Ajker Patrika

বিমানের ৮ সিটের পাইপে সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিমানের ৮ সিটের পাইপে সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণ

রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের আটটি সিটের পাইপে লুকানো অবস্থায় সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

সংস্থাটি বলছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুবাই থেকে আসে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট (বিজি-০৪৮)। বিভিন্ন সিটের নিচে স্বর্ণের বারগুলো কালো স্কচটেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক বা শনাক্ত করতে পারেনি কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তর। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ। 

আব্দুর রউফ জানান, স্বর্ণগুলো বিমান ছাড়ার আগেই সিটের নিচে থাকা পাইপের ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে সেটি হাত দিয়ে করা সম্ভব নয়। কোনো যন্ত্রের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করছি। আর সিটের নিচে পাইপের ভেতর যেভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল তা ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।  

আব্দুর রউফ বলেন, ‘স্বর্ণের এই চালানটি যে বিমানটিতে এসেছিল সেটিতে ৪১৯টি সিট। কিন্তু যাত্রী এসেছিল মাত্র ৯০ জন। বিমানটির ৮টি সিটের নিচে থেকে স্বর্ণের ৯০টি বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন সাড়ে ১০ কেজি। স্বর্ণগুলো শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কৌশলে আনা হয়েছিল। তবে আমরা কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। মামলায় আমরা সেই সিট নম্বরগুলো উল্লেখ করব।’ 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে স্বর্ণের চালান এসেছে, তাহলে তারাই ভালো বলতে পারবে এর নেপথ্যে কারা জড়িত। তবে কোনো যাত্রীর পক্ষে এত স্বল্প সময়ে সিটের নিচে এতগুলো স্বর্ণের বার রাখা সম্ভব নয়। 

বিগত বছরের অর্জনের বিষয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা মহাপরিচালক জানান, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর চলতি বছরে ১৪৩ কেজি স্বর্ণ আটক করেছে যার বাজারমূল্য ১০৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালে ১৭৪ কেজি, ২০২০ সালের ১৮০ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ থেকে এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫০৩ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে যার বাজারমূল্য প্রায় ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।  

এ সময় তিনি জানান, প্রতিবছর বাংলাদেশে স্বর্ণের চাহিদা ২০ থেকে ২৬ টন। ২০১৮ সালে স্বর্ণ নীতিমালা হওয়ার পর থেকে গেল বছরে শুল্ক পরিশোধ করে লাগেজে এসেছে প্রায় ৩৬ টন। আর আমদানি করা হয়েছে মাত্র ২৫৩ কেজি। সব মিলে বিভিন্ন সংস্থাসহ প্রতিবছর ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত