নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘কিছুক্ষণ বাদেই আমরা কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাব। আপনারা মালপত্র গুছাই নেন। মাইকে এ ঘোষণা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম আগুন। চারদিকে “আগুন আগুন, বাঁচাও বাঁচাও” চিৎকার। লাইট অফ হয়ে গেছে। আমি তো দরজা খুঁজে পাচ্ছি না। উপুড় হয়ে পড়ে গেছি। শুধু কালেমাটা পড়তে পারছি। তারপর আর কিছু মনে নেই। যখন হুঁশ এল, দেখি আমি ইটের খোয়ার ওপর শোয়া। সারা গা পানিতে ভেজা।'
কথাগুলো বলছিলেন বেনাপোল এক্সপ্রেসের আগুনে দগ্ধ হালিমা আহমেদ (৫২)। ঘটনার দিন যশোরের ঝিকরগাছা থেকে ঢাকায় বোনের মেয়ের বাসায় আসছিলেন তিনি। ট্রেনের ‘ঙ’ বগিতে ছিলেন তিনি। দুই দিন মুগদা হাসপাতালে, তারপর ১৮ দিন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ছুটি মিলেছে তাঁর। তবে আগুনের লেলিহান শিখা এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হালিমাকে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে হালিমা গতকাল দুপুরে বারবার বলছিলেন, ‘এই বিল্ডিংয়ে আগুন লাগলে বের হব কেমনে?’ তাঁর মেয়ে রূপালী আক্তার সীমা বলেন, ‘মা এখন অনেকটাই সুস্থ; কিন্তু মনে গেঁথে আছে আগুনের ভয়াবহতা।’
বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ১০ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে হালিমাসহ ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। একজন এখনো চিকিৎসাধীন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘হালিমা আহমেদের শ্বাসনালি পুড়ে গিয়েছিল। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ২০ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন তিনি স্ট্যাবল। আরেকটু সময় লাগবে পুরোপুরি সুস্থ হতে। এখন তিনি বাসায় যেতে পারবেন। আজ (বৃহস্পতিবার) ওনাকে ছেড়ে দিয়েছি।’
৫ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গোপীবাগে আগুনে আন্তনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি কোচ পুড়ে যায়। বোনের নাতনির অসুস্থতার খবর শুনে ওই ট্রেনে করে একাই ঢাকায় আসছিলেন হালিমা। তিনি জানান, কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থামার মিনিট পাঁচেক আগে বগির অন্য প্রান্ত থেকে তাঁর পাশের সিটে এসে বসেন এক যুবক। ওই যুবকই অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা হালিমার। তিনি বলেন,
‘ছেলেটা উঁচা-লম্বা, পরনে লুঙ্গি। হ্যাংলা মতো, গায়ের রং ফর্সা। দেখেই আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। ছেলেটাও অস্থির অস্থির করছিল। ও সিট ছেড়ে উঠে যাওয়ার পরই দেখলাম যেখান থেকে ও এসেছিল, ওই দিকটায় আগুন জ্বলে উঠল।’
হালিমা আহমেদ যখন সেদিনের স্মৃতিচারণা করছিলেন, নার্স এসে বললেন, ‘৩০ নম্বর বেড, জিনিসপত্র গুছিয়ে নিন। সব রেডি।’
২০ দিন পর হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় যাওয়ার জন্য সব গুছিয়ে নিচ্ছিলেন হালিমার মেয়ে সীমা। হালিমা তখনও বলছিলেন, ‘এই আগুন যারা লাগাল, এতগুলো মানুষ মারল, তাদের যেন ফাঁসি হয়।’
‘কিছুক্ষণ বাদেই আমরা কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাব। আপনারা মালপত্র গুছাই নেন। মাইকে এ ঘোষণা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম আগুন। চারদিকে “আগুন আগুন, বাঁচাও বাঁচাও” চিৎকার। লাইট অফ হয়ে গেছে। আমি তো দরজা খুঁজে পাচ্ছি না। উপুড় হয়ে পড়ে গেছি। শুধু কালেমাটা পড়তে পারছি। তারপর আর কিছু মনে নেই। যখন হুঁশ এল, দেখি আমি ইটের খোয়ার ওপর শোয়া। সারা গা পানিতে ভেজা।'
কথাগুলো বলছিলেন বেনাপোল এক্সপ্রেসের আগুনে দগ্ধ হালিমা আহমেদ (৫২)। ঘটনার দিন যশোরের ঝিকরগাছা থেকে ঢাকায় বোনের মেয়ের বাসায় আসছিলেন তিনি। ট্রেনের ‘ঙ’ বগিতে ছিলেন তিনি। দুই দিন মুগদা হাসপাতালে, তারপর ১৮ দিন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ছুটি মিলেছে তাঁর। তবে আগুনের লেলিহান শিখা এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হালিমাকে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে হালিমা গতকাল দুপুরে বারবার বলছিলেন, ‘এই বিল্ডিংয়ে আগুন লাগলে বের হব কেমনে?’ তাঁর মেয়ে রূপালী আক্তার সীমা বলেন, ‘মা এখন অনেকটাই সুস্থ; কিন্তু মনে গেঁথে আছে আগুনের ভয়াবহতা।’
বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ১০ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে হালিমাসহ ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। একজন এখনো চিকিৎসাধীন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘হালিমা আহমেদের শ্বাসনালি পুড়ে গিয়েছিল। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ২০ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন তিনি স্ট্যাবল। আরেকটু সময় লাগবে পুরোপুরি সুস্থ হতে। এখন তিনি বাসায় যেতে পারবেন। আজ (বৃহস্পতিবার) ওনাকে ছেড়ে দিয়েছি।’
৫ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গোপীবাগে আগুনে আন্তনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি কোচ পুড়ে যায়। বোনের নাতনির অসুস্থতার খবর শুনে ওই ট্রেনে করে একাই ঢাকায় আসছিলেন হালিমা। তিনি জানান, কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থামার মিনিট পাঁচেক আগে বগির অন্য প্রান্ত থেকে তাঁর পাশের সিটে এসে বসেন এক যুবক। ওই যুবকই অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা হালিমার। তিনি বলেন,
‘ছেলেটা উঁচা-লম্বা, পরনে লুঙ্গি। হ্যাংলা মতো, গায়ের রং ফর্সা। দেখেই আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। ছেলেটাও অস্থির অস্থির করছিল। ও সিট ছেড়ে উঠে যাওয়ার পরই দেখলাম যেখান থেকে ও এসেছিল, ওই দিকটায় আগুন জ্বলে উঠল।’
হালিমা আহমেদ যখন সেদিনের স্মৃতিচারণা করছিলেন, নার্স এসে বললেন, ‘৩০ নম্বর বেড, জিনিসপত্র গুছিয়ে নিন। সব রেডি।’
২০ দিন পর হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় যাওয়ার জন্য সব গুছিয়ে নিচ্ছিলেন হালিমার মেয়ে সীমা। হালিমা তখনও বলছিলেন, ‘এই আগুন যারা লাগাল, এতগুলো মানুষ মারল, তাদের যেন ফাঁসি হয়।’
রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা থেকে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাত ১২টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণার সময় এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগেএখন থেকে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইছ উদ্দিন। একই সময় উপদেষ্টার দিকে বোতল ছুড়ে মারা শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারে বিরত থাকতেও বলেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে...
১ ঘণ্টা আগে