Ajker Patrika

ল্যাম্বরগিনির আদলে স্পিডবোট ব্রহ্মপুত্র নদে

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
ল্যাম্বরগিনির আদলে তৈরি করা স্পিডবোট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ল্যাম্বরগিনির আদলে তৈরি করা স্পিডবোট। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার এক স্কুলছাত্র বানিয়েছে ল্যাম্বরগিনির আদলে স্পিডবোট। ১৭ বছরের রাহাদ খন্দকারের বানানো এই স্পিডবোট এখন চলছে ব্রহ্মপুত্র নদে। এতে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

ইতালির বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ল্যাম্বরগিনির মডেল ধরে তৈরি করা এই নৌযানে একসঙ্গে পাঁচজন বসতে পারে। গাড়িটির সামনে কাঠের তৈরি স্টিয়ারিং, মিটার, লাইটিং ও হর্নের সুইচ রয়েছে। চাকাগুলোর জায়গায় আঁকা হয়েছে ছবি। ঘণ্টায় চলতে দুই লিটার তেল লাগে।

রাহাদ ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম ও গৃহিণী রুপালী বেগমের ছেলে। স্থানীয় গুনভরী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্র সে। ছোটবেলা থেকেই যন্ত্রপাতি তৈরিতে আগ্রহী রাহাদ এর আগে ধান কাটার মেশিন ও রোবট বানিয়েছে।

ল্যাম্বরগিনি স্পিডবোট তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে পরিবার। বাকি টাকা এসেছে আত্মীয়স্বজনের সহায়তায়। নানির দেওয়া পাঁচ হাজার টাকা দিয়েই শুরু হয়েছিল এ কাজ। ৯ মাসের চেষ্টায় তৈরি হয়েছে এই স্পিডবোট।

রাহাদ বলে, ‘ছোট থেকেই যন্ত্রপাতি বানানোর ঝোঁক ছিল। এবার চেয়েছিলাম বড় কিছু করতে। তাই ল্যাম্বরগিনির আদলে স্পিডবোট বানালাম। সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিজস্ব ডিজাইনের গাড়িও বানাতে পারব।’

রাহাদের তৈরি স্পিডবোট দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় করছে মানুষ। নদীতে ঘুরে এসে শাকিল আহমেদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘ল্যাম্বরগিনির আদলে নৌকা বানানো সত্যিই দারুণ উদ্যোগ। এতে চড়ে ঘুরে ভালোই লাগছে।’

রাহাদের মা রুপালী বেগম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ও এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকে। লেখাপড়া করলেও বিজ্ঞান আর যন্ত্রপাতি নিয়েই আগ্রহ বেশি। আমরা কখনো বাধা দিইনি। তার সৃষ্টিগুলো সারা বিশ্বে পরিচিত হোক—এটাই আমাদের আশা।’ গ্রামবাসীও রাহাদের এই সাফল্যে গর্বিত। তাঁদের প্রত্যাশা, এই প্রতিভা একদিন বিশ্বমঞ্চে আলো ছড়াবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত