অর্চি হক, ঢাকা
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩ টা। পুরান ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নতুন ভবনে পারিবারিক আদালতের প্রবেশপথে আজ বিকেলে সারি সারি টিভি ক্যামেরা। সেই সঙ্গে সাংবাদিক আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভিড়। কোর্ট পাড়ায় নিয়মিত যাদের আনাগোনা, তাদের অনেকেই প্রশ্ন করছিলেন, এত ক্যামেরা কেন? আজ কি বড় কোনো মামলার রায়? ভিড়ের মধ্যে থেকেই উত্তর বেরিয়ে আসছিল, ‘জাপানি মায়ের মামলার রায় আজ।’
দুই মেয়েকে নিজেদের হেফাজতে নিতে জাপানি মা নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের আইনি লড়াই। দেড় বছর ধরে চলছে মামলা। শিশুদের ফিরে পেতে ভিনদেশি মায়ের নানা বাঁক বদলের এমন মামলা এর আগে দেখেনি দেশ। পারিবারিক আদালত চত্ত্বরজুড়ে তাই উপচে পড়া ভিড়।
নিম্ন আদালতের আইনজীবী রুহুল আমীন বলেন, ‘এত বছর হলো, কোর্টে আসি। পারিবারিক আদালতে এত ভিড় দেখি নাই।’
বিকেল সাড়ে তিনটার পরপরই ১২তম পারিবারিক আদালত কক্ষে এসে পৌঁছান নাকানো এরিকো। সঙ্গে বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা আর দোভাষী নাসরিন নাহার। আইনজীবী আর সাংবাদিকদের ভিড়ে ছোট আদালত কক্ষে তখন তিল ধারণেরও যেন ঠাঁই নেই। ১২ বছরের জেসমিন মাকে আঁকড়ে ধরে কেঁদেই যাচ্ছিল। চোখে-মুখে তার আতঙ্ক। আর মা ওর চোখ মোছাতে মোছাতে বারবার শুধু বলছিলেন, ‘ভয় পেও না। আমাদেরই জয় হবে।’
বিকেল ৩টা বেজে ৫৭ মিনিটে এজলাসে ওঠেন বিচারক দুরদানা রহমান। তিনি জানান, এত মানুষের ভিড়ে সম্পূর্ণ রায় পড়ে শোনানো মুশকিল। রায়ের কপি সংশ্লিষ্টরা পেয়ে যাবেন। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক ও উপস্থাপিত সমস্ত কাগজপত্র বিচার বিশ্লেষণ করে তিনি বাদী ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে দেন। এই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নাকানো এরিকোর আইনজীবী শিশির মুনির তাদের বলেন, ‘আমরা মামলা জিতে গেছি।’ মা-মেয়ে দুজনের চোখেই তখন আনন্দাশ্রু।
আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে নাকানো এরিকো সাংবাদিকদের বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমরা লড়াই করে এসেছি ৷ মেয়েদের ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষায় দেড় বছর ধরে আমি বাংলাদেশে। এ দেশের বিচার ব্যবস্থার আমি প্রশংসা করি।’
নাকানো এরিকো রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে থাকলেও ইমরান শরীফকে দেখা যায়নি। মুঠোফোনে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আদালত এলাকায় ছিলাম। অবশ্যই আমি আপিল করবো।’
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩ টা। পুরান ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নতুন ভবনে পারিবারিক আদালতের প্রবেশপথে আজ বিকেলে সারি সারি টিভি ক্যামেরা। সেই সঙ্গে সাংবাদিক আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভিড়। কোর্ট পাড়ায় নিয়মিত যাদের আনাগোনা, তাদের অনেকেই প্রশ্ন করছিলেন, এত ক্যামেরা কেন? আজ কি বড় কোনো মামলার রায়? ভিড়ের মধ্যে থেকেই উত্তর বেরিয়ে আসছিল, ‘জাপানি মায়ের মামলার রায় আজ।’
দুই মেয়েকে নিজেদের হেফাজতে নিতে জাপানি মা নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের আইনি লড়াই। দেড় বছর ধরে চলছে মামলা। শিশুদের ফিরে পেতে ভিনদেশি মায়ের নানা বাঁক বদলের এমন মামলা এর আগে দেখেনি দেশ। পারিবারিক আদালত চত্ত্বরজুড়ে তাই উপচে পড়া ভিড়।
নিম্ন আদালতের আইনজীবী রুহুল আমীন বলেন, ‘এত বছর হলো, কোর্টে আসি। পারিবারিক আদালতে এত ভিড় দেখি নাই।’
বিকেল সাড়ে তিনটার পরপরই ১২তম পারিবারিক আদালত কক্ষে এসে পৌঁছান নাকানো এরিকো। সঙ্গে বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা আর দোভাষী নাসরিন নাহার। আইনজীবী আর সাংবাদিকদের ভিড়ে ছোট আদালত কক্ষে তখন তিল ধারণেরও যেন ঠাঁই নেই। ১২ বছরের জেসমিন মাকে আঁকড়ে ধরে কেঁদেই যাচ্ছিল। চোখে-মুখে তার আতঙ্ক। আর মা ওর চোখ মোছাতে মোছাতে বারবার শুধু বলছিলেন, ‘ভয় পেও না। আমাদেরই জয় হবে।’
বিকেল ৩টা বেজে ৫৭ মিনিটে এজলাসে ওঠেন বিচারক দুরদানা রহমান। তিনি জানান, এত মানুষের ভিড়ে সম্পূর্ণ রায় পড়ে শোনানো মুশকিল। রায়ের কপি সংশ্লিষ্টরা পেয়ে যাবেন। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক ও উপস্থাপিত সমস্ত কাগজপত্র বিচার বিশ্লেষণ করে তিনি বাদী ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে দেন। এই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নাকানো এরিকোর আইনজীবী শিশির মুনির তাদের বলেন, ‘আমরা মামলা জিতে গেছি।’ মা-মেয়ে দুজনের চোখেই তখন আনন্দাশ্রু।
আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে নাকানো এরিকো সাংবাদিকদের বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমরা লড়াই করে এসেছি ৷ মেয়েদের ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষায় দেড় বছর ধরে আমি বাংলাদেশে। এ দেশের বিচার ব্যবস্থার আমি প্রশংসা করি।’
নাকানো এরিকো রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে থাকলেও ইমরান শরীফকে দেখা যায়নি। মুঠোফোনে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আদালত এলাকায় ছিলাম। অবশ্যই আমি আপিল করবো।’
আজ ২০ আগস্ট বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৫৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী। মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে।
২৮ মিনিট আগেএক সময়ে পথে পথে ছুটে চলা ‘লেইস ফিতা ফেরিওয়ালারা’ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। শহর ও গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে নারীদের শখের সাজসজ্জার জিনিস বিক্রি করতে এখন আর দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ তা বিলুপ্তির পথে।
৩৯ মিনিট আগেচাঁদপুর শহরের একমাত্র বাইপাস সড়ক হচ্ছে ‘চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়ক’। শহরের যানজট নিরসনে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ব্যবহার হলেও দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় এখন মরণ ফাঁদে ফরিণত হয়েছে। সড়কজুড়ে গর্ত সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের পীরগাছায় ঘাঘট নদীতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর ভেসে উঠেছে শিশু নাজিমের (৭) মরদেহ। আজ বুধবার (২০ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ডুবে যাওয়ার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
২ ঘণ্টা আগে