মাদারীপুর প্রতিনিধি
শ্রেণিকক্ষে দুষ্টামি করায় মাদ্রাসাছাত্র আবির মৃধাকে (১২) বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক ফকির মোক্তারুজ্জামান (৪২)। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা বিষয়টি জানতে মাদ্রাসায় যান। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক তাঁর লোকজন নিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে ছাত্রের পরিবারের চার সদস্যকে মারধর করেন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল রোববার বিকেলে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজপাড়া আদর্শ হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই মামলা করা হলে মাদ্রাসাশিক্ষক ফকির মোক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক মোক্তারুজ্জামানের বাড়ি বাগেরহাটের রামপালে। এক বছর আগে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকার জামাল মৃধা (৪৬), তাঁর ছেলে আবির মৃধা (১২), একই এলাকার খলিল মৃধার ছেলে নাইম মৃধা (২২), বজলু হাওলাদারের ছেলে ফরিদ হাওলাদার (২৭) এবং করদি গ্রামের এনতাজউদ্দিন সরদারের ছেলে শহীদ সরদার (৪৮)।
ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টামি করে মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকার আবির। বিষয়টিতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান মাদ্রাসার শিক্ষক মোক্তারুজ্জামান।
দুই শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় আবিরের হাত-পা চেপে ধরে বেত দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করা হয় তাকে। পরে আবির ভয় পেয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। বিষয়টি জানতে বিকেলে মাদ্রাসায় যান আবিরের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তাঁদের একটি রুমের ভেতর আটকিয়ে রাখা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন মিলে আবিরের বাবাসহ চারজনকে মারধর করেন।
৯৯৯-এ কল পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।
এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের নামে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক মোক্তারুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আহত আবির মৃধা বলেন, ‘আমাকে বড় হুজুর (মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক) মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে ভয়ে আমি একা বাড়িতে চলে আসি।’
আহত শিক্ষার্থীর বাবা জামাল মৃধা বলেন, ‘ছেলেকে মারধরের বিষয় জানতে মাদ্রাসায় যাই। এ সময় মাদ্রাসার ওই শিক্ষক ফকির মোক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে তার লোকজন মিলে আমাদের মারধর করেছে। মাদ্রাসার একটি রুমের ভেতর আটকিয়ে রাখে। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে আমাদের সবাইকে পুলিশ উদ্ধার করে।’
আহত আবিরের মা আয়েশা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ও আমাদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচার চাই। আমরা জানতে গেলে ১৫-২০ জন লোক একত্রে আমাদের ওপর এই হামলা চালায়।’
ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. আবু বক্কর বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি মাদ্রাসায় ছিলাম না। তাই এ ব্যাপারটি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না।’
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসাছাত্রকে মারধরের ঘটনায় প্রধান আসামি ফকির মোক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’
শ্রেণিকক্ষে দুষ্টামি করায় মাদ্রাসাছাত্র আবির মৃধাকে (১২) বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক ফকির মোক্তারুজ্জামান (৪২)। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা বিষয়টি জানতে মাদ্রাসায় যান। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক তাঁর লোকজন নিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে ছাত্রের পরিবারের চার সদস্যকে মারধর করেন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল রোববার বিকেলে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজপাড়া আদর্শ হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই মামলা করা হলে মাদ্রাসাশিক্ষক ফকির মোক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক মোক্তারুজ্জামানের বাড়ি বাগেরহাটের রামপালে। এক বছর আগে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকার জামাল মৃধা (৪৬), তাঁর ছেলে আবির মৃধা (১২), একই এলাকার খলিল মৃধার ছেলে নাইম মৃধা (২২), বজলু হাওলাদারের ছেলে ফরিদ হাওলাদার (২৭) এবং করদি গ্রামের এনতাজউদ্দিন সরদারের ছেলে শহীদ সরদার (৪৮)।
ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টামি করে মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকার আবির। বিষয়টিতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান মাদ্রাসার শিক্ষক মোক্তারুজ্জামান।
দুই শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় আবিরের হাত-পা চেপে ধরে বেত দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করা হয় তাকে। পরে আবির ভয় পেয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। বিষয়টি জানতে বিকেলে মাদ্রাসায় যান আবিরের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তাঁদের একটি রুমের ভেতর আটকিয়ে রাখা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন মিলে আবিরের বাবাসহ চারজনকে মারধর করেন।
৯৯৯-এ কল পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।
এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের নামে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক মোক্তারুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আহত আবির মৃধা বলেন, ‘আমাকে বড় হুজুর (মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক) মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে ভয়ে আমি একা বাড়িতে চলে আসি।’
আহত শিক্ষার্থীর বাবা জামাল মৃধা বলেন, ‘ছেলেকে মারধরের বিষয় জানতে মাদ্রাসায় যাই। এ সময় মাদ্রাসার ওই শিক্ষক ফকির মোক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে তার লোকজন মিলে আমাদের মারধর করেছে। মাদ্রাসার একটি রুমের ভেতর আটকিয়ে রাখে। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে আমাদের সবাইকে পুলিশ উদ্ধার করে।’
আহত আবিরের মা আয়েশা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ও আমাদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচার চাই। আমরা জানতে গেলে ১৫-২০ জন লোক একত্রে আমাদের ওপর এই হামলা চালায়।’
ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. আবু বক্কর বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি মাদ্রাসায় ছিলাম না। তাই এ ব্যাপারটি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না।’
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসাছাত্রকে মারধরের ঘটনায় প্রধান আসামি ফকির মোক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১০ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
১৮ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৩ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে