রাতুল মণ্ডল, (শ্রীপুর) গাজীপুর

পুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ভোরের আলো ফুটতেই একের পর এক টাটকা সবজি বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভিড়তে শুরু করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। প্রাচীন বরমী বাজার ঘাট এটি। যেখানে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শাকসবজি।
এ হাট থেকে কৃষকদের টাটকা শাকসবজি যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিবছরের মতো এ বছর শাকসবজির দাম কম থাকার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
হাটে আগত ও স্থানীয় প্রবীণেরা জানান, শ্রীপুর উপজেলার সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন হাট এটি। প্রাচীন হাটটির সঙ্গে পরিচয় আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের। শীতকাল এলেই শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বসে বিশাল এ শাকসবজির হাট।
আজ বুধবার সকালে হাট বরমীতে গেলে চোখে পড়ে, ভোরের সূর্য উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও, হোসেনপুর উপজেলা কৃষকেরা নৌকায় টাটকা শাকসবজি নিয়ে হাটে আসছেন। এ সময় দূর থেকে দেখলে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরকে মনে হয় একটি ফুলবাগান। আর সেই বাগানে বিভিন্ন বাহারি রঙের ফুট ফুটেছে। কিন্তু গেলে দেখা যায় লাল আলু, টমেটোসহ নানান শাকসবজির পসারা সাজিয়ে বসেছে স্থানীয় কৃষকেরা।
দূরদূরান্তর পাইকারেরা দরদাম করে টাটকা শাকসবজি কিনে নিচ্ছেন। সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে লাল আলু, টমেটো, সাদা আলু, কাঁচা মরিচ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, মুলা, লাউসহ শীতকালীন টাটকা শাকসবজি। কৃষক ও পাইকারেরা জানান কোনো ধরনের খাজনা ছাড়া শীতলক্ষ্যার তীরে টাটকা শাকসবজি বেচাকেনা চলে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত।

গফরগাঁও উপজেলার কৃষক গিয়াসউদ্দিন জানান, এ বছর চার বিঘা জমিতে আলু, টমেটো ও কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। ফলন মোটামুটি ভালো। প্রতিবছরের মতো এ বছর শাকসবজি দাম নেই। তবুও খুশি তিনি ভালো ফলনে। প্রায় প্রতিবছর বরমীর হাটে শাকসবজি বিক্রি করতে আসেন। এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকার শাকসবজি বিক্রি করছেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘শুধু আমি না, আমাদের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি বরমী বাজারে বিক্রি করতে আসে।’
আলু, টমেটো বিক্রি করতে এসেছেন কৃষক মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘শীতলক্ষ্যা তীরে শাকসবজি বিক্রি করতে আমাদের অনেক সুবিধা। নৌকা থেকে তীরে উঠিয়ে সাজিয়ে রাখি। এরপর পাইকারেরা দরদাম করে নিয়ে যায়। এখানে শাকসবজি বিক্রি করতে কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না।’

কৃষক হাফেজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শাকসবজি খুবই ভালো। শাকসবজি উৎপাদন করতে আমরা ক্ষতিকারক কিছু ব্যবহার করি না। জৈব সার প্রয়োগ করি জমিতে। বীজ উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম খুবই কম। এ জন্য কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দাম ভালো হলে কৃষক লাভের মুখ দেখত।’
পাইকার সোহেল মিয়া বলেন, ‘টাটকা শাকসবজি কিনতে প্রতি বুধবার বরমী বাজারের শীতলক্ষ্যা তীরে আসি। টাটকা শাকসবজির কদর ভালো বলে এখান থেকে শাকসবজি কিনে ঢাকায় বিক্রি করি। এখানে শাকসবজি খুবই ভালো। টাটকা শাকসবজির তুলনায় দামও একটু কম।’
বরমী বাজারের শীতলক্ষ্যা তীরের আড়তদার আব্দুল কাদির বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীতীরে প্রতিদিন বসে টাটকা শাকসবজি হাট। দুই ঘণ্টা চলে বেচাকেনা। অল্প সময়ে এই হাটে লাখ লাখ টাকার টাটকা শাকসবজি বিক্রি হয়। সপ্তাহে এক দিন শাকসবজি বিক্রি করতে কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না কৃষকদের। সপ্তাহে বুধবার ছাড়াও প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি বিক্রি হয়। দূরদূরান্তর পাইকারেরা শাকসবজি কিনে নিয়ে যায়। নদীর তীরে বাজার বসার কারণে মালামাল ওঠানামা করা খুবই সহজ। তাই কৃষকেরা শীতলক্ষ্যা তীরে শাকসবজি নিয়ে আসে।

পুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ভোরের আলো ফুটতেই একের পর এক টাটকা সবজি বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভিড়তে শুরু করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। প্রাচীন বরমী বাজার ঘাট এটি। যেখানে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শাকসবজি।
এ হাট থেকে কৃষকদের টাটকা শাকসবজি যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিবছরের মতো এ বছর শাকসবজির দাম কম থাকার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
হাটে আগত ও স্থানীয় প্রবীণেরা জানান, শ্রীপুর উপজেলার সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন হাট এটি। প্রাচীন হাটটির সঙ্গে পরিচয় আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের। শীতকাল এলেই শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বসে বিশাল এ শাকসবজির হাট।
আজ বুধবার সকালে হাট বরমীতে গেলে চোখে পড়ে, ভোরের সূর্য উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও, হোসেনপুর উপজেলা কৃষকেরা নৌকায় টাটকা শাকসবজি নিয়ে হাটে আসছেন। এ সময় দূর থেকে দেখলে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরকে মনে হয় একটি ফুলবাগান। আর সেই বাগানে বিভিন্ন বাহারি রঙের ফুট ফুটেছে। কিন্তু গেলে দেখা যায় লাল আলু, টমেটোসহ নানান শাকসবজির পসারা সাজিয়ে বসেছে স্থানীয় কৃষকেরা।
দূরদূরান্তর পাইকারেরা দরদাম করে টাটকা শাকসবজি কিনে নিচ্ছেন। সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে লাল আলু, টমেটো, সাদা আলু, কাঁচা মরিচ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, মুলা, লাউসহ শীতকালীন টাটকা শাকসবজি। কৃষক ও পাইকারেরা জানান কোনো ধরনের খাজনা ছাড়া শীতলক্ষ্যার তীরে টাটকা শাকসবজি বেচাকেনা চলে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত।

গফরগাঁও উপজেলার কৃষক গিয়াসউদ্দিন জানান, এ বছর চার বিঘা জমিতে আলু, টমেটো ও কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। ফলন মোটামুটি ভালো। প্রতিবছরের মতো এ বছর শাকসবজি দাম নেই। তবুও খুশি তিনি ভালো ফলনে। প্রায় প্রতিবছর বরমীর হাটে শাকসবজি বিক্রি করতে আসেন। এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকার শাকসবজি বিক্রি করছেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘শুধু আমি না, আমাদের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি বরমী বাজারে বিক্রি করতে আসে।’
আলু, টমেটো বিক্রি করতে এসেছেন কৃষক মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘শীতলক্ষ্যা তীরে শাকসবজি বিক্রি করতে আমাদের অনেক সুবিধা। নৌকা থেকে তীরে উঠিয়ে সাজিয়ে রাখি। এরপর পাইকারেরা দরদাম করে নিয়ে যায়। এখানে শাকসবজি বিক্রি করতে কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না।’

কৃষক হাফেজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শাকসবজি খুবই ভালো। শাকসবজি উৎপাদন করতে আমরা ক্ষতিকারক কিছু ব্যবহার করি না। জৈব সার প্রয়োগ করি জমিতে। বীজ উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম খুবই কম। এ জন্য কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দাম ভালো হলে কৃষক লাভের মুখ দেখত।’
পাইকার সোহেল মিয়া বলেন, ‘টাটকা শাকসবজি কিনতে প্রতি বুধবার বরমী বাজারের শীতলক্ষ্যা তীরে আসি। টাটকা শাকসবজির কদর ভালো বলে এখান থেকে শাকসবজি কিনে ঢাকায় বিক্রি করি। এখানে শাকসবজি খুবই ভালো। টাটকা শাকসবজির তুলনায় দামও একটু কম।’
বরমী বাজারের শীতলক্ষ্যা তীরের আড়তদার আব্দুল কাদির বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীতীরে প্রতিদিন বসে টাটকা শাকসবজি হাট। দুই ঘণ্টা চলে বেচাকেনা। অল্প সময়ে এই হাটে লাখ লাখ টাকার টাটকা শাকসবজি বিক্রি হয়। সপ্তাহে এক দিন শাকসবজি বিক্রি করতে কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না কৃষকদের। সপ্তাহে বুধবার ছাড়াও প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি বিক্রি হয়। দূরদূরান্তর পাইকারেরা শাকসবজি কিনে নিয়ে যায়। নদীর তীরে বাজার বসার কারণে মালামাল ওঠানামা করা খুবই সহজ। তাই কৃষকেরা শীতলক্ষ্যা তীরে শাকসবজি নিয়ে আসে।
রাতুল মণ্ডল, (শ্রীপুর) গাজীপুর

পুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ভোরের আলো ফুটতেই একের পর এক টাটকা সবজি বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভিড়তে শুরু করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। প্রাচীন বরমী বাজার ঘাট এটি। যেখানে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শাকসবজি।
এ হাট থেকে কৃষকদের টাটকা শাকসবজি যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিবছরের মতো এ বছর শাকসবজির দাম কম থাকার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
হাটে আগত ও স্থানীয় প্রবীণেরা জানান, শ্রীপুর উপজেলার সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন হাট এটি। প্রাচীন হাটটির সঙ্গে পরিচয় আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের। শীতকাল এলেই শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বসে বিশাল এ শাকসবজির হাট।
আজ বুধবার সকালে হাট বরমীতে গেলে চোখে পড়ে, ভোরের সূর্য উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও, হোসেনপুর উপজেলা কৃষকেরা নৌকায় টাটকা শাকসবজি নিয়ে হাটে আসছেন। এ সময় দূর থেকে দেখলে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরকে মনে হয় একটি ফুলবাগান। আর সেই বাগানে বিভিন্ন বাহারি রঙের ফুট ফুটেছে। কিন্তু গেলে দেখা যায় লাল আলু, টমেটোসহ নানান শাকসবজির পসারা সাজিয়ে বসেছে স্থানীয় কৃষকেরা।
দূরদূরান্তর পাইকারেরা দরদাম করে টাটকা শাকসবজি কিনে নিচ্ছেন। সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে লাল আলু, টমেটো, সাদা আলু, কাঁচা মরিচ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, মুলা, লাউসহ শীতকালীন টাটকা শাকসবজি। কৃষক ও পাইকারেরা জানান কোনো ধরনের খাজনা ছাড়া শীতলক্ষ্যার তীরে টাটকা শাকসবজি বেচাকেনা চলে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত।

গফরগাঁও উপজেলার কৃষক গিয়াসউদ্দিন জানান, এ বছর চার বিঘা জমিতে আলু, টমেটো ও কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। ফলন মোটামুটি ভালো। প্রতিবছরের মতো এ বছর শাকসবজি দাম নেই। তবুও খুশি তিনি ভালো ফলনে। প্রায় প্রতিবছর বরমীর হাটে শাকসবজি বিক্রি করতে আসেন। এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকার শাকসবজি বিক্রি করছেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘শুধু আমি না, আমাদের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি বরমী বাজারে বিক্রি করতে আসে।’
আলু, টমেটো বিক্রি করতে এসেছেন কৃষক মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘শীতলক্ষ্যা তীরে শাকসবজি বিক্রি করতে আমাদের অনেক সুবিধা। নৌকা থেকে তীরে উঠিয়ে সাজিয়ে রাখি। এরপর পাইকারেরা দরদাম করে নিয়ে যায়। এখানে শাকসবজি বিক্রি করতে কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না।’

কৃষক হাফেজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শাকসবজি খুবই ভালো। শাকসবজি উৎপাদন করতে আমরা ক্ষতিকারক কিছু ব্যবহার করি না। জৈব সার প্রয়োগ করি জমিতে। বীজ উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম খুবই কম। এ জন্য কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দাম ভালো হলে কৃষক লাভের মুখ দেখত।’
পাইকার সোহেল মিয়া বলেন, ‘টাটকা শাকসবজি কিনতে প্রতি বুধবার বরমী বাজারের শীতলক্ষ্যা তীরে আসি। টাটকা শাকসবজির কদর ভালো বলে এখান থেকে শাকসবজি কিনে ঢাকায় বিক্রি করি। এখানে শাকসবজি খুবই ভালো। টাটকা শাকসবজির তুলনায় দামও একটু কম।’
বরমী বাজারের শীতলক্ষ্যা তীরের আড়তদার আব্দুল কাদির বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীতীরে প্রতিদিন বসে টাটকা শাকসবজি হাট। দুই ঘণ্টা চলে বেচাকেনা। অল্প সময়ে এই হাটে লাখ লাখ টাকার টাটকা শাকসবজি বিক্রি হয়। সপ্তাহে এক দিন শাকসবজি বিক্রি করতে কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না কৃষকদের। সপ্তাহে বুধবার ছাড়াও প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি বিক্রি হয়। দূরদূরান্তর পাইকারেরা শাকসবজি কিনে নিয়ে যায়। নদীর তীরে বাজার বসার কারণে মালামাল ওঠানামা করা খুবই সহজ। তাই কৃষকেরা শীতলক্ষ্যা তীরে শাকসবজি নিয়ে আসে।

পুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ভোরের আলো ফুটতেই একের পর এক টাটকা সবজি বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভিড়তে শুরু করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। প্রাচীন বরমী বাজার ঘাট এটি। যেখানে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শাকসবজি।
এ হাট থেকে কৃষকদের টাটকা শাকসবজি যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিবছরের মতো এ বছর শাকসবজির দাম কম থাকার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
হাটে আগত ও স্থানীয় প্রবীণেরা জানান, শ্রীপুর উপজেলার সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন হাট এটি। প্রাচীন হাটটির সঙ্গে পরিচয় আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের। শীতকাল এলেই শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বসে বিশাল এ শাকসবজির হাট।
আজ বুধবার সকালে হাট বরমীতে গেলে চোখে পড়ে, ভোরের সূর্য উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও, হোসেনপুর উপজেলা কৃষকেরা নৌকায় টাটকা শাকসবজি নিয়ে হাটে আসছেন। এ সময় দূর থেকে দেখলে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরকে মনে হয় একটি ফুলবাগান। আর সেই বাগানে বিভিন্ন বাহারি রঙের ফুট ফুটেছে। কিন্তু গেলে দেখা যায় লাল আলু, টমেটোসহ নানান শাকসবজির পসারা সাজিয়ে বসেছে স্থানীয় কৃষকেরা।
দূরদূরান্তর পাইকারেরা দরদাম করে টাটকা শাকসবজি কিনে নিচ্ছেন। সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে লাল আলু, টমেটো, সাদা আলু, কাঁচা মরিচ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, মুলা, লাউসহ শীতকালীন টাটকা শাকসবজি। কৃষক ও পাইকারেরা জানান কোনো ধরনের খাজনা ছাড়া শীতলক্ষ্যার তীরে টাটকা শাকসবজি বেচাকেনা চলে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত।

গফরগাঁও উপজেলার কৃষক গিয়াসউদ্দিন জানান, এ বছর চার বিঘা জমিতে আলু, টমেটো ও কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। ফলন মোটামুটি ভালো। প্রতিবছরের মতো এ বছর শাকসবজি দাম নেই। তবুও খুশি তিনি ভালো ফলনে। প্রায় প্রতিবছর বরমীর হাটে শাকসবজি বিক্রি করতে আসেন। এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকার শাকসবজি বিক্রি করছেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘শুধু আমি না, আমাদের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি বরমী বাজারে বিক্রি করতে আসে।’
আলু, টমেটো বিক্রি করতে এসেছেন কৃষক মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘শীতলক্ষ্যা তীরে শাকসবজি বিক্রি করতে আমাদের অনেক সুবিধা। নৌকা থেকে তীরে উঠিয়ে সাজিয়ে রাখি। এরপর পাইকারেরা দরদাম করে নিয়ে যায়। এখানে শাকসবজি বিক্রি করতে কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না।’

কৃষক হাফেজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শাকসবজি খুবই ভালো। শাকসবজি উৎপাদন করতে আমরা ক্ষতিকারক কিছু ব্যবহার করি না। জৈব সার প্রয়োগ করি জমিতে। বীজ উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম খুবই কম। এ জন্য কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দাম ভালো হলে কৃষক লাভের মুখ দেখত।’
পাইকার সোহেল মিয়া বলেন, ‘টাটকা শাকসবজি কিনতে প্রতি বুধবার বরমী বাজারের শীতলক্ষ্যা তীরে আসি। টাটকা শাকসবজির কদর ভালো বলে এখান থেকে শাকসবজি কিনে ঢাকায় বিক্রি করি। এখানে শাকসবজি খুবই ভালো। টাটকা শাকসবজির তুলনায় দামও একটু কম।’
বরমী বাজারের শীতলক্ষ্যা তীরের আড়তদার আব্দুল কাদির বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীতীরে প্রতিদিন বসে টাটকা শাকসবজি হাট। দুই ঘণ্টা চলে বেচাকেনা। অল্প সময়ে এই হাটে লাখ লাখ টাকার টাটকা শাকসবজি বিক্রি হয়। সপ্তাহে এক দিন শাকসবজি বিক্রি করতে কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না কৃষকদের। সপ্তাহে বুধবার ছাড়াও প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি বিক্রি হয়। দূরদূরান্তর পাইকারেরা শাকসবজি কিনে নিয়ে যায়। নদীর তীরে বাজার বসার কারণে মালামাল ওঠানামা করা খুবই সহজ। তাই কৃষকেরা শীতলক্ষ্যা তীরে শাকসবজি নিয়ে আসে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।
৫ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়ছে পঞ্চগড়ে। উত্তরাঞ্চলের এই জেলায় ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এর প্রভাব পড়েছে জেলার হাসপাতালগুলোতেও। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন ও রাত—দুই সময়েই শীত অনুভূত হচ্ছে প্রায় সমানভাবে।
ঘন কুয়াশার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালকেরা। মোটরসাইকেলচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এত কুয়াশায় রাস্তায় কিছুই দেখা যায় না। খুব সাবধানে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসতে হয়েছে। শীত এলেই আমাদের এই সমস্যা হয়; ঘন কুয়াশায় সামনে কিছু বোঝা যায় না।’
আরেক মোটরসাইকেলচালক আব্দুল মালেক জানান, কুয়াশা এত বেশি যে হেডলাইট জ্বালিয়েও রাস্তা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। সামান্য অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। সকালে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। অটোরিকশাচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের কারণে লোকজন বাইরে বের হয় না। যাত্রী নাই, ভাড়াও নাই। খুব কষ্টে আছি, কিন্তু বের না হয়েও পারি না; সংসার চালাতে হবে।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। আজ সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা প্রশাসক কাজী সাইমুজ্জামান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ১৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এসব শীতবস্ত্র প্রতিটি উপজেলায় সমানভাবে ভাগ করে শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়ছে পঞ্চগড়ে। উত্তরাঞ্চলের এই জেলায় ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এর প্রভাব পড়েছে জেলার হাসপাতালগুলোতেও। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন ও রাত—দুই সময়েই শীত অনুভূত হচ্ছে প্রায় সমানভাবে।
ঘন কুয়াশার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালকেরা। মোটরসাইকেলচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এত কুয়াশায় রাস্তায় কিছুই দেখা যায় না। খুব সাবধানে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসতে হয়েছে। শীত এলেই আমাদের এই সমস্যা হয়; ঘন কুয়াশায় সামনে কিছু বোঝা যায় না।’
আরেক মোটরসাইকেলচালক আব্দুল মালেক জানান, কুয়াশা এত বেশি যে হেডলাইট জ্বালিয়েও রাস্তা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। সামান্য অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। সকালে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। অটোরিকশাচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের কারণে লোকজন বাইরে বের হয় না। যাত্রী নাই, ভাড়াও নাই। খুব কষ্টে আছি, কিন্তু বের না হয়েও পারি না; সংসার চালাতে হবে।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। আজ সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা প্রশাসক কাজী সাইমুজ্জামান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ১৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এসব শীতবস্ত্র প্রতিটি উপজেলায় সমানভাবে ভাগ করে শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

পুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ভোরের আলো ফুটতেই একের পর এক টাটকা সবজি বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভিড়তে শুরু করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন বরমী বাজার ঘাট এটি। যেখানে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শাকসবজি।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।
৫ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগেসুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে এসব বনজীবী জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
মৎস্যজীবী সমিতির নেতা ও জেলে মহাজনেরা সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে মৌসুমভিত্তিক দুটি ভাসমান হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি বনরক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরও।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন চারটি রেঞ্জ ও সাগর উপকূলে সাধারণত মৌসুমভিত্তিক বনজীবীদের আগমন ঘটে। এর মধ্যে ইলিশ, শুঁটকি, গোলপাতা, মধু ও মোম আহরণ মৌসুম উল্লেখযোগ্য। সুন্দরবন ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শুঁটকি মৌসুম, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ইলিশ, মধু ও মোম মৌসুম এবং বছরের অন্য সময় গোলপাতা আহরণ মৌসুম থাকায় প্রায় বছরজুড়ে জীবিকার টানে ছুটে আসে জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালসহ নানা পেশার লোকজন। এ সময় বিশুদ্ধ পানি ও সুচিকিৎসার অভাবে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তা ছাড়া বাঘ, কুমির, বিষধর সাপসহ বিভিন্ন হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ হয় প্রতিনিয়ত।
সূত্র আরও জানায়, মোংলা থেকে নদীপথে দুবলা জেলেপল্লির দূরত্ব প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল। প্রত্যন্ত এ স্থানে কোনোভাবে আক্রান্ত হলে বনজীবীদের গহিন বন থেকে ট্রলারে করে হাসপাতালে নিতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লাগে। যার কারণে অনেক সময় চিকিৎসার অভাবে বনজীবীদের পথে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
বন বিভাগ সূত্র আরও জানায়, এসব অবহেলিত দরিদ্র শ্রেণির কথা চিন্তা করে ১৯৯৩ সালে আন্তমন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত এক বৈঠকে সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় তিনটি মিনি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের কথা বলা হয়। কিন্তু সেটা শুধু আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছরেও এ নিয়ে বন বিভাগ বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা বা কোনো প্রস্তাবনা আসেনি। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বন বিভাগ সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করে। কিন্তু ১৫ বছর পার হওয়ার পরও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর জানা যায়নি।
১৯ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদক সুন্দরবনের দুবলার চরে গিয়ে অন্তত ৩০ জেলের সঙ্গে কথা বলেন। মঠবাড়িয়ার সেলিম পাটোয়ারী, পাইকগাছার আলমগীর হোসেন, মোংলার নজরুল ইসলামসহ একাধিক জেলে জানান, মেহের আলীর চর, আলোর কোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, কবরখালী, ছাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদেখালী চরে ৫-৬টি ফার্মেসি আছে। তবে কোনো চিকিৎসক নেই। জ্বর বা ডায়রিয়ার ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধও সচরাচর মেলে না। তাঁরা বলেন, ‘এসব জায়গায় কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে অথবা হাত-পা কেটে গেলে আল্লাহকে ডাকা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকে না।’
শরণখোলা মৎস্যজীবী ও মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘সারা বছর ইলিশ মৌসুম, শুঁটকি মৌসুম, গোলপাতা মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে লক্ষাধিক বনজীবী সুন্দরবনে আসে। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে তাদের চিকিৎসার জন্য সরকার বা বন বিভাগের কোনো ব্যবস্থা নেই। বহু আগে শুনেছিলাম হাসপাতাল হবে। কিন্তু তা যে কবে হবে কেউ তা বলতে পারে না।’
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত সুন্দরবনের বার্ষিক রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে এই অবহেলিত বনজীবীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। যার কারণে তাঁদের স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি বা আদৌ হবে কি না, সংশ্লিষ্টরা সেই বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো কিছু বলতে পারছে না।’
সুন্দরবন রক্ষায় যাঁরা কর্মরত সেসব বনরক্ষীর চিকিৎসার জন্যও একই রকম সমস্যা দেখা যায়। করমজল বন্য প্রাণী ও কুমির প্রজনন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সুন্দরবনে জলে কুমির ডাঙায় বাঘসহ বিষাক্ত সাপ রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। ফলে বন্য প্রাণীর আক্রমণে কেউ আহতে হলে চিকিৎসার জন্য বনরক্ষীদের লোকালয় অথবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়। নৌকা বা ট্রলার ছাড়া যাতায়াতের অন্য কোনো মাধ্যম না থাকায় নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বনের অনেক দূরবর্তী ও দুর্গম স্থান রয়েছে, যেখান থেকে ট্রলারে বা নৌকা করে লোকালয়ে আসতে ১৪-১৫ ঘণ্টা লাগে। সুন্দরবনে যদি রেসকিউ বোট থাকত, তাহলে সবার জন্য খুবই উপকার হতো। একই সঙ্গে ভাসমান হাসপাতাল হলে আমরাও খুবই উপকৃত হতাম।’
এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু বনজীবী নয় সুন্দরবনের দুর্গম এলাকায় যেসব বনরক্ষী কাজ
করেন, তাঁদের চিকিৎসাসেবায়ও হাসপাতালের খুব প্রয়োজন। দুই বছর আগে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবেন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজ করছেন। যদিও সেটি কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নয় এবং বনজীবী ও বনকর্মীদের সংখ্যার তুলনায় সেটা খুবই অপ্রতুল। তবে সুন্দবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের জন্য মৌসুমভিত্তিক দুটি ভাসমান হাসপাতালের ব্যবস্থার জন্য আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকারের অর্থায়নে ২০২৮ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার আশা করছি।’

সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে এসব বনজীবী জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
মৎস্যজীবী সমিতির নেতা ও জেলে মহাজনেরা সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে মৌসুমভিত্তিক দুটি ভাসমান হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি বনরক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরও।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন চারটি রেঞ্জ ও সাগর উপকূলে সাধারণত মৌসুমভিত্তিক বনজীবীদের আগমন ঘটে। এর মধ্যে ইলিশ, শুঁটকি, গোলপাতা, মধু ও মোম আহরণ মৌসুম উল্লেখযোগ্য। সুন্দরবন ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শুঁটকি মৌসুম, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ইলিশ, মধু ও মোম মৌসুম এবং বছরের অন্য সময় গোলপাতা আহরণ মৌসুম থাকায় প্রায় বছরজুড়ে জীবিকার টানে ছুটে আসে জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালসহ নানা পেশার লোকজন। এ সময় বিশুদ্ধ পানি ও সুচিকিৎসার অভাবে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তা ছাড়া বাঘ, কুমির, বিষধর সাপসহ বিভিন্ন হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ হয় প্রতিনিয়ত।
সূত্র আরও জানায়, মোংলা থেকে নদীপথে দুবলা জেলেপল্লির দূরত্ব প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল। প্রত্যন্ত এ স্থানে কোনোভাবে আক্রান্ত হলে বনজীবীদের গহিন বন থেকে ট্রলারে করে হাসপাতালে নিতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লাগে। যার কারণে অনেক সময় চিকিৎসার অভাবে বনজীবীদের পথে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
বন বিভাগ সূত্র আরও জানায়, এসব অবহেলিত দরিদ্র শ্রেণির কথা চিন্তা করে ১৯৯৩ সালে আন্তমন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত এক বৈঠকে সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় তিনটি মিনি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের কথা বলা হয়। কিন্তু সেটা শুধু আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছরেও এ নিয়ে বন বিভাগ বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা বা কোনো প্রস্তাবনা আসেনি। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বন বিভাগ সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করে। কিন্তু ১৫ বছর পার হওয়ার পরও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর জানা যায়নি।
১৯ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদক সুন্দরবনের দুবলার চরে গিয়ে অন্তত ৩০ জেলের সঙ্গে কথা বলেন। মঠবাড়িয়ার সেলিম পাটোয়ারী, পাইকগাছার আলমগীর হোসেন, মোংলার নজরুল ইসলামসহ একাধিক জেলে জানান, মেহের আলীর চর, আলোর কোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, কবরখালী, ছাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদেখালী চরে ৫-৬টি ফার্মেসি আছে। তবে কোনো চিকিৎসক নেই। জ্বর বা ডায়রিয়ার ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধও সচরাচর মেলে না। তাঁরা বলেন, ‘এসব জায়গায় কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে অথবা হাত-পা কেটে গেলে আল্লাহকে ডাকা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকে না।’
শরণখোলা মৎস্যজীবী ও মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘সারা বছর ইলিশ মৌসুম, শুঁটকি মৌসুম, গোলপাতা মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে লক্ষাধিক বনজীবী সুন্দরবনে আসে। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে তাদের চিকিৎসার জন্য সরকার বা বন বিভাগের কোনো ব্যবস্থা নেই। বহু আগে শুনেছিলাম হাসপাতাল হবে। কিন্তু তা যে কবে হবে কেউ তা বলতে পারে না।’
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত সুন্দরবনের বার্ষিক রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে এই অবহেলিত বনজীবীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। যার কারণে তাঁদের স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি বা আদৌ হবে কি না, সংশ্লিষ্টরা সেই বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো কিছু বলতে পারছে না।’
সুন্দরবন রক্ষায় যাঁরা কর্মরত সেসব বনরক্ষীর চিকিৎসার জন্যও একই রকম সমস্যা দেখা যায়। করমজল বন্য প্রাণী ও কুমির প্রজনন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সুন্দরবনে জলে কুমির ডাঙায় বাঘসহ বিষাক্ত সাপ রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। ফলে বন্য প্রাণীর আক্রমণে কেউ আহতে হলে চিকিৎসার জন্য বনরক্ষীদের লোকালয় অথবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়। নৌকা বা ট্রলার ছাড়া যাতায়াতের অন্য কোনো মাধ্যম না থাকায় নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বনের অনেক দূরবর্তী ও দুর্গম স্থান রয়েছে, যেখান থেকে ট্রলারে বা নৌকা করে লোকালয়ে আসতে ১৪-১৫ ঘণ্টা লাগে। সুন্দরবনে যদি রেসকিউ বোট থাকত, তাহলে সবার জন্য খুবই উপকার হতো। একই সঙ্গে ভাসমান হাসপাতাল হলে আমরাও খুবই উপকৃত হতাম।’
এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু বনজীবী নয় সুন্দরবনের দুর্গম এলাকায় যেসব বনরক্ষী কাজ
করেন, তাঁদের চিকিৎসাসেবায়ও হাসপাতালের খুব প্রয়োজন। দুই বছর আগে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবেন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজ করছেন। যদিও সেটি কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নয় এবং বনজীবী ও বনকর্মীদের সংখ্যার তুলনায় সেটা খুবই অপ্রতুল। তবে সুন্দবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের জন্য মৌসুমভিত্তিক দুটি ভাসমান হাসপাতালের ব্যবস্থার জন্য আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকারের অর্থায়নে ২০২৮ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার আশা করছি।’

পুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ভোরের আলো ফুটতেই একের পর এক টাটকা সবজি বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভিড়তে শুরু করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন বরমী বাজার ঘাট এটি। যেখানে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শাকসবজি।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগেমো. মাসুম, টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ)

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে কৃষিজমিতে পানি জমে থাকায় সময়মতো আলু রোপণসহ বিভিন্ন কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে খালগুলোতে পানি জমে থাকলেও তা সঠিকভাবে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জমি দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকে। এতে আলু, শাকসবজি ও অন্যান্য রবিশস্য চাষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সময়মতো রোপণ করতে না পারায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে এবং অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছেন কৃষকেরা। খাল দখল ও দূষণের কারণে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থার অবনতি শুধু পরিবেশগত সংকট নয়, বরং আলু চাষসহ সামগ্রিক কৃষি উৎপাদনেও বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে। দ্রুত সমাধানের আশায় দিন গুনছেন এলাকার কৃষকেরা।
কৃষক মো. বিপ্লব আলম বলেন, ‘আড়িয়ল বিলের অনেক জমি এখনো পানিতে ভেজা রয়েছে। ফলে আলু রোপণ সম্ভব হচ্ছে না।’
টঙ্গিবাড়ী খাল রক্ষা পরিষদের সদস্য মো. অনিক শেখ বলেন, বিভিন্ন স্থানে খালের মুখগুলো মূলত সড়ক নির্মাণ ও অবৈধ দখলের কারণে বন্ধ হয়ে আছে। এখানে যদি অন্তত স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়, তাহলে পানিনিষ্কাশন অনেকটা সচল হয়ে উঠবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পৃতীশ চন্দ্র পাল বলেন, আড়িয়ল ইউনিয়নে আবাদ অগ্রগতি তুলনামূলকভাবে কম। বিভিন্ন স্থানে খালের মুখ বন্ধ ও দখল হয়ে থাকায় পানিনিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে ওই এলাকায় চাষাবাদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মুন্সিগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া মমতাজকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে কৃষিজমিতে পানি জমে থাকায় সময়মতো আলু রোপণসহ বিভিন্ন কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে খালগুলোতে পানি জমে থাকলেও তা সঠিকভাবে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জমি দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকে। এতে আলু, শাকসবজি ও অন্যান্য রবিশস্য চাষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সময়মতো রোপণ করতে না পারায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে এবং অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছেন কৃষকেরা। খাল দখল ও দূষণের কারণে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থার অবনতি শুধু পরিবেশগত সংকট নয়, বরং আলু চাষসহ সামগ্রিক কৃষি উৎপাদনেও বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে। দ্রুত সমাধানের আশায় দিন গুনছেন এলাকার কৃষকেরা।
কৃষক মো. বিপ্লব আলম বলেন, ‘আড়িয়ল বিলের অনেক জমি এখনো পানিতে ভেজা রয়েছে। ফলে আলু রোপণ সম্ভব হচ্ছে না।’
টঙ্গিবাড়ী খাল রক্ষা পরিষদের সদস্য মো. অনিক শেখ বলেন, বিভিন্ন স্থানে খালের মুখগুলো মূলত সড়ক নির্মাণ ও অবৈধ দখলের কারণে বন্ধ হয়ে আছে। এখানে যদি অন্তত স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়, তাহলে পানিনিষ্কাশন অনেকটা সচল হয়ে উঠবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পৃতীশ চন্দ্র পাল বলেন, আড়িয়ল ইউনিয়নে আবাদ অগ্রগতি তুলনামূলকভাবে কম। বিভিন্ন স্থানে খালের মুখ বন্ধ ও দখল হয়ে থাকায় পানিনিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে ওই এলাকায় চাষাবাদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মুন্সিগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া মমতাজকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ভোরের আলো ফুটতেই একের পর এক টাটকা সবজি বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভিড়তে শুরু করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন বরমী বাজার ঘাট এটি। যেখানে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শাকসবজি।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় বিতরণ শুরু হয়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় বই দরকার ৪১ হাজার ৬৪০ সেট। আর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দরকার ১১ লাখ ১৯ হাজার ২০৪টি বই। এরই মধ্যে চাহিদার সব বই পাওয়া গেছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে বইগুলো স্কুলে স্কুলে পাঠানো শুরু হয়েছে।
এদিকে জেলা শিক্ষা কার্যালয় জানিয়েছে, জেলায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের চাহিদা প্রায় ২২ লাখ ৭ হাজার। সব বই এখনো পাওয়া যায়নি। যেগুলো এসেছে, সেগুলো উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে স্কুলে স্কুলে বিতরণ করা হচ্ছে। বাকি বই আসার পরপরই বিতরণ করা হবে।
গত বুধবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই বিতরণ করতে দেখা যায়। বই সংগ্রহ করতে আসা শিক্ষকেরা জানান, গত শিক্ষাবর্ষে তিন-চার মাস দেরিতে সম্পূর্ণ বই হাতে পাওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়েছিল। এবার শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে সব বই পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় সেগুলো বিতরণ শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট বই পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার প্রাথমিকের বই নিয়ে কোনো সংকট নেই। আমাদের চাহিদার শতভাগ বই আমরা পেয়েছি। এবার বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা হাতে নতুন বই পাবে।’
রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমান বলেন, ‘নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ পাঠ্যবই হাতে পাবে। তবে বই উৎসবের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’

রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের চাহিদার শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সব বই পৌঁছায়নি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় বিতরণ শুরু হয়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় বই দরকার ৪১ হাজার ৬৪০ সেট। আর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দরকার ১১ লাখ ১৯ হাজার ২০৪টি বই। এরই মধ্যে চাহিদার সব বই পাওয়া গেছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে বইগুলো স্কুলে স্কুলে পাঠানো শুরু হয়েছে।
এদিকে জেলা শিক্ষা কার্যালয় জানিয়েছে, জেলায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের চাহিদা প্রায় ২২ লাখ ৭ হাজার। সব বই এখনো পাওয়া যায়নি। যেগুলো এসেছে, সেগুলো উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে স্কুলে স্কুলে বিতরণ করা হচ্ছে। বাকি বই আসার পরপরই বিতরণ করা হবে।
গত বুধবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই বিতরণ করতে দেখা যায়। বই সংগ্রহ করতে আসা শিক্ষকেরা জানান, গত শিক্ষাবর্ষে তিন-চার মাস দেরিতে সম্পূর্ণ বই হাতে পাওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়েছিল। এবার শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে সব বই পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় সেগুলো বিতরণ শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট বই পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার প্রাথমিকের বই নিয়ে কোনো সংকট নেই। আমাদের চাহিদার শতভাগ বই আমরা পেয়েছি। এবার বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা হাতে নতুন বই পাবে।’
রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমান বলেন, ‘নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ পাঠ্যবই হাতে পাবে। তবে বই উৎসবের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’

পুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ভোরের আলো ফুটতেই একের পর এক টাটকা সবজি বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভিড়তে শুরু করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন বরমী বাজার ঘাট এটি। যেখানে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শাকসবজি।
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
সুন্দরবনে সারা মৌসুমে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালসহ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার জন্য যান। এদের চিকিৎসাসেবা ও জীবন রক্ষায় সুন্দরবন এলাকায় কোনো হাসপাতাল নেই। ২০১০ সালে বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুটি ভাসমান হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠালেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।
৫ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও নোংরা ও দূষিত পানির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে