ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’

ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’

ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’

বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার হাজরাদীঘি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
১০ মিনিট আগে
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তাঁরা সড়কের পাশে কলাগাছ রোপণ করেন। গতকাল সোমবার বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে।
১৬ মিনিট আগে
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার হাজরাদীঘি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। নিহত জহুরুল ইসলাম ওই এলাকার শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। তিনি পেশায় বেকারি সামগ্রী পরিবহনের ভ্যান চালাতেন। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে কে বা কারা ফোন করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা ধানখেতে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, নিহত ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।

বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার হাজরাদীঘি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। নিহত জহুরুল ইসলাম ওই এলাকার শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। তিনি পেশায় বেকারি সামগ্রী পরিবহনের ভ্যান চালাতেন। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে কে বা কারা ফোন করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা ধানখেতে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, নিহত ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।

নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া
১০ অক্টোবর ২০২৪
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তাঁরা সড়কের পাশে কলাগাছ রোপণ করেন। গতকাল সোমবার বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে।
১৬ মিনিট আগে
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তাঁরা সড়কের পাশে কলাগাছ রোপণ করেন।
গতকাল সোমবার বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। এতে কক্সবাজার-৪ আসনে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর নাম না থাকায় তাঁর সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এরপর দিবাগত রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানব না’—এমন স্লোগান দেন। টেকনাফের পুরাতন বাজার, হোয়াইক্যং মোড় ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি স্থানে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে কলাগাছ রোপণ করেন তাঁরা।

অন্যদিকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ছোট ভাই ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সবাইকে ধৈর্য ধরে দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে।’

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তাঁরা সড়কের পাশে কলাগাছ রোপণ করেন।
গতকাল সোমবার বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। এতে কক্সবাজার-৪ আসনে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর নাম না থাকায় তাঁর সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এরপর দিবাগত রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানব না’—এমন স্লোগান দেন। টেকনাফের পুরাতন বাজার, হোয়াইক্যং মোড় ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি স্থানে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে কলাগাছ রোপণ করেন তাঁরা।

অন্যদিকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ছোট ভাই ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সবাইকে ধৈর্য ধরে দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে।’

নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া
১০ অক্টোবর ২০২৪
বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার হাজরাদীঘি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
১০ মিনিট আগে
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
সিয়াম-উল-হক জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও আগে আটক করা পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া-সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছে।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দী থাকা নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন ও অল্প খরচে বিদেশ যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল।
পাচারকারীরা তাদের পাহাড়ে বন্দী রেখে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
সিয়াম-উল-হক জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও আগে আটক করা পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া-সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছে।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দী থাকা নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন ও অল্প খরচে বিদেশ যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল।
পাচারকারীরা তাদের পাহাড়ে বন্দী রেখে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া
১০ অক্টোবর ২০২৪
বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার হাজরাদীঘি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
১০ মিনিট আগে
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তাঁরা সড়কের পাশে কলাগাছ রোপণ করেন। গতকাল সোমবার বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে।
১৬ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান। তাঁরা আপন দুই ভাই। আজিজুর রহমান বড়। তাঁরা জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁদের বাবার নাম মনছুর আহমেদ। তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গতকাল সোমবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত মনোনীত প্রার্থীদের তালিকায় কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য আজিজুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে কয়েক মাস আগে জামায়াত থেকে ওই আসনে ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আপন দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও দুজনই জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও এটি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি তাঁদের। তবে দুই দল থেকে আপন দুই ভাইয়ের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি এখন সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
জানতে চাইলে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি আমার বড় ভাই। তাঁর প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে তাঁকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। জামায়াত একটি আদর্শিক দল। এখানে দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তাঁর জন্য কাজ করবে। আর আমার ভাইয়ের দলে সবাই নেতা হতে চায়। একে অন্যের বিরোধিতা করে। ভোটাররা সব জানে, বোঝে। জামায়াতের পক্ষে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। ইনশা আল্লাহ জয় আমাদের হবে।’
বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ছোট ভাই একসময় আমার কর্মী ছিল। এখন সে জামায়াতের প্রার্থী। আমাদের পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য তারা এমন করেছে। কিন্তু এতে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। দল আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করায় তাদের (জামায়াতের) পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। ছোট ভাইয়ের প্রতি পরিবার ও গ্রামবাসীর সমর্থন নেই। ভোটাররা আমার প্রতি আস্থাশীল। তারা বিএনপিকে জয়ী করবে।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর) বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং বিএনপির আজিজুর রহমান। তাঁরা আপন দুই ভাই। আজিজুর রহমান বড়। তাঁরা জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁদের বাবার নাম মনছুর আহমেদ। তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গতকাল সোমবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত মনোনীত প্রার্থীদের তালিকায় কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য আজিজুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে কয়েক মাস আগে জামায়াত থেকে ওই আসনে ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আপন দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও দুজনই জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও এটি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি তাঁদের। তবে দুই দল থেকে আপন দুই ভাইয়ের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি এখন সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
জানতে চাইলে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি আমার বড় ভাই। তাঁর প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে তাঁকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। জামায়াত একটি আদর্শিক দল। এখানে দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তাঁর জন্য কাজ করবে। আর আমার ভাইয়ের দলে সবাই নেতা হতে চায়। একে অন্যের বিরোধিতা করে। ভোটাররা সব জানে, বোঝে। জামায়াতের পক্ষে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। ইনশা আল্লাহ জয় আমাদের হবে।’
বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ছোট ভাই একসময় আমার কর্মী ছিল। এখন সে জামায়াতের প্রার্থী। আমাদের পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য তারা এমন করেছে। কিন্তু এতে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। দল আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করায় তাদের (জামায়াতের) পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। ছোট ভাইয়ের প্রতি পরিবার ও গ্রামবাসীর সমর্থন নেই। ভোটাররা আমার প্রতি আস্থাশীল। তারা বিএনপিকে জয়ী করবে।’

নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া
১০ অক্টোবর ২০২৪
বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার হাজরাদীঘি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
১০ মিনিট আগে
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তাঁরা সড়কের পাশে কলাগাছ রোপণ করেন। গতকাল সোমবার বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে।
১৬ মিনিট আগে
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
১ ঘণ্টা আগে