ফজলুল কবির, ঢাকা
অবশেষে আবার আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠছে পাখিরা। তার সঙ্গে কিচিরমিচির নয়, হইহই ধ্বনিতে জেগে উঠছে শহরও। এমন দৃশ্যের কল্পনা কত দিন ধরে করছে এই শহরের মানুষ। কিন্তু এর বাস্তবায়ন শুধু দীর্ঘায়িতই হয়েছে বারবার। বারবার করোনা নামের এক অণুজীব এসে শিশু-কিশোরদের প্রিয় প্রাঙ্গণের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুদের দীর্ঘ অদেখার কারণ হয়েছে।
একটানা ৫৫৪ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। একটা বুক ঢিপঢিপ করা ভয় যে নেই, তা নয়। সেই ধুকপুকানি ছাপিয়ে একটা আনন্দের ধারাও কিন্তু বইছে। তার আঁচ পাওয়া গেল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করার আয়োজনের মধ্য দিয়ে। আজ ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলা হলেও বেশ কয়েকটি স্কুলের সামনে গতকালই দেখা গেল শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট জটলা। নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বন্ধুদের দেখে খুশিতে উজ্জ্বল তাদের মুখ।
তাদের চোখেমুখে শ্রেণিকক্ষে ফেরার অপেক্ষা। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল তো সাজানোই হয়েছে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তনকে উদ্যাপন করতে। শুধু এটিই নয়, শহরের বেশ কিছু স্কুল পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি সাজাতে দেখা গেল। যেন উৎসব হবে কোনো। আচ্ছা, যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষত কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধই হয়ে গেল, সেগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কী করছে?
এ তো উৎসবই। যে শিক্ষার্থী স্কুল কামাই করতে উদ্গ্রীব থাকত, তাকেও তো এই করোনাকালে উচাটন হতে দেখা গেছে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। দেশের নানা প্রান্তে মানববন্ধন করতে দেখা গেছে। এ তো স্বাভাবিকই। কারণ, এত দীর্ঘ ছুটি তো কেউ কখনো চায়নি।
রাজধানীর নবকুমার ইনস্টিটিউশনের সামনে দেখা গেল কিছু শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছে। খোলা গেটের ভেতরে উঁকি দিয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দেখছে। আবার পথে পথে বিভিন্ন জুতা-জামার দোকানে দেখা গেল মা-বাবাসহ অনেক শিক্ষার্থীকে। জুতার মাপ দিচ্ছে তারা। দেড় বছরে শরীরের বৃদ্ধি তো আর থেমে ছিল না।
আজকের এই দিন নিঃসন্দেহে এখনকার শিক্ষার্থীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, ঠিক যেমনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই পুরো করোনাকাল। কারণ আজকের এই দিনে খুলে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বন্ধ গেটগুলো। খুলে যাচ্ছে হাসি-তামাশা, রাগ ও অভিমানের সবকটি দরজা। আজ থেকেই আবার স্কুলগেটের সামনে হয়তো দেখা মিলবে সেই আচার ও ঝালমুড়িবিক্রেতার, যার সঙ্গে তার রক্তের না হলেও রয়েছে আত্মার বন্ধন। আচ্ছা, আজ শিশু-কিশোরেরা স্কুলে গিয়ে কি তাদের সব প্রিয় ‘মামা’দের দেখতে পাবে? তাদের কতজন পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন? হইহুল্লোড় শুনে অভ্যস্ত এসব মানুষ এই কলরব পাশ কাটিয়ে নতুন পেশায় স্থির থাকতে পারবেন কি?
আর যারা আজও স্কুল পাবে না, তাদের কী হবে? যারা রাস্তায় ছিল আগে, আর করোনা যাদের রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছে, তারা? তাদের মনের বাড়ির খোঁজ কি নেবে কেউ? কিংবা যাদের স্কুলটিই উধাও হয়ে গেছে মহামারিতে, তারা কী করবে? তাদের অপেক্ষা ফুরাবে কবে?
অবশেষে আবার আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠছে পাখিরা। তার সঙ্গে কিচিরমিচির নয়, হইহই ধ্বনিতে জেগে উঠছে শহরও। এমন দৃশ্যের কল্পনা কত দিন ধরে করছে এই শহরের মানুষ। কিন্তু এর বাস্তবায়ন শুধু দীর্ঘায়িতই হয়েছে বারবার। বারবার করোনা নামের এক অণুজীব এসে শিশু-কিশোরদের প্রিয় প্রাঙ্গণের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুদের দীর্ঘ অদেখার কারণ হয়েছে।
একটানা ৫৫৪ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। একটা বুক ঢিপঢিপ করা ভয় যে নেই, তা নয়। সেই ধুকপুকানি ছাপিয়ে একটা আনন্দের ধারাও কিন্তু বইছে। তার আঁচ পাওয়া গেল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করার আয়োজনের মধ্য দিয়ে। আজ ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলা হলেও বেশ কয়েকটি স্কুলের সামনে গতকালই দেখা গেল শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট জটলা। নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বন্ধুদের দেখে খুশিতে উজ্জ্বল তাদের মুখ।
তাদের চোখেমুখে শ্রেণিকক্ষে ফেরার অপেক্ষা। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল তো সাজানোই হয়েছে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তনকে উদ্যাপন করতে। শুধু এটিই নয়, শহরের বেশ কিছু স্কুল পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি সাজাতে দেখা গেল। যেন উৎসব হবে কোনো। আচ্ছা, যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষত কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধই হয়ে গেল, সেগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কী করছে?
এ তো উৎসবই। যে শিক্ষার্থী স্কুল কামাই করতে উদ্গ্রীব থাকত, তাকেও তো এই করোনাকালে উচাটন হতে দেখা গেছে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। দেশের নানা প্রান্তে মানববন্ধন করতে দেখা গেছে। এ তো স্বাভাবিকই। কারণ, এত দীর্ঘ ছুটি তো কেউ কখনো চায়নি।
রাজধানীর নবকুমার ইনস্টিটিউশনের সামনে দেখা গেল কিছু শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছে। খোলা গেটের ভেতরে উঁকি দিয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দেখছে। আবার পথে পথে বিভিন্ন জুতা-জামার দোকানে দেখা গেল মা-বাবাসহ অনেক শিক্ষার্থীকে। জুতার মাপ দিচ্ছে তারা। দেড় বছরে শরীরের বৃদ্ধি তো আর থেমে ছিল না।
আজকের এই দিন নিঃসন্দেহে এখনকার শিক্ষার্থীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, ঠিক যেমনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই পুরো করোনাকাল। কারণ আজকের এই দিনে খুলে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বন্ধ গেটগুলো। খুলে যাচ্ছে হাসি-তামাশা, রাগ ও অভিমানের সবকটি দরজা। আজ থেকেই আবার স্কুলগেটের সামনে হয়তো দেখা মিলবে সেই আচার ও ঝালমুড়িবিক্রেতার, যার সঙ্গে তার রক্তের না হলেও রয়েছে আত্মার বন্ধন। আচ্ছা, আজ শিশু-কিশোরেরা স্কুলে গিয়ে কি তাদের সব প্রিয় ‘মামা’দের দেখতে পাবে? তাদের কতজন পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন? হইহুল্লোড় শুনে অভ্যস্ত এসব মানুষ এই কলরব পাশ কাটিয়ে নতুন পেশায় স্থির থাকতে পারবেন কি?
আর যারা আজও স্কুল পাবে না, তাদের কী হবে? যারা রাস্তায় ছিল আগে, আর করোনা যাদের রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছে, তারা? তাদের মনের বাড়ির খোঁজ কি নেবে কেউ? কিংবা যাদের স্কুলটিই উধাও হয়ে গেছে মহামারিতে, তারা কী করবে? তাদের অপেক্ষা ফুরাবে কবে?
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম বলেছেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একটি গাছের দুটি ফল। আগে আওয়ামী লীগ চাঁদাবাজি করেছে, এখন বিএনপি চাঁদাবাজি করছে। তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে যা করেছে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে একই কাজ করবে। এদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই...
২ মিনিট আগেকমপ্লিট শাটডাউনের মধ্যে পরীক্ষার রুটিন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে তাঁরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কম্বাইন্ড পরীক্ষা পদ
১২ মিনিট আগেবরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ ঘটনায় বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানের গড়ে তোলা সাংগঠনিক দুর্গ ভেঙে গেছে বলে মনে করেন অন্য নেতারা।
২০ মিনিট আগেনীলফামারীতে বজ্রপাতে কাশী নাথ রায় (৬২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে