আয়নাল হোসেন, ঢাকা
রাজধানীর হাজারীবাগের বাড্ডা নগর লেনে মর্টগেজ নেওয়া একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রতিবন্ধী কিশোরীসহ সাত সদস্যের এক পরিবারকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছেন বাড়ির মালিক। মর্টগেজের টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি এবং নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় অসহায় ওই পরিবারকে রাত কাটাতে হচ্ছে রাস্তায়। অভিযুক্ত ওই বাড়ির মালিকের নাম সাহাবুদ্দিন সাবু। তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ হাজারীবাগ থানার আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।
রাস্তায় রাত কাটানো পরিবারটির একজন সদস্য আসমা আক্তার। তিনি ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। আসমা জানান, ধারদেনা করে গত বছরের ১ আগস্ট তিন লাখ টাকার বিনিময়ে বাড্ডা নগর লেনের ৬২/২ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট তিন বছরের জন্য মর্টগেজ নেন তিনি। মর্টগেজের শর্ত অনুযায়ী পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল গ্রহীতা নেবেন এবং ফ্ল্যাট কিংবা টাকা ফেরত নিতে হলে কমপক্ষে তিন মাস আগে জানাতে হবে। ওই ফ্ল্যাটে মা রাবেয়া বেগম, বড় বোন ফরিদা, ফরিদার স্বামী ও দুই সন্তান এবং প্রতিবন্ধী ছোট বোন ইতিকে নিয়ে বাস করে আসছেন আসমা।
টিউশনি করে সংসার চালানো আসমা আরও জানান, গত বছর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তার সংসারে অভাব-অনটন শুরু হয়। তখন তিনি বাড়ির মালিকের কাছে শর্ত অনুযায়ী টাকা ফেরত চান। কিন্তু বাড়ির টাকা নিয়ে ঘুরাতে থাকেন। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার আসমা জরুরি কাজে বাসা থেকে হলে ফ্ল্যাট রং করার কথা বলে তাঁদের সব মালামাল ঘর থেকে বাইরে ফেলে দেন সাহাবুদ্দিন। এরপর দুই দিন তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যান।
আসমার পরিবারকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেওয়ার আগে পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। উল্টো মর্টগেজের শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে জানানোর পরও টাকা ফেরত না দিয়ে আসমার নামে হাজারীবাগ থানায় জোরপূর্বক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
বাড্ডা নগরের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের পরিচয়ে প্রভাব খাঁটিয়ে সাহাবুদ্দিন সাবু অনেকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং স্থানীয় একটি মাজার থেকেও টাকা তোলেন তিনি। এসব কাজের জন্য তিনি থানা-পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে চলেন বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসমা আক্তার তাঁর কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট মর্টগেজ নিয়েছিলেন। পরে সব টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আসমা টাকা নিয়েছেন এমন কোনো প্রমাণ আছে কি না, জানতে চাইলে এর কোনো উত্তর দিতে পারেননি সাহাবুদ্দিন। আসমা চুক্তিনামাটি ছিঁড়ে ফেলেন বলে দাবি তাঁর।
হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, ‘দুই পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু বাড়ির মালিককে সুবিধাজনক মনে হয়নি। আসমা নামের মেয়েটি যদি টাকা ফেরত নিয়ে থাকে, তাহলে বাড়ির মালিককে সেই তথ্য-প্রমাণ দেখাতে হবে।’
রাজধানীর হাজারীবাগের বাড্ডা নগর লেনে মর্টগেজ নেওয়া একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রতিবন্ধী কিশোরীসহ সাত সদস্যের এক পরিবারকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছেন বাড়ির মালিক। মর্টগেজের টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি এবং নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় অসহায় ওই পরিবারকে রাত কাটাতে হচ্ছে রাস্তায়। অভিযুক্ত ওই বাড়ির মালিকের নাম সাহাবুদ্দিন সাবু। তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ হাজারীবাগ থানার আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।
রাস্তায় রাত কাটানো পরিবারটির একজন সদস্য আসমা আক্তার। তিনি ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। আসমা জানান, ধারদেনা করে গত বছরের ১ আগস্ট তিন লাখ টাকার বিনিময়ে বাড্ডা নগর লেনের ৬২/২ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট তিন বছরের জন্য মর্টগেজ নেন তিনি। মর্টগেজের শর্ত অনুযায়ী পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল গ্রহীতা নেবেন এবং ফ্ল্যাট কিংবা টাকা ফেরত নিতে হলে কমপক্ষে তিন মাস আগে জানাতে হবে। ওই ফ্ল্যাটে মা রাবেয়া বেগম, বড় বোন ফরিদা, ফরিদার স্বামী ও দুই সন্তান এবং প্রতিবন্ধী ছোট বোন ইতিকে নিয়ে বাস করে আসছেন আসমা।
টিউশনি করে সংসার চালানো আসমা আরও জানান, গত বছর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তার সংসারে অভাব-অনটন শুরু হয়। তখন তিনি বাড়ির মালিকের কাছে শর্ত অনুযায়ী টাকা ফেরত চান। কিন্তু বাড়ির টাকা নিয়ে ঘুরাতে থাকেন। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার আসমা জরুরি কাজে বাসা থেকে হলে ফ্ল্যাট রং করার কথা বলে তাঁদের সব মালামাল ঘর থেকে বাইরে ফেলে দেন সাহাবুদ্দিন। এরপর দুই দিন তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যান।
আসমার পরিবারকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেওয়ার আগে পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। উল্টো মর্টগেজের শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে জানানোর পরও টাকা ফেরত না দিয়ে আসমার নামে হাজারীবাগ থানায় জোরপূর্বক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
বাড্ডা নগরের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের পরিচয়ে প্রভাব খাঁটিয়ে সাহাবুদ্দিন সাবু অনেকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং স্থানীয় একটি মাজার থেকেও টাকা তোলেন তিনি। এসব কাজের জন্য তিনি থানা-পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে চলেন বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসমা আক্তার তাঁর কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট মর্টগেজ নিয়েছিলেন। পরে সব টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আসমা টাকা নিয়েছেন এমন কোনো প্রমাণ আছে কি না, জানতে চাইলে এর কোনো উত্তর দিতে পারেননি সাহাবুদ্দিন। আসমা চুক্তিনামাটি ছিঁড়ে ফেলেন বলে দাবি তাঁর।
হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, ‘দুই পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু বাড়ির মালিককে সুবিধাজনক মনে হয়নি। আসমা নামের মেয়েটি যদি টাকা ফেরত নিয়ে থাকে, তাহলে বাড়ির মালিককে সেই তথ্য-প্রমাণ দেখাতে হবে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৫ ঘণ্টা আগে