শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
বাতিঘর প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নের সামনে বেশ ভিড়। বই কেনার পাশাপাশি জটলাটা লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনকে ঘিরে। অটোগ্রাফ আর সেলফি শিকারিদের কবলে পড়েছিলেন তিনি। একের পর এক নাম সই আর সেলফির আবদার মেটানো থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে কথা বললেন তিনি। জানালেন, বইমেলার শেষ দিকে কালই প্রথম মেলায় এসেছেন। এবার তাঁর দুটি বই এসেছে— ‘জুলাইর গল্প’ এবং আরেকটি থ্রিলার ‘দ্য ভিঞ্চি ক্লাব’। থ্রিলার বইটির কাহিনি তাঁর মাথায় আসে বছর পনেরো আগে। এত দিন পর তা বই হয়ে বাজারে এল।
থ্রিলার অর্থাৎ রোমাঞ্চ উপন্যাস ঘিরে তারুণ্যের উন্মাদনা চোখে পড়ে এবারের মেলার প্রথম থেকেই। শেষ দিকে এসেও তারুণ্যের আগ্রহের দিক থেকে এগিয়ে আছে জনপ্রিয় সাহিত্যের এ ধারা। বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীদের ভাষ্য তা-ই বলে।
আফসার ব্রাদার্সের বিক্রয়কর্মী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের থ্রিলার আর সায়েন্স ফিকশন বেশি চলছে। মেলার প্রথম থেকেই তরুণেরা থ্রিলার, হরর এগুলো চাইছেন।’
মৌলিক কাহিনি হিসেবে মোসাদ্দেক মিনহাজের ক্রাইম থ্রিলার ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ এবং কাজী রাহনুমা নূরের অনুবাদে রুথ ওয়্যারের ‘দ্য উইম্যান ইন কেবিন টেন’ বেশি চলছে শব্দশৈলী থেকে। শব্দশৈলীর বিক্রয়কর্মী আবু সুফিয়ান বলেন, বয়সভেদে প্রায় সব শ্রেণির পাঠকই কিনছেন থ্রিলার। তরুণেরা বেশি।
ইত্যাদি প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী নাফিদ চৌধুরীও জানালেন, টিন এজ, ‘জেন-জিদের’ থ্রিলারে আকর্ষণ বেশি। প্রচলিত অন্যান্য উপন্যাসের পরই চলছে থ্রিলার। ইত্যাদি বের করেছে জামশেদ নাজিমের ‘মৃত্যু কখনো কখনো জরুরি হয়’ এবং সোহানী শিফার ক্রাইম থ্রিলার ‘৮৬ জনসন রোড’।
গতকাল মেলায় ভিড় ছিল মোটামুটি। তবে অনন্যা প্রকাশনীর কর্ণধার মনিরুল হকও কাল বললেন, ‘প্রচুর লোক এলেও পাঠক-ক্রেতা কম। আর এত প্রকাশকও কোথা থেকে এল বুঝতে পারছি না। বিক্রি কম। গত বছরের তুলনায় অর্ধেক।’
নতুন বইয়ের খোঁজে
চিত্রশিল্পী,লেখক ধ্রুব এষের নিজের জীবনকথা ‘ধ্রুব সত্য ধ্রুব মিথ্যা’ বেরিয়েছে বিদ্যাপ্রকাশ থেকে। বইটি নিয়ে লেখকের ভাষ্য: ‘আত্মজীবনী আমি লিখব না। বেয়াদবি হয়ে যাবে। তবে এই বইয়ের লেখাগুলো নিশ্চয় আমার আত্মজীবনীরই অংশ।’
লোকসংগীতের অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন কথা-সুরের সাধককে নিয়ে তপন বাগচীর বই ‘লোকসংগীতের সতেরো সারথি’ এনেছে কথাপ্রকাশ। এই শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন অশ্বিনী গোসাঁই, মিরাশউদ্দিন, আবদুল খালেক দেওয়ান, আবদুল হাই মাশরেকী, বিজয় সরকার, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, মাতাল রাজ্জাক, কছিমউদ্দিন, ক্বারী আমীরউদ্দিন প্রমুখ।
গৎবাঁধা নির্বাচনকেন্দ্রিক গণতন্ত্রের দোষত্রুটি ও প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই নিয়ে নূরুল কবীরের নিবন্ধের সংকলন ‘নৈর্বাচনিক স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম’ বইটির বর্ধিত কলেবরের দ্বিতীয় সংস্করণ বেরিয়েছে। এনেছে পাঠক সমাবেশ।
বাংলা একাডেমি বলছে, গতকাল মেলায় বই এসেছে ১০১টি। এ পর্যন্ত আসা মোট নতুন বইয়ের সংখ্যা ২৬২২টি।
আয়োজন
মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘গণঅভ্যুত্থান, গ্রাফিতি এবং অপরাপর ভিজুয়াল কালচার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুনেম ওয়াসিফ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তাসলিমা আখতার এবং কামার আহমাদ সাইমন। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
মুনেম ওয়াসেফ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতিগুলো থেকে বোঝা যায়, গত এক দশকের বেশি সময় আমরা যে ক্ষমতার জাঁতাকলের মধ্যে বসবাস করেছি, তরুণ প্রজন্ম সেই ক্ষমতার কর্তৃত্বকে ছুড়ে ফেলে দিতে চেয়েছে। বেশির ভাগ গ্রাফিতি গতানুগতিক শিল্পধারা অনুসরণ করেনি। এ জন্যই সেগুলো এত অসাধারণ।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতিগুলোর শিল্পগত বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি আরও নানামাত্রিক আলোচনা হতে পারে। এর যে ব্যাখ্যাগত সম্ভাবনা দাঁড়াবে তা হবে অসীম ও অসামান্য।
‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও সম্পাদক শওকত হোসেন এবং কবি শামীমা চৌধুরী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন মতিন বৈরাগী, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, সুহিতা সুলতানা, শওকত হোসেন, কামাল মুস্তাফা এবং মীর তারিকুল ইসলাম। গতকাল ছিল আবৃত্তি সংগঠন ‘নজরুল আবৃত্তি সংসদ’ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নটনন্দন’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রোজী আক্তার শেফালী, অন্তর সরকার, মনীন্দ্র দাস, ফকির আবুল হাশেম, শাহ আলম দেওয়ান, দেলোয়ার হোসেন বয়াতি, শিপ্রা ঘোষ, সনৎ কুমার বিশ্বাস, লুৎফর রহমান, রবিউল ইসলাম, মিন্টু বাউল, বিজন চন্দ্র রায় এবং আবদুল আউয়াল।
গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি পরিচালিত চিত্তরঞ্জন সাহা, মুনীর চৌধুরী, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ও শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয় গতকাল।
২০২৪ সালে বিষয়ের বিচারে সর্বাধিকসংখ্যক মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কথাপ্রকাশ পাচ্ছে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৫।
২০২৪ সালে প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাঠক সমাবেশ (প্লেটো: জীবন ও দর্শন—আমিনুল ইসলাম ভুইয়া), ঐতিহ্য (ভাষা শহীদ আবুল বরকত: নেপথ্য-কথা—বদরুদ্দোজা হারুন) এবং কথাপ্রকাশকে (গোরস্তানের পদ্য : স্মৃতি ও জীবনস্বপ্ন—সিরাজ সালেকীন) মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫ দেওয়া হবে।
রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছে কাকাতুয়া। ২০২৪ সালে গুণমান বিচারে সর্বাধিকসংখ্যক শিশুতোষ বই প্রকাশের জন্য এটি দেওয়া হয়।
স্টলের অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাকতাবাতুল ইসলাম (১ ইউনিট); গ্রন্থিক প্রকাশন (২-৪ ইউনিট) ও বাতিঘর (প্যাভেলিয়ন)-কে কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫ দেওয়া হবে। বাংলা একাডেমি জানিয়েছে মেলার শেষ দিন এই পুরস্কার সংশ্লিষ্টদের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।
বাতিঘর প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নের সামনে বেশ ভিড়। বই কেনার পাশাপাশি জটলাটা লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনকে ঘিরে। অটোগ্রাফ আর সেলফি শিকারিদের কবলে পড়েছিলেন তিনি। একের পর এক নাম সই আর সেলফির আবদার মেটানো থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে কথা বললেন তিনি। জানালেন, বইমেলার শেষ দিকে কালই প্রথম মেলায় এসেছেন। এবার তাঁর দুটি বই এসেছে— ‘জুলাইর গল্প’ এবং আরেকটি থ্রিলার ‘দ্য ভিঞ্চি ক্লাব’। থ্রিলার বইটির কাহিনি তাঁর মাথায় আসে বছর পনেরো আগে। এত দিন পর তা বই হয়ে বাজারে এল।
থ্রিলার অর্থাৎ রোমাঞ্চ উপন্যাস ঘিরে তারুণ্যের উন্মাদনা চোখে পড়ে এবারের মেলার প্রথম থেকেই। শেষ দিকে এসেও তারুণ্যের আগ্রহের দিক থেকে এগিয়ে আছে জনপ্রিয় সাহিত্যের এ ধারা। বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীদের ভাষ্য তা-ই বলে।
আফসার ব্রাদার্সের বিক্রয়কর্মী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের থ্রিলার আর সায়েন্স ফিকশন বেশি চলছে। মেলার প্রথম থেকেই তরুণেরা থ্রিলার, হরর এগুলো চাইছেন।’
মৌলিক কাহিনি হিসেবে মোসাদ্দেক মিনহাজের ক্রাইম থ্রিলার ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ এবং কাজী রাহনুমা নূরের অনুবাদে রুথ ওয়্যারের ‘দ্য উইম্যান ইন কেবিন টেন’ বেশি চলছে শব্দশৈলী থেকে। শব্দশৈলীর বিক্রয়কর্মী আবু সুফিয়ান বলেন, বয়সভেদে প্রায় সব শ্রেণির পাঠকই কিনছেন থ্রিলার। তরুণেরা বেশি।
ইত্যাদি প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী নাফিদ চৌধুরীও জানালেন, টিন এজ, ‘জেন-জিদের’ থ্রিলারে আকর্ষণ বেশি। প্রচলিত অন্যান্য উপন্যাসের পরই চলছে থ্রিলার। ইত্যাদি বের করেছে জামশেদ নাজিমের ‘মৃত্যু কখনো কখনো জরুরি হয়’ এবং সোহানী শিফার ক্রাইম থ্রিলার ‘৮৬ জনসন রোড’।
গতকাল মেলায় ভিড় ছিল মোটামুটি। তবে অনন্যা প্রকাশনীর কর্ণধার মনিরুল হকও কাল বললেন, ‘প্রচুর লোক এলেও পাঠক-ক্রেতা কম। আর এত প্রকাশকও কোথা থেকে এল বুঝতে পারছি না। বিক্রি কম। গত বছরের তুলনায় অর্ধেক।’
নতুন বইয়ের খোঁজে
চিত্রশিল্পী,লেখক ধ্রুব এষের নিজের জীবনকথা ‘ধ্রুব সত্য ধ্রুব মিথ্যা’ বেরিয়েছে বিদ্যাপ্রকাশ থেকে। বইটি নিয়ে লেখকের ভাষ্য: ‘আত্মজীবনী আমি লিখব না। বেয়াদবি হয়ে যাবে। তবে এই বইয়ের লেখাগুলো নিশ্চয় আমার আত্মজীবনীরই অংশ।’
লোকসংগীতের অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন কথা-সুরের সাধককে নিয়ে তপন বাগচীর বই ‘লোকসংগীতের সতেরো সারথি’ এনেছে কথাপ্রকাশ। এই শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন অশ্বিনী গোসাঁই, মিরাশউদ্দিন, আবদুল খালেক দেওয়ান, আবদুল হাই মাশরেকী, বিজয় সরকার, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, মাতাল রাজ্জাক, কছিমউদ্দিন, ক্বারী আমীরউদ্দিন প্রমুখ।
গৎবাঁধা নির্বাচনকেন্দ্রিক গণতন্ত্রের দোষত্রুটি ও প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই নিয়ে নূরুল কবীরের নিবন্ধের সংকলন ‘নৈর্বাচনিক স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম’ বইটির বর্ধিত কলেবরের দ্বিতীয় সংস্করণ বেরিয়েছে। এনেছে পাঠক সমাবেশ।
বাংলা একাডেমি বলছে, গতকাল মেলায় বই এসেছে ১০১টি। এ পর্যন্ত আসা মোট নতুন বইয়ের সংখ্যা ২৬২২টি।
আয়োজন
মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘গণঅভ্যুত্থান, গ্রাফিতি এবং অপরাপর ভিজুয়াল কালচার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুনেম ওয়াসিফ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তাসলিমা আখতার এবং কামার আহমাদ সাইমন। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
মুনেম ওয়াসেফ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতিগুলো থেকে বোঝা যায়, গত এক দশকের বেশি সময় আমরা যে ক্ষমতার জাঁতাকলের মধ্যে বসবাস করেছি, তরুণ প্রজন্ম সেই ক্ষমতার কর্তৃত্বকে ছুড়ে ফেলে দিতে চেয়েছে। বেশির ভাগ গ্রাফিতি গতানুগতিক শিল্পধারা অনুসরণ করেনি। এ জন্যই সেগুলো এত অসাধারণ।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতিগুলোর শিল্পগত বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি আরও নানামাত্রিক আলোচনা হতে পারে। এর যে ব্যাখ্যাগত সম্ভাবনা দাঁড়াবে তা হবে অসীম ও অসামান্য।
‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও সম্পাদক শওকত হোসেন এবং কবি শামীমা চৌধুরী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন মতিন বৈরাগী, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, সুহিতা সুলতানা, শওকত হোসেন, কামাল মুস্তাফা এবং মীর তারিকুল ইসলাম। গতকাল ছিল আবৃত্তি সংগঠন ‘নজরুল আবৃত্তি সংসদ’ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নটনন্দন’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রোজী আক্তার শেফালী, অন্তর সরকার, মনীন্দ্র দাস, ফকির আবুল হাশেম, শাহ আলম দেওয়ান, দেলোয়ার হোসেন বয়াতি, শিপ্রা ঘোষ, সনৎ কুমার বিশ্বাস, লুৎফর রহমান, রবিউল ইসলাম, মিন্টু বাউল, বিজন চন্দ্র রায় এবং আবদুল আউয়াল।
গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি পরিচালিত চিত্তরঞ্জন সাহা, মুনীর চৌধুরী, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ও শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয় গতকাল।
২০২৪ সালে বিষয়ের বিচারে সর্বাধিকসংখ্যক মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কথাপ্রকাশ পাচ্ছে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৫।
২০২৪ সালে প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাঠক সমাবেশ (প্লেটো: জীবন ও দর্শন—আমিনুল ইসলাম ভুইয়া), ঐতিহ্য (ভাষা শহীদ আবুল বরকত: নেপথ্য-কথা—বদরুদ্দোজা হারুন) এবং কথাপ্রকাশকে (গোরস্তানের পদ্য : স্মৃতি ও জীবনস্বপ্ন—সিরাজ সালেকীন) মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫ দেওয়া হবে।
রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছে কাকাতুয়া। ২০২৪ সালে গুণমান বিচারে সর্বাধিকসংখ্যক শিশুতোষ বই প্রকাশের জন্য এটি দেওয়া হয়।
স্টলের অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাকতাবাতুল ইসলাম (১ ইউনিট); গ্রন্থিক প্রকাশন (২-৪ ইউনিট) ও বাতিঘর (প্যাভেলিয়ন)-কে কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫ দেওয়া হবে। বাংলা একাডেমি জানিয়েছে মেলার শেষ দিন এই পুরস্কার সংশ্লিষ্টদের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল সোমবার প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে দুজন সহসভাপতি (ভিপি), একজন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীসহ বাদ পড়েছেন ১৯ প্রার্থী। অন্যদিকে হল সংসদ নির্বাচনে কোনো
৫ ঘণ্টা আগেবেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পশ্চিমাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী বেশ কিছু পরিবহনশ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বেশির ভাগ পরিবহনের দূরপাল্লার বাস চলছে না।
৬ ঘণ্টা আগেদিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নৌকার পর নৌকা ভিড়ছে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাকড়শনে। এটি শামুকের আড়ত। সকাল থেকে এখানে শুরু হয় জমজমাট ক্রয়-বিক্রয়।
৬ ঘণ্টা আগেদেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথ
৬ ঘণ্টা আগে