Ajker Patrika

রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে  

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারকে মানব পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুপুরের পর মিলটন সমাদ্দারকে চারদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম কারাগারে আটক রাখার প্রার্থনা করেন। 

অন্যদিকে মিল্টনের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত রোববার তাকে এই মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম মানব পাচার আইনের মামলায় মিল্টনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২ মে মিল্টনকে জাল মৃত্যু সনদ ইস্যু করার মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এর আগে ১ মে সন্ধ্যায় মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

পরে বৃহস্পতিবার ভোররাতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে মৃত্যুর সনদ তৈরি করে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার অপরাধে ডিবির এসআই মো. কামাল পাশা মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের সহযোগী হিসেবে কিশোর বালাকে আসামি করা হয়। মামলায় কিশোর বালাকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

মিল্টনকে আটকের পর ২ মে জালজালিয়াতির মাধ্যমে মৃত্যু সনদ তৈরি করার অভিযোগে মামলা দায়ের ছাড়াও মানব পাচার এবং বেআইনিভাবে অন্যকে আটক রেখে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও দুইটি মামলা মিরপুর থানায় দায়ের হয়।

মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী এম রাকিব। তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের এক শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তখন শেরে বাংলা নগর থানায় বিষয়টি জানান। কিন্তু থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার ওই শিশুকে সেখান থেকে নিয়ে যান। 

বাদী এম রাকিব এজাহারে আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি অভিভাবক হয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে ১০ হাজার টাকা দেন এবং শিশুটিকে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ভর্তি করান। এরপর মিল্টন সমাদ্দার রাকিবকে জানান, আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেওয়া যাবে।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ্য করেন, ২০২১ সালের কোনো একদিন মিল্টন ফোন করে তাকে জানান, আমি (রাকিব) যেন ওই প্রতিষ্ঠানে আর না যাই এবং শিশুটির খোঁজ খবর না নেই। 

এরপর আরও বেশ কয়েকজন ফোন করে বাদীকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। প্রাণভয়ে বাদী আর সেখানে যাননি। সম্প্রতি একটি খবর চোখে আসার পর গত ২৪ এপ্রিল চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে যান বাদী। কিন্তু শিশুটিকে সেখানে পাওয়া যায়নি। 

শিশুটি কোথায় আছে, সে ব্যাপারেও তাদের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি। বাদীর অভিযোগ, ২০২১ সালের যেকোনও সময় শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত