অনিক সিকদার, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নলিয়া গ্রামের জোড় বাংলা মন্দির। সংরক্ষণের অভাবে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্য বহনকারী শত শত বছরের মন্দিরটি। ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এটি। এক সময়ের জোড় বাংলা মন্দিরকে কেন্দ্র করে এখানে অপরূপ সাজে সেজে ছিল একে একে ৮টি মন্দির। কিন্তু সময়ের আবর্তনে সেখান থেকে ৫টি মন্দির বিলুপ্তি হয়ে গেছে। বাকি ৩টি মন্দির এখন সংরক্ষণের অভাবে হারাচ্ছে তার ঐতিহ্য। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে যে তিনটি মন্দির রয়েছে সেগুলোতেও প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। মন্দিরগুলো এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ শত বছর আগে ১৬৫৫ সালে রাজা সীতারাম রায় বর্তমান রাজবাড়ীর বেলগাছিতে তার ইচ্ছা অনুসারে একটি সোনার মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে চেয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে মন্দিরের মূর্তি তৈরি করার জন্য নলিয়া গ্রামের এক কর্মকারকে মূর্তি বানানোর নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। মূর্তি তৈরির জন্য সেই কর্মকার রাজা সীতারাম রায়ের কাছে স্বর্ণ চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই কর্মকার স্বর্ণ চুরি করতে পারে এমনটি ভেবে রাজা তাঁকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে মূর্তি বানাতে বলেন। রাজার এই কথায় কর্মকার মনে কষ্ট পেয়ে রাজার বাড়িতে গিয়ে সোনার মূর্তি পাশাপাশি আরেকটি পিতলের মূর্তি তৈরি করেছিলেন। পূজার আগের দিন পুকুরে মূর্তি ঘষামাজার সময় রাজার নির্দেশকৃত স্বর্ণের এবং পিতলের ওই দুটি মূর্তি পরিবর্তন করে ফেলেন। যখন পূজা আরম্ভ হবে তখন সেই কর্মকার রাজার অনুমতিক্রমে সত্যটা প্রকাশ করেন।
কিন্তু ধর্মীয় রীতিতে এক মন্দিরে দুই পূজা না করার বিধি থাকায় তখন রাজা ওই কর্মকারকে পিতলের মূর্তিটি তাঁর নিজ বাড়ি নলিয়া গ্রামে স্থাপন করে সেখানে পূজা করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং মন্দিরটি রাজা নিজে স্থাপন করে দেন। সেই থেকেই সৃষ্টি হয় নলিয়া জোড় বাংলা মন্দির। এই জোড় বাংলা মন্দিরকে কেন্দ্র করে তৎকালীন সময়ে ৮টি মন্দির স্থাপন করে দেন রাজা সীতারাম রায়।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অযত্ন আর অবহেলায় মন্দিরটি এখন বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না হওয়ায় মন্দিরটি তার শত শত বছরের ঐতিহ্য হারাচ্ছে। এখানে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী মন্দিরটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। মন্দিরটি দ্রুত সংস্কার করে শত বছরের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার দাবি জানিয়েছেন আগত দর্শনার্থীরা।
মন্দিরের সেবায়েত বিদ্যুৎ কুমার মুখার্জি বলেন, রাজা সীতারাম রায়ের আমলে এই মন্দিরটি স্থাপিত হয়। এখানে মন্দিরের নামে এখনো ৩১ শতাংশ জমি রয়েছে। এর বেশির ভাগ জমিই এখন বেদখল হয়ে গেছে। এই মন্দিরগুলোর বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়। দ্রুত সংস্কার করা না হলে মন্দিরগুলোর অস্তিত্ব আর থাকবে না।
মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি আমীর আলী বলেন, জোড় বাংলা মন্দিরগুলো অনেক পুরোনো। মন্দিরটি দেখতে এখানে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থীরা আসেন। বালিয়াকান্দিতে ইতিহাস-ঐতিহ্য চোখে পড়ার মতো হাতে গোনা ৩-৪টি স্থাপনা রয়েছে। তার মধ্যে নলিয়া জোড় বাংলা মন্দিরগুলো অন্যতম। মন্দিরগুলোর বর্তমান অবস্থান খুব খারাপ। যদি এটি দ্রুত সংস্কার করা না হয় তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব স্থাপনা নষ্ট হয়ে যাবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, জোড় বাংলা মন্দিরটি আমাদের এই অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য বহন করে থাকে। খুব দ্রুতই উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই মন্দিরটি সংস্করণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নলিয়া গ্রামের জোড় বাংলা মন্দির। সংরক্ষণের অভাবে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্য বহনকারী শত শত বছরের মন্দিরটি। ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এটি। এক সময়ের জোড় বাংলা মন্দিরকে কেন্দ্র করে এখানে অপরূপ সাজে সেজে ছিল একে একে ৮টি মন্দির। কিন্তু সময়ের আবর্তনে সেখান থেকে ৫টি মন্দির বিলুপ্তি হয়ে গেছে। বাকি ৩টি মন্দির এখন সংরক্ষণের অভাবে হারাচ্ছে তার ঐতিহ্য। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে যে তিনটি মন্দির রয়েছে সেগুলোতেও প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। মন্দিরগুলো এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ শত বছর আগে ১৬৫৫ সালে রাজা সীতারাম রায় বর্তমান রাজবাড়ীর বেলগাছিতে তার ইচ্ছা অনুসারে একটি সোনার মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে চেয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে মন্দিরের মূর্তি তৈরি করার জন্য নলিয়া গ্রামের এক কর্মকারকে মূর্তি বানানোর নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। মূর্তি তৈরির জন্য সেই কর্মকার রাজা সীতারাম রায়ের কাছে স্বর্ণ চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই কর্মকার স্বর্ণ চুরি করতে পারে এমনটি ভেবে রাজা তাঁকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে মূর্তি বানাতে বলেন। রাজার এই কথায় কর্মকার মনে কষ্ট পেয়ে রাজার বাড়িতে গিয়ে সোনার মূর্তি পাশাপাশি আরেকটি পিতলের মূর্তি তৈরি করেছিলেন। পূজার আগের দিন পুকুরে মূর্তি ঘষামাজার সময় রাজার নির্দেশকৃত স্বর্ণের এবং পিতলের ওই দুটি মূর্তি পরিবর্তন করে ফেলেন। যখন পূজা আরম্ভ হবে তখন সেই কর্মকার রাজার অনুমতিক্রমে সত্যটা প্রকাশ করেন।
কিন্তু ধর্মীয় রীতিতে এক মন্দিরে দুই পূজা না করার বিধি থাকায় তখন রাজা ওই কর্মকারকে পিতলের মূর্তিটি তাঁর নিজ বাড়ি নলিয়া গ্রামে স্থাপন করে সেখানে পূজা করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং মন্দিরটি রাজা নিজে স্থাপন করে দেন। সেই থেকেই সৃষ্টি হয় নলিয়া জোড় বাংলা মন্দির। এই জোড় বাংলা মন্দিরকে কেন্দ্র করে তৎকালীন সময়ে ৮টি মন্দির স্থাপন করে দেন রাজা সীতারাম রায়।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অযত্ন আর অবহেলায় মন্দিরটি এখন বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না হওয়ায় মন্দিরটি তার শত শত বছরের ঐতিহ্য হারাচ্ছে। এখানে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী মন্দিরটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। মন্দিরটি দ্রুত সংস্কার করে শত বছরের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার দাবি জানিয়েছেন আগত দর্শনার্থীরা।
মন্দিরের সেবায়েত বিদ্যুৎ কুমার মুখার্জি বলেন, রাজা সীতারাম রায়ের আমলে এই মন্দিরটি স্থাপিত হয়। এখানে মন্দিরের নামে এখনো ৩১ শতাংশ জমি রয়েছে। এর বেশির ভাগ জমিই এখন বেদখল হয়ে গেছে। এই মন্দিরগুলোর বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়। দ্রুত সংস্কার করা না হলে মন্দিরগুলোর অস্তিত্ব আর থাকবে না।
মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি আমীর আলী বলেন, জোড় বাংলা মন্দিরগুলো অনেক পুরোনো। মন্দিরটি দেখতে এখানে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থীরা আসেন। বালিয়াকান্দিতে ইতিহাস-ঐতিহ্য চোখে পড়ার মতো হাতে গোনা ৩-৪টি স্থাপনা রয়েছে। তার মধ্যে নলিয়া জোড় বাংলা মন্দিরগুলো অন্যতম। মন্দিরগুলোর বর্তমান অবস্থান খুব খারাপ। যদি এটি দ্রুত সংস্কার করা না হয় তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব স্থাপনা নষ্ট হয়ে যাবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, জোড় বাংলা মন্দিরটি আমাদের এই অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য বহন করে থাকে। খুব দ্রুতই উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই মন্দিরটি সংস্করণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সাতক্ষীরায় অপরিপক্ব এক ট্রাক আম বাজারজাতের চেষ্টাকালে জব্দ করে ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে এই অভিযান চালানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে ট্রাকে অপরিপক্ব আমের বিষয়টি শনাক্ত করেন। পরে তাঁরা আমবাহী একটি ট্রাক
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাতিরঝিলে যুবদল কর্মী মো. আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ‘শুটার’ মাহফুজুর রহমান বিপুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ শনিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৩–এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাসুদ পারভেজের কক্ষে ঢুকে তাঁর ল্যাপটপ ভাঙচুর করেছেন এক জুনিয়র কনসালট্যান্ট। এ সময় তিনি তত্ত্বাবধায়কে মারতেও উদ্যত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীর হামলায় সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলা ২০১৮ ব্যাচের ছাত্র নোমানের ছাত্রত্ব সাময়িক স্থগিত ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তা ছাড়া স্নাতক পর্যায়ের সনদ স্থগিত ও তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত
১ ঘণ্টা আগে