সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে স্বামীকে প্রেমিকের কাছে পাঠান স্ত্রী। এরপর তাঁকে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেন প্রেমিক। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন স্ত্রী।
অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের পর ১১ জানুয়ারি সৌদি আরবে চলে যান প্রেমিক জাহিদ সরকার। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর আদালতে জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দেন অভিযুক্ত স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫)।
আজ সোমবার মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২-এ তিনি এই জবানবন্দি দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর (জিআরও) সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মোকসেদুর রহমান (৪০)। তিনি ঢাকার গেন্ডারিয়ার মৃত মো. হাবিবুল্লাহার ছেলে। অন্যদিকে আসমা বেগম বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার ঠাকুর মল্লিক গ্রামের মৃত লতিফ শিকদারের মেয়ে এবং মোকসেদুরের স্ত্রী। এ ছাড়া সৌদিপ্রবাসী জাহিদ সরকার সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের কালীপুর গ্রামের আনোয়ার সরকারের ছেলে।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিত্রকোর্ট ইউনিয়নের বরাম বাজারসংলগ্ন ইছামতী নদীর তীর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এদিকে যুবকের স্ত্রী আসমা বেগম তাঁর স্বামী নিখোঁজ রয়েছেন মর্মে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই সাধারণ ডায়েরি ও যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে পুলিশের তদন্তে যুবকের পরিচয় উঠে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২২ বছর আগে আসমা বেগমের সঙ্গে মোকসেদুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের ২২ বছর সংসারজীবনে তাঁদের তিন ছেলেসন্তান রয়েছে। প্রায় তিন বছর আগে স্ত্রী আসমা বেগমের সঙ্গে জাহিদ সরকারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোকসেদুর রহমানকে বিদেশে নেওয়ার আশ্বাস দেন জাহিদ এবং নিজ খরচে মোকসেদুর রহমানকে পাসপোর্টও করে দেন। এরই মধ্যে তাঁদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
এদিকে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলার জন্য ৩ জানুয়ারি মোকসেদুরকে সিরাজদিখানের প্রেমিকের কাছে পাঠান তাঁর স্ত্রী। নিজে থেকে যান গেন্ডারিয়ায়। যুবক উপজেলার কালীপুর গ্রামে জাহিদের বাড়িতে এলে রাতে তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে দুজনের সহযোগিতায় জাহিদ ওই যুবককে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ নদীর তীরে ফেলে দেন রাতেই।
এ ঘটনায় জড়িত স্ত্রী আসমা বেগমকে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গেন্ডারিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে সিরাজদিখান থানা-পুলিশ। এরপর তাঁকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২-এর পুলিশের জিআরও সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘১৬৪ ধারায় আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।’
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক জানান, যুবকের পরিচয় পাওয়ার পরই মরদেহ উদ্ধার নিয়ে নতুন মোড় নেয়। তদন্ত চলাকালে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। গতকাল রোববার রাতে স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর সিরাজদিখান থানা-পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে যুবককে হত্যার কথা জানান ওই নারী।
বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে স্বামীকে প্রেমিকের কাছে পাঠান স্ত্রী। এরপর তাঁকে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেন প্রেমিক। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন স্ত্রী।
অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের পর ১১ জানুয়ারি সৌদি আরবে চলে যান প্রেমিক জাহিদ সরকার। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর আদালতে জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দেন অভিযুক্ত স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫)।
আজ সোমবার মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২-এ তিনি এই জবানবন্দি দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর (জিআরও) সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মোকসেদুর রহমান (৪০)। তিনি ঢাকার গেন্ডারিয়ার মৃত মো. হাবিবুল্লাহার ছেলে। অন্যদিকে আসমা বেগম বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার ঠাকুর মল্লিক গ্রামের মৃত লতিফ শিকদারের মেয়ে এবং মোকসেদুরের স্ত্রী। এ ছাড়া সৌদিপ্রবাসী জাহিদ সরকার সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের কালীপুর গ্রামের আনোয়ার সরকারের ছেলে।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিত্রকোর্ট ইউনিয়নের বরাম বাজারসংলগ্ন ইছামতী নদীর তীর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এদিকে যুবকের স্ত্রী আসমা বেগম তাঁর স্বামী নিখোঁজ রয়েছেন মর্মে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই সাধারণ ডায়েরি ও যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে পুলিশের তদন্তে যুবকের পরিচয় উঠে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২২ বছর আগে আসমা বেগমের সঙ্গে মোকসেদুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের ২২ বছর সংসারজীবনে তাঁদের তিন ছেলেসন্তান রয়েছে। প্রায় তিন বছর আগে স্ত্রী আসমা বেগমের সঙ্গে জাহিদ সরকারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোকসেদুর রহমানকে বিদেশে নেওয়ার আশ্বাস দেন জাহিদ এবং নিজ খরচে মোকসেদুর রহমানকে পাসপোর্টও করে দেন। এরই মধ্যে তাঁদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
এদিকে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলার জন্য ৩ জানুয়ারি মোকসেদুরকে সিরাজদিখানের প্রেমিকের কাছে পাঠান তাঁর স্ত্রী। নিজে থেকে যান গেন্ডারিয়ায়। যুবক উপজেলার কালীপুর গ্রামে জাহিদের বাড়িতে এলে রাতে তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে দুজনের সহযোগিতায় জাহিদ ওই যুবককে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ নদীর তীরে ফেলে দেন রাতেই।
এ ঘটনায় জড়িত স্ত্রী আসমা বেগমকে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গেন্ডারিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে সিরাজদিখান থানা-পুলিশ। এরপর তাঁকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২-এর পুলিশের জিআরও সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘১৬৪ ধারায় আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।’
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক জানান, যুবকের পরিচয় পাওয়ার পরই মরদেহ উদ্ধার নিয়ে নতুন মোড় নেয়। তদন্ত চলাকালে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। গতকাল রোববার রাতে স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর সিরাজদিখান থানা-পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে যুবককে হত্যার কথা জানান ওই নারী।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে