Ajker Patrika

কালীগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলার আবেদন 

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭: ০১
কালীগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলার আবেদন 

গাজীপুরের কালীগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র মাহাথির মো. হিমেল খানকে (১৩) পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর মরদেহ মাদ্রাসার পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে।

মাহাথির মো. হিমেল খান গাজীপুর জেলার পুবাইলের হারবাইদ এলাকার প্রবাসী কবির খানের ছেলে। সে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। গতকাল রোববার রাতে মামা শামীম আহমেদ বাদী হয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম (পরিচালক) মুফতি মুহাম্মদুল্লাহসহ (৪৮) আরও দুইজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় মামলার জন্য আবেদন করেন। মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ পুবাইল থানার তালটিয়া এলাকার মৃত হাছেন আলীর ছেলে। 

এর আগে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের নগরভেলা এলাকার নগরভেলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে মাহাথিরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কালীগঞ্জ থানা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের সাধারণ ডায়েরিমূলে (জিডি) ঘটনাস্থল নগরভেলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এমন ধারণার কথা সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করলেও মাহাথিরের মৃত্যু আঘাতজনিত বা অন্য কোনো কারণে হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ। 

মামা শামীম আহমেদ বলেন, ‘গত শনিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে মাদ্রাসাশিক্ষক মুফতি জহিরউদ্দিন খন্দকারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে কল করে জানান মাহাথির মো. হিমেল খান অসুস্থ। তাকে নিয়ে তিনি মৈনারটেক এলাকার এস্টার হাসপাতালে যাচ্ছেন। আপনিও আসেন। খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে যাওয়ার পথে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে তেরমোখ ব্রিজের ওপরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হিমেলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে থাকা মাদ্রাসার মুহতামিম (পরিচালক) মুফতি মুহাম্মদুল্লাহর কাছে হিমেলের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সে সময় লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। পরে মাদ্রাসায় গেলে অন্য ছাত্ররা জানায় হিমেলকে মৃত অবস্থায় মাদ্রাসার পুকুর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি কালীগঞ্জ থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ থানায় নিয়ে যায়।’

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরিকল্পিতভাবে হিমেলকে হত্যা করে মাদ্রাসার পুকুরে ফেলে দেয়। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।

নগরভেলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। 

কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মধুসূদন পাণ্ডে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর জিডি করা হয়েছে। পরে রোববার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালীগঞ্জ থানার এসআই প্রদীপ কুমার সাহাজী বলেন, রোববার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্সে নারীকে গলা কেটে হত্যা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
নিহত মিলন বিবি। ছবি: সংগৃহীত
নিহত মিলন বিবি। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় মিলন বিবি (৫৫) নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহ বিছানার চাদরে মুড়িয়ে খাটের নিচে ফেলে রাখা হয়। আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর রেইসকোর্স কাঠেরপুল এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মিলন বিবির গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রেইসকোর্স মজুমদার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন।

নিহত মিলন বিবির মেয়ে তানজিনা আক্তার জানান, কয়েক দিন আগে তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নোয়াখালী বেড়াতে যান। বিকেলে প্রতিবেশীরা ফোন করে জানান, তাঁদের বাসার দরজা খোলা ও ঘরের আসবাবপত্র ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় রয়েছে। খবর পেয়ে তাঁরা কুমিল্লায় ফিরে এসে ঘরে প্রবেশ করে খাটের নিচে চাদরে মোড়ানো অবস্থায় মায়ের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।

তানজিনা আরও জানান, কিছু ঘনিষ্ঠ স্বজনের সঙ্গে তাঁদের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় সেই বিরোধের জেরে তাঁর মাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আজ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত চলছে।

ওসি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছে।

নিহত ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কালো পতাকা মিছিল শনিবার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা

বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিক্ষোভ ও কালো পতাকা মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শেষ হবে। এরপর সেখানেই সমাবেশ করার কথা রয়েছে।

এর আগে আজ শুক্রবার দুপুরে অনশন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অনশন শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘সারা দিন শিক্ষকেরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করে তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন। দুপুরের পর বিকেল পর্যন্ত অনশন করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি। আমাদের আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আগামীকাল শনিবার বিক্ষোভ ও কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। ওই দিনই দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের (সি আর আবরার) সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষক প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়। শিক্ষকেরা রাজি হলে ১ নভেম্বর থেকেই এই ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে সরকারের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকেরা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবি তুলেছেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। সেদিন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হলেও দুপুরে পুলিশের অনুরোধে তাঁরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যান। ওই দিন দুপুরে শিক্ষকদের একটি অংশের ওপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে, জলকামানের পানি ছিটিয়ে এবং লাঠিপেটা করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে পরদিন সোমবার থেকে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুরে শিশু অপহরণ-ধর্ষণের মামলা, মামা-ভাগনে গ্রেপ্তার

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে ঘটনার মূল অভিযুক্ত এবং সহযোগী হিসেবে তাঁর মামাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার প্রায় পৌনে দুই মাস পর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা।

ঘটনার মূল অভিযুক্ত জয় কুমার দাস (২০)। তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মানোরা এলাকার বাসিন্দা। অপরজন জয় কুমারের মামা লোকনাথ চন্দ্র দাস। তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা।

নির্যাতিত শিশুটি কালিয়াকৈরের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার বাবা কুড়িগ্রামের উলিপুরের বাসিন্দা। তিনি কাজের কারণে কালিয়াকৈরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গ্রেপ্তার আসামি লোকনাথ চন্দ্র দাসও কালিয়াকৈরে থাকতেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লোকনাথ চন্দ্র দাসের ভাড়া বাসায় আসা-যাওয়া করতেন তাঁর ভাগনে জয় কুমার দাস। সেই সূত্রে জয় কুমারের সঙ্গে ওই শিশুটির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত ২০ আগস্ট শিশুটিকে কালিয়াকৈর থেকে ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকায় নিয়ে যান আসামিরা। গত ২০ ও ২২ আগস্ট জয় কুমার শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে ২২ আগস্ট আসামিরা শিশুটিকে একটি বাসে তুলে দিলে বিকেলে তার মা-বাবার কাছে ফিরে আসে।

এজাহারে বলা হয়, ফিরে আসার পর শিশুটি দীর্ঘদিন চুপচাপ ছিল। প্রায় পৌনে দুই মাস পরে ১৪ অক্টোবর শিশুটি মা-বাবার কাছে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। পর দিন সকালে শিশুটির পরিবার বিষয়টি মৌখিকভাবে কালিয়াকৈর মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এবং তাঁর মামার বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মান্নান বলেন, মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক বলেন, ঘটনার অনেক পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনাগাজীতে শিশুর হাতে বন্দুক—ফেসবুকে ছবি

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজীতে এক শিশুর হাতে বন্দুক নিয়ে নাড়াচাড়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধমে ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুটির সৌদিপ্রবাসী মামা তাঁর ফেসবুক আইডিতে বন্দুক হাতে ভাগনের ছবি পোস্ট করেন। তিনি ক্যাপশনে লেখেন—‘এটা আমার বড় বাগিনা (ভাগনে), ওর হাতে...এ বয়সে খেলনার পিস্তল থাকার কথা, আর অথচ ওর হাতে এখন অরজিনিয়াল পিস্তল’।

সামাজিক মাধ্যমে বন্দুক হাতে শিশুর ছবি প্রকাশ হলে শুরু হয় তোলপাড়। কয়েক ঘণ্টা পর ফেসবুকের ওই পোস্ট আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে অনেকে ছবি ও স্ক্রিনশট রেখে দেন।

ঘটনা জানতে শিশুর বাবাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার সন্তান তার নানার বাড়ি থাকতে কে বা কারা তার হাতে বন্দুক দিয়ে ছবি ধারণ করলেও সেটি জানা ছিল না। তার মামা পোস্ট করার পর বিষয়টি জানতে পারি। আমার শ্যালকের কাছে ফোন করলেও সে ধরেনি।’

শিশুটির বাবা আরও বলেন, ‘আমার সন্তানের হাতে বন্দুক তুলে দিয়ে সেটি ফেসবুকে প্রচার করে তার স্বাভাবিক জীবন হুমকির মধ্যে ফেলেছে।’

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, বন্দুকটি শিশুটির বাবার, একাধিকবার তাঁর হাতে অস্ত্রটি দেখা গেছে। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে ঝামেলা বাধলে তাঁর শ্যালক ক্ষোভ থেকে ছবিটি ফেসবুকে প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার শ্যালকের মাথায় সমস্যা রয়েছে। দেশে থাকতে অনেক পাগলামি করত। বিদেশে গিয়েও পাগলামি বন্ধ হয়নি।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিশুর মামাকে মেসেঞ্জারে কল দিলেও সাড়া মেলেনি।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসেনি। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত