Ajker Patrika

পাঁচ দিনে রাজধানীতে ৩১ চুরি, ৫ দস্যুতা

  • এসব ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ১৯৩টি মামলা।
  • গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৩৫ জনকে।
  • দু-একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদ উদ্‌যাপিত হয়েছে: পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাঁচ দিনে রাজধানীতে ৩১ চুরি, ৫ দস্যুতা

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত রাজধানীতে ৩১টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে ৫টি। তবে কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। এসব ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় ১৯৩টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৩৫ জনকে।

ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে রাজধানীজুড়ে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। নিয়মিত টহল ছাড়াও বিশেষ নজরদারি চলছে। যেভাবে প্রত্যাশা করা হয়েছে, দু-একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদ উদ্‌যাপিত হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাঁদের টহল ও নানা কর্মতৎপরতায় এবার রাজধানী ঢাকায় তুলনামূলক নিরাপদ ও নির্ঝঞ্ঝাট ঈদ উৎসব উদ্‌যাপন করেছেন নগরবাসী। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় কোনো ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির খবর পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও র‍্যাবের সাড়ে সাত শ টহল টিম, শতাধিক চেকপোস্ট, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ছাড়া মাঠে সার্বক্ষণিক টহল দিয়েছে সেনাবাহিনী। মাঠে কাজ করেছেন আনসার সদস্যরাও।

ঈদুল আজহা ও ঈদ-পরবর্তী ছুটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীর বিভিন্ন থানা পরিদর্শন করে নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। রাজধানীর নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও। গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঈদ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া রাজধানীসহ অন্যান্য স্থানে কোনো উল্লেখযোগ্য অঘটন ঘটেনি। তাই ঈদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে আমি মোটামুটি খুশি।’

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এবার ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছুটিও ছিল আগের থেকে বেশি। ফলে আগেই অনেকে রাজধানী ছেড়েছেন। এতে অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়েছে ব্যস্ত নগরী ঢাকা। এ সময় ছিনতাই, ডাকাতি ও বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনা সাধারণত বেড়ে যায়। তবে এবার রাজধানীতে বড় কোনো ডাকাতি, চুরি বা ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়নি।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুইপিং, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেকটর দিয়ে চেক করা হয়। আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল পেট্রল বাড়ানো হয়েছে। সুষ্ঠু লেনদেনের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও এটিএম বুথের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ চেকপোস্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম জোরদার করে। শপিং মল, কোরবানির পশুর হাট, লঞ্চ-বাস-ট্রেন স্টেশনে মলম পার্টি, ছিনতাইকারী ও জাল নোট কারবারিদের প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত