Ajker Patrika

নতুন আঙ্গিকে ‘প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন আঙ্গিকে ‘প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার’ 

প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেকোনো সমস্যায় তাৎক্ষণিক সমাধান করতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের কারিগরি সহযোগিতায় ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড ‘প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার’ চালু করে। তবে গত ৫ বছরেও উল্লেখযোগ্য  সাড়া ফেলতে পারেনি প্রবাসীদের তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানে চালু এই কল সেন্টার। লোকবল কম, মাত্র কয়েক ঘণ্টা চালু থাকা, প্রচার না থাকা প্রভৃতি কারণে নামমাত্রই ছিল কল সেন্টারটি। এত দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চালু থাকত প্রবাস বন্ধু কল সেন্টার। যেখানে কর্মী সংখ্যা মাত্র দু’জন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আবার বন্ধ থাকে। তাই তাৎক্ষণিক সমাধান না পেয়ে এই সেবার মান নিয়ে হতাশাই বেড়েছে প্রবাসীদের মধ্যে।  

তবে প্রবাসীদের হতাশা দূর এবং সমস্যা সমাধানে নতুন আঙ্গিকে ফিরছে ‘প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার’। প্রবাসীদের তথ্য সেবা দিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতায় ইউরোপিয়ান  ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত  ‘প্রত্যাশা’ প্রকল্পের আওতায় যে হটলাইন সেটাকে ‘প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার’ এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে চালু হওয়া এই হটলাইন ইতিমধ্যেই আড়াই হাজার প্রবাসীকে বিভিন্ন তথ্যসেবা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। দুইটি উদ্যোগ একত্রে কাজ করলে আরও সহজে প্রবাসীদের সেবা দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

রোববার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমঝোতা স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই হটলাইন ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডকে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখন থেকে ৯জন কর্মীর মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা প্রবাসীদের তথ্য সেবা দেওয়া হবে।  

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘আমাদের দেশের অধিকাংশ বিদেশগামী জানেন না তিনি কার মাধ্যমে বিদেশ যাচ্ছেন, তাঁর বেতন কত হবে। তিনি কোন কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরবেন। এখন নতুন করে কল সেন্টার উদ্বোধন হয়েছে। তথ্য সেবা দিতে ১১ ডিজিটের নাম্বারটি ৫ ডিজিটে আনার চেষ্টা চলছে। যাতে প্রবাসীরা সহজেই সেবা পেতে পারেন।’ 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা যখন আসে তখন এই সুবিধা দেওয়ায় একটা গতি পায়। এরপর থেকে এটা বাড়তে থাকে। এ ছাড়া ব্রাকেরও বিরাট ভূমিকা ছিল। আমরা প্রথম দিকে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এক কল সেন্টারের প্রচারণা চালিয়েছিলাম। আমাদের বিদেশে এক কোটির বেশি মানুষ থাকলেও দেশে তাদের সঙ্গে আরও ৪ থেকে ৫ কোটি মানুষ সংযুক্ত আছে তাদেরকেও এই কল সেন্টারের সাহায্যে সেবা দেওয়া হবে। তবে তাদের কাছে বিষয়টি পৌঁছাতে হবে। তারা জানলে সমস্যা হবে না।’  

এই কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রবাসে থাকা কর্মীরা সরাসরি তাঁদের যেকোনো অভিযোগ, পাসপোর্ট-সংক্রান্ত সমস্যা, মৃতদেহ পরিবহন ও দাফনসংক্রান্ত বিষয়, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি, আইনগত তথ্য ও সেবা, অসুস্থ কর্মীদের আর্থিক সহায়তা, প্রবাসে আটক কর্মীদের মুক্ত করাসহ নানা বিষয়ে কথা বলতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত