Ajker Patrika

ছুটির দিনে শিশুদের কলতানে মুখর বইমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২২, ১৯: ০৫
ছুটির দিনে শিশুদের কলতানে মুখর বইমেলা

অমর একুশে বইমেলায় বর্ধিত সময়ে এসে তৃতীয় দিনের মতো উদ্‌যাপিত হচ্ছে শিশুপ্রহর। বাবা-মায়ের হাত ধরে আসা শিশুদের পদচারণায় মেলার শিশু চত্বর যেন পরিণত হয়েছে কচি-কাঁচার মেলায়। মায়ের হাত ছেড়ে রঙিন মলাটের বইয়ের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ছে কেউ কেউ। আবার সমবয়সী অন্য শিশুকে দেখে আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠছে। কখনো বা পছন্দের বই কিনে না দেওয়ায় জেদ করে কান্নায় ভেঙে পড়ছে কোনো শিশু। সিসিমপুরের হালুম, ইকরি, শিকু ও টুনটুনির পরিবেশনা শিশুদের আনন্দে যুক্ত করেছে আলাদা মাত্রা। 

আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলার মূল আকর্ষণ ছিল শিশু চত্বর। ছুটির দিন হিসেবে খুব বেশি ভিড় না থাকলেও শিশুদের আগমনে এই মেলা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। 

শিশুদের হই হুল্লোড়ে কচিকাঁচার মেলায় পরিণত হয়েছে একুশে বইমেলাশিশুদের হই-হুল্লোড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যস্ততাও বেড়েছে বইয়ের স্টলগুলোতে। ভূতের গল্প, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, রূপকথা, ঠাকুমার ঝুলিসহ আঁকার বইয়ের প্রতি শিশুদের আকর্ষণ বেশি বলে জানিয়েছেন বইয়ের স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধিরা। আলাদাভাবে শিশুদের নজরে আছে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক পপআপ বইগুলোও। 

মা ও ফুফুর সঙ্গে বই কিনতে মেলায় এসেছে সামান্থা জোয়ারদার। চার বছর বয়সী এই খুদে পাঠক ঠাকুমার ঝুলি, আঁকার বই ও নীতিকথামূলক বই কিনেছে। তারপর চোখ আটকে গেছে পপআপ বইয়ের ওপর। বায়না ধরায় সেটাও কিনে দেওয়ার জন্য ফুল, পাখি, গাছ আর মাছ নিয়ে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা বইগুলো বাছাই করছিলেন তার ফুফু অনামিকা জোয়ারদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওর বইয়ের প্রতি প্রচুর আগ্রহ। ওর আগ্রহেই মেলায় আসা। যে বইটাই পছন্দ হচ্ছে, সেটা খুলেই স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে পড়তে শুরু করে দিচ্ছে। চারটা বই কেনার পরে এখন তার বায়না পপআপ বই কিনে দিতে হবে।’ 

শিশুদের হই হুল্লোড়ে কচিকাঁচার মেলায় পরিণত হয়েছে একুশে বইমেলাপপআপ ও ডাই কার্ড বইগুলোতে লেখার বিষয়বস্তুর দৃশ্য নানাভাবে তুলে ধরার কারণে শিশুরা বেশি আকর্ষণ বোধ করছে। প্রগতি পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমাদের স্টলে শিশুদের বিভিন্ন ডাই কার্ড, পপআপ, গল্পের বই পাওয়া যাচ্ছে। অন্য বইগুলো থেকে এসব বইয়ে ছবির উপস্থাপন অনেক বেশি জীবন্ত ও ভিন্নতা থাকায় শিশুদের টানছে বেশি। দাম বেশি হলেও বিক্রি কম না এসব বইয়ের।’ 

এদিকে সিসিমপুরের আয়োজনে শিশু চত্বরের রমনা কালীমন্দির প্রান্তে সিসিমপুর ইকরি, হালুম, টুকটুকি ও শিকুদের পরিবেশনায় মজেছে খুদে পাঠকেরা। 

প্রতিবারই বইমেলা শুরু হওয়ার পরে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার আয়োজন করা হয় শিশু প্রহর। এই দুই দিন করোনা মহামারির কারণে বইমেলার প্রথম সপ্তাহে শিশু প্রহরের আয়োজন করা হয়নি। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহে থেকে ফের শুরু হয় এই আয়োজন। এতে খুশি হয়ে মেলা আয়োজক কমিটিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। আলাদা দিন, সময় বা উপলক্ষ হলে শিশুদের বইমুখী করা সহজ হয় বলেও জানান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত