Ajker Patrika

দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৪, ২০: ১৮
দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান

দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনাসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সভাটি আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা ও মানবাধিকার সংস্থা এম্পাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ)।

তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করে তাঁদের সামাজিকভাবে বয়কট করা, তাঁদের জবাবদিহি নিশ্চিত করে শাস্তির সম্মুখীন করা। এতে করে আইনের সুশাসন যেমন প্রতিষ্ঠা হবে, তেমনি বাংলার খেটে খাওয়া কৃষক, চাষি ও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে।’

এলকপ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সমাজের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয় এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করে দেয়। এই মহামারি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’

সেমিনারের প্রধান বক্তা বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘দুর্নীতি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই বাধাগ্রস্ত করে না, বৈষম্য ও দারিদ্র্যকেও বাড়িয়ে দেয়। দুর্নীতির প্রধান কারণ নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়। দুর্নীতি রোধে আমাদের নীতি আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলার সময় ঠিকই বলছি যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে, কিন্তু কাজের বেলায় তার প্রয়োগ নেই। ফলে একজন দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে এবং তাকে দেখে আরেকজন দুর্নীতি করার সাহস পেয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই আজ দুর্নীতি এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুর্নীতিবাজদের রুখতে সরকারকে দুষ্টচক্রকে চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

সভায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও নীতিনির্ধারকদের এগিয়ে আসতে হবে, যাতে করে প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতি রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।’

বক্তব্য উপস্থাপন পর্বের শেষে মুক্ত আলোচনা অধিবেশনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং মানবাধিকার কর্মীরা আলোচনায় অংশ নেন। শেষে এলকপ-এর নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল সেমিনারে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত