আয়নাল হোসেন, ময়মনসিংহ থেকে ফিরে
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার চেচু বাজারে চূড়ান্ত আক্রমণ অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ সেনবাহিনীর চার সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত শীতকালীন প্রশিক্ষণ ২০২১-২২ অনুশীলন নবদিগন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন সফলভাবে এই অনুশীলন পরিচালনা করে। এই অনুশীলনে সাঁজোয়া বহর, এপিসি, দূরপাল্লার এমএলআরএস এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ছত্রীসেনা এবং বিমানবাহিনীর জঙ্গি বিমানও অংশগ্রহণ করে। সেনাবাহিনীর কাসা ২৯৫এ বিমান থেকে নেমে আসে প্যারাট্রুপার। সমাপনী এই আয়োজনে সেনাসদস্যদের পাশে থেকে এই অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
ষাটোর্ধ্ব জবেদ আলী মিয়া। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার চেচু বাজার এলাকা বাসিন্দা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছোট ছিলেন। তখনকার কিছু কথা তাঁর মনে আছে। কিন্তু স্বচক্ষে যুদ্ধ কখনো দেখেননি।
সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্র সোহাগ এ রকম যুদ্ধের মহড়া দেখে খুবই অভিভূত। শুধু জবেদ আলি, সোহাগই নয় এমন শত শত বাসিন্দা যুদ্ধ স্বচক্ষে দেখলেন।
অনুশীলন নব-দিগন্ত উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের সদস্য আগে থেকেই যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে কামান গোলাবারুদসহ সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত ছিল। এই মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মহড়ায় সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ করার লজিস্টিক সক্ষমতা কতটুকু বেড়েছে তা সরেজমিনে দেখার জন্য এই অনুশীলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুশীলনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা আরও অনেক বাড়বে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে সেটি দেখার জন্যই এই ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজের আয়োজন করা হয়েছে।
সাইবার হামলা, আকাশপথসহ যেকোনো হামলা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর যথেষ্ট সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান সেনাপ্রধান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাসদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারবৃন্দ, জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে গত রোববার সেনাসদর ফিল্ড কমান্ড পোস্টে চলমান অভিযানের অগ্রগতির ওপর সেনাপ্রধানকে ব্রিফ করেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান এবং লজিস্টিকস কর্মকাণ্ডের ওপর ব্রিফ করেন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লে. জেনারেল মো. সাইফুল আলম। এ সময় ডিফেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাংবাদিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আর্মি ফিল্ড হেডকোয়ার্টার মিডিয়া সেলে’ শীতকালীন প্রশিক্ষণের ওপর প্রেস ব্রিফিং শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সেনাপ্রধান।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, অনেক দেশই যুদ্ধে হেরে যায়, তার অন্যতম কারণ হলো লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকা। যেসব সৈনিকেরা যুদ্ধ করবেন তাদের পর্যাপ্ত খাবার, আহত হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, যানবাহনের ব্যবস্থা, জ্বালানি তেল এবং যানবাহন মেরামতসহ তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
সেনা সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর শীতকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে সেনাসদর ও সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশন পূর্ণাঙ্গরূপে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ বছর পূর্তিতে এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রথমবারের মত লজিস্টিকস ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ পরিচালনা করে। সাম্প্রতিককালে আহরিত অস্ত্র ও সরঞ্জাম এবারের অনুশীলনে ব্যবহৃত হয় এবং সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস স্থাপনাসমূহ প্রথমবারের মত বহিরঙ্গনে মোতায়েন হয়। সব মিলিয়ে সেনাবাহিনীর এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণ ছিল অনেক অভিনব ও বাস্তবধর্মী। সেনাবাহিনীর সকল সদস্য ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এই শীতকালীন অনুশীলনে অংশগ্রহণ করে।
প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রেই জনগণের পাশে দাঁড়ায় সেনাবাহিনী। মান সম্মত ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি বিশ্ব মানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান সেনাপ্রধান।
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার চেচু বাজারে চূড়ান্ত আক্রমণ অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ সেনবাহিনীর চার সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত শীতকালীন প্রশিক্ষণ ২০২১-২২ অনুশীলন নবদিগন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন সফলভাবে এই অনুশীলন পরিচালনা করে। এই অনুশীলনে সাঁজোয়া বহর, এপিসি, দূরপাল্লার এমএলআরএস এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ছত্রীসেনা এবং বিমানবাহিনীর জঙ্গি বিমানও অংশগ্রহণ করে। সেনাবাহিনীর কাসা ২৯৫এ বিমান থেকে নেমে আসে প্যারাট্রুপার। সমাপনী এই আয়োজনে সেনাসদস্যদের পাশে থেকে এই অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
ষাটোর্ধ্ব জবেদ আলী মিয়া। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার চেচু বাজার এলাকা বাসিন্দা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছোট ছিলেন। তখনকার কিছু কথা তাঁর মনে আছে। কিন্তু স্বচক্ষে যুদ্ধ কখনো দেখেননি।
সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্র সোহাগ এ রকম যুদ্ধের মহড়া দেখে খুবই অভিভূত। শুধু জবেদ আলি, সোহাগই নয় এমন শত শত বাসিন্দা যুদ্ধ স্বচক্ষে দেখলেন।
অনুশীলন নব-দিগন্ত উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের সদস্য আগে থেকেই যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে কামান গোলাবারুদসহ সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত ছিল। এই মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মহড়ায় সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ করার লজিস্টিক সক্ষমতা কতটুকু বেড়েছে তা সরেজমিনে দেখার জন্য এই অনুশীলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুশীলনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা আরও অনেক বাড়বে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে সেটি দেখার জন্যই এই ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজের আয়োজন করা হয়েছে।
সাইবার হামলা, আকাশপথসহ যেকোনো হামলা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর যথেষ্ট সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান সেনাপ্রধান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাসদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারবৃন্দ, জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে গত রোববার সেনাসদর ফিল্ড কমান্ড পোস্টে চলমান অভিযানের অগ্রগতির ওপর সেনাপ্রধানকে ব্রিফ করেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান এবং লজিস্টিকস কর্মকাণ্ডের ওপর ব্রিফ করেন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লে. জেনারেল মো. সাইফুল আলম। এ সময় ডিফেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাংবাদিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আর্মি ফিল্ড হেডকোয়ার্টার মিডিয়া সেলে’ শীতকালীন প্রশিক্ষণের ওপর প্রেস ব্রিফিং শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সেনাপ্রধান।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, অনেক দেশই যুদ্ধে হেরে যায়, তার অন্যতম কারণ হলো লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকা। যেসব সৈনিকেরা যুদ্ধ করবেন তাদের পর্যাপ্ত খাবার, আহত হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, যানবাহনের ব্যবস্থা, জ্বালানি তেল এবং যানবাহন মেরামতসহ তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
সেনা সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর শীতকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে সেনাসদর ও সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশন পূর্ণাঙ্গরূপে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ বছর পূর্তিতে এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রথমবারের মত লজিস্টিকস ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ পরিচালনা করে। সাম্প্রতিককালে আহরিত অস্ত্র ও সরঞ্জাম এবারের অনুশীলনে ব্যবহৃত হয় এবং সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস স্থাপনাসমূহ প্রথমবারের মত বহিরঙ্গনে মোতায়েন হয়। সব মিলিয়ে সেনাবাহিনীর এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণ ছিল অনেক অভিনব ও বাস্তবধর্মী। সেনাবাহিনীর সকল সদস্য ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এই শীতকালীন অনুশীলনে অংশগ্রহণ করে।
প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রেই জনগণের পাশে দাঁড়ায় সেনাবাহিনী। মান সম্মত ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি বিশ্ব মানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান সেনাপ্রধান।
ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
২০ মিনিট আগেরোববার রাত ৮টার দিকে ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ গয়েশপুর বিওপির হাবিলদার শিশিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত ইউনিয়নের পিচমোড় থেকে আটটি স্বর্ণের বার এবং ছোট একটি স্বর্ণের টুকরাসহ গয়েশপুরের তেতুল মণ্ডলের ছেলে মো. মমিনকে আটক করে। তিনি বাইসাইকেলে স্বর্ণের বারগুলো ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
৩০ মিনিট আগেইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোববার পশুর হাট বসিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৩৩ মিনিট আগেগত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
৩৬ মিনিট আগে