নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথমে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন দেন। সেই পত্রিকা নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে যান। চাকরির পাইয়ে দেওয়া আশ্বাস দিয়ে আবাসিক হোটেলে ভাইভায় ডাকেন। ভাইভাতে পাস করলে চাকরির দেওয়ার জন্য ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী নিয়োগপত্রও দেন। তবে এই পুরো প্রক্রিয়ার সবই ভুয়া।
প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে কয়েক বছর ধরে একটি চক্র এভাবেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করে এ বিষয়ে কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ করে টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেননি। তাঁরা নিজেদের প্রতারক বলে স্বীকার করেছেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে বিভিন্ন গণমাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন দেন। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করেন। চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্যাংক চেক, ফাঁকা স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নেন।
মাঠকর্মী তাঁর কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠান। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে নিয়ে আসেন। পরে ঢাকার এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নেন। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওই দিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিয়ে।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি গত সপ্তাহে একজন ভুক্তভোগীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছেন। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাঁদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তিনি রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রথমে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন দেন। সেই পত্রিকা নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে যান। চাকরির পাইয়ে দেওয়া আশ্বাস দিয়ে আবাসিক হোটেলে ভাইভায় ডাকেন। ভাইভাতে পাস করলে চাকরির দেওয়ার জন্য ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী নিয়োগপত্রও দেন। তবে এই পুরো প্রক্রিয়ার সবই ভুয়া।
প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে কয়েক বছর ধরে একটি চক্র এভাবেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করে এ বিষয়ে কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ করে টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেননি। তাঁরা নিজেদের প্রতারক বলে স্বীকার করেছেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে বিভিন্ন গণমাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন দেন। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করেন। চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্যাংক চেক, ফাঁকা স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নেন।
মাঠকর্মী তাঁর কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠান। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে নিয়ে আসেন। পরে ঢাকার এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নেন। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওই দিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিয়ে।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি গত সপ্তাহে একজন ভুক্তভোগীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছেন। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাঁদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তিনি রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
১৪ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
২৯ মিনিট আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
৩৩ মিনিট আগেমব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর (নূরুল হুদার) সঙ্গে যেটা হয়েছে, মানে গলায় এটা-সেটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
১ ঘণ্টা আগে