Ajker Patrika

ছাত্রলীগ নেতাকে অপহরণের পর পায়ের রগ কেটে দেওয়া মামলায় আরেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি:
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ১৬
ছাত্রলীগ নেতাকে অপহরণের পর পায়ের রগ কেটে দেওয়া মামলায় আরেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মো. ফেরদৌসের রগ কেটে হত্যাচেষ্টার মামলায় আসামি আরেক ছাত্রলীগ নেতা রবিন সরদার ওরফে নুরুজ্জামান সরদারকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। 

চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৬১২ ফ্লাইটে আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তার হওয়া রবিন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত রুহুল আমিন সরদার ওরফে আবুল কাশেম সরদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থাকেন। 

গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে গাজীপুরের বাসন থানাধীন আউটপাড়া থেকে ফেরদৌসকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর তাঁর মায়ের কাছ থেকে মুক্তিপণও আদায় করা হয়। পরে ফেরদৌসকে মারধর করে তাঁর বাঁ পায়ের রগ কেটে শিববাড়ি মোড়ে ফেলে যান অপহরণকারীরা। পুলিশের সহযোগিতায় ফেরদৌসকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্বজনেরা। 

এ ঘটনায় ফেরদৌসের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর রবিনকে প্রধান করে ২২ জনের নামের একটি মামলা করেন। 

বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ফেরদৌসের রগ কেটে হত্যাচেষ্টা মামলার এক নম্বর আসামি রবিন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। গ্রেপ্তার হওয়া রবিনও ভাওয়াল কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশের একটি দলও এপিবিএনকে সহযোগিতা করে। পরে রবিনকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’ 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক বলেন, ‘রবিন গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁর বাবার নামে বিমানের টিকিট কেটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। কিন্তু গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এপিবিএনের গোয়েন্দা দল বিমানের ফ্লাইট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।’ 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভাওয়াল কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পর ফেরদৌসকে রবিনের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ এসে সাদা রঙের একটি নিশান জিপ গাড়ি, চারটি সিএনজি, তিনটি মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা মোবাইলে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ আদায়ের পর তারা শিববাড়ি মোড় রেলক্রসিং থেকে ফেরদৌসকে নিয়ে যেতে বলেন। অপহরণকারীদের কথামতো শিববাড়ি মোড় থেকে ফেরদৌসকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ ও স্বজনেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত