ঢাবি সংবাদদাতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ, জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠন এবং জাতীয় সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করবে।
আজ শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এসব দাবি উত্থাপন করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী রোববার থেকে দেশব্যাপী দাবির পক্ষে লিফলেট বিতরণ শুরু করবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং তাদের দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত। তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানান।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল গণহত্যাকারীদের নিষিদ্ধ করা, হতাহতদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং বিপ্লবীদের স্বীকৃতি দেওয়া। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর কিছুই করেনি। সরকার ক্যান্টনমেন্টে ৬২৬ জন খুনিকে নিরাপত্তা দিয়েছে। গণহত্যায় জড়িত অনেককে নিরাপদে দেশত্যাগ করার সুযোগ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সুশীলতার সুযোগ নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছে, হরতাল ডাকছে, গুপ্তহত্যা করছে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ না হলে এভাবে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। আওয়ামী লীগের যারা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে আইনের কাছে ধরা দেবে শুধু তারাই ক্ষমা পেতে পারে। যাদের আত্মোপলব্ধি নেই, তাদের ক্ষমা করলে নির্যাতিত জনতার প্রতি অন্যায় হবে।’
তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কারণ উল্লেখ করে বলেন, ‘জুলাইয়ে নিষ্পাপ শিশু থেকে শুরু করে ২ হাজার মানুষ খুন হয়েছে। ৩০ হাজারের অধিক মানুষকে আহত করেছে আওয়ামী লীগ। হতাহতদের কেউই আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না। এর প্রমাণ সবাই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দেখতে পেয়েছে।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এখন আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এখন ঘাপটি মেরে আছে সচিবালয়ে, সেনাবাহিনীতে, বিচার বিভাগে, পুলিশ প্রশাসনে। আওয়ামী লীগ নির্মূল করতে হলে সচিবালয়ে চোখ দিন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করলে, বিক্ষুব্ধ বিপ্লবীদের নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করব। দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হলে আওয়ামী লীগের মতো উপদেষ্টাদেরও বাড়ির ইট খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা দেশব্যাপী জনমত যাচাই করে দেখুন, আপনাদের গত ছয় মাসের কর্মকাণ্ডে দেশের কতজন মানুষ সন্তুষ্ট। জনগণ যদি আপনাদের ছয় মাসের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে, তবে আপনাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, অধিকাংশ মানুষই এ সরকারের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট না।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার উচিত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। দেশে সংস্কারের নানা প্রস্তাবনা দেওয়া হচ্ছে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য। প্রধান উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠনে সমর্থন দিচ্ছেন। তাহলে আমরা তাঁকে কীভাবে নিরপেক্ষ বলব? তিনি নিরপেক্ষ না থাকলে সংস্কার কার্যক্রম কীভাবে নিরপেক্ষ হবে? কোনো উপদেষ্টাই রাজনৈতিক দলে আসতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন ছাড়া উপায় নেই। বিপ্লবীদের সবাইকে নিয়ে একতার স্বার্থে জাতীয় ছাত্র কাউন্সিলও গঠন করতে হবে।’
এই বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ত্বহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হকসহ অন্য নেতারা। ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা রাজু ভাস্কর্যের সমাবেশ শেষ করে, বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগেও যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ, জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠন এবং জাতীয় সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করবে।
আজ শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এসব দাবি উত্থাপন করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী রোববার থেকে দেশব্যাপী দাবির পক্ষে লিফলেট বিতরণ শুরু করবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং তাদের দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত। তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানান।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল গণহত্যাকারীদের নিষিদ্ধ করা, হতাহতদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং বিপ্লবীদের স্বীকৃতি দেওয়া। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর কিছুই করেনি। সরকার ক্যান্টনমেন্টে ৬২৬ জন খুনিকে নিরাপত্তা দিয়েছে। গণহত্যায় জড়িত অনেককে নিরাপদে দেশত্যাগ করার সুযোগ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সুশীলতার সুযোগ নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছে, হরতাল ডাকছে, গুপ্তহত্যা করছে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ না হলে এভাবে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। আওয়ামী লীগের যারা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে আইনের কাছে ধরা দেবে শুধু তারাই ক্ষমা পেতে পারে। যাদের আত্মোপলব্ধি নেই, তাদের ক্ষমা করলে নির্যাতিত জনতার প্রতি অন্যায় হবে।’
তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কারণ উল্লেখ করে বলেন, ‘জুলাইয়ে নিষ্পাপ শিশু থেকে শুরু করে ২ হাজার মানুষ খুন হয়েছে। ৩০ হাজারের অধিক মানুষকে আহত করেছে আওয়ামী লীগ। হতাহতদের কেউই আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না। এর প্রমাণ সবাই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দেখতে পেয়েছে।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এখন আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এখন ঘাপটি মেরে আছে সচিবালয়ে, সেনাবাহিনীতে, বিচার বিভাগে, পুলিশ প্রশাসনে। আওয়ামী লীগ নির্মূল করতে হলে সচিবালয়ে চোখ দিন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করলে, বিক্ষুব্ধ বিপ্লবীদের নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করব। দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হলে আওয়ামী লীগের মতো উপদেষ্টাদেরও বাড়ির ইট খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা দেশব্যাপী জনমত যাচাই করে দেখুন, আপনাদের গত ছয় মাসের কর্মকাণ্ডে দেশের কতজন মানুষ সন্তুষ্ট। জনগণ যদি আপনাদের ছয় মাসের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে, তবে আপনাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, অধিকাংশ মানুষই এ সরকারের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট না।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার উচিত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। দেশে সংস্কারের নানা প্রস্তাবনা দেওয়া হচ্ছে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য। প্রধান উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠনে সমর্থন দিচ্ছেন। তাহলে আমরা তাঁকে কীভাবে নিরপেক্ষ বলব? তিনি নিরপেক্ষ না থাকলে সংস্কার কার্যক্রম কীভাবে নিরপেক্ষ হবে? কোনো উপদেষ্টাই রাজনৈতিক দলে আসতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন ছাড়া উপায় নেই। বিপ্লবীদের সবাইকে নিয়ে একতার স্বার্থে জাতীয় ছাত্র কাউন্সিলও গঠন করতে হবে।’
এই বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ত্বহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হকসহ অন্য নেতারা। ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা রাজু ভাস্কর্যের সমাবেশ শেষ করে, বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগেও যান।
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে