নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে অর্জিত অভূতপূর্ব বিজয় যেন হাতছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। দেশজুড়ে হত্যাকাণ্ড, সাম্প্রদায়িক হামলা, ডাকাতি, শিল্পাঙ্গন ধ্বংসের প্রতিবাদে উদীচী আয়োজিত সংস্কৃতিকর্মী সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। এতে বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি হাবিবুল আলম, প্রবীর সরদার, জামসেদ আনোয়ার তপন, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা এবং যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম। সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান।
সমাবেশে উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন। ছাত্র-জনতাও বৈষম্যের অবসানের দাবিতেই রাজপথে নেমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। তবে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের অবসানের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ডাকাতি, হত্যাকাণ্ড এবং ঐতিহ্যবাহী ভাস্কর্য-শিল্প-শিল্পাঙ্গন ধ্বংসের ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব হামলার প্রত্যক্ষ শিকার হচ্ছেন ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
তিনি বলেন, তাদের উপাসনালয়, বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নির্বিচারে হামলা-লুটপাট চালানো হচ্ছে। নতুন যে সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করে এসব ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, ছাত্রহত্যা, দুর্নীতি-লুটপাট, বাক্স্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে ছাত্র-জনতা। নতুন সরকার যেন এসব বিষয়ে সতর্ক থাকে এবং দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করে সর্বত্র জবাবদিহি নিশ্চিত করে সে দাবি জানান তাঁরা।
তাঁরা বলেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত অনেক ভাস্কর্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনাতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ভাস্কর্য। উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিলেও দেশজুড়ে তাণ্ডব, হত্যা, ভাঙচুর, লুট, ডাকাতি কমেনি। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরসহ মুক্তিযুদ্ধের নানা ঐতিহাসিক নিদর্শনের সংগ্রহশালা। ভাঙচুর করা হয়েছে বাংলা একাডেমি চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠর ম্যুরাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর। হামলা হয়েছে শিশু একাডেমি ও কুড়িগ্রামের শিল্পকলা ভবনে। খুলনায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এমন অস্থির সময় আগেও এসেছে। তাই ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা মানবমুক্তির লড়াইয়ে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে যাবে। গভীর অন্ধকার থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কৃতির শক্তিতে এক নতুন জাতীয় উজ্জীবন ঘটাতে হবে। উদীচী একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বলেও জানান অধ্যাপক বদিউর রহমান।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে অর্জিত অভূতপূর্ব বিজয় যেন হাতছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। দেশজুড়ে হত্যাকাণ্ড, সাম্প্রদায়িক হামলা, ডাকাতি, শিল্পাঙ্গন ধ্বংসের প্রতিবাদে উদীচী আয়োজিত সংস্কৃতিকর্মী সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। এতে বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি হাবিবুল আলম, প্রবীর সরদার, জামসেদ আনোয়ার তপন, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা এবং যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম। সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান।
সমাবেশে উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন। ছাত্র-জনতাও বৈষম্যের অবসানের দাবিতেই রাজপথে নেমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। তবে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের অবসানের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ডাকাতি, হত্যাকাণ্ড এবং ঐতিহ্যবাহী ভাস্কর্য-শিল্প-শিল্পাঙ্গন ধ্বংসের ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব হামলার প্রত্যক্ষ শিকার হচ্ছেন ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
তিনি বলেন, তাদের উপাসনালয়, বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নির্বিচারে হামলা-লুটপাট চালানো হচ্ছে। নতুন যে সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করে এসব ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, ছাত্রহত্যা, দুর্নীতি-লুটপাট, বাক্স্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে ছাত্র-জনতা। নতুন সরকার যেন এসব বিষয়ে সতর্ক থাকে এবং দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করে সর্বত্র জবাবদিহি নিশ্চিত করে সে দাবি জানান তাঁরা।
তাঁরা বলেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত অনেক ভাস্কর্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনাতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ভাস্কর্য। উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিলেও দেশজুড়ে তাণ্ডব, হত্যা, ভাঙচুর, লুট, ডাকাতি কমেনি। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরসহ মুক্তিযুদ্ধের নানা ঐতিহাসিক নিদর্শনের সংগ্রহশালা। ভাঙচুর করা হয়েছে বাংলা একাডেমি চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠর ম্যুরাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর। হামলা হয়েছে শিশু একাডেমি ও কুড়িগ্রামের শিল্পকলা ভবনে। খুলনায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এমন অস্থির সময় আগেও এসেছে। তাই ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা মানবমুক্তির লড়াইয়ে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে যাবে। গভীর অন্ধকার থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কৃতির শক্তিতে এক নতুন জাতীয় উজ্জীবন ঘটাতে হবে। উদীচী একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বলেও জানান অধ্যাপক বদিউর রহমান।
ইঞ্জিনের হেডলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ মোবাইল ফোনের টর্চের আলোতে পাড়ি দিয়েছে তিতাস কমিউটার ট্রেন। গতকাল শনিবার (২১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গোড়ের পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেসম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে নাহিদ রাব্বি নামের একজন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ঘুষ লেনদেনের কথা স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
২৯ মিনিট আগেময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাসে অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও লরিসহ চারটি গাড়ির ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
১ ঘণ্টা আগে