নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের পাশে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি। আজ সোমবার দুপুরে পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ব্যবসা সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
ছয় দফা দাবি হচ্ছে, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীর টহল বাড়াতে হবে এবং সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূল করতে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। দাবিগুলো সাত দিনের মধ্যে কার্যকর না হলে দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের অর্থনীতিতে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বিশাল ভূমিকা পালন করলেও তাঁদের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে। ফলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতালসংলগ্ন রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে পুরাতন মেটাল ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার প্রতিবাদে তাঁদের এই সংবাদ সম্মেলন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, পুরান ঢাকা সমগ্র বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রাণকেন্দ্র। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এই পুরান ঢাকায় এসে ব্যবসায়িক লেনদেন করেন। পুরান ঢাকা থেকে সরকার সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদাই করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বর্তমানে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা অরক্ষিত, একটি অনিরাপদ অবস্থায় বর্তমানে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
গত ৫ আগস্টে পটপরিবর্তনের পর থেকে একটি শৃঙ্খলিত পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করা ব্যবসায়ীদের জন্য দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও রাহাজানির কারণে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাজি এনায়েত উল্লাহ বলেন, প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যার ঘটনা জঙ্গলেও হয় না। পাশেই ছিল আনসার বাহিনী। অস্ত্র ছিল, তারপরও তারা কিছুই করেনি। ঘটনা দুদিন পর প্রকাশ হলো। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ না পেলে ব্যবসায়ী সোহাগকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হতো। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ মামলা নিলেও অনেকে বাদ পড়েছেন, অনেককে জড়ানো হয়েছে। কেন এমনটা হবে? তদন্তের আগে এমনটা হলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত কীভাবে হবে?
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজস্ব দেই, সরকার দেশ চালায়। আমাদের রাজস্ব রক্ষায় দেশ চলবে, আর সেখানে ব্যবসায়ীরা নিরাপদে থাকবে না, এটা হতে পারে না। আমরা আর চাঁদাবাজি প্রশ্রয় দেব না। বাঁশের লাঠি দোকানে রাখুন। আর চাঁদাবাজি নয়, সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকব।’
হাফেজ হারুন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্কিত। আমরা ৫০০ লোক বসবাস করি, সেখানে পাঁচজনের কাছে কেন জিম্মি হব? আপনারা বাঁশের লাঠি রাখবেন। চাঁদাবাজের কোনো দল নেই, তাদের রুখে দিতে হবে। পাশাপাশি মৌলভীবাজার-চকবাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার ব্যবসা সমিতির সভাপতি হাজি বশির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা, বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সভাপতি হাফেজ এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের পাশে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি। আজ সোমবার দুপুরে পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ব্যবসা সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
ছয় দফা দাবি হচ্ছে, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীর টহল বাড়াতে হবে এবং সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূল করতে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। দাবিগুলো সাত দিনের মধ্যে কার্যকর না হলে দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের অর্থনীতিতে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বিশাল ভূমিকা পালন করলেও তাঁদের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে। ফলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতালসংলগ্ন রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে পুরাতন মেটাল ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার প্রতিবাদে তাঁদের এই সংবাদ সম্মেলন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, পুরান ঢাকা সমগ্র বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রাণকেন্দ্র। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এই পুরান ঢাকায় এসে ব্যবসায়িক লেনদেন করেন। পুরান ঢাকা থেকে সরকার সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদাই করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বর্তমানে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা অরক্ষিত, একটি অনিরাপদ অবস্থায় বর্তমানে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
গত ৫ আগস্টে পটপরিবর্তনের পর থেকে একটি শৃঙ্খলিত পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করা ব্যবসায়ীদের জন্য দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও রাহাজানির কারণে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাজি এনায়েত উল্লাহ বলেন, প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যার ঘটনা জঙ্গলেও হয় না। পাশেই ছিল আনসার বাহিনী। অস্ত্র ছিল, তারপরও তারা কিছুই করেনি। ঘটনা দুদিন পর প্রকাশ হলো। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ না পেলে ব্যবসায়ী সোহাগকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হতো। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ মামলা নিলেও অনেকে বাদ পড়েছেন, অনেককে জড়ানো হয়েছে। কেন এমনটা হবে? তদন্তের আগে এমনটা হলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত কীভাবে হবে?
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজস্ব দেই, সরকার দেশ চালায়। আমাদের রাজস্ব রক্ষায় দেশ চলবে, আর সেখানে ব্যবসায়ীরা নিরাপদে থাকবে না, এটা হতে পারে না। আমরা আর চাঁদাবাজি প্রশ্রয় দেব না। বাঁশের লাঠি দোকানে রাখুন। আর চাঁদাবাজি নয়, সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকব।’
হাফেজ হারুন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্কিত। আমরা ৫০০ লোক বসবাস করি, সেখানে পাঁচজনের কাছে কেন জিম্মি হব? আপনারা বাঁশের লাঠি রাখবেন। চাঁদাবাজের কোনো দল নেই, তাদের রুখে দিতে হবে। পাশাপাশি মৌলভীবাজার-চকবাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার ব্যবসা সমিতির সভাপতি হাজি বশির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা, বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সভাপতি হাফেজ এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ।
মাত্র সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী খুদে ফুটবলার সোহানের অসাধারণ প্রতিভা দেখে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক সাফজয়ী অধিনায়ক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক সোহানের বাড়িতে গিয়ে ফুটবল খেলার সরঞ্জা
৪০ মিনিট আগেনাটোরের লালপুরের গোপালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুলের পাশে প্রাইভেট কারে সাইদুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সাইদুর কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার বামনগ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। পুলিশের ধারণা, নিহত সাইদুর একজন পেশাদার গাড়িচালক।
১ ঘণ্টা আগেআল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা ও ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জনের আহতের খবর পাওয়া গেছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা সবাই ব্যাংকের বর্তমান কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তবে হামলার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের লাঠিপেটায় কতজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইরফান ওরফে আরমান আলী বাবুর (১১) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানালেও স্থানীয় থানা-পুলিশের বক্তব্যে এসেছে ভিন্ন সুর। র্যাব যেখানে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করছে, সেখানে থানা-পুলিশ বলছে—গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা অন্য
২ ঘণ্টা আগে