Ajker Patrika

পলাতক থাকায় বরখাস্ত ডিএমপির সাবেক এডিসি নাজমুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ২৮
ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত ও পলাতক থাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার মো. নাজমুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “মো. নাজমুল ইসলাম, সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি, ঢাকা ও বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে গত ২৩ এপ্রিল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (গ) অনুসারে যথাক্রমে ‘অসদাচরণ ও পলায়ন” এর শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী গত ২৩ এপ্রিল থেকে তাঁকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।”

গত ২২ এপ্রিল অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের সৎমা নিশি ইসলামের করা এক মামলায় শাওন ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল।

এর আগে গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎমা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। একই সঙ্গে উভয় পক্ষের উপস্থিতির জন্য ২২ এপ্রিল ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় ‘পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপন দেন। সে বিজ্ঞাপন থেকে নিশির সঙ্গে পরিচয় হয় ও ২১ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয়।

এ ঘটনা জানার পর বাদীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান শাওন। ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাদী নিশি ইসলামের বাড়িতে এসে শাওন ও তাঁর ভাইবোনেরা ও অন্যরা বিয়ের ঘটনা গোপন রাখতে বলেন এবং কাউকে কিছু না জানিয়ে তালাক দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। বাদী তা করায় একই বছরের ৪ মার্চ তাঁকে কৌশলে গুলশানের বাড়িতে খবর দিয়ে নিয়ে যান তাঁর স্বামী। সেখানে গেলে শাওন ও অন্যান্য আসামিরা তালাকনামায় সই করতে চাপ সৃষ্টি করেন। বাদী রাজি না হওয়ায় শাওন ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে বাদীর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। নাকেমুখেও প্রচণ্ড আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলেন। বাদী মামলায় অভিযোগ করেন, খুনের উদ্দেশ্যে তাঁকে এই আঘাতগুলো করা হয়।

বাদী মামলার আরজিতে আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে বাদীকে খবর দিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে তালাকনামায় সই করতে চাপ সৃষ্টি করা হয়। রাজি না হলে তাঁকে পুলিশের কর্মকর্তারা মারধর করেন। আবার মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে তাঁকে কারাগারের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়। ছয় মাস তাঁকে জেল খাটতে হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্যকলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

গভর্নর আমাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার কে: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুল

ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে বিয়ে

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের যৌন সহিংসতার প্রসঙ্গ জাতিসংঘে তুললেন ভারতীয় দূত

কেশবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বর্ণের কারিগরসহ দুই ব্যক্তি নিহত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত