গাজীপুর প্রতিনিধি

জন ভোগান্তিতে কমাতে বহুল প্রত্যাশিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করে এবং কাজ অসমাপ্ত রেখে বাস চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম এই লেন নির্মাণকাজ শুরুর এক যুগ পর আজ রোববার সকালে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ী বিআরটি প্রকল্পের বাস ডিপোতে উপস্থিত হয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বাস চলাচল সেবার উদ্বোধন করেন। বিআরটির এই বিশেষ লেনে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে।
এদিকে বিআরটি প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ২৭ মার্চ গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন। সমস্যা সমাধান না করে বিআরটি প্রকল্প চালু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বক্তব্যের সময় প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রকল্পটির কাজ শুরুর পরে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এটি একটি রুগ্ণ প্রকল্প সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। অনেকবার সময় বাড়ানো হয়েছে, এরপরও কাজ শেষ করতে পারেনি। এই প্রকল্প মানুষের কোনো উপকারে আসছিল না। তাই পরীক্ষামূলকভাবে বিআরটি লেনে ১০টি বিআরটিসি বাস দিয়ে বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এ সার্ভিস চলার সময়ে যে সব সমস্যা দেখা যাবে, সেগুলো ধারাবাহিকভাবে সমাধান করা হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হক। বক্তব্য দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ইব্রাহিম খানসহ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ইতিপূর্বে বিআরটি প্রকল্প নিয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে যেসব সমস্যা চিহ্নিত করা হয় সেসব কবে নাগাদ সমাধান করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি গণশুনানির বিষয় নিয়ে কিছুই জানি না।’ পরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে গণশুনানির বিষয়ে অবগত হয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিষয়গুলো দেখব। গণ শুনানিতে যেসব সমস্যা উঠে এসেছিল সেগুলো দেখে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী জুনে এ প্রকল্পের সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
উদ্বোধন হওয়া ব্যস্ততম মহাসড়কের দুপাশে বিভিন্ন পোশাক কারখানা রয়েছে। সেখানে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক কীভাবে মহাসড়ক পারাপার হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করায় মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিমান বন্দর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা অংশে ১০টি নতুন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিআরটি লেনে বিশেষ বাস আমদানির জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেগুলো এলে আরও বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবে।’
ফাওজুল কবির খান বলেন, ভবিষ্যতে বিআরটি লেনের বাস এবং জয়দেবপুর থেকে ঢাকা রুটের ট্রেন চট্টগ্রামের মতো ইলেকট্রিক লাইনে চলাচলের ব্যবস্থা করব। বর্তমানে বাসগুলো শিববাড়ী থেকে বিআরটি লেন দিয়ে বিমান বন্দর পর্যন্ত যাবে। তারপর বাসগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে ফার্মগেট নেমে সেখান থেকে বিভিন্ন বাসের ন্যায় এসব বাস গুলিস্তান পর্যন্ত যাতায়াত করবে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ১০ এসি বাস চালু করেছি। প্রয়োজনে বা চাহিদা বাড়লে আরও বাড়ানো হবে। বিআরটিসির এসি বাসগুলো শিববাড়ী টার্মিনাল থেকে বিআরটি লেনে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং বিমানবন্দর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার পথে চলাচল করবে। শিববাড়ী থেকে গুলিস্তানের ভাড়া ১৪০ টাকা। তারমধ্যে শিববাড়ী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ভাড়া ৭০ টাকা। বিমানবন্দর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়াও ৭০ টাকা। ঢাকার ওপর চাপ কমাতে চার জোড়া কমিউটার ট্রেনও চালু করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিআরটি লেন দিয়ে শুধু বাসই চলাচল করার কথা। কিন্তু শুরুতে বিআরটিসির ১০টি বাস দিয়ে পুরো বিআরটি লেন আটকে রাখা ঠিক হবে না। এ জন্য ব্যক্তিগত গড়ি ও মাইক্রোবাস বিআরটি লেন দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হবে। এর ফলে সাধারণ লেনগুলোতে চাপ কমে যাবে।
বিআরটি প্রকল্পের ব্যয় ও ঠিকাদার
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের চারটি বিভাগ। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এডিবি, এএফডি ও ডিইএফ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ।
প্রকল্পে সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। দফায় দফায় প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে বাড়ানো হয় প্রকল্প ব্যয়, বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। সবশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বাস সেবা চালু হয়েছে কিন্তু নির্মাণ করা ২০টা স্টেশনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এখনো স্থাপন করা হয়নি। ১০ ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সড়ক বিভাজক, পদচারী-সেতু নির্মাণসহ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার বাস চলাচলের ফাঁকে ফাঁকে বাকি কাজ শেষ করতে চায়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গণশুনানি
গত ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এলাকাবাসী বলেন, প্রকল্পের শুরুতে কথা ছিল মহাসড়কের দুই পাশের হকারদের জন্য ১০টি হকার্স মার্কেট নির্মাণ করা হবে, দুই পাশে ড্রেনের পানি অপসারণের জন্য মহাসড়কের দুই পাশের পাঁচটি খাল খনন করা হবে। কিন্তু এর কিছুই করা হয়নি। ভোগড়া এলাকার ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম থাকায়, পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হবে। ড্রেন অত্যন্ত সরু হওয়ায় মহাসড়কের পানি অপসারিত হবে না। বিআরটি স্টেশনে আসা যাওয়ার জন্য ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, ফলে বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুরা এই সিঁড়ি অতিক্রম করে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়বেন। আগে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ১০০ ফুট চওড়া মহাসড়ক ছিল। অথচ অনেক স্থানে বিআরটি সড়কের বাইরে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার যানবাহন চলাচলের মহাসড়ক অত্যন্ত সরু হয়ে পড়েছে।
প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও এক ইঞ্চিও ফুটপাত রাখা হয়নি। এমনকি এই দীর্ঘ পথের কোথাও কোনো ইউ টার্ন নেই। দীর্ঘ মহাসড়কে বিআরটি লেনের বাইরে অনেক জায়গায় বিআরটি স্টেশনে যাত্রী আসা যাওয়ার জন্য ফুটপাত বন্ধ করে সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। যাত্রী পারাপারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ ছাড়া গাজীপুরের লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক পারাপারের জন্য কোনো ফুটওভার ব্রিজ অথবা একপাশের যানবাহন অন্যপাশে যাওয়ার জন্য কোনো ইউ টার্ন রাখা হয়নি। যে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি অপ্রশস্ত হওয়ায় এবং এসব ড্রেনের পানি নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য নির্ধারণ করা হয়নি বলে গণশুনানিতে উঠে আসে।

জন ভোগান্তিতে কমাতে বহুল প্রত্যাশিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করে এবং কাজ অসমাপ্ত রেখে বাস চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম এই লেন নির্মাণকাজ শুরুর এক যুগ পর আজ রোববার সকালে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ী বিআরটি প্রকল্পের বাস ডিপোতে উপস্থিত হয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বাস চলাচল সেবার উদ্বোধন করেন। বিআরটির এই বিশেষ লেনে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে।
এদিকে বিআরটি প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ২৭ মার্চ গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন। সমস্যা সমাধান না করে বিআরটি প্রকল্প চালু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বক্তব্যের সময় প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রকল্পটির কাজ শুরুর পরে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এটি একটি রুগ্ণ প্রকল্প সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। অনেকবার সময় বাড়ানো হয়েছে, এরপরও কাজ শেষ করতে পারেনি। এই প্রকল্প মানুষের কোনো উপকারে আসছিল না। তাই পরীক্ষামূলকভাবে বিআরটি লেনে ১০টি বিআরটিসি বাস দিয়ে বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এ সার্ভিস চলার সময়ে যে সব সমস্যা দেখা যাবে, সেগুলো ধারাবাহিকভাবে সমাধান করা হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হক। বক্তব্য দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ইব্রাহিম খানসহ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ইতিপূর্বে বিআরটি প্রকল্প নিয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে যেসব সমস্যা চিহ্নিত করা হয় সেসব কবে নাগাদ সমাধান করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি গণশুনানির বিষয় নিয়ে কিছুই জানি না।’ পরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে গণশুনানির বিষয়ে অবগত হয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিষয়গুলো দেখব। গণ শুনানিতে যেসব সমস্যা উঠে এসেছিল সেগুলো দেখে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী জুনে এ প্রকল্পের সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
উদ্বোধন হওয়া ব্যস্ততম মহাসড়কের দুপাশে বিভিন্ন পোশাক কারখানা রয়েছে। সেখানে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক কীভাবে মহাসড়ক পারাপার হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করায় মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিমান বন্দর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা অংশে ১০টি নতুন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিআরটি লেনে বিশেষ বাস আমদানির জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেগুলো এলে আরও বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবে।’
ফাওজুল কবির খান বলেন, ভবিষ্যতে বিআরটি লেনের বাস এবং জয়দেবপুর থেকে ঢাকা রুটের ট্রেন চট্টগ্রামের মতো ইলেকট্রিক লাইনে চলাচলের ব্যবস্থা করব। বর্তমানে বাসগুলো শিববাড়ী থেকে বিআরটি লেন দিয়ে বিমান বন্দর পর্যন্ত যাবে। তারপর বাসগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে ফার্মগেট নেমে সেখান থেকে বিভিন্ন বাসের ন্যায় এসব বাস গুলিস্তান পর্যন্ত যাতায়াত করবে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ১০ এসি বাস চালু করেছি। প্রয়োজনে বা চাহিদা বাড়লে আরও বাড়ানো হবে। বিআরটিসির এসি বাসগুলো শিববাড়ী টার্মিনাল থেকে বিআরটি লেনে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং বিমানবন্দর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার পথে চলাচল করবে। শিববাড়ী থেকে গুলিস্তানের ভাড়া ১৪০ টাকা। তারমধ্যে শিববাড়ী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ভাড়া ৭০ টাকা। বিমানবন্দর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়াও ৭০ টাকা। ঢাকার ওপর চাপ কমাতে চার জোড়া কমিউটার ট্রেনও চালু করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিআরটি লেন দিয়ে শুধু বাসই চলাচল করার কথা। কিন্তু শুরুতে বিআরটিসির ১০টি বাস দিয়ে পুরো বিআরটি লেন আটকে রাখা ঠিক হবে না। এ জন্য ব্যক্তিগত গড়ি ও মাইক্রোবাস বিআরটি লেন দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হবে। এর ফলে সাধারণ লেনগুলোতে চাপ কমে যাবে।
বিআরটি প্রকল্পের ব্যয় ও ঠিকাদার
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের চারটি বিভাগ। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এডিবি, এএফডি ও ডিইএফ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ।
প্রকল্পে সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। দফায় দফায় প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে বাড়ানো হয় প্রকল্প ব্যয়, বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। সবশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বাস সেবা চালু হয়েছে কিন্তু নির্মাণ করা ২০টা স্টেশনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এখনো স্থাপন করা হয়নি। ১০ ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সড়ক বিভাজক, পদচারী-সেতু নির্মাণসহ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার বাস চলাচলের ফাঁকে ফাঁকে বাকি কাজ শেষ করতে চায়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গণশুনানি
গত ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এলাকাবাসী বলেন, প্রকল্পের শুরুতে কথা ছিল মহাসড়কের দুই পাশের হকারদের জন্য ১০টি হকার্স মার্কেট নির্মাণ করা হবে, দুই পাশে ড্রেনের পানি অপসারণের জন্য মহাসড়কের দুই পাশের পাঁচটি খাল খনন করা হবে। কিন্তু এর কিছুই করা হয়নি। ভোগড়া এলাকার ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম থাকায়, পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হবে। ড্রেন অত্যন্ত সরু হওয়ায় মহাসড়কের পানি অপসারিত হবে না। বিআরটি স্টেশনে আসা যাওয়ার জন্য ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, ফলে বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুরা এই সিঁড়ি অতিক্রম করে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়বেন। আগে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ১০০ ফুট চওড়া মহাসড়ক ছিল। অথচ অনেক স্থানে বিআরটি সড়কের বাইরে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার যানবাহন চলাচলের মহাসড়ক অত্যন্ত সরু হয়ে পড়েছে।
প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও এক ইঞ্চিও ফুটপাত রাখা হয়নি। এমনকি এই দীর্ঘ পথের কোথাও কোনো ইউ টার্ন নেই। দীর্ঘ মহাসড়কে বিআরটি লেনের বাইরে অনেক জায়গায় বিআরটি স্টেশনে যাত্রী আসা যাওয়ার জন্য ফুটপাত বন্ধ করে সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। যাত্রী পারাপারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ ছাড়া গাজীপুরের লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক পারাপারের জন্য কোনো ফুটওভার ব্রিজ অথবা একপাশের যানবাহন অন্যপাশে যাওয়ার জন্য কোনো ইউ টার্ন রাখা হয়নি। যে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি অপ্রশস্ত হওয়ায় এবং এসব ড্রেনের পানি নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য নির্ধারণ করা হয়নি বলে গণশুনানিতে উঠে আসে।
গাজীপুর প্রতিনিধি

জন ভোগান্তিতে কমাতে বহুল প্রত্যাশিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করে এবং কাজ অসমাপ্ত রেখে বাস চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম এই লেন নির্মাণকাজ শুরুর এক যুগ পর আজ রোববার সকালে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ী বিআরটি প্রকল্পের বাস ডিপোতে উপস্থিত হয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বাস চলাচল সেবার উদ্বোধন করেন। বিআরটির এই বিশেষ লেনে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে।
এদিকে বিআরটি প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ২৭ মার্চ গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন। সমস্যা সমাধান না করে বিআরটি প্রকল্প চালু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বক্তব্যের সময় প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রকল্পটির কাজ শুরুর পরে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এটি একটি রুগ্ণ প্রকল্প সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। অনেকবার সময় বাড়ানো হয়েছে, এরপরও কাজ শেষ করতে পারেনি। এই প্রকল্প মানুষের কোনো উপকারে আসছিল না। তাই পরীক্ষামূলকভাবে বিআরটি লেনে ১০টি বিআরটিসি বাস দিয়ে বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এ সার্ভিস চলার সময়ে যে সব সমস্যা দেখা যাবে, সেগুলো ধারাবাহিকভাবে সমাধান করা হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হক। বক্তব্য দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ইব্রাহিম খানসহ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ইতিপূর্বে বিআরটি প্রকল্প নিয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে যেসব সমস্যা চিহ্নিত করা হয় সেসব কবে নাগাদ সমাধান করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি গণশুনানির বিষয় নিয়ে কিছুই জানি না।’ পরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে গণশুনানির বিষয়ে অবগত হয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিষয়গুলো দেখব। গণ শুনানিতে যেসব সমস্যা উঠে এসেছিল সেগুলো দেখে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী জুনে এ প্রকল্পের সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
উদ্বোধন হওয়া ব্যস্ততম মহাসড়কের দুপাশে বিভিন্ন পোশাক কারখানা রয়েছে। সেখানে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক কীভাবে মহাসড়ক পারাপার হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করায় মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিমান বন্দর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা অংশে ১০টি নতুন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিআরটি লেনে বিশেষ বাস আমদানির জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেগুলো এলে আরও বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবে।’
ফাওজুল কবির খান বলেন, ভবিষ্যতে বিআরটি লেনের বাস এবং জয়দেবপুর থেকে ঢাকা রুটের ট্রেন চট্টগ্রামের মতো ইলেকট্রিক লাইনে চলাচলের ব্যবস্থা করব। বর্তমানে বাসগুলো শিববাড়ী থেকে বিআরটি লেন দিয়ে বিমান বন্দর পর্যন্ত যাবে। তারপর বাসগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে ফার্মগেট নেমে সেখান থেকে বিভিন্ন বাসের ন্যায় এসব বাস গুলিস্তান পর্যন্ত যাতায়াত করবে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ১০ এসি বাস চালু করেছি। প্রয়োজনে বা চাহিদা বাড়লে আরও বাড়ানো হবে। বিআরটিসির এসি বাসগুলো শিববাড়ী টার্মিনাল থেকে বিআরটি লেনে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং বিমানবন্দর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার পথে চলাচল করবে। শিববাড়ী থেকে গুলিস্তানের ভাড়া ১৪০ টাকা। তারমধ্যে শিববাড়ী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ভাড়া ৭০ টাকা। বিমানবন্দর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়াও ৭০ টাকা। ঢাকার ওপর চাপ কমাতে চার জোড়া কমিউটার ট্রেনও চালু করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিআরটি লেন দিয়ে শুধু বাসই চলাচল করার কথা। কিন্তু শুরুতে বিআরটিসির ১০টি বাস দিয়ে পুরো বিআরটি লেন আটকে রাখা ঠিক হবে না। এ জন্য ব্যক্তিগত গড়ি ও মাইক্রোবাস বিআরটি লেন দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হবে। এর ফলে সাধারণ লেনগুলোতে চাপ কমে যাবে।
বিআরটি প্রকল্পের ব্যয় ও ঠিকাদার
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের চারটি বিভাগ। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এডিবি, এএফডি ও ডিইএফ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ।
প্রকল্পে সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। দফায় দফায় প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে বাড়ানো হয় প্রকল্প ব্যয়, বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। সবশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বাস সেবা চালু হয়েছে কিন্তু নির্মাণ করা ২০টা স্টেশনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এখনো স্থাপন করা হয়নি। ১০ ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সড়ক বিভাজক, পদচারী-সেতু নির্মাণসহ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার বাস চলাচলের ফাঁকে ফাঁকে বাকি কাজ শেষ করতে চায়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গণশুনানি
গত ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এলাকাবাসী বলেন, প্রকল্পের শুরুতে কথা ছিল মহাসড়কের দুই পাশের হকারদের জন্য ১০টি হকার্স মার্কেট নির্মাণ করা হবে, দুই পাশে ড্রেনের পানি অপসারণের জন্য মহাসড়কের দুই পাশের পাঁচটি খাল খনন করা হবে। কিন্তু এর কিছুই করা হয়নি। ভোগড়া এলাকার ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম থাকায়, পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হবে। ড্রেন অত্যন্ত সরু হওয়ায় মহাসড়কের পানি অপসারিত হবে না। বিআরটি স্টেশনে আসা যাওয়ার জন্য ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, ফলে বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুরা এই সিঁড়ি অতিক্রম করে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়বেন। আগে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ১০০ ফুট চওড়া মহাসড়ক ছিল। অথচ অনেক স্থানে বিআরটি সড়কের বাইরে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার যানবাহন চলাচলের মহাসড়ক অত্যন্ত সরু হয়ে পড়েছে।
প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও এক ইঞ্চিও ফুটপাত রাখা হয়নি। এমনকি এই দীর্ঘ পথের কোথাও কোনো ইউ টার্ন নেই। দীর্ঘ মহাসড়কে বিআরটি লেনের বাইরে অনেক জায়গায় বিআরটি স্টেশনে যাত্রী আসা যাওয়ার জন্য ফুটপাত বন্ধ করে সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। যাত্রী পারাপারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ ছাড়া গাজীপুরের লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক পারাপারের জন্য কোনো ফুটওভার ব্রিজ অথবা একপাশের যানবাহন অন্যপাশে যাওয়ার জন্য কোনো ইউ টার্ন রাখা হয়নি। যে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি অপ্রশস্ত হওয়ায় এবং এসব ড্রেনের পানি নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য নির্ধারণ করা হয়নি বলে গণশুনানিতে উঠে আসে।

জন ভোগান্তিতে কমাতে বহুল প্রত্যাশিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করে এবং কাজ অসমাপ্ত রেখে বাস চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম এই লেন নির্মাণকাজ শুরুর এক যুগ পর আজ রোববার সকালে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ী বিআরটি প্রকল্পের বাস ডিপোতে উপস্থিত হয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বাস চলাচল সেবার উদ্বোধন করেন। বিআরটির এই বিশেষ লেনে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে।
এদিকে বিআরটি প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ২৭ মার্চ গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন। সমস্যা সমাধান না করে বিআরটি প্রকল্প চালু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বক্তব্যের সময় প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রকল্পটির কাজ শুরুর পরে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এটি একটি রুগ্ণ প্রকল্প সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। অনেকবার সময় বাড়ানো হয়েছে, এরপরও কাজ শেষ করতে পারেনি। এই প্রকল্প মানুষের কোনো উপকারে আসছিল না। তাই পরীক্ষামূলকভাবে বিআরটি লেনে ১০টি বিআরটিসি বাস দিয়ে বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এ সার্ভিস চলার সময়ে যে সব সমস্যা দেখা যাবে, সেগুলো ধারাবাহিকভাবে সমাধান করা হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হক। বক্তব্য দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ইব্রাহিম খানসহ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ইতিপূর্বে বিআরটি প্রকল্প নিয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে যেসব সমস্যা চিহ্নিত করা হয় সেসব কবে নাগাদ সমাধান করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি গণশুনানির বিষয় নিয়ে কিছুই জানি না।’ পরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে গণশুনানির বিষয়ে অবগত হয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিষয়গুলো দেখব। গণ শুনানিতে যেসব সমস্যা উঠে এসেছিল সেগুলো দেখে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী জুনে এ প্রকল্পের সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
উদ্বোধন হওয়া ব্যস্ততম মহাসড়কের দুপাশে বিভিন্ন পোশাক কারখানা রয়েছে। সেখানে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক কীভাবে মহাসড়ক পারাপার হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করায় মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিমান বন্দর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা অংশে ১০টি নতুন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিআরটি লেনে বিশেষ বাস আমদানির জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেগুলো এলে আরও বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবে।’
ফাওজুল কবির খান বলেন, ভবিষ্যতে বিআরটি লেনের বাস এবং জয়দেবপুর থেকে ঢাকা রুটের ট্রেন চট্টগ্রামের মতো ইলেকট্রিক লাইনে চলাচলের ব্যবস্থা করব। বর্তমানে বাসগুলো শিববাড়ী থেকে বিআরটি লেন দিয়ে বিমান বন্দর পর্যন্ত যাবে। তারপর বাসগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে ফার্মগেট নেমে সেখান থেকে বিভিন্ন বাসের ন্যায় এসব বাস গুলিস্তান পর্যন্ত যাতায়াত করবে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ১০ এসি বাস চালু করেছি। প্রয়োজনে বা চাহিদা বাড়লে আরও বাড়ানো হবে। বিআরটিসির এসি বাসগুলো শিববাড়ী টার্মিনাল থেকে বিআরটি লেনে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং বিমানবন্দর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার পথে চলাচল করবে। শিববাড়ী থেকে গুলিস্তানের ভাড়া ১৪০ টাকা। তারমধ্যে শিববাড়ী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ভাড়া ৭০ টাকা। বিমানবন্দর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়াও ৭০ টাকা। ঢাকার ওপর চাপ কমাতে চার জোড়া কমিউটার ট্রেনও চালু করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিআরটি লেন দিয়ে শুধু বাসই চলাচল করার কথা। কিন্তু শুরুতে বিআরটিসির ১০টি বাস দিয়ে পুরো বিআরটি লেন আটকে রাখা ঠিক হবে না। এ জন্য ব্যক্তিগত গড়ি ও মাইক্রোবাস বিআরটি লেন দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হবে। এর ফলে সাধারণ লেনগুলোতে চাপ কমে যাবে।
বিআরটি প্রকল্পের ব্যয় ও ঠিকাদার
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের চারটি বিভাগ। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এডিবি, এএফডি ও ডিইএফ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ।
প্রকল্পে সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। দফায় দফায় প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে বাড়ানো হয় প্রকল্প ব্যয়, বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। সবশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বাস সেবা চালু হয়েছে কিন্তু নির্মাণ করা ২০টা স্টেশনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এখনো স্থাপন করা হয়নি। ১০ ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সড়ক বিভাজক, পদচারী-সেতু নির্মাণসহ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার বাস চলাচলের ফাঁকে ফাঁকে বাকি কাজ শেষ করতে চায়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গণশুনানি
গত ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এলাকাবাসী বলেন, প্রকল্পের শুরুতে কথা ছিল মহাসড়কের দুই পাশের হকারদের জন্য ১০টি হকার্স মার্কেট নির্মাণ করা হবে, দুই পাশে ড্রেনের পানি অপসারণের জন্য মহাসড়কের দুই পাশের পাঁচটি খাল খনন করা হবে। কিন্তু এর কিছুই করা হয়নি। ভোগড়া এলাকার ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম থাকায়, পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হবে। ড্রেন অত্যন্ত সরু হওয়ায় মহাসড়কের পানি অপসারিত হবে না। বিআরটি স্টেশনে আসা যাওয়ার জন্য ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, ফলে বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুরা এই সিঁড়ি অতিক্রম করে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়বেন। আগে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ১০০ ফুট চওড়া মহাসড়ক ছিল। অথচ অনেক স্থানে বিআরটি সড়কের বাইরে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার যানবাহন চলাচলের মহাসড়ক অত্যন্ত সরু হয়ে পড়েছে।
প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও এক ইঞ্চিও ফুটপাত রাখা হয়নি। এমনকি এই দীর্ঘ পথের কোথাও কোনো ইউ টার্ন নেই। দীর্ঘ মহাসড়কে বিআরটি লেনের বাইরে অনেক জায়গায় বিআরটি স্টেশনে যাত্রী আসা যাওয়ার জন্য ফুটপাত বন্ধ করে সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। যাত্রী পারাপারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ ছাড়া গাজীপুরের লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক পারাপারের জন্য কোনো ফুটওভার ব্রিজ অথবা একপাশের যানবাহন অন্যপাশে যাওয়ার জন্য কোনো ইউ টার্ন রাখা হয়নি। যে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি অপ্রশস্ত হওয়ায় এবং এসব ড্রেনের পানি নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য নির্ধারণ করা হয়নি বলে গণশুনানিতে উঠে আসে।

চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকা জুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা রোগীদের জন্য চাহিদার অর্ধেকও নেই প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের বাঁচানো যায় না। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ...
৪ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগেজৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর এলাকার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ লাল শাপলার বিল এখন প্রকৃতিগত পরিবর্তনের শিকার। কচুরিপানার দ্রুত আগ্রাসনের ফলে এই বিলটি অচিরেই লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার বিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিলের লাল শাপলা সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের গঠিত সুরক্ষা কমিটি কী ভূমিকা পালন করছে?
সরেজমিনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওরে ইয়াম-হরফকাটা-ডিবি-কেন্দ্রী—এই চারটি বিল নিয়ে গঠিত প্রায় ৯০০ একর জায়গাজুড়ে প্রকৃতিগতভাবে এই লাল শাপলার বিল সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালে সংবাদপত্রের মাধ্যমে এটি সারাদেশসহ বিশ্ববাসীর সামনে অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা বিলের সৌন্দর্য দেখে প্রশংসা করেন।
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকা জুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে। ফলে জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ এই লাল শাপলার বিলটি বিলীন হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ লাল শাপলা সুরক্ষায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত সুরক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, লাল শাপলা বিলের সুরক্ষার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান কাজ ছিল বিলের শাপলাকে ধ্বংসকারী জলজ উদ্ভিদসহ অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান ও পরিচর্যা করা। এ ছাড়া, পর্যটকদের বহনকারী নৌকা থেকে ১০০ টাকা হারে আদায়কৃত অর্থ বিলের বাঁধ সুরক্ষা এবং জলজ উদ্ভিদ থেকে শাপলাকে রক্ষার পরিচর্যার জন্য ব্যয় সংকুলান করার কথা ছিল।

তারা আরও জানান, বর্তমানে ইয়াম বিলটিতে যেভাবে লাল শাপলার চরম শত্রু কচুরিপানা গ্রাস করছে, তাতে আগামী বছরে তা পুরো বিলগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে। ইয়াম বিলের প্রায় অর্ধেক অংশই এখন কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। লাল শাপলার পরিবর্তে সেখানে এখন কচুরিপানার ফুল ফুটছে। এর ফলে লাল শাপলার সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত পরিবেশ সমীক্ষা করে লাল শাপলাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, ‘লাল শাপলা বিলে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানার কারণে শাপলা ধ্বংস হচ্ছে, এই বিষয়টি ইতিপূর্বে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লাল শাপলা সুরক্ষায় দ্রুত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর এলাকার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ লাল শাপলার বিল এখন প্রকৃতিগত পরিবর্তনের শিকার। কচুরিপানার দ্রুত আগ্রাসনের ফলে এই বিলটি অচিরেই লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার বিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিলের লাল শাপলা সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের গঠিত সুরক্ষা কমিটি কী ভূমিকা পালন করছে?
সরেজমিনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওরে ইয়াম-হরফকাটা-ডিবি-কেন্দ্রী—এই চারটি বিল নিয়ে গঠিত প্রায় ৯০০ একর জায়গাজুড়ে প্রকৃতিগতভাবে এই লাল শাপলার বিল সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালে সংবাদপত্রের মাধ্যমে এটি সারাদেশসহ বিশ্ববাসীর সামনে অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা বিলের সৌন্দর্য দেখে প্রশংসা করেন।
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকা জুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে। ফলে জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ এই লাল শাপলার বিলটি বিলীন হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ লাল শাপলা সুরক্ষায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত সুরক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, লাল শাপলা বিলের সুরক্ষার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান কাজ ছিল বিলের শাপলাকে ধ্বংসকারী জলজ উদ্ভিদসহ অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান ও পরিচর্যা করা। এ ছাড়া, পর্যটকদের বহনকারী নৌকা থেকে ১০০ টাকা হারে আদায়কৃত অর্থ বিলের বাঁধ সুরক্ষা এবং জলজ উদ্ভিদ থেকে শাপলাকে রক্ষার পরিচর্যার জন্য ব্যয় সংকুলান করার কথা ছিল।

তারা আরও জানান, বর্তমানে ইয়াম বিলটিতে যেভাবে লাল শাপলার চরম শত্রু কচুরিপানা গ্রাস করছে, তাতে আগামী বছরে তা পুরো বিলগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে। ইয়াম বিলের প্রায় অর্ধেক অংশই এখন কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। লাল শাপলার পরিবর্তে সেখানে এখন কচুরিপানার ফুল ফুটছে। এর ফলে লাল শাপলার সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত পরিবেশ সমীক্ষা করে লাল শাপলাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, ‘লাল শাপলা বিলে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানার কারণে শাপলা ধ্বংস হচ্ছে, এই বিষয়টি ইতিপূর্বে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লাল শাপলা সুরক্ষায় দ্রুত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

জন ভোগান্তিতে কমাতে বহুল প্রত্যাশিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করে এবং কাজ অসমাপ্ত রেখে বাস চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম এই লেন নির্মাণকাজ শুরুর এক যুগ পর আজ রোববার সকালে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা রোগীদের জন্য চাহিদার অর্ধেকও নেই প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের বাঁচানো যায় না। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ...
৪ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যাক্সন, সরোয়ার ও আকবর আলী বড় সাজ্জাদের সঙ্গ ছেড়ে আলাদাভাবে পথচলা শুরু করেন ১০ বছর আগে। এ অবস্থায় ২০১৫ সাল থেকে বড় সাজ্জাদের কমান্ডে ছোট সাজ্জাদ দলের হাল ধরেন। পরে ভারতে ম্যাক্সনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সরোয়ার ও আকবর বড় ও ছোট দুই সাজ্জাদের নিশানায় পড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে এ-সংক্রান্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা তাঁর দুই সহযোগী বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩৬) ঘটনাস্থলে মারা যান। সেই থেকে সরোয়ার হোসেন বাবলা বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে তদবির করে তিনি পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিন মাস ধরে চেষ্টা করেছেন বলে জানান বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরোয়ারের পাসপোর্ট ব্লক (বন্ধ) করে দেয় বলে জানান মো. আজিজ।
সরোয়ারের আরেক সহযোগী নগরের বিভিন্ন থানার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলার আসামি আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দুই দিন পর ঢাকাইয়া আকবর মারা যান। কারাগারে বন্দী সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা আকবর হত্যার পেছনে রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সহযোগীর এই ধরনের টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডে বিদেশে যাওয়ার জন্য আরও ব্যাকুলতা বাড়ে সরোয়ার হোসেন বাবলার। এর মধ্যে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি আসতে থাকে বড় সাজ্জাদ ও রায়হানদের কাছ থেকে। কেউ সাত দিন, কেউ তিন দিনের মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠায় সরোয়ারকে। এরই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সরোয়ার। বিয়ের পর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই জোর করছিল সরোয়ারকে বিদেশে চলে যেতে। জীবন বাঁচাতে সরোয়ারও বিদেশে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাসপোর্টের ব্লক খুলতে পারছিলেন না। শেষতক মৃত্যুই সরোয়ারের জীবনের সমাধান দিল বলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁর ছোট ভাই মো. আজিজ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাসপোর্ট ব্লক মূলত সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার নির্দেশনা দিলে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (পুলিশের বিশেষ শাখা) আবেদন করে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে। এরপর পাসপোর্ট ব্লক হয়। সরোয়ার হোসেন বাবলার পাসপোর্ট ব্লকের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকার কথা নয়।’
বুধবার (৫ নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের পরপরই চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা। এ সময় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।
এদিকে সরোয়ার হত্যায় করা মামলার এজাহারে এক নম্বরে যাঁর নাম এসেছে, সেই সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের। নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে ব্যাপক প্রচার আছে। এ নিয়ে দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন সাজ্জাদ আলী। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
২০০০ সালের ১২ জুলাই মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ছাত্রলীগের ওই ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাবে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বড় সাজ্জাদের স্ত্রী পাঞ্জাবি হওয়ার সূত্রে তিনি পাঞ্জাবে অবস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যাক্সন, সরোয়ার ও আকবর আলী বড় সাজ্জাদের সঙ্গ ছেড়ে আলাদাভাবে পথচলা শুরু করেন ১০ বছর আগে। এ অবস্থায় ২০১৫ সাল থেকে বড় সাজ্জাদের কমান্ডে ছোট সাজ্জাদ দলের হাল ধরেন। পরে ভারতে ম্যাক্সনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সরোয়ার ও আকবর বড় ও ছোট দুই সাজ্জাদের নিশানায় পড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে এ-সংক্রান্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা তাঁর দুই সহযোগী বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩৬) ঘটনাস্থলে মারা যান। সেই থেকে সরোয়ার হোসেন বাবলা বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে তদবির করে তিনি পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিন মাস ধরে চেষ্টা করেছেন বলে জানান বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরোয়ারের পাসপোর্ট ব্লক (বন্ধ) করে দেয় বলে জানান মো. আজিজ।
সরোয়ারের আরেক সহযোগী নগরের বিভিন্ন থানার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলার আসামি আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দুই দিন পর ঢাকাইয়া আকবর মারা যান। কারাগারে বন্দী সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা আকবর হত্যার পেছনে রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সহযোগীর এই ধরনের টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডে বিদেশে যাওয়ার জন্য আরও ব্যাকুলতা বাড়ে সরোয়ার হোসেন বাবলার। এর মধ্যে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি আসতে থাকে বড় সাজ্জাদ ও রায়হানদের কাছ থেকে। কেউ সাত দিন, কেউ তিন দিনের মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠায় সরোয়ারকে। এরই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সরোয়ার। বিয়ের পর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই জোর করছিল সরোয়ারকে বিদেশে চলে যেতে। জীবন বাঁচাতে সরোয়ারও বিদেশে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাসপোর্টের ব্লক খুলতে পারছিলেন না। শেষতক মৃত্যুই সরোয়ারের জীবনের সমাধান দিল বলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁর ছোট ভাই মো. আজিজ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাসপোর্ট ব্লক মূলত সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার নির্দেশনা দিলে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (পুলিশের বিশেষ শাখা) আবেদন করে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে। এরপর পাসপোর্ট ব্লক হয়। সরোয়ার হোসেন বাবলার পাসপোর্ট ব্লকের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকার কথা নয়।’
বুধবার (৫ নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের পরপরই চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা। এ সময় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।
এদিকে সরোয়ার হত্যায় করা মামলার এজাহারে এক নম্বরে যাঁর নাম এসেছে, সেই সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের। নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে ব্যাপক প্রচার আছে। এ নিয়ে দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন সাজ্জাদ আলী। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
২০০০ সালের ১২ জুলাই মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ছাত্রলীগের ওই ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাবে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বড় সাজ্জাদের স্ত্রী পাঞ্জাবি হওয়ার সূত্রে তিনি পাঞ্জাবে অবস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

জন ভোগান্তিতে কমাতে বহুল প্রত্যাশিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করে এবং কাজ অসমাপ্ত রেখে বাস চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম এই লেন নির্মাণকাজ শুরুর এক যুগ পর আজ রোববার সকালে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকা জুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা রোগীদের জন্য চাহিদার অর্ধেকও নেই প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের বাঁচানো যায় না। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ...
৪ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা রোগীদের জন্য চাহিদার অর্ধেকও নেই প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের বাঁচানো যায় না। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (১০ মাস) ১ হাজার ৭১১ জনকে সাপে কেটেছে। সেই হিসাবে এই ১০ মাসে জেলায় গড়ে সাপে কেটেছে ১৭১ জনকে। এ সময় কতজন সাপে কাটা রোগী মারা গেছে, সেই হিসাবে কারও কাছে পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি উপজেলা ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা রয়েছে ৭৬০ ভায়াল; অথচ মজুত আছে ৩৪০। সেই হিসাবে চাহিদার মাত্র ৪৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভায়াল মজুত রয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় প্রতিষেধক কম থাকলেও এতে কোনো সমস্যা হয় না। কারণ, যেকোনো সময় প্রতিষেধক চাইলেই আমরা কিনতে পারি।’
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উল্লিখিত ১০ মাসে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬৬, বাঁশখালীতে ১৬৫, বোয়ালখালীতে ২৩০, চন্দনাইশে ১৩, দোহাজারীতে ১৭, ফটিকছড়িতে ৫৭, হাটহাজারীতে ২৭, লোহাগাড়ায় ৯৩, মিরসরাইয়ে ২৮৮, পটিয়ায় ২০৮, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৫, রাউজানে ১১১, সন্দ্বীপে ৫৬, সাতকানিয়ায় ৪৭ ও সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯৮ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়।
এদিকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা ৫০ ভায়াল। এর মধ্যে মজুত রয়েছে ২০ ভায়াল। বাঁশখালীতে ৪০টি চাহিদার জায়গায় রয়েছে ১০টি, বোয়ালখালীতে ৫০টি চাহিদার বিপরীতে ১০, চন্দনাইশে ১০ চাহিদার বিপরীতে ২০টি, দোহাজারীতে ১০টি চাহিদার স্থলে মজুত ১০টি, ফটিকছড়িতে ৫০টি চাহিদার বিপরীতে ২০টি, হাটহাজারীতে ৫০টির স্থলে ৪০, লোহাগাড়ায় ৫০টির স্থলে ২০, মিরসরাইয়ে ৫০টির বিপরীতে ২০, পটিয়ায় ১০০ চাহিদার বিপরীতে ৩০, রাঙ্গুনিয়ায় চাহিদার সব কটি রয়েছে (২০টি), রাউজানে ৫০টির স্থলে ২০, সন্দ্বীপে ৩০ এর স্থলে ২০, সাতকানিয়ায় ৫০ এর বিপরীতে ১০, সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০টির স্থলে ৩০ এবং চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ১০০ ভায়াল চাহিদার বিপরীতে রয়েছে ৪০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম। সব মিলিয়ে উল্লিখিত এলাকাগুলোতে ৪২০ ভায়াল অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি রয়েছে।
চমেক হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৪ সালে সাপের দংশনে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ২৮৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৩ জন। অ্যান্টিভেনম পেয়েছিল মাত্র ৫২ জন। দেশে প্রতিবছর বর্ষায় চন্দ্রবোড়া, গোখরা, কাল কেউটে, কিং কোবরা ও সবুজ বোড়ার মতো সাপের কামড়ের ঘটনা বাড়ে। চিকিৎসকের বদলে কবিরাজ বা ঝাড়ফুঁকের ওপর নির্ভরতার কারণে দেশে প্রতিবছর ছয় হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্ন্যাকস রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মাহদী হিমু বলেন, ‘সাপের কামড়ে চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত ঘটছে মানুষের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা। আমাদের পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকাই এসব প্রাণহানির জন্য দায়ী। এর সঙ্গে মফস্বল এলাকায় স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতাও উল্লেখ করার মতো।’

চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা রোগীদের জন্য চাহিদার অর্ধেকও নেই প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের বাঁচানো যায় না। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (১০ মাস) ১ হাজার ৭১১ জনকে সাপে কেটেছে। সেই হিসাবে এই ১০ মাসে জেলায় গড়ে সাপে কেটেছে ১৭১ জনকে। এ সময় কতজন সাপে কাটা রোগী মারা গেছে, সেই হিসাবে কারও কাছে পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি উপজেলা ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা রয়েছে ৭৬০ ভায়াল; অথচ মজুত আছে ৩৪০। সেই হিসাবে চাহিদার মাত্র ৪৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভায়াল মজুত রয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় প্রতিষেধক কম থাকলেও এতে কোনো সমস্যা হয় না। কারণ, যেকোনো সময় প্রতিষেধক চাইলেই আমরা কিনতে পারি।’
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উল্লিখিত ১০ মাসে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬৬, বাঁশখালীতে ১৬৫, বোয়ালখালীতে ২৩০, চন্দনাইশে ১৩, দোহাজারীতে ১৭, ফটিকছড়িতে ৫৭, হাটহাজারীতে ২৭, লোহাগাড়ায় ৯৩, মিরসরাইয়ে ২৮৮, পটিয়ায় ২০৮, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৫, রাউজানে ১১১, সন্দ্বীপে ৫৬, সাতকানিয়ায় ৪৭ ও সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯৮ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়।
এদিকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা ৫০ ভায়াল। এর মধ্যে মজুত রয়েছে ২০ ভায়াল। বাঁশখালীতে ৪০টি চাহিদার জায়গায় রয়েছে ১০টি, বোয়ালখালীতে ৫০টি চাহিদার বিপরীতে ১০, চন্দনাইশে ১০ চাহিদার বিপরীতে ২০টি, দোহাজারীতে ১০টি চাহিদার স্থলে মজুত ১০টি, ফটিকছড়িতে ৫০টি চাহিদার বিপরীতে ২০টি, হাটহাজারীতে ৫০টির স্থলে ৪০, লোহাগাড়ায় ৫০টির স্থলে ২০, মিরসরাইয়ে ৫০টির বিপরীতে ২০, পটিয়ায় ১০০ চাহিদার বিপরীতে ৩০, রাঙ্গুনিয়ায় চাহিদার সব কটি রয়েছে (২০টি), রাউজানে ৫০টির স্থলে ২০, সন্দ্বীপে ৩০ এর স্থলে ২০, সাতকানিয়ায় ৫০ এর বিপরীতে ১০, সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০টির স্থলে ৩০ এবং চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ১০০ ভায়াল চাহিদার বিপরীতে রয়েছে ৪০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম। সব মিলিয়ে উল্লিখিত এলাকাগুলোতে ৪২০ ভায়াল অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি রয়েছে।
চমেক হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৪ সালে সাপের দংশনে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ২৮৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৩ জন। অ্যান্টিভেনম পেয়েছিল মাত্র ৫২ জন। দেশে প্রতিবছর বর্ষায় চন্দ্রবোড়া, গোখরা, কাল কেউটে, কিং কোবরা ও সবুজ বোড়ার মতো সাপের কামড়ের ঘটনা বাড়ে। চিকিৎসকের বদলে কবিরাজ বা ঝাড়ফুঁকের ওপর নির্ভরতার কারণে দেশে প্রতিবছর ছয় হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্ন্যাকস রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মাহদী হিমু বলেন, ‘সাপের কামড়ে চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত ঘটছে মানুষের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা। আমাদের পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকাই এসব প্রাণহানির জন্য দায়ী। এর সঙ্গে মফস্বল এলাকায় স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতাও উল্লেখ করার মতো।’

জন ভোগান্তিতে কমাতে বহুল প্রত্যাশিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করে এবং কাজ অসমাপ্ত রেখে বাস চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম এই লেন নির্মাণকাজ শুরুর এক যুগ পর আজ রোববার সকালে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকা জুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ।
৪ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা। সেতুর কাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের অবহেলায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ বন্ধ থাকায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সেতুর কারণে গ্রামীণ সড়কটি দিয়ে স্বাভাবিক চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) দাবি, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একদিকে সড়কের অবস্থা বেহাল। আরেক দিকে সংযোগবিহীন সেতু। সড়ক না থাকায় ওই পথে ছোট-বড় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমনকি হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল-রিকশায় করে যাতায়াতেরও সুযোগ নেই। এতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ বিপাকে পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেতু-সংশ্লিষ্ট সড়কের সুবিধাভোগী অন্তত দেড় শ পরিবারের লোকজন।
উপজেলার পিআইওর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকায় ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৭ টাকা ব্যয়ে ১১ মিটার সেতুর নির্মাণকাজ করা হয়। কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বিল নিয়ে সেতু নির্মাণকাজ শেষ করলেও মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই কাজ বন্ধ রাখে। চূড়ান্ত বিল না নিয়ে কাজ ফেলে রেখে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তারা উধাও রয়েছে।
দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন ও নুরনবী বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ হলেও মাটি ভরাট না করি কাজ ফেলে রাখা হইছে। সামনে গর্ত করি রাখছে। কিন্তু মাটি ভরাট না করায় আমরা চলাচল করতে পারতেছি না।’
স্থানীয় নারী বিলকিস বলেন, ‘সেতু হইছে কিন্তু সেতু দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। সেতুর নিচ দিয়ে পারাপার হওয়া লাগে। গাড়ি তো চলে না। কেউ অসুস্থ হলে বিপদ আরও বেশি হয়। এ ছাড়া একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। তখন ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া-আসায় খুব সমস্যা হয়।
জানতে চাইলে চিলমারী উপজেলার পিআইও মো. সোহেল রহমান বলেন, সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা চলে আসায় মাটি পাওয়া যায়নি। ফলে এই অবস্থায় পড়ে আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংযোগ সড়ক মেরামত করে সেতুটি যাতায়াতের উপযোগী করা হবে।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা। সেতুর কাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের অবহেলায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ বন্ধ থাকায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সেতুর কারণে গ্রামীণ সড়কটি দিয়ে স্বাভাবিক চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) দাবি, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একদিকে সড়কের অবস্থা বেহাল। আরেক দিকে সংযোগবিহীন সেতু। সড়ক না থাকায় ওই পথে ছোট-বড় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমনকি হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল-রিকশায় করে যাতায়াতেরও সুযোগ নেই। এতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ বিপাকে পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেতু-সংশ্লিষ্ট সড়কের সুবিধাভোগী অন্তত দেড় শ পরিবারের লোকজন।
উপজেলার পিআইওর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকায় ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৭ টাকা ব্যয়ে ১১ মিটার সেতুর নির্মাণকাজ করা হয়। কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বিল নিয়ে সেতু নির্মাণকাজ শেষ করলেও মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই কাজ বন্ধ রাখে। চূড়ান্ত বিল না নিয়ে কাজ ফেলে রেখে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তারা উধাও রয়েছে।
দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন ও নুরনবী বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ হলেও মাটি ভরাট না করি কাজ ফেলে রাখা হইছে। সামনে গর্ত করি রাখছে। কিন্তু মাটি ভরাট না করায় আমরা চলাচল করতে পারতেছি না।’
স্থানীয় নারী বিলকিস বলেন, ‘সেতু হইছে কিন্তু সেতু দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। সেতুর নিচ দিয়ে পারাপার হওয়া লাগে। গাড়ি তো চলে না। কেউ অসুস্থ হলে বিপদ আরও বেশি হয়। এ ছাড়া একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। তখন ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া-আসায় খুব সমস্যা হয়।
জানতে চাইলে চিলমারী উপজেলার পিআইও মো. সোহেল রহমান বলেন, সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা চলে আসায় মাটি পাওয়া যায়নি। ফলে এই অবস্থায় পড়ে আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংযোগ সড়ক মেরামত করে সেতুটি যাতায়াতের উপযোগী করা হবে।

জন ভোগান্তিতে কমাতে বহুল প্রত্যাশিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করে এবং কাজ অসমাপ্ত রেখে বাস চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম এই লেন নির্মাণকাজ শুরুর এক যুগ পর আজ রোববার সকালে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকা জুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা রোগীদের জন্য চাহিদার অর্ধেকও নেই প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের বাঁচানো যায় না। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ...
৪ ঘণ্টা আগে