্বজন হাসপাতালের আসবাব ভাঙচুর করেন। আর পুলিশ নার্স শিরিনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
জামালপুরের সিভিল সার্জন মো. আজিজুল হক বলেন, ‘নগর মাতৃসদন হাসপাতালটি জামালপুর পৌরসভার আওতাধীন। এটা পৌরসভার প্রকল্পে পরিচালিত হচ্ছে। আমি বর্তমানে পৌরসভার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। নবজাতকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ দুজনকে হেফাজতে নিয়েছেন। আর প্রসূতিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে মনোয়ারা বেগম সুপ্তি নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কেডিএ ময়ূরী আবাসিক এলাকার ওই ভবনের বাথরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৭ মিনিট আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে লোকপ্রশাসন বিভাগের এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিভাগটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
১০ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইলে সুখাইজুড়ি নদীর ওপর নির্মিত সাড়ে ৭ কোটি টাকার সেতুর সংযোগ সড়ক দেবে যাওয়া ও কাঁচা রাস্তা থাকায় কোনো কাজে আসছে না সেতুটি। ফলে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু ও সংযোগ সড়কের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় কিছুদিন পরপর দেবে যাচ্ছে।
২৫ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রী ও এক যুবককে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের রাতভর ঘরে আটকে নির্যাতনের পর সকালে আবারও বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক...
২৮ মিনিট আগে