গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের পাঁচটি কারখানার ৩ হাজার ৬২০ জন শ্রমিক ও ১২০ জন স্টাফ বকেয়া এক মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ের তিন আগেই পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়।
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
আগামীকাল শনিবার থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়াতুল হক। তিনি আশা করছেন, এদিন শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন এবং কারখানার উৎপাদনে অংশ নিয়ে মালিকপক্ষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহযোগিতা করবেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় ৫টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডে শ্রমিকের সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ জন, বেসিক ক্লথিং লিমিটেডে ৪২০ জন, অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডে ৪০০ জন শ্রমিক রয়েছেন। এ ছাড়া এক্সপো কার্টুনে ৪০ জন এবং এমএনএস ইয়ার্ন ডায়িংয়ে ৮০ জন স্টাফ রয়েছেন। এসবের মধ্যে প্রথম তিনটিতে শ্রমিকদের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। আর শেষের দুটিতে স্টাফদের বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া ছিল।
গত ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর মোঘরখাল এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পণ্য পরিবহন। এ আন্দোলন চলে টানা তিন দিন। পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ঘোষণা দেন, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দায়িত্ব সরকারের। সরকার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবে। পরে মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষের বৈঠক হয়। গত সোমবার রাতে শ্রম ভবনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের ৩১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএর নেতারা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সর্বসম্মতিক্রমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতায় বলা হয়, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের এবং ৩০ নভেম্বর অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। গ্রুপের কারখানাগুলো কর্তৃপক্ষ দ্রুত খুলে দেবে। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের আগে কেউ যদি আবার সড়ক অবরোধ করেন, তাহলে টাকা পরিশোধ করা হবে না। পরে শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে সোমবার রাত ১০টার পর থেকে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক বলেন, আমরা সরকারের সহায়তায় প্রথম দফায় নির্ধারিত সময়ের আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ কোটি পরিশোধ করেছি। এ টাকা শ্রমিকেরা কোনো কাজ না করেই পেয়েছে। আগামী কিস্তিতে যে টাকা দিব সেটিও তারা কোনো কাজ না করেই পাবে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছি। ব্যাংকে সুদ বাবদ সোয়াশ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করেছি। আমরা কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান নই। রপ্তানির টাকা সমন্বয় হতে দেরি হওয়ায় আমাদের ওভারডিউ হয়েছে। এ কারণে ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকার একটি লোন অনুমোদন করানো হয়, যাতে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক আমাদের সে টাকাটা দেয়নি। এ কারণে আমরা ঝামেলায় পড়ে গেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এক্সপোর্ট বিল আপ ফান্ড আছে। সেখান থেকে ১১–১২ কোটি টাকা তুলে শ্রমিকদের বেতন দিতে চেয়েছিলাম। সে টাকাও আমরা পাইনি। তাছাড়া আমাদের আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করলে আমাদের এ পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। এসব কারণে আমরা কয়েকবার তারিখ দিয়েও তা রক্ষা করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে শ্রম সচিব বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন’। শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সহযোগিতা করায় উপদেষ্টাসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, বিজিএমইএর অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের কাছ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি প্রায় শত কোটি টাকার বাড়ি ও অন্য স্থাবর সম্পত্তির দলিল নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কেউ আমাকে দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু সচিব শফিকুজ্জামান দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।’
শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ বিষয়ে বলেন, ‘শ্রমিকেরা তাদের দাবিকৃত টাকা পেয়েছে। পরের টাকাও তারা সময় মতো পাবে। আমাদের এ সময়ে সরকারের যারা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী দিনেও তাঁদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আশা করি, শ্রমিকেরা ও সবকিছু বিবেচনা করে কারখানার উন্নয়নে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবে।’

গাজীপুর মহানগরীর টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের পাঁচটি কারখানার ৩ হাজার ৬২০ জন শ্রমিক ও ১২০ জন স্টাফ বকেয়া এক মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ের তিন আগেই পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়।
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
আগামীকাল শনিবার থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়াতুল হক। তিনি আশা করছেন, এদিন শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন এবং কারখানার উৎপাদনে অংশ নিয়ে মালিকপক্ষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহযোগিতা করবেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় ৫টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডে শ্রমিকের সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ জন, বেসিক ক্লথিং লিমিটেডে ৪২০ জন, অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডে ৪০০ জন শ্রমিক রয়েছেন। এ ছাড়া এক্সপো কার্টুনে ৪০ জন এবং এমএনএস ইয়ার্ন ডায়িংয়ে ৮০ জন স্টাফ রয়েছেন। এসবের মধ্যে প্রথম তিনটিতে শ্রমিকদের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। আর শেষের দুটিতে স্টাফদের বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া ছিল।
গত ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর মোঘরখাল এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পণ্য পরিবহন। এ আন্দোলন চলে টানা তিন দিন। পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ঘোষণা দেন, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দায়িত্ব সরকারের। সরকার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবে। পরে মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষের বৈঠক হয়। গত সোমবার রাতে শ্রম ভবনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের ৩১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএর নেতারা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সর্বসম্মতিক্রমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতায় বলা হয়, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের এবং ৩০ নভেম্বর অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। গ্রুপের কারখানাগুলো কর্তৃপক্ষ দ্রুত খুলে দেবে। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের আগে কেউ যদি আবার সড়ক অবরোধ করেন, তাহলে টাকা পরিশোধ করা হবে না। পরে শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে সোমবার রাত ১০টার পর থেকে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক বলেন, আমরা সরকারের সহায়তায় প্রথম দফায় নির্ধারিত সময়ের আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ কোটি পরিশোধ করেছি। এ টাকা শ্রমিকেরা কোনো কাজ না করেই পেয়েছে। আগামী কিস্তিতে যে টাকা দিব সেটিও তারা কোনো কাজ না করেই পাবে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছি। ব্যাংকে সুদ বাবদ সোয়াশ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করেছি। আমরা কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান নই। রপ্তানির টাকা সমন্বয় হতে দেরি হওয়ায় আমাদের ওভারডিউ হয়েছে। এ কারণে ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকার একটি লোন অনুমোদন করানো হয়, যাতে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক আমাদের সে টাকাটা দেয়নি। এ কারণে আমরা ঝামেলায় পড়ে গেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এক্সপোর্ট বিল আপ ফান্ড আছে। সেখান থেকে ১১–১২ কোটি টাকা তুলে শ্রমিকদের বেতন দিতে চেয়েছিলাম। সে টাকাও আমরা পাইনি। তাছাড়া আমাদের আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করলে আমাদের এ পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। এসব কারণে আমরা কয়েকবার তারিখ দিয়েও তা রক্ষা করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে শ্রম সচিব বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন’। শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সহযোগিতা করায় উপদেষ্টাসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, বিজিএমইএর অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের কাছ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি প্রায় শত কোটি টাকার বাড়ি ও অন্য স্থাবর সম্পত্তির দলিল নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কেউ আমাকে দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু সচিব শফিকুজ্জামান দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।’
শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ বিষয়ে বলেন, ‘শ্রমিকেরা তাদের দাবিকৃত টাকা পেয়েছে। পরের টাকাও তারা সময় মতো পাবে। আমাদের এ সময়ে সরকারের যারা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী দিনেও তাঁদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আশা করি, শ্রমিকেরা ও সবকিছু বিবেচনা করে কারখানার উন্নয়নে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবে।’
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের পাঁচটি কারখানার ৩ হাজার ৬২০ জন শ্রমিক ও ১২০ জন স্টাফ বকেয়া এক মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ের তিন আগেই পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়।
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
আগামীকাল শনিবার থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়াতুল হক। তিনি আশা করছেন, এদিন শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন এবং কারখানার উৎপাদনে অংশ নিয়ে মালিকপক্ষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহযোগিতা করবেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় ৫টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডে শ্রমিকের সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ জন, বেসিক ক্লথিং লিমিটেডে ৪২০ জন, অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডে ৪০০ জন শ্রমিক রয়েছেন। এ ছাড়া এক্সপো কার্টুনে ৪০ জন এবং এমএনএস ইয়ার্ন ডায়িংয়ে ৮০ জন স্টাফ রয়েছেন। এসবের মধ্যে প্রথম তিনটিতে শ্রমিকদের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। আর শেষের দুটিতে স্টাফদের বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া ছিল।
গত ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর মোঘরখাল এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পণ্য পরিবহন। এ আন্দোলন চলে টানা তিন দিন। পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ঘোষণা দেন, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দায়িত্ব সরকারের। সরকার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবে। পরে মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষের বৈঠক হয়। গত সোমবার রাতে শ্রম ভবনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের ৩১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএর নেতারা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সর্বসম্মতিক্রমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতায় বলা হয়, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের এবং ৩০ নভেম্বর অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। গ্রুপের কারখানাগুলো কর্তৃপক্ষ দ্রুত খুলে দেবে। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের আগে কেউ যদি আবার সড়ক অবরোধ করেন, তাহলে টাকা পরিশোধ করা হবে না। পরে শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে সোমবার রাত ১০টার পর থেকে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক বলেন, আমরা সরকারের সহায়তায় প্রথম দফায় নির্ধারিত সময়ের আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ কোটি পরিশোধ করেছি। এ টাকা শ্রমিকেরা কোনো কাজ না করেই পেয়েছে। আগামী কিস্তিতে যে টাকা দিব সেটিও তারা কোনো কাজ না করেই পাবে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছি। ব্যাংকে সুদ বাবদ সোয়াশ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করেছি। আমরা কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান নই। রপ্তানির টাকা সমন্বয় হতে দেরি হওয়ায় আমাদের ওভারডিউ হয়েছে। এ কারণে ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকার একটি লোন অনুমোদন করানো হয়, যাতে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক আমাদের সে টাকাটা দেয়নি। এ কারণে আমরা ঝামেলায় পড়ে গেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এক্সপোর্ট বিল আপ ফান্ড আছে। সেখান থেকে ১১–১২ কোটি টাকা তুলে শ্রমিকদের বেতন দিতে চেয়েছিলাম। সে টাকাও আমরা পাইনি। তাছাড়া আমাদের আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করলে আমাদের এ পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। এসব কারণে আমরা কয়েকবার তারিখ দিয়েও তা রক্ষা করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে শ্রম সচিব বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন’। শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সহযোগিতা করায় উপদেষ্টাসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, বিজিএমইএর অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের কাছ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি প্রায় শত কোটি টাকার বাড়ি ও অন্য স্থাবর সম্পত্তির দলিল নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কেউ আমাকে দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু সচিব শফিকুজ্জামান দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।’
শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ বিষয়ে বলেন, ‘শ্রমিকেরা তাদের দাবিকৃত টাকা পেয়েছে। পরের টাকাও তারা সময় মতো পাবে। আমাদের এ সময়ে সরকারের যারা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী দিনেও তাঁদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আশা করি, শ্রমিকেরা ও সবকিছু বিবেচনা করে কারখানার উন্নয়নে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবে।’

গাজীপুর মহানগরীর টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের পাঁচটি কারখানার ৩ হাজার ৬২০ জন শ্রমিক ও ১২০ জন স্টাফ বকেয়া এক মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ের তিন আগেই পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়।
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
আগামীকাল শনিবার থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়াতুল হক। তিনি আশা করছেন, এদিন শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন এবং কারখানার উৎপাদনে অংশ নিয়ে মালিকপক্ষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহযোগিতা করবেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় ৫টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডে শ্রমিকের সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ জন, বেসিক ক্লথিং লিমিটেডে ৪২০ জন, অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডে ৪০০ জন শ্রমিক রয়েছেন। এ ছাড়া এক্সপো কার্টুনে ৪০ জন এবং এমএনএস ইয়ার্ন ডায়িংয়ে ৮০ জন স্টাফ রয়েছেন। এসবের মধ্যে প্রথম তিনটিতে শ্রমিকদের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। আর শেষের দুটিতে স্টাফদের বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া ছিল।
গত ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর মোঘরখাল এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পণ্য পরিবহন। এ আন্দোলন চলে টানা তিন দিন। পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ঘোষণা দেন, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দায়িত্ব সরকারের। সরকার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবে। পরে মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষের বৈঠক হয়। গত সোমবার রাতে শ্রম ভবনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের ৩১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএর নেতারা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সর্বসম্মতিক্রমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতায় বলা হয়, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের এবং ৩০ নভেম্বর অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। গ্রুপের কারখানাগুলো কর্তৃপক্ষ দ্রুত খুলে দেবে। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের আগে কেউ যদি আবার সড়ক অবরোধ করেন, তাহলে টাকা পরিশোধ করা হবে না। পরে শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে সোমবার রাত ১০টার পর থেকে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক বলেন, আমরা সরকারের সহায়তায় প্রথম দফায় নির্ধারিত সময়ের আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ কোটি পরিশোধ করেছি। এ টাকা শ্রমিকেরা কোনো কাজ না করেই পেয়েছে। আগামী কিস্তিতে যে টাকা দিব সেটিও তারা কোনো কাজ না করেই পাবে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছি। ব্যাংকে সুদ বাবদ সোয়াশ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করেছি। আমরা কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান নই। রপ্তানির টাকা সমন্বয় হতে দেরি হওয়ায় আমাদের ওভারডিউ হয়েছে। এ কারণে ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকার একটি লোন অনুমোদন করানো হয়, যাতে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক আমাদের সে টাকাটা দেয়নি। এ কারণে আমরা ঝামেলায় পড়ে গেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এক্সপোর্ট বিল আপ ফান্ড আছে। সেখান থেকে ১১–১২ কোটি টাকা তুলে শ্রমিকদের বেতন দিতে চেয়েছিলাম। সে টাকাও আমরা পাইনি। তাছাড়া আমাদের আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করলে আমাদের এ পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। এসব কারণে আমরা কয়েকবার তারিখ দিয়েও তা রক্ষা করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে শ্রম সচিব বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন’। শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সহযোগিতা করায় উপদেষ্টাসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, বিজিএমইএর অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের কাছ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি প্রায় শত কোটি টাকার বাড়ি ও অন্য স্থাবর সম্পত্তির দলিল নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কেউ আমাকে দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু সচিব শফিকুজ্জামান দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।’
শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ বিষয়ে বলেন, ‘শ্রমিকেরা তাদের দাবিকৃত টাকা পেয়েছে। পরের টাকাও তারা সময় মতো পাবে। আমাদের এ সময়ে সরকারের যারা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী দিনেও তাঁদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আশা করি, শ্রমিকেরা ও সবকিছু বিবেচনা করে কারখানার উন্নয়নে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবে।’

এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
৪ ঘণ্টা আগে
সিলেট-আখাউড়া রেলপথের মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়াসহ ৯টি স্টেশনে প্রায় হাজার কোটি টাকার জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ও কৃষি খামার। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকা এসব সম্পত্তি উদ্ধারে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের কন্যা ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল। তবে বোনের মনোনয়নে ক্ষুব্ধ পটলপুত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ডা. ইয়াসির আরশা
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘকাল এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে রামু উপজেলা হয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করেন। এ পথে তাঁদের দুই-তিনবার যানবাহন বদল করতে হয়। সময় লাগে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
এর আগে এসব নথির তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২১ এপ্রিল সংস্থাটির খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নথি গায়েব হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও ১৭ আগস্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে একই থানায় অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় ২০০-২৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রধান ফটক ভেঙে হামলা চালায়। এ সময় তারা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ছাড়া আসামিরা ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার ৩৬০ টাকার মালপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। তারা জেলা পরিষদ ভবনের প্রতিটি কক্ষে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এর মধ্যে চেকবই, চেক রেজিস্টার, ক্যাশবই, জমি ইজারা রেজিস্টার, অডিট রেজিস্টার, খেয়াঘাট রেজিস্টার, ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত নথি প্রভৃতি রয়েছে।
এদিকে গত ২১ এপ্রিল ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চলমান রয়েছে তার তালিকা ও বরাদ্দ করা নথির তথ্য চেয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুদক। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয় যে, নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে ২৮৪টি নথি পাওয়া গেলেও গুরুত্বপূর্ণ ৬টির হদিস মেলেনি। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারের নেতৃত্বে এসব নথির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। একপর্যায়ে এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে মাহাবুবুর রহমানের দাবি, ‘কিছু ফাইল কর্মচারীরা পেয়ে আমার আলমারিতে রেখেছিল। ওটা এমন কিছু না।’ এই নথিগুলো দুদক চেয়েছিল কি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার স্মরণে নেই।’
তাছলিমা আক্তার বলেন, ‘যে ফাইলগুলো পাওয়া গেছে, এগুলো ২১ এপ্রিল দুদক আমাদের কাছে চেয়েছিল। ৫ আগস্টের পর আমরা যে ফাইলগুলো বা নথি উদ্ধার করেছিলাম তার মধ্যে এগুলো ছিল না। এসব নথি উদ্ধারের বিষয়টি স্থানীয় সরকার ও দুদককে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, মাহাবুবুর রহমানকে ইতিপূর্বে দুই দফায় নেত্রকোনা ও বগুড়া জেলা পরিষদে বদলি করা হয়। এর মধ্যে নেত্রকোনায় যোগদানের দুদিন পরেই ফের বদলির আদেশ নিয়ে খুলনায় ফেরেন। আর বগুড়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে যেতেই হয়নি।

এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
এর আগে এসব নথির তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২১ এপ্রিল সংস্থাটির খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নথি গায়েব হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও ১৭ আগস্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে একই থানায় অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় ২০০-২৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রধান ফটক ভেঙে হামলা চালায়। এ সময় তারা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ছাড়া আসামিরা ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার ৩৬০ টাকার মালপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। তারা জেলা পরিষদ ভবনের প্রতিটি কক্ষে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এর মধ্যে চেকবই, চেক রেজিস্টার, ক্যাশবই, জমি ইজারা রেজিস্টার, অডিট রেজিস্টার, খেয়াঘাট রেজিস্টার, ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত নথি প্রভৃতি রয়েছে।
এদিকে গত ২১ এপ্রিল ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চলমান রয়েছে তার তালিকা ও বরাদ্দ করা নথির তথ্য চেয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুদক। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয় যে, নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে ২৮৪টি নথি পাওয়া গেলেও গুরুত্বপূর্ণ ৬টির হদিস মেলেনি। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারের নেতৃত্বে এসব নথির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। একপর্যায়ে এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে মাহাবুবুর রহমানের দাবি, ‘কিছু ফাইল কর্মচারীরা পেয়ে আমার আলমারিতে রেখেছিল। ওটা এমন কিছু না।’ এই নথিগুলো দুদক চেয়েছিল কি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার স্মরণে নেই।’
তাছলিমা আক্তার বলেন, ‘যে ফাইলগুলো পাওয়া গেছে, এগুলো ২১ এপ্রিল দুদক আমাদের কাছে চেয়েছিল। ৫ আগস্টের পর আমরা যে ফাইলগুলো বা নথি উদ্ধার করেছিলাম তার মধ্যে এগুলো ছিল না। এসব নথি উদ্ধারের বিষয়টি স্থানীয় সরকার ও দুদককে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, মাহাবুবুর রহমানকে ইতিপূর্বে দুই দফায় নেত্রকোনা ও বগুড়া জেলা পরিষদে বদলি করা হয়। এর মধ্যে নেত্রকোনায় যোগদানের দুদিন পরেই ফের বদলির আদেশ নিয়ে খুলনায় ফেরেন। আর বগুড়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে যেতেই হয়নি।

বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
সিলেট-আখাউড়া রেলপথের মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়াসহ ৯টি স্টেশনে প্রায় হাজার কোটি টাকার জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ও কৃষি খামার। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকা এসব সম্পত্তি উদ্ধারে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের কন্যা ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল। তবে বোনের মনোনয়নে ক্ষুব্ধ পটলপুত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ডা. ইয়াসির আরশা
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘকাল এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে রামু উপজেলা হয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করেন। এ পথে তাঁদের দুই-তিনবার যানবাহন বদল করতে হয়। সময় লাগে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা।
৪ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

সিলেট-আখাউড়া রেলপথের মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়াসহ ৯টি স্টেশনে প্রায় হাজার কোটি টাকার জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ও কৃষি খামার। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকা এসব সম্পত্তি উদ্ধারে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ। মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিন পর এগুলো আবার বেদখল হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দখল করা এসব জায়গা উদ্ধার করা প্রয়োজন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজারে সচল ও বন্ধ প্রায় ৯টি রেলস্টেশন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর ও কুলাউড়া স্টেশন সচল। জনগুরুত্বপূর্ণ এই ৪টি স্টেশনে রেলওয়ের প্রায় হাজার কোটি টাকার জায়গা রয়েছে। এসব স্টেশনের কিছু জায়গা রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ থেকে লিজ নিয়ে বেশির ভাগ জায়গা দখলের পর ভোগ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সেসব জমিতে আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মনু, টিলাগাঁও, ভাটেরা, লংলা ও বরমচাল রেলস্টেশন দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। এসব স্টেশনের আশপাশে রেলওয়ের জায়গা দখল হয়ে আছে যুগ যুগ ধরে।
সরেজমিনে শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর ও কুলাউড়া রেলস্টেশনে দেখা যায়, রেলওয়ের জায়গা দখল করে কেউ দোকান, কেউ আবার ঘর বানিয়ে ভাড়া দিয়েছে। কয়েকটি এলাকায় কৃষি খামার গড়ে তোলার দৃশ্যও দেখা গেছে।
রেলওয়ে বলছে, যারা রেলের জায়গা লিজ নিয়েছে, তাদের নিয়মিত নবায়ন করতে হয়। কেউ নবায়ন না করে তাদের লিজ অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নবায়ন করতে হলে খাজনা পরিশোধ করতে হবে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে কোনো লিজ দেয় না। রেলের যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে জায়গা ছাড়তে বাধ্য। এ ছাড়া আধা পাকা ও কৃষিজমিতে কোনো স্থাপনা তৈরি করা যাবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রেলের জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন ভোগ করে আসছে প্রভাবশালীরা। যারা দখল করে আছে, তারা বলেছে, ৯৯ বছরের জন্য রেলওয়ের কাছ থেকে লিজ নেওয়া হয়েছে। শমশেরনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়ায় রেলস্টেশনের পাশে প্রতি শতক জমি ২০-২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ এসব গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে রেলওয়ের অনেক জায়গা রয়েছে। এসব জায়গার বাজারমূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। যত সময় যাচ্ছে, রেলের জায়গা তত বেশি দখল হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল শহরের বাসিন্দা রুহেল আহমেদ বলেন, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে রেলওয়ের প্রচুর জায়গা রয়েছে। বেশির ভাগ জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের পর ভাড়া দেওয়া হয়েছে। মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে জমি উদ্ধার করা হলেও কয়েক দিন পর আবার দখল হয়ে যায়।
শমশেরনগর বাজারের রাজিব আহমেদ বলেন, সিলেট বিভাগের মাঝে সবচেয়ে বেশি জায়গায় দাম শমশেরনগর বাজারের। এখানে প্রতি শতক জমি ৩০-৫০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। শমশেরনগর বাজারে রেলের অনেক জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভোগ করে আসছে একটি মহল। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান করতেও আসে না।
রেলওয়ের জায়গায় পাকা স্থাপন নির্মাণ করেছেন এমন একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে লিজ নিয়ে জায়গা ভোগ করছি। এ জন্য পাকা স্থাপনা তৈরি করেছি।’
কুলাউড়া রেলস্টেশন মাস্টার রুমান আহমেদ ও শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন মাস্টার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘রেলওয়ের জায়গাগুলো আমাদের ভূসম্পত্তি বিভাগ থেকে দেখা হয়। তবে দখল করা জায়গাগুলো উদ্ধার হওয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (ভূ-সম্পত্তি) কাজী ওয়ালি-উল হক বলেন, মৌলভীবাজারে যারা রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে।

সিলেট-আখাউড়া রেলপথের মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়াসহ ৯টি স্টেশনে প্রায় হাজার কোটি টাকার জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ও কৃষি খামার। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকা এসব সম্পত্তি উদ্ধারে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ। মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিন পর এগুলো আবার বেদখল হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দখল করা এসব জায়গা উদ্ধার করা প্রয়োজন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজারে সচল ও বন্ধ প্রায় ৯টি রেলস্টেশন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর ও কুলাউড়া স্টেশন সচল। জনগুরুত্বপূর্ণ এই ৪টি স্টেশনে রেলওয়ের প্রায় হাজার কোটি টাকার জায়গা রয়েছে। এসব স্টেশনের কিছু জায়গা রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ থেকে লিজ নিয়ে বেশির ভাগ জায়গা দখলের পর ভোগ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সেসব জমিতে আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মনু, টিলাগাঁও, ভাটেরা, লংলা ও বরমচাল রেলস্টেশন দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। এসব স্টেশনের আশপাশে রেলওয়ের জায়গা দখল হয়ে আছে যুগ যুগ ধরে।
সরেজমিনে শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর ও কুলাউড়া রেলস্টেশনে দেখা যায়, রেলওয়ের জায়গা দখল করে কেউ দোকান, কেউ আবার ঘর বানিয়ে ভাড়া দিয়েছে। কয়েকটি এলাকায় কৃষি খামার গড়ে তোলার দৃশ্যও দেখা গেছে।
রেলওয়ে বলছে, যারা রেলের জায়গা লিজ নিয়েছে, তাদের নিয়মিত নবায়ন করতে হয়। কেউ নবায়ন না করে তাদের লিজ অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নবায়ন করতে হলে খাজনা পরিশোধ করতে হবে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে কোনো লিজ দেয় না। রেলের যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে জায়গা ছাড়তে বাধ্য। এ ছাড়া আধা পাকা ও কৃষিজমিতে কোনো স্থাপনা তৈরি করা যাবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রেলের জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন ভোগ করে আসছে প্রভাবশালীরা। যারা দখল করে আছে, তারা বলেছে, ৯৯ বছরের জন্য রেলওয়ের কাছ থেকে লিজ নেওয়া হয়েছে। শমশেরনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়ায় রেলস্টেশনের পাশে প্রতি শতক জমি ২০-২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ এসব গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে রেলওয়ের অনেক জায়গা রয়েছে। এসব জায়গার বাজারমূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। যত সময় যাচ্ছে, রেলের জায়গা তত বেশি দখল হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল শহরের বাসিন্দা রুহেল আহমেদ বলেন, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে রেলওয়ের প্রচুর জায়গা রয়েছে। বেশির ভাগ জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের পর ভাড়া দেওয়া হয়েছে। মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে জমি উদ্ধার করা হলেও কয়েক দিন পর আবার দখল হয়ে যায়।
শমশেরনগর বাজারের রাজিব আহমেদ বলেন, সিলেট বিভাগের মাঝে সবচেয়ে বেশি জায়গায় দাম শমশেরনগর বাজারের। এখানে প্রতি শতক জমি ৩০-৫০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। শমশেরনগর বাজারে রেলের অনেক জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভোগ করে আসছে একটি মহল। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান করতেও আসে না।
রেলওয়ের জায়গায় পাকা স্থাপন নির্মাণ করেছেন এমন একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে লিজ নিয়ে জায়গা ভোগ করছি। এ জন্য পাকা স্থাপনা তৈরি করেছি।’
কুলাউড়া রেলস্টেশন মাস্টার রুমান আহমেদ ও শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন মাস্টার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘রেলওয়ের জায়গাগুলো আমাদের ভূসম্পত্তি বিভাগ থেকে দেখা হয়। তবে দখল করা জায়গাগুলো উদ্ধার হওয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (ভূ-সম্পত্তি) কাজী ওয়ালি-উল হক বলেন, মৌলভীবাজারে যারা রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে।

বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
৪ ঘণ্টা আগে
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের কন্যা ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল। তবে বোনের মনোনয়নে ক্ষুব্ধ পটলপুত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ডা. ইয়াসির আরশা
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘকাল এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে রামু উপজেলা হয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করেন। এ পথে তাঁদের দুই-তিনবার যানবাহন বদল করতে হয়। সময় লাগে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা।
৪ ঘণ্টা আগেনাইমুর রহমান, নাটোর

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের কন্যা ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল। তবে বোনের মনোনয়নে ক্ষুব্ধ পটলপুত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন। তিনি এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
পুতুলের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে ভাই-বোনের এই মনোনয়ন দ্বন্দ্বে শরিক হয়েছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। রাজন ও টিপুর অনুসারীদের অভিন্ন উদ্দেশ্য এখন রাজপথে। প্রতিদিন সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন টিপু-রাজনের অনুসারীরা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে লালপুর। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী পুতুলের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকে তা মানছেন না। এ নিয়ে বিভক্তি ও উদ্বেগ কাজ করছে বিএনপির কর্মীদের মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন পুতুল-রাজনের মা কামরুন্নাহার শিরিন। ওই নির্বাচনের পর শারীরিক অসুস্থতার জন্য নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন তিনি। এতে পরিবারের থেকে রাজনীতির হাল ধরেন পুতুল। পুতলকে নেতা মেনেই আবর্তিত হয় স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি। ২০২২ সালে বাগাতিপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে টিপুর অনুসারী শরিফুল ইসলাম লেলিন মেয়র নির্বাচিত হন। তখন থেকে এই আসনে পুতুল ও টিপুর অনুসারীদের গ্রুপিং সামনে আসে। পরের বছর লালপুর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলে পুতুলের ভাই রাজন আহ্বায়ক হন। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর হঠাৎ পুতুল ও রাজনের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। তখন থেকে তাঁরা পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন শুরু করেন।
এদিকে পরিবার থেকে আগামী নির্বাচনে কে মনোনয়ন চাইবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় ভাই-বোনের মধ্যে। চলতি বছর মা কামরুন্নাহার শিরিন মেয়ে পুতুলকে এই পরিবারের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। এ সিদ্ধান্ত না মেনে ছেলে রাজন পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন অব্যাহত রাখেন। এক মাস ধরে ভাই-বোন পৃথকভাবে মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করলেও বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করে পুতুলকে ৷ এর পর থেকে মহাসড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ শুরু করেন রাজনের অনুসারীরা।
একই দাবিতে মাঠে নামে টিপু গ্রুপও। টিপু ও রাজন অনুসারীরা প্রায় প্রতিদিনই লালপুর উপজেলার কোনো না কোনো স্থানে সড়ক অবরোধ, রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
দুই উপজেলার বিএনপি কর্মীরা জানান, বিএনপি তিন ভাগ হওয়ায় তাঁরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। এই অস্বস্তির সুযোগ নিয়ে মাঠের অবস্থান পোক্ত করছে জামায়াতে ইসলামী। লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব হারুনুর রশীদ পাপ্পু বলেন, ‘দল ফারজানা শারমিন পুতুলকে মনোনয়ন দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই কর্মীদের। তবু যাঁরা এটা করছেন, তাঁরা দলের সিদ্ধান্ত মানছেন না। তাঁদের কাজ করতে হবে পুতুলের পক্ষে।’
বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম লেলিন বলেন, ‘এই আসনের কর্মীরা ক্ষুব্ধ। পুতুলের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মাত্র কয়েক বছরের। কিন্তু টিপু দলের দুঃসময়ের কান্ডারি হিসেবে হামলা, মামলা, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করছেন। তিনি মনোনয়নের যোগ্য ছিলেন। আমরা চাই চূড়ান্ত মনোনয়ন টিপুকে দিয়ে দল মূল্যায়ন করবে।’
এ ব্যাপারে ইয়াসির আরশাদ রাজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি বোনের প্রার্থী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন। তিনি লেখেন, ‘সবাই একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকুন। ধৈর্য ধারণ করুন। আমি আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাব না।’
তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘আমার বিশ্বাস জন্মেছে, এই আসনের মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও বিজয়ী হব। মনোনয়ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদি মনোনয়ন পরিবর্তন না হয়, তবে আমার কর্মীরা আমার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ক শুরু করবে।’
ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, ‘এই আসনে মনোনয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়। ভাই পেলে যেমন আমি তাঁর পক্ষে কাজ করতাম, তেমনি আমি পাওয়ায় ভাইও আমার পক্ষে কাজ করবেন বলে বিশ্বাস করি। এই আসন বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে দলকে উপহার দিতে পারব।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘দল করতে হলে শৃঙ্খলা ও সিদ্ধান্ত মানতে হবে। দলবিরোধী কর্মকাণ্ড বেশিক্ষণ সহ্য করা হবে না।’

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের কন্যা ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল। তবে বোনের মনোনয়নে ক্ষুব্ধ পটলপুত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন। তিনি এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
পুতুলের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে ভাই-বোনের এই মনোনয়ন দ্বন্দ্বে শরিক হয়েছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। রাজন ও টিপুর অনুসারীদের অভিন্ন উদ্দেশ্য এখন রাজপথে। প্রতিদিন সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন টিপু-রাজনের অনুসারীরা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে লালপুর। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী পুতুলের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকে তা মানছেন না। এ নিয়ে বিভক্তি ও উদ্বেগ কাজ করছে বিএনপির কর্মীদের মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন পুতুল-রাজনের মা কামরুন্নাহার শিরিন। ওই নির্বাচনের পর শারীরিক অসুস্থতার জন্য নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন তিনি। এতে পরিবারের থেকে রাজনীতির হাল ধরেন পুতুল। পুতলকে নেতা মেনেই আবর্তিত হয় স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি। ২০২২ সালে বাগাতিপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে টিপুর অনুসারী শরিফুল ইসলাম লেলিন মেয়র নির্বাচিত হন। তখন থেকে এই আসনে পুতুল ও টিপুর অনুসারীদের গ্রুপিং সামনে আসে। পরের বছর লালপুর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলে পুতুলের ভাই রাজন আহ্বায়ক হন। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর হঠাৎ পুতুল ও রাজনের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। তখন থেকে তাঁরা পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন শুরু করেন।
এদিকে পরিবার থেকে আগামী নির্বাচনে কে মনোনয়ন চাইবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় ভাই-বোনের মধ্যে। চলতি বছর মা কামরুন্নাহার শিরিন মেয়ে পুতুলকে এই পরিবারের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। এ সিদ্ধান্ত না মেনে ছেলে রাজন পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন অব্যাহত রাখেন। এক মাস ধরে ভাই-বোন পৃথকভাবে মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করলেও বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করে পুতুলকে ৷ এর পর থেকে মহাসড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ শুরু করেন রাজনের অনুসারীরা।
একই দাবিতে মাঠে নামে টিপু গ্রুপও। টিপু ও রাজন অনুসারীরা প্রায় প্রতিদিনই লালপুর উপজেলার কোনো না কোনো স্থানে সড়ক অবরোধ, রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
দুই উপজেলার বিএনপি কর্মীরা জানান, বিএনপি তিন ভাগ হওয়ায় তাঁরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। এই অস্বস্তির সুযোগ নিয়ে মাঠের অবস্থান পোক্ত করছে জামায়াতে ইসলামী। লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব হারুনুর রশীদ পাপ্পু বলেন, ‘দল ফারজানা শারমিন পুতুলকে মনোনয়ন দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই কর্মীদের। তবু যাঁরা এটা করছেন, তাঁরা দলের সিদ্ধান্ত মানছেন না। তাঁদের কাজ করতে হবে পুতুলের পক্ষে।’
বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম লেলিন বলেন, ‘এই আসনের কর্মীরা ক্ষুব্ধ। পুতুলের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মাত্র কয়েক বছরের। কিন্তু টিপু দলের দুঃসময়ের কান্ডারি হিসেবে হামলা, মামলা, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করছেন। তিনি মনোনয়নের যোগ্য ছিলেন। আমরা চাই চূড়ান্ত মনোনয়ন টিপুকে দিয়ে দল মূল্যায়ন করবে।’
এ ব্যাপারে ইয়াসির আরশাদ রাজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি বোনের প্রার্থী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন। তিনি লেখেন, ‘সবাই একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকুন। ধৈর্য ধারণ করুন। আমি আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাব না।’
তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘আমার বিশ্বাস জন্মেছে, এই আসনের মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও বিজয়ী হব। মনোনয়ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদি মনোনয়ন পরিবর্তন না হয়, তবে আমার কর্মীরা আমার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ক শুরু করবে।’
ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, ‘এই আসনে মনোনয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়। ভাই পেলে যেমন আমি তাঁর পক্ষে কাজ করতাম, তেমনি আমি পাওয়ায় ভাইও আমার পক্ষে কাজ করবেন বলে বিশ্বাস করি। এই আসন বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে দলকে উপহার দিতে পারব।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘দল করতে হলে শৃঙ্খলা ও সিদ্ধান্ত মানতে হবে। দলবিরোধী কর্মকাণ্ড বেশিক্ষণ সহ্য করা হবে না।’

বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
৪ ঘণ্টা আগে
সিলেট-আখাউড়া রেলপথের মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়াসহ ৯টি স্টেশনে প্রায় হাজার কোটি টাকার জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ও কৃষি খামার। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকা এসব সম্পত্তি উদ্ধারে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘকাল এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে রামু উপজেলা হয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করেন। এ পথে তাঁদের দুই-তিনবার যানবাহন বদল করতে হয়। সময় লাগে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা।
৪ ঘণ্টা আগেমাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘকাল এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে রামু উপজেলা হয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করেন। এ পথে তাঁদের দুই-তিনবার যানবাহন বদল করতে হয়। সময় লাগে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা।
এই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের এ ভোগান্তি লাঘবে পাঁচ বছর আগে স্থানীয় জোয়ারি খালের ওপর শুরু হয়েছিল সেতু নির্মাণকাজ। দুই দফা কাজের মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ করা যায়নি। এতে জেলা শহরে দ্রুত যাতায়াতের জন্য মুমূর্ষু রোগী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সদর উপজেলার খুরুশকুল ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নকে আলাদা করেছে জোয়ারি খাল। জোয়ার-ভাটার এ খালের কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষকে জেলা শহরে ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। সেতুটি নির্মাণ করা হলে মাত্র ৯ কিলোমিটার পথে জেলা শহরে পৌঁছানো যাবে। সময় লাগবে ২০-৩০ মিনিট।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায় ৩৯২ মিটার দৈর্ঘ্যের ভারুয়াখালী-খুরুশকুল সেতু নির্মাণ প্রকল্প। দুই দফা দরপত্র আহ্বানের পর কাজ পায় তমা কনস্ট্রাকশন ও এমএ জাহের লিমিটেড (জেভি)। ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় এলজিইডির। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরু থেকেই বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেতুর দুই পাড়ে জমি অধিগ্রহণ এখনো সম্পন্ন করা যায়নি। এ ছাড়া সেতুর ডিজাইন বদল করা হয়েছে। পাশাপাশি গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ঠিকাদার আত্মগোপনে রয়েছেন। এসব কারণে কাজে ধীরগতি।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে আটটি স্প্যান নির্মাণ করা হয়েছে। তবে খালের মাঝে এখনো স্প্যানের কাজ হয়নি। এক প্রান্তে কাজ করছেন চার-পাঁচজন শ্রমিক। নির্মাণকাজের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি।
ভারুয়াখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান বলেন, সেতুর ঠিকাদার কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি এম এ জাহের। তিনি ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে যাওয়ার পর প্রকল্পে স্থবিরতা চলছে। যেভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে আরও কয়েক বছর লেগে যাবে।
কক্সবাজার এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আহসান বলেন, এ পর্যন্ত সেতুর ৬৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৩টি স্প্যানের মধ্যে আটটি শেষ হয়েছে। কাজের বিপরীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
এলজিইডি কক্সবাজার কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ রয়েছে।

কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘকাল এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে রামু উপজেলা হয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করেন। এ পথে তাঁদের দুই-তিনবার যানবাহন বদল করতে হয়। সময় লাগে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা।
এই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের এ ভোগান্তি লাঘবে পাঁচ বছর আগে স্থানীয় জোয়ারি খালের ওপর শুরু হয়েছিল সেতু নির্মাণকাজ। দুই দফা কাজের মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ করা যায়নি। এতে জেলা শহরে দ্রুত যাতায়াতের জন্য মুমূর্ষু রোগী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সদর উপজেলার খুরুশকুল ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নকে আলাদা করেছে জোয়ারি খাল। জোয়ার-ভাটার এ খালের কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষকে জেলা শহরে ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। সেতুটি নির্মাণ করা হলে মাত্র ৯ কিলোমিটার পথে জেলা শহরে পৌঁছানো যাবে। সময় লাগবে ২০-৩০ মিনিট।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায় ৩৯২ মিটার দৈর্ঘ্যের ভারুয়াখালী-খুরুশকুল সেতু নির্মাণ প্রকল্প। দুই দফা দরপত্র আহ্বানের পর কাজ পায় তমা কনস্ট্রাকশন ও এমএ জাহের লিমিটেড (জেভি)। ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় এলজিইডির। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরু থেকেই বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেতুর দুই পাড়ে জমি অধিগ্রহণ এখনো সম্পন্ন করা যায়নি। এ ছাড়া সেতুর ডিজাইন বদল করা হয়েছে। পাশাপাশি গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ঠিকাদার আত্মগোপনে রয়েছেন। এসব কারণে কাজে ধীরগতি।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে আটটি স্প্যান নির্মাণ করা হয়েছে। তবে খালের মাঝে এখনো স্প্যানের কাজ হয়নি। এক প্রান্তে কাজ করছেন চার-পাঁচজন শ্রমিক। নির্মাণকাজের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি।
ভারুয়াখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান বলেন, সেতুর ঠিকাদার কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি এম এ জাহের। তিনি ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে যাওয়ার পর প্রকল্পে স্থবিরতা চলছে। যেভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে আরও কয়েক বছর লেগে যাবে।
কক্সবাজার এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আহসান বলেন, এ পর্যন্ত সেতুর ৬৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৩টি স্প্যানের মধ্যে আটটি শেষ হয়েছে। কাজের বিপরীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
এলজিইডি কক্সবাজার কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ রয়েছে।

বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
৪ ঘণ্টা আগে
সিলেট-আখাউড়া রেলপথের মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়াসহ ৯টি স্টেশনে প্রায় হাজার কোটি টাকার জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ও কৃষি খামার। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকা এসব সম্পত্তি উদ্ধারে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের কন্যা ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল। তবে বোনের মনোনয়নে ক্ষুব্ধ পটলপুত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ডা. ইয়াসির আরশা
৪ ঘণ্টা আগে