Ajker Patrika

জুরাইন: দেড় দশক পর হকারমুক্ত সড়ক

  • জুরাইনে সড়কের দুই পাশে অর্ধেক ছিল হকারদের দখলে।
  • রাজধানীতে প্রবেশের এই পথে ছিল যানজটের ভোগান্তি।
  • বিক্রমপুর প্লাজা থেকে আলম মার্কেট পর্যন্ত সড়ক এখন মুক্ত।
জহিরুল আলম পিলু ,শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা)
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮: ০০
ঢাকা-মাওয়া সড়কের জুরাইন রেলগেটসংলগ্ন সড়কটি এখন হকারমুক্ত। হকাররা যেন আবার বসতে না পারে, সে জন্য তদারকি করছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-মাওয়া সড়কের জুরাইন রেলগেটসংলগ্ন সড়কটি এখন হকারমুক্ত। হকাররা যেন আবার বসতে না পারে, সে জন্য তদারকি করছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রায় দেড় দশক পর হকারমুক্ত হয়েছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের জুরাইনের সড়ক। একসময় অপ্রশস্ত সড়কটি পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে হয়ে ওঠে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় প্রবেশের পথ। যানবাহনের চাপ বাড়ায় সড়কটি বেশ প্রশস্ত করা হলেও অর্ধেক চলে যায় হকারদের দখলে। এতে জুরাইন রেলগেট এলাকায় দিনরাতে যানজট লেগেই থাকত।

সেই সড়ক হকারমুক্ত হয়েছে গত ২৪ আগস্ট। বিশেষ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম ওই হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এলাকাবাসী জানান, কিছু চাঁদাবাজের সহায়তায় প্রায় ১৫ বছর ওই হকাররা সড়ক দখল করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছিলেন। এর আগে কয়েক দফা উচ্ছেদ করা হলেও হকাররা আবার সড়কে বসেছিলেন।

সরেজমিন দেখা যায়, জুরাইনে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের উড়ালসড়কের নিচেই এই সড়কের বিক্রমপুর প্লাজার সামনে থেকে আলম সুপার মার্কেট পর্যন্ত অংশে তেমন হকার নেই। ফলে প্রশস্ত সড়কে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল অনেকটা নির্বিঘ্ন। কমেছে যানজট। তবে বিক্রমপুর প্লাজার এক পাশ থেকে মেডিকেল রোড ছাড়িয়ে সড়কের ওপর এখনো হকারদের বসতে দেখা যায়।

জুরাইনের বাসিন্দা সোহেল বলেন, অনেক বছর পর এবার হয়তো প্রধান সড়ক থেকে স্থায়ীভাবে হকার উচ্ছেদ হলো। এ জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোর দাঁড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট লেন করে দিলে যানজট আরও কমবে।

আব্বাস নামের এক পথচারী বলেন, এটি ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলেও উভয় পাশে হকাররা প্রায় অর্ধেক দখল করে দোকান বসানোয় যানজট হতো। ঠিকমতো হাঁটাও যেত না। এখন অনেকটা স্বস্তি এসেছে। তিনি এখনো সড়কে যেসব হকার বসছে, তাদের উচ্ছেদের দাবি জানান। তাঁর আশঙ্কা, হকার না তুলতে ধীরে ধীরে অন্যরাও বসা শুরু করবে।

সেখানে উপস্থিত হেলালসহ কয়েকজন হকার বলেন, সড়কে বসা অন্যায়, এটা তাঁরাও জানেন। পেটের দায়ে তাঁরা সড়কে বসতেন। উচ্ছেদের পর পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। অন্য কোথাও বসার ব্যবস্থা করে দিতে প্রশাসনের প্রতি তাঁরা অনুরোধ জানান।

পুলিশ জানায়, ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম) মাসুদ রানার নির্দেশে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কদমতলী ও শ্যামপুর থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে জুরাইনের সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদ করা হয়। শ্যামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হকাররা যেন আবার সড়কে বসতে না পারে, সে ব্যাপারে তাঁরা তদারক করছেন।

এসব সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে এবং হকাররা যেন আর বসতে না পারে, সে ব্যাপারে তৎপর রয়েছেন বলে জানান জুরাইনে দায়িত্বরত ওয়ারী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কিছু ভাসমান হকারের ব্যাপারেও তাঁরা সজাগ আছেন। সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট লেন করে দেওয়া হবে।

সার্বিক বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আজাদ রহমান বলেন, ‘রাস্তা যানজটমুক্ত ও জনগণের ভোগান্তি কমাতে আমরা নজর রাখছি। প্রধান রাস্তায় যেন কোনো হকার বসতে না পারে, সে জন্য আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিনদুপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে গুলিতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে তাঁদের হাসপাতালের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনের এসে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মতি মিয়া (৬৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়াকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতি মিয়া ও তাঁর ছেলে ফারুক মিয়া দুজনেই শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় থাকতেন এবং মতি মিয়া ওই এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করতেন। ফারুক মিয়া সাধারণত ঢাকায় কাজ করলেও গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শিবচরে তাঁর বাবার কাছে আসেন এবং বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। গতকাল রোববার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা মতি মিয়ার সঙ্গে ছেলে ফারুক মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এই বিরোধের জেরে রাত ১২টার দিকে বাবা মতি মিয়া ঘুমিয়ে থাকলে ছেলে ফারুক মিয়া তাঁকে কোদাল (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ছেলে ফারুক মিয়া লাশের পাশেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে আটক করে।

স্থানীয়দের ধারণা, ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়।’ তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

নিহত মতি মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে প্রবর্তনার সামনে রাস্তার ওপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেয়ারটেকার ও আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়ী ওই প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ঘটনার কারণ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানিকগঞ্জে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল স্কুলবাস

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি  
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথুলী সংযোগ মোড়ে সারমানো সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের পাশে পার্কিং করে রাখা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন দেয়।

খবর পেয়ে শিবালয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে বাসটির আংশিক অংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল ৬টার দিকে উথুলী মোড় থেকে গিলন্ড পর্যন্ত ওই বাসে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করা হয়। প্রতিদিনের মতো রোববারও বাসটি উথুলী মোড়ে পার্কিং করে রাখা ছিল। সন্ধ্যার পর কে বা কারা বাসটিতে আগুন দেয়, তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কে বা কারা এ অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তা উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত