জামালপুর প্রতিনিধি
আমাগো কাম দ্যান, হাত পাতমু না, মাইনসেরে বিরক্ত করমু না, নিজেরাও অপমানিত অমু না, অন্যরে জ্বালামু না নিজেরাও জ্বলমু না। সমিতির ট্যাহা নিয়া বেবসা শুরু কইরা লাভ বাইর করতাছি, সরকার আমাগোরে বালা কাম দেক।
ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি এই হলো দাবি। জামালপুরে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসের (বিএসআরএম) আর্থিক সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘের প্রকল্পের আওতায় তাঁরা সমাজের মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
জামালপুর পৌরসভার কম্পোপুর, হাটচন্দ্রা, চন্দ্রা ও কাজির আখ এলাকায়—বৈশাখী, সাজু, কাজল, আনজু ও হাই ঋণ নিয়ে শুরু করেছেন বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা। তিন মাসের মধ্যে তাঁরা ব্যবসা থেকে লাভের মুখও দেখতে শুরু করেছেন।
হাটচন্দ্রা মিয়াবাড়ি বাজারে সাজু শিশুদের পোশাক ও কাপড় ইস্ত্রির ব্যবসা করে ভালোই আয় করছেন। সাজু বলেন, ‘গেল ঈদে একরাইতে ১৫ হাজার ট্যাহার মাল বিক্রি করছি। উন্নয়ন সংঘ থাইক্যা ২৫ হাজার ট্যাহা নিয়্যা দুই মাসে ১৩ হাজার ট্যাহা লাভ করছি।’ কম্পোপুরে বৈশাখী জানান, ১৮ জোড়া কবুতর ও ১০ জোড়া মুরগি কিনে লালন পালন করে বাচ্চা ও ডিম বিক্রি শুরু করেছেন। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে পাখি পালনের পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন তিনি।
চন্দ্রার কাজল ঋণের টাকা নিয়ে নকশিকাঁথা ব্যবসায় নেমেছেন। হিসাবের খাতা দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দুই মাসেই ১২ হাজার টাকা লাভ করেছি।’ আনজু বলেন, ‘আমি টাকা নিয়্যা শেরপুর থনে কাপড় কিনে আইনে বাড়ি বাড়ি ঘুইরা ঘুইরা বেচি। দুইমাসে খরচ বাদে ১২ হাজার ট্যাহা লাভ করছি।’ আনজু এ ব্যবসার পাশাপাশি নাচ, গান করে এবং রাধুনীর কাজ করে বাড়তি আয় করছেন।
কাজির আখ এলাকার হাই কখনোই কারো কাছে হাত পাতেন না। নকশিকাঁথার ব্যবসা করে ভালোই করছেন। তিনি বলেন, ‘বালা কাম পাইলে আমরা কেহই ভিক্ষা করব না। সরকার অন্যগরে যে সুবিদে দ্যায় আমাগো দিলে আর লজ্জাজনক কাম কেহই করবো না। ট্রেনে, বাসে রাস্তাঘাটে মানুষের কাছে হাত পাতলে অপমান করে লাগি দেয়। কেন মানুষের কাছে হাত পাতমু, খেটে খাব।’
উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘সমাজে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী হিজড়াদের আত্মকর্মসংস্থান, নিরাপত্তা এবং মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের বৃহত্তম স্টিল কোম্পানি বিএসআরএমের আর্থিক সহায়তায় উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে ২৫০ জন হিজড়া সদস্যকে নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই মধ্যে আশাব্যঞ্জক সাড়াও পাওয়া গেছে। উন্নয়ন সংঘ থেকে বিভিন্ন ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণ পেয়ে বিনা সুদে প্রথম পর্যায়ে ৫৩ জন ঋণ নিয়েছেন। বিভিন্ন আয়মুখী কাজে টাকা খাটিয়ে তাঁরা সুফল পাচ্ছেন এবং নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করছেন।’
উন্নয়ন সংঘের প্রকল্প ব্যবস্থাপক লিটন সরকার বলেন, ‘হিজড়াদের আচরণ পরিবর্তন, বৈষম্য দূর করে সরকারি, বেসরকারি সেবা গ্রহণে সহজলভ্যতা বা সেবা প্রতিষ্ঠানে সহজ প্রবেশাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের বিভিন্ন আয়মুখী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ক্ষমতায়ন সৃষ্টি ও মর্যাদা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।’
উল্লেখ্য, কথা বলে জানা যায়, এই জনগোষ্ঠীর সদস্যরা তাঁদের ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ সম্বোধনের চেয়ে ‘হিজড়া’ বলে ডাকলে খুশি হন। তবে ২০১৩ সালে সরকার তাঁদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আমাগো কাম দ্যান, হাত পাতমু না, মাইনসেরে বিরক্ত করমু না, নিজেরাও অপমানিত অমু না, অন্যরে জ্বালামু না নিজেরাও জ্বলমু না। সমিতির ট্যাহা নিয়া বেবসা শুরু কইরা লাভ বাইর করতাছি, সরকার আমাগোরে বালা কাম দেক।
ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি এই হলো দাবি। জামালপুরে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসের (বিএসআরএম) আর্থিক সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘের প্রকল্পের আওতায় তাঁরা সমাজের মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
জামালপুর পৌরসভার কম্পোপুর, হাটচন্দ্রা, চন্দ্রা ও কাজির আখ এলাকায়—বৈশাখী, সাজু, কাজল, আনজু ও হাই ঋণ নিয়ে শুরু করেছেন বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা। তিন মাসের মধ্যে তাঁরা ব্যবসা থেকে লাভের মুখও দেখতে শুরু করেছেন।
হাটচন্দ্রা মিয়াবাড়ি বাজারে সাজু শিশুদের পোশাক ও কাপড় ইস্ত্রির ব্যবসা করে ভালোই আয় করছেন। সাজু বলেন, ‘গেল ঈদে একরাইতে ১৫ হাজার ট্যাহার মাল বিক্রি করছি। উন্নয়ন সংঘ থাইক্যা ২৫ হাজার ট্যাহা নিয়্যা দুই মাসে ১৩ হাজার ট্যাহা লাভ করছি।’ কম্পোপুরে বৈশাখী জানান, ১৮ জোড়া কবুতর ও ১০ জোড়া মুরগি কিনে লালন পালন করে বাচ্চা ও ডিম বিক্রি শুরু করেছেন। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে পাখি পালনের পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন তিনি।
চন্দ্রার কাজল ঋণের টাকা নিয়ে নকশিকাঁথা ব্যবসায় নেমেছেন। হিসাবের খাতা দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দুই মাসেই ১২ হাজার টাকা লাভ করেছি।’ আনজু বলেন, ‘আমি টাকা নিয়্যা শেরপুর থনে কাপড় কিনে আইনে বাড়ি বাড়ি ঘুইরা ঘুইরা বেচি। দুইমাসে খরচ বাদে ১২ হাজার ট্যাহা লাভ করছি।’ আনজু এ ব্যবসার পাশাপাশি নাচ, গান করে এবং রাধুনীর কাজ করে বাড়তি আয় করছেন।
কাজির আখ এলাকার হাই কখনোই কারো কাছে হাত পাতেন না। নকশিকাঁথার ব্যবসা করে ভালোই করছেন। তিনি বলেন, ‘বালা কাম পাইলে আমরা কেহই ভিক্ষা করব না। সরকার অন্যগরে যে সুবিদে দ্যায় আমাগো দিলে আর লজ্জাজনক কাম কেহই করবো না। ট্রেনে, বাসে রাস্তাঘাটে মানুষের কাছে হাত পাতলে অপমান করে লাগি দেয়। কেন মানুষের কাছে হাত পাতমু, খেটে খাব।’
উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘সমাজে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী হিজড়াদের আত্মকর্মসংস্থান, নিরাপত্তা এবং মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের বৃহত্তম স্টিল কোম্পানি বিএসআরএমের আর্থিক সহায়তায় উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে ২৫০ জন হিজড়া সদস্যকে নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই মধ্যে আশাব্যঞ্জক সাড়াও পাওয়া গেছে। উন্নয়ন সংঘ থেকে বিভিন্ন ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণ পেয়ে বিনা সুদে প্রথম পর্যায়ে ৫৩ জন ঋণ নিয়েছেন। বিভিন্ন আয়মুখী কাজে টাকা খাটিয়ে তাঁরা সুফল পাচ্ছেন এবং নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করছেন।’
উন্নয়ন সংঘের প্রকল্প ব্যবস্থাপক লিটন সরকার বলেন, ‘হিজড়াদের আচরণ পরিবর্তন, বৈষম্য দূর করে সরকারি, বেসরকারি সেবা গ্রহণে সহজলভ্যতা বা সেবা প্রতিষ্ঠানে সহজ প্রবেশাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের বিভিন্ন আয়মুখী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ক্ষমতায়ন সৃষ্টি ও মর্যাদা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।’
উল্লেখ্য, কথা বলে জানা যায়, এই জনগোষ্ঠীর সদস্যরা তাঁদের ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ সম্বোধনের চেয়ে ‘হিজড়া’ বলে ডাকলে খুশি হন। তবে ২০১৩ সালে সরকার তাঁদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
রাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচয় এ মামলা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসামিদের অনেকেই ‘পয়সাওয়ালা ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় অভিযোগ...
৪ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই প্রতিষ্ঠান ঘিরে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একাডেমিতে মৈতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া এবং পাঙন—এই তিন সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও শুধু বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি...
৪ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। মুখোশধারী হামলাকারীরা তাঁর দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয় বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারও (৪৬) আহত হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে