মানিকগঞ্জ (সাটুরিয়া) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় এক সময়ের সবুজের সমারোহ মাঠে হলুদ ফুলে ছেয়ে যাচ্ছে দিগন্তজোড়া কৃষকের সরিষা খেতের মাঠ। হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্যে যে করোর মন মাতিয়ে দেবে ওই প্রকৃতি। যত দূর চোখ যায় কেবল হলুদ আর হলুদ। হলুদের সমারোহে সজ্জিত সরিষার প্রতিটি ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। সেই সঙ্গে আনন্দে মেতে ভন ভনিয়ে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছিরা। অপর দিকে সরিষার ব্যাপক ফলনে জানান দিচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোখ ধাঁধানো অপরূপ হলুদের মাঠ সরিষার খেত দেখা গেছে। যেখানে হলুদ ফুলের ঘ্রাণে মৌমাছিদের আনন্দে প্রকৃতির এক অন্যরকম মায়ায় পড়ার মতো।
উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের সাভার গ্রামের সরিষা চাষি হুমায়ূন কবীর জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ৫০ শতাংশ এবং উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪ জাতের সরিষার বীজ কিনে আরও তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় তাঁর ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা করে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৪ মণ সরিষা আসবে। গত বছর প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করেছেন ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
আবহাওয়া অনুকূল এবং বাজারদর ভালো পেলে এবার গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ সরিষা পাবেন। লাভের পরিমাণও অনেক বেশি হবে। প্রায় এক মাস হয়েছে সরিষা রোপণ করা হয়েছে। সবেমাত্র ফুল আসা শুরু করেছে।
সাভার গ্রামের সরিষা চাষি লিয়াকত হোসেন বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আর কিছুদিন পরই সরিষায় ফুল আসতে শুরু করবে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি পাঁচ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। বাজার ভালো পেলে প্রতি মণ তিন হাজার টাকা বিক্রি হবে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে ও জাত পোকার আক্রমণ থেকে সরিষা খেত রক্ষা করতে পারলে সরিষার ব্যাপক ফলন হবে। বিক্রি করে লাভবান হতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে সাটুরিয়া উপজেলায় ১৪৫৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০০ হেক্টর বেশি। কার্তিক মাস থেকে সরিষা চাষের শুরু হয়। জাত ভেদে ৭৫-৯০ দিন সময় লাগে সরিষা ঘরে তুলতে। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৮-১০ হাজার টাকা লাভ করা যায়। সরিষা খেত জাত পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সরিষার ভালো ফলন পেতে হলে অন্যান্য সারের পাশাপাশি জিপসাম এবং বোরন সার ব্যবহার করা উচিত। ফুল ফোঁটা শেষ হলে এবং তার ১০ দিন পরে দুবার রোভরাল ৫০ ডব্লিউ পি অথবা এমিস্টার টপ স্প্রে করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, এঁটেল মাটিতেও সরিষা চাষ হয়। এঁটেল-দোআঁশ মাটিতে সরিষার চাষ সব থেকে ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৪-৬ মণ সরিষা পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা পেলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সাটুরিয়ায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা চাষিদের এবারও কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ভালো ফলন পেতে তাঁদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদানের জন্য উপ-সহকারী কৃষি অফিসার তাঁদের পাশে আছেন। তবে সরিষা বিক্রি করে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করছেন উপজেলা জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় এক সময়ের সবুজের সমারোহ মাঠে হলুদ ফুলে ছেয়ে যাচ্ছে দিগন্তজোড়া কৃষকের সরিষা খেতের মাঠ। হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্যে যে করোর মন মাতিয়ে দেবে ওই প্রকৃতি। যত দূর চোখ যায় কেবল হলুদ আর হলুদ। হলুদের সমারোহে সজ্জিত সরিষার প্রতিটি ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। সেই সঙ্গে আনন্দে মেতে ভন ভনিয়ে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছিরা। অপর দিকে সরিষার ব্যাপক ফলনে জানান দিচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোখ ধাঁধানো অপরূপ হলুদের মাঠ সরিষার খেত দেখা গেছে। যেখানে হলুদ ফুলের ঘ্রাণে মৌমাছিদের আনন্দে প্রকৃতির এক অন্যরকম মায়ায় পড়ার মতো।
উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের সাভার গ্রামের সরিষা চাষি হুমায়ূন কবীর জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ৫০ শতাংশ এবং উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪ জাতের সরিষার বীজ কিনে আরও তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় তাঁর ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা করে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৪ মণ সরিষা আসবে। গত বছর প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করেছেন ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
আবহাওয়া অনুকূল এবং বাজারদর ভালো পেলে এবার গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ সরিষা পাবেন। লাভের পরিমাণও অনেক বেশি হবে। প্রায় এক মাস হয়েছে সরিষা রোপণ করা হয়েছে। সবেমাত্র ফুল আসা শুরু করেছে।
সাভার গ্রামের সরিষা চাষি লিয়াকত হোসেন বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আর কিছুদিন পরই সরিষায় ফুল আসতে শুরু করবে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি পাঁচ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। বাজার ভালো পেলে প্রতি মণ তিন হাজার টাকা বিক্রি হবে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে ও জাত পোকার আক্রমণ থেকে সরিষা খেত রক্ষা করতে পারলে সরিষার ব্যাপক ফলন হবে। বিক্রি করে লাভবান হতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে সাটুরিয়া উপজেলায় ১৪৫৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০০ হেক্টর বেশি। কার্তিক মাস থেকে সরিষা চাষের শুরু হয়। জাত ভেদে ৭৫-৯০ দিন সময় লাগে সরিষা ঘরে তুলতে। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৮-১০ হাজার টাকা লাভ করা যায়। সরিষা খেত জাত পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সরিষার ভালো ফলন পেতে হলে অন্যান্য সারের পাশাপাশি জিপসাম এবং বোরন সার ব্যবহার করা উচিত। ফুল ফোঁটা শেষ হলে এবং তার ১০ দিন পরে দুবার রোভরাল ৫০ ডব্লিউ পি অথবা এমিস্টার টপ স্প্রে করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, এঁটেল মাটিতেও সরিষা চাষ হয়। এঁটেল-দোআঁশ মাটিতে সরিষার চাষ সব থেকে ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৪-৬ মণ সরিষা পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা পেলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সাটুরিয়ায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা চাষিদের এবারও কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ভালো ফলন পেতে তাঁদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদানের জন্য উপ-সহকারী কৃষি অফিসার তাঁদের পাশে আছেন। তবে সরিষা বিক্রি করে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করছেন উপজেলা জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
কক্সবাজারে সরকারি সফরে এসে ‘অসুস্থ হয়ে পড়ায়’ সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার পরপরই তাকে নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেরবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) আগামী একনেক সভায় অনুমোদনের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিখোঁজের এক দিন পর অবৈধ বালু পয়েন্টে দুই শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এজাহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩। গ্রেপ্তার মনু মিয়া (২৮) উপজেলার সিটপাইকন এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেযশোরের শার্শা উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় আব্দুল হামিদ (৪০) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শা বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নুর ইসলাম (৫৫) নামের আরেকজন আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে