নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর কাকরাইলে এসএ পরিবহনের আগুন লাগা গোডাউনে পটকা, আতশবাজি ও কেমিক্যাল ছিল। পটকা ও কেমিক্যালের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনো বিস্ফোরণ হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তবে কেমিক্যালগুলো কী ধরনের দাহ্য পদার্থ তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি সংস্থাটি।
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা পটকা ধরনের কিছু জিনিস পেয়েছি, কিছু এগ্রো প্রোডাক্ট পেয়েছি, কাগজপত্র পেয়েছি। যেসব কেমিক্যাল পাওয়া গেছে সেগুলো কী ধরনের কেমিক্যাল তা আমাদের বিস্ফোরক দল এলে বলতে পারব।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বেলা ১টা পর্যন্ত পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি। অগ্নিকাণ্ডস্থলে থেমে থেমে বিস্ফোরণের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমানে আমরা থেমে থেমে কিছু আতশবাজি বা পটকা ফাটার মতো শব্দ পাচ্ছি। আমরা ধারণা করছি গোডাউনের পার্সেলের ভেতরে পটকা বা আতশবাজি জাতীয় কিছু থেকে থাকতে পারে। এটা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে জানাতে পারব। এখন পর্যন্ত আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছু সময় লেগে যেতে পারে।’
বিস্ফোরণের কারণে ফায়ার ফাইটারদের কাজে কিছুটা সমস্যা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওনাদের (এসএ পরিবহন) সঙ্গে আমরা এখনো কথা বলতে পারিনি। কী ধরনের বিস্ফোরক বা কেমিক্যাল ছিল এটা আমরা এখনো জানতে পারিনি। সাধারণ মালামালের সঙ্গে কোনোভাবেই কেমিক্যাল, পটকা, বিস্ফোরক এ ধরনের জিনিস রাখা উচিত নয় এবং কোনোভাবেই এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো আলাদা করে বিশেষভাবে সংরক্ষণ ও পরিবহন করার নিয়ম। যদি সাধারণ মালামালের সঙ্গে একসঙ্গে রাখে, তাহলে তারা কাজটি ঠিক করেনি। এটি তদন্ত সাপেক্ষে বের করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনতলা ভবনটির নিচতলায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। নিচতলায় কিছু জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানাতে পারব। একটি কার্গোতে আগুন লেগেছিল। সেটিও আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।’
এসএ পরিবহনের ওই গোডাউনে নিজস্ব আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নিজস্ব আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা আমাদের চোখে পড়েনি। তারপরও আমরা তদন্ত করে তাদের কী সরঞ্জাম ছিল সেটা বিস্তারিত বলতে পারব।’
এসএ পরিবহনের ভেতরে তেলের স্টেশন থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেখান পর্যন্ত আগুন যায়নি। আমরা গোডাউনের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
একটি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পেট্রলপাম্প রাখা যায় কি না জানতে চাইলে লে. কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘এটা তাদের নিজস্ব কি না সেটা তদন্ত করে পরে বলতে পারব। আপাতত আমরা আগুন নির্বাপণে ব্যস্ত আছি। এই পাম্পের ছাড়পত্র আছে কি না সেটি কাগজপত্র দেখে পরে আপনাদের জানাতে পারব।’
এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কাকরাইলে অবস্থিত এসএ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের গোডাউনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ১০টা ১৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে যুক্ত হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুইটি ওয়াটার বাউজারসহ সেনাবাহিনী একটি অগ্নিনির্বাপণ দল ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসেছে। প্রতিটি ওয়াটার বাউজারে ২০ হাজার লিটার করে পানি রয়েছে। তারা আগুন নির্বাপণের কাজ করছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর এমপি সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। শুরু থেকেই আনসার বাহিনীও অগ্নিনির্বাপণের কাজে সহায়তা করেছে।
রাজধানীর কাকরাইলে এসএ পরিবহনের আগুন লাগা গোডাউনে পটকা, আতশবাজি ও কেমিক্যাল ছিল। পটকা ও কেমিক্যালের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনো বিস্ফোরণ হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তবে কেমিক্যালগুলো কী ধরনের দাহ্য পদার্থ তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি সংস্থাটি।
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা পটকা ধরনের কিছু জিনিস পেয়েছি, কিছু এগ্রো প্রোডাক্ট পেয়েছি, কাগজপত্র পেয়েছি। যেসব কেমিক্যাল পাওয়া গেছে সেগুলো কী ধরনের কেমিক্যাল তা আমাদের বিস্ফোরক দল এলে বলতে পারব।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বেলা ১টা পর্যন্ত পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি। অগ্নিকাণ্ডস্থলে থেমে থেমে বিস্ফোরণের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমানে আমরা থেমে থেমে কিছু আতশবাজি বা পটকা ফাটার মতো শব্দ পাচ্ছি। আমরা ধারণা করছি গোডাউনের পার্সেলের ভেতরে পটকা বা আতশবাজি জাতীয় কিছু থেকে থাকতে পারে। এটা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে জানাতে পারব। এখন পর্যন্ত আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছু সময় লেগে যেতে পারে।’
বিস্ফোরণের কারণে ফায়ার ফাইটারদের কাজে কিছুটা সমস্যা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওনাদের (এসএ পরিবহন) সঙ্গে আমরা এখনো কথা বলতে পারিনি। কী ধরনের বিস্ফোরক বা কেমিক্যাল ছিল এটা আমরা এখনো জানতে পারিনি। সাধারণ মালামালের সঙ্গে কোনোভাবেই কেমিক্যাল, পটকা, বিস্ফোরক এ ধরনের জিনিস রাখা উচিত নয় এবং কোনোভাবেই এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো আলাদা করে বিশেষভাবে সংরক্ষণ ও পরিবহন করার নিয়ম। যদি সাধারণ মালামালের সঙ্গে একসঙ্গে রাখে, তাহলে তারা কাজটি ঠিক করেনি। এটি তদন্ত সাপেক্ষে বের করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনতলা ভবনটির নিচতলায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। নিচতলায় কিছু জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানাতে পারব। একটি কার্গোতে আগুন লেগেছিল। সেটিও আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।’
এসএ পরিবহনের ওই গোডাউনে নিজস্ব আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নিজস্ব আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা আমাদের চোখে পড়েনি। তারপরও আমরা তদন্ত করে তাদের কী সরঞ্জাম ছিল সেটা বিস্তারিত বলতে পারব।’
এসএ পরিবহনের ভেতরে তেলের স্টেশন থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেখান পর্যন্ত আগুন যায়নি। আমরা গোডাউনের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
একটি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পেট্রলপাম্প রাখা যায় কি না জানতে চাইলে লে. কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘এটা তাদের নিজস্ব কি না সেটা তদন্ত করে পরে বলতে পারব। আপাতত আমরা আগুন নির্বাপণে ব্যস্ত আছি। এই পাম্পের ছাড়পত্র আছে কি না সেটি কাগজপত্র দেখে পরে আপনাদের জানাতে পারব।’
এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কাকরাইলে অবস্থিত এসএ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের গোডাউনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ১০টা ১৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে যুক্ত হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুইটি ওয়াটার বাউজারসহ সেনাবাহিনী একটি অগ্নিনির্বাপণ দল ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসেছে। প্রতিটি ওয়াটার বাউজারে ২০ হাজার লিটার করে পানি রয়েছে। তারা আগুন নির্বাপণের কাজ করছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর এমপি সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। শুরু থেকেই আনসার বাহিনীও অগ্নিনির্বাপণের কাজে সহায়তা করেছে।
পাহাড় ও বনের মিশেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর। তবে এ অঞ্চলের বনভূমির চিত্র আর আগের মতো নেই। একসময়ের বিশাল বনভূমি এখন অনেকটাই উজাড় হয়ে গেছে। বনের মূল্যবান গাছের অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত ঠাঁই নিয়েছে করাতকলে।
৯ মিনিট আগেখুলনার নতুন জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ এবং দফায় দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে আটবার। কিন্তু এর নির্মাণকাজ গত ৯ বছরেও শেষ হয়নি। কাজ চলছে ধীরগতিতে। মাটি ভরাট বাকি থাকাসহ কিছু ভবন অসম্পূর্ণ রয়েছে। ফলে গত মে এবং পরে জুলাই মাসে সময় নির্ধারণ করা হলেও গণপূর্ত বিভাগ কারাগারটি...
১৫ মিনিট আগেরাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ক্যাম্পাসের জন্য যে ২০৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তার এক কোণে একটি খামার ছিল হাফিজুলের। সেটি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই হাফিজুলই এখন ক্যাম্পাসের হর্তাকর্তা। আজকের পত্রিকার হাতে আসা ভিডিও অনুযায়ী, তাঁর নির্দেশেই ক্যাম্পাস থেকে কাটা হয়েছে সহস্রাধিক গাছ।
৪২ মিনিট আগেরাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় সিএনজি চালককে সহযোগী করে যাত্রীর কাছ থেকে নগদ, মোবাইল ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডিবি-তেজগাঁও বিভাগ। আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে