গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে আদালত চত্বরে হামলা চালিয়ে জমিসংক্রান্ত মামলার দুই আসামিকে অপহরণ করা হয়েছে। হামলা ও অপহরণের ঘটনায় বাদীপক্ষকে দায়ী করেছে আসামিপক্ষ। আজ বুধবার জেলার রাজবাড়ী আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ও জিএমপির সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিলন মিয়া (৩৫) ও বাবুল মিয়া (৪০)। তাঁরা উভয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন তেলিহাটি এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। অপর দিকে আহত ব্যক্তিরা হলেন আইয়ুব আলী ও মতিউর রহমান। তাঁরা আইনজীবী সমিতির কর্মচারী।
একই মামলার আসামি এনামুল হক বলেন, ‘বাদী নাজমুল আমাদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় জমিসংক্রান্ত একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আমরা ১৩ আসামি (নারী-পুরুষ) আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছি। আজ (বুধবার) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ আমাদের স্থায়ী জামিন নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। সকালে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে বাদী ও তাঁর সঙ্গে দা, চাকু, লাঠিসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক দেখতে পাই। আমরা ভীত হয়ে বিষয়টি আমাদের আইনজীবী ও গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে জানাই। সিরাজুল ইসলাম সমিতির দুই ব্যক্তিকে আমাদের আনার জন্য পাঠান। আমরা ওই দুজনের সঙ্গে আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের অফিসের নিচে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত আইনজীবী, পুলিশসহ শত শত মানুষের সামনে বাদী ও তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করে। সন্ত্রাসীরা আমাদের ব্যাপক মারধর করে। এ সময় আমাদের বাঁচাতে সমিতির দুই কর্মকর্তা এগিয়ে এলে তাঁদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আমাদের মধ্যে থেকে দুজনকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকালে একটি মামলায় ১৩ আসামি হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালতে আসেন। আসামিরা আগেই আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আজ তাঁদের স্থায়ী (বদলি) জামিন নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। বাদী আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের পর আসামিরা আদালত থেকে বের হয়ে বাদীপক্ষের লোকজনকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখে ভয় পান। পরে তাঁরা বিষয়টি আমাকে জানালে আসামিদের নিরাপদে এখানে নিয়ে আসার জন্য আইনজীবী সমিতির দুজন কর্মচারী আইয়ুব আলী ও মতিউর রহমানকে পাঠাই। তাঁদের নিয়ে আমার অফিসের নিচে আসার পর বাদী ও তাঁর লোকজনের হামলায় ১৩ আসামি ও সমিতির দুই কর্মচারী মারাত্মকভাবে আহত হন। তাঁদের মধ্যে আইয়ুব আলীর মাথায় আঘাত লেগেছে। তাঁর মাথায় সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে। এ সময় বাদীপক্ষ দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।’
সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘এ ঘটনার সময়ে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সেখানে পুলিশের দুজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। আজ আমাদের আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা। বিষয়টি সেখানে আলোচনা করা হবে।’
ওসি মেহেদী হাসান বলেন, আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাদীপক্ষের লোকজন আসামিদের ওপর হামলা করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে দুই ভাইকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়।
মেহেদী হাসান বলেন, তুলে নিয়ে যাওয়া দুই ভাইকে ঘটনাস্থলের আধা কিলোমিটার দূরে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, আদালত এলাকায় হামলাকারীরা কোনো সাধারণ লোক নয়, তারা সন্ত্রাসী। আদালতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা উদ্বেগের। এটি রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। এ নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
গাজীপুরে আদালত চত্বরে হামলা চালিয়ে জমিসংক্রান্ত মামলার দুই আসামিকে অপহরণ করা হয়েছে। হামলা ও অপহরণের ঘটনায় বাদীপক্ষকে দায়ী করেছে আসামিপক্ষ। আজ বুধবার জেলার রাজবাড়ী আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ও জিএমপির সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিলন মিয়া (৩৫) ও বাবুল মিয়া (৪০)। তাঁরা উভয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন তেলিহাটি এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। অপর দিকে আহত ব্যক্তিরা হলেন আইয়ুব আলী ও মতিউর রহমান। তাঁরা আইনজীবী সমিতির কর্মচারী।
একই মামলার আসামি এনামুল হক বলেন, ‘বাদী নাজমুল আমাদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় জমিসংক্রান্ত একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আমরা ১৩ আসামি (নারী-পুরুষ) আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছি। আজ (বুধবার) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ আমাদের স্থায়ী জামিন নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। সকালে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে বাদী ও তাঁর সঙ্গে দা, চাকু, লাঠিসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক দেখতে পাই। আমরা ভীত হয়ে বিষয়টি আমাদের আইনজীবী ও গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে জানাই। সিরাজুল ইসলাম সমিতির দুই ব্যক্তিকে আমাদের আনার জন্য পাঠান। আমরা ওই দুজনের সঙ্গে আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের অফিসের নিচে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত আইনজীবী, পুলিশসহ শত শত মানুষের সামনে বাদী ও তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করে। সন্ত্রাসীরা আমাদের ব্যাপক মারধর করে। এ সময় আমাদের বাঁচাতে সমিতির দুই কর্মকর্তা এগিয়ে এলে তাঁদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আমাদের মধ্যে থেকে দুজনকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকালে একটি মামলায় ১৩ আসামি হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালতে আসেন। আসামিরা আগেই আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আজ তাঁদের স্থায়ী (বদলি) জামিন নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। বাদী আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের পর আসামিরা আদালত থেকে বের হয়ে বাদীপক্ষের লোকজনকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখে ভয় পান। পরে তাঁরা বিষয়টি আমাকে জানালে আসামিদের নিরাপদে এখানে নিয়ে আসার জন্য আইনজীবী সমিতির দুজন কর্মচারী আইয়ুব আলী ও মতিউর রহমানকে পাঠাই। তাঁদের নিয়ে আমার অফিসের নিচে আসার পর বাদী ও তাঁর লোকজনের হামলায় ১৩ আসামি ও সমিতির দুই কর্মচারী মারাত্মকভাবে আহত হন। তাঁদের মধ্যে আইয়ুব আলীর মাথায় আঘাত লেগেছে। তাঁর মাথায় সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে। এ সময় বাদীপক্ষ দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।’
সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘এ ঘটনার সময়ে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সেখানে পুলিশের দুজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। আজ আমাদের আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা। বিষয়টি সেখানে আলোচনা করা হবে।’
ওসি মেহেদী হাসান বলেন, আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাদীপক্ষের লোকজন আসামিদের ওপর হামলা করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে দুই ভাইকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়।
মেহেদী হাসান বলেন, তুলে নিয়ে যাওয়া দুই ভাইকে ঘটনাস্থলের আধা কিলোমিটার দূরে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, আদালত এলাকায় হামলাকারীরা কোনো সাধারণ লোক নয়, তারা সন্ত্রাসী। আদালতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা উদ্বেগের। এটি রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। এ নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বগুড়ায় আজগর আলী পিয়াল নামের এক অটোরিকশাচালককে হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৩ মিনিট আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৯০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে আনা হয়েছে।
৯ মিনিট আগেচকলেট ও বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মো. ইউসুফ আলী পাটোয়ারীকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে কদমতলী থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে সবুজবাগের বাসাবো এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড
১৫ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাড়িতে হামলা করে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে অপহৃত ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সঞ্চয় নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে