নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারে শরমা হাউসে গ্যাস বিস্ফোরণে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, মগবাজারের শরমা হাউসে গ্যাস বিস্ফোরণ আশপাশের সাতটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, বিস্ফোরণে চারদিকে ক্ষতি হয়েছে। ভবনের সামনের ও পেছনের অংশ উড়ে গেছে। ভেতরে থাকা ভারী ফ্রিজ কয়েক মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। শরমা হাউসের গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হতে পারে। বিস্ফোরকের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে কি–না সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারণ সাধারণ কোনো বিস্ফোরণে এমন হওয়ার কথা না। ঘটনাস্থলে ডিএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আলামত সংগ্রহ করেছে।
এদিকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ঘটনাস্থলের চারটি ভবন দূরের জোনায়েত স্টোরের মালিক বশির। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট পর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল। ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটলে বিদ্যুৎ থাকত না।
পাশের বাসার বাসিন্দা শাওন বলেন, সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের মতো প্রচণ্ড শব্দে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা হয়েছিল। প্রায় পাঁচ মিনিট পর বাইরে এসে দেখি ভবনের ভেতরে ও বাইরে মানুষ কাতরাচ্ছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এর মধ্যে একটা শিশু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিস্ফোরণে তিনতলা ভবনের নিচতলার অধিকাংশ উড়ে গেছে। দুমড়ে মুচড়ে গেছে ভবনের সামনের তিনটি যাত্রীবাহী বাস। ভবনের প্রায় ৮ মিটার দূরে স্টিলের দরজা এসে আঘাত করেছে। উড়ে গেছে মগবাজার ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের ভবন ‘রাখী নীড় প্লাজার’ সাইনবোর্ড। ভবন থেকে প্রায় ৩০ মিটার দূরে ফ্লাইওভারের ওপর লাব্বাইক পরিবহনের একটি বাসও দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ভবনের ভেতর থাকা ভারী জেনারেটরটি রাস্তায় এসে পড়েছে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভবন ও বাসের কাচ। ভবনের বিপরীত পাশে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত আড়ং–এর তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ঘটনাস্থলের চারদিকে প্রায় দেড় শ মিটার পর্যন্ত ভবনের জানালার গ্লাস ভেঙে রাস্তায় পড়েছে।
ভবনের নিচতলার বেঙ্গল মিটের কর্মচারী নাসিরউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, ভবনের নিচতলায় পশ্চিম পাশে ঢোকার গেট। গেট দিয়ে ঢুকেই বেঙ্গল মিটের দোকান, বেঙ্গল মিটের পশ্চিম পাশে জেনারেটর। বেঙ্গল মিটের পূর্বপাশে শরমা হাউস। শরমা হাউসের পেছনের অংশ বাঁকা হয়ে বেঙ্গল মিটের পেছনে চলে গেছে। সেখানে শরমা হাউসের রান্নাঘর। পাশের দোকানটি গ্র্যান্ড সুইটস। ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের স্টোররুম। মাত্র এক সপ্তাহ আগে সেখানে মালামাল তোলা হয়। বিস্ফোরণে দোতলার ছাদ ভেঙে সিঙ্গারের ফ্রিজসহ বিভিন্ন পণ্য নিচে পড়ে গেছে।
ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারে শরমা হাউসে গ্যাস বিস্ফোরণে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, মগবাজারের শরমা হাউসে গ্যাস বিস্ফোরণ আশপাশের সাতটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, বিস্ফোরণে চারদিকে ক্ষতি হয়েছে। ভবনের সামনের ও পেছনের অংশ উড়ে গেছে। ভেতরে থাকা ভারী ফ্রিজ কয়েক মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। শরমা হাউসের গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হতে পারে। বিস্ফোরকের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে কি–না সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারণ সাধারণ কোনো বিস্ফোরণে এমন হওয়ার কথা না। ঘটনাস্থলে ডিএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আলামত সংগ্রহ করেছে।
এদিকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ঘটনাস্থলের চারটি ভবন দূরের জোনায়েত স্টোরের মালিক বশির। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট পর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল। ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটলে বিদ্যুৎ থাকত না।
পাশের বাসার বাসিন্দা শাওন বলেন, সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের মতো প্রচণ্ড শব্দে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা হয়েছিল। প্রায় পাঁচ মিনিট পর বাইরে এসে দেখি ভবনের ভেতরে ও বাইরে মানুষ কাতরাচ্ছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এর মধ্যে একটা শিশু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিস্ফোরণে তিনতলা ভবনের নিচতলার অধিকাংশ উড়ে গেছে। দুমড়ে মুচড়ে গেছে ভবনের সামনের তিনটি যাত্রীবাহী বাস। ভবনের প্রায় ৮ মিটার দূরে স্টিলের দরজা এসে আঘাত করেছে। উড়ে গেছে মগবাজার ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের ভবন ‘রাখী নীড় প্লাজার’ সাইনবোর্ড। ভবন থেকে প্রায় ৩০ মিটার দূরে ফ্লাইওভারের ওপর লাব্বাইক পরিবহনের একটি বাসও দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ভবনের ভেতর থাকা ভারী জেনারেটরটি রাস্তায় এসে পড়েছে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভবন ও বাসের কাচ। ভবনের বিপরীত পাশে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত আড়ং–এর তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ঘটনাস্থলের চারদিকে প্রায় দেড় শ মিটার পর্যন্ত ভবনের জানালার গ্লাস ভেঙে রাস্তায় পড়েছে।
ভবনের নিচতলার বেঙ্গল মিটের কর্মচারী নাসিরউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, ভবনের নিচতলায় পশ্চিম পাশে ঢোকার গেট। গেট দিয়ে ঢুকেই বেঙ্গল মিটের দোকান, বেঙ্গল মিটের পশ্চিম পাশে জেনারেটর। বেঙ্গল মিটের পূর্বপাশে শরমা হাউস। শরমা হাউসের পেছনের অংশ বাঁকা হয়ে বেঙ্গল মিটের পেছনে চলে গেছে। সেখানে শরমা হাউসের রান্নাঘর। পাশের দোকানটি গ্র্যান্ড সুইটস। ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের স্টোররুম। মাত্র এক সপ্তাহ আগে সেখানে মালামাল তোলা হয়। বিস্ফোরণে দোতলার ছাদ ভেঙে সিঙ্গারের ফ্রিজসহ বিভিন্ন পণ্য নিচে পড়ে গেছে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে