ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক দিনের মেলায় মাত্র আট ঘণ্টায় ১২ লাখ টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলার ডিএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয়া দশমীর এই মেলা বসে।
সুদৃশ্য পাত্রে সাজানো জিভে জল আসা রসগোল্লা, চমচম, পান্তুয়া, জিলাপি আর কালাইয়ের আমিত্তি নিমেষে বিক্রি হয়ে যায়। ঐতিহ্যবাহী এই মেলা গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে শুরু হয়ে চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
মেলা আয়োজকেরা জানান, এই মেলায় মিষ্টি বেচাকেনা নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড নতুন নয়, দেড় শতাধিক বছর ধরে এভাবেই চলে আসছে। এবার মেলায় মিষ্টির দোকান ছিল ২৫টি। প্রতিটি দোকানে গড়ে পাঁচ মণ মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। আকার ও প্রকারভেদে প্রতি কেজি মিষ্টি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গড়ে ২৫০ টাকা কেজি দর ধরলে যার দাম দাঁড়ায় ১২ লাখ টাকার ওপরে।
মেলা আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার শীল গোবিন্দ বলেন, ‘বিজয়া দশমীর সম্প্রীতির মেলায় সব ধর্মের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে সরগরম থাকে পুরো এলাকা। এ ঐতিহ্য দেড় শ বছরের। সবাই মিষ্টি কিনে নিয়ে যান।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন ভূঁইয়া বলেন, ‘বহু বছরের পুরোনো এই উৎসব এখন সর্বজনীন হয়ে গেছে। এই মেলা মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। মেলায় এসে মিষ্টি না কিনে কেউ বাড়ি ফেরেনা। যার যতটা সাধ্য মিষ্টি কেনেন ততটাই। অনেকে মেলায় মিষ্টি খেয়ে পেট ভরেন; বন্ধু ও অতিথিদের আপ্যায়নও হয় মিষ্টি মুখ করিয়ে। আমিও পাঁচ কেজি মিষ্টি কিনেছি।’
মিষ্টি বিক্রেতা প্রবাস ঘোষ বলেন, ‘বিভিন্ন মাপের রসগোল্লা, জিলাপি, আমিত্তি ছাড়াও খাজা, গজা, ক্ষীরের চপের মিষ্টি বিক্রি হয়। দূরদুরান্ত থেকে আসা ব্যক্তিরা বিকেলে মিষ্টি কেনেন। আর স্থানীয় বাসিন্দারা রাত ৯টা পর্যন্ত মিষ্টি কিনেছেন। অনেকেই শুধু মেলায় আসেন এই মিষ্টি কিনতে।’
মিষ্টি বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, মেলা শুরুর আগের দিন থেকেই ব্যবসায়ী, কারিগরেরা এসে মিষ্টি তৈরি শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। এ বছর প্রতিটি দোকানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়েছে।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় গামলায় নানা আকারের মিষ্টি রসে ভাসছে। মিষ্টি দোকানে ভিড় সামলানো কঠিন। প্রতিটি দোকানে তিন-চারজন বিক্রেতা, কেউ মিষ্টি মেপে দিচ্ছেন, কেউ টাকা নিতে ব্যস্ত। কে আগে মিষ্টি নেবেন, এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে বচসা হতেও দেখা গেল।
প্রবীণ মিষ্টি বিক্রেতা ঝন্টু ঘোষ (৬৫) বলেন, ‘বাবার সঙ্গে এই মেলায় মিষ্টি বিক্রি করেছি। বাবা মারা যাওয়ার পর ৩২ বছর ধরে এখানে আসছি। প্রাচীন এই মেলা যেন মিষ্টি মেলার আসর। এবার ৬২ হাজার টাকার রসগোল্লা আর জিলাপি বিক্রি করেছি। মেলায় এলে কম-বেশি সবাই মিষ্টি খান। মিষ্টি কিনে বাড়ি ফেরেন।’
এক যুগ ধরে মেলায় মিষ্টি বিক্রি করেন সাধন ঘোষ। তিনি বলেন, এত কম সময়ে এত মিষ্টির বেচাকেনা দেশের আর কোথাও নেই। এবার ব্যবসা অনেক ভালো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন মিলনমেলা সত্যিই বিরল। ধর্মের বিভেদ, বিভাজন কোনো দিনই এই মেলার সর্বজনীনতায় দেয়াল তুলতে পারেনি। মেলা ঘুরে দেখেছি, অনেক মিষ্টির দোকান। সব দোকানেই মানুষের ভিড়।’
মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক দিনের মেলায় মাত্র আট ঘণ্টায় ১২ লাখ টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলার ডিএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয়া দশমীর এই মেলা বসে।
সুদৃশ্য পাত্রে সাজানো জিভে জল আসা রসগোল্লা, চমচম, পান্তুয়া, জিলাপি আর কালাইয়ের আমিত্তি নিমেষে বিক্রি হয়ে যায়। ঐতিহ্যবাহী এই মেলা গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে শুরু হয়ে চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
মেলা আয়োজকেরা জানান, এই মেলায় মিষ্টি বেচাকেনা নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড নতুন নয়, দেড় শতাধিক বছর ধরে এভাবেই চলে আসছে। এবার মেলায় মিষ্টির দোকান ছিল ২৫টি। প্রতিটি দোকানে গড়ে পাঁচ মণ মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। আকার ও প্রকারভেদে প্রতি কেজি মিষ্টি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গড়ে ২৫০ টাকা কেজি দর ধরলে যার দাম দাঁড়ায় ১২ লাখ টাকার ওপরে।
মেলা আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার শীল গোবিন্দ বলেন, ‘বিজয়া দশমীর সম্প্রীতির মেলায় সব ধর্মের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে সরগরম থাকে পুরো এলাকা। এ ঐতিহ্য দেড় শ বছরের। সবাই মিষ্টি কিনে নিয়ে যান।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন ভূঁইয়া বলেন, ‘বহু বছরের পুরোনো এই উৎসব এখন সর্বজনীন হয়ে গেছে। এই মেলা মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। মেলায় এসে মিষ্টি না কিনে কেউ বাড়ি ফেরেনা। যার যতটা সাধ্য মিষ্টি কেনেন ততটাই। অনেকে মেলায় মিষ্টি খেয়ে পেট ভরেন; বন্ধু ও অতিথিদের আপ্যায়নও হয় মিষ্টি মুখ করিয়ে। আমিও পাঁচ কেজি মিষ্টি কিনেছি।’
মিষ্টি বিক্রেতা প্রবাস ঘোষ বলেন, ‘বিভিন্ন মাপের রসগোল্লা, জিলাপি, আমিত্তি ছাড়াও খাজা, গজা, ক্ষীরের চপের মিষ্টি বিক্রি হয়। দূরদুরান্ত থেকে আসা ব্যক্তিরা বিকেলে মিষ্টি কেনেন। আর স্থানীয় বাসিন্দারা রাত ৯টা পর্যন্ত মিষ্টি কিনেছেন। অনেকেই শুধু মেলায় আসেন এই মিষ্টি কিনতে।’
মিষ্টি বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, মেলা শুরুর আগের দিন থেকেই ব্যবসায়ী, কারিগরেরা এসে মিষ্টি তৈরি শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। এ বছর প্রতিটি দোকানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়েছে।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় গামলায় নানা আকারের মিষ্টি রসে ভাসছে। মিষ্টি দোকানে ভিড় সামলানো কঠিন। প্রতিটি দোকানে তিন-চারজন বিক্রেতা, কেউ মিষ্টি মেপে দিচ্ছেন, কেউ টাকা নিতে ব্যস্ত। কে আগে মিষ্টি নেবেন, এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে বচসা হতেও দেখা গেল।
প্রবীণ মিষ্টি বিক্রেতা ঝন্টু ঘোষ (৬৫) বলেন, ‘বাবার সঙ্গে এই মেলায় মিষ্টি বিক্রি করেছি। বাবা মারা যাওয়ার পর ৩২ বছর ধরে এখানে আসছি। প্রাচীন এই মেলা যেন মিষ্টি মেলার আসর। এবার ৬২ হাজার টাকার রসগোল্লা আর জিলাপি বিক্রি করেছি। মেলায় এলে কম-বেশি সবাই মিষ্টি খান। মিষ্টি কিনে বাড়ি ফেরেন।’
এক যুগ ধরে মেলায় মিষ্টি বিক্রি করেন সাধন ঘোষ। তিনি বলেন, এত কম সময়ে এত মিষ্টির বেচাকেনা দেশের আর কোথাও নেই। এবার ব্যবসা অনেক ভালো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন মিলনমেলা সত্যিই বিরল। ধর্মের বিভেদ, বিভাজন কোনো দিনই এই মেলার সর্বজনীনতায় দেয়াল তুলতে পারেনি। মেলা ঘুরে দেখেছি, অনেক মিষ্টির দোকান। সব দোকানেই মানুষের ভিড়।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, কর্মজীবী হিসেবে আমি চাকরি জীবনে যাদের মুক্তিযোদ্ধা সহকর্মী হিসেবে পাই, তাদের ধরে নিতে পারেন ৮০ থেকে ৯০ ভাগই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।
৯ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সেলিম রেজা (২৭) নামের এক যুবককে ২১ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছে। তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
৯ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে অভিযানে গেলে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দর থানার ঈশান মিস্ত্রির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ ওরফে রানা।
১২ মিনিট আগেউপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম পুরোধা পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর রানীবাজার এলাকার নিজ বাসভবন ‘মোহিনী গার্ডেন’-এ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। অমরেশ রায় চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ছিলেন
১৩ মিনিট আগে