Ajker Patrika

যারা মন্দিরে কোরআন রাখে, তারাই মন্দির ভাঙে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৯: ৫৬
যারা মন্দিরে কোরআন রাখে, তারাই মন্দির ভাঙে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

যারা মন্দিরে কোরআন শরিফ রাখে, তারাই আবার মন্দির ভাঙে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে নেদারল্যান্ডসের ডেলটা সিএপি অ্যান্ড আই এইচই ডেল্পট আয়োজিত ডেলটা প্ল্যান-২০২১ বাস্তবায়ন ও জলবায়ুসহিষ্ণু নগর উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে সম্পৃক্তকরণ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

সিভিএফ বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং নেদারল্যান্ডসের হেড অব মিশন এনে ভেন লিউএন। 

মন্ত্রী বলেন, 'একটি গোষ্ঠী ধর্মকে অপব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করা। এরা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চায়। তাই হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ধর্মান্ধকে কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।' 

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বন্যা, নদীভাঙন, নদীব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হচ্ছে ডেলটা প্ল্যান তথা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’।

নেদারল্যান্ডসের আদলে গ্রহণ করা শতবর্ষী ডেলটা প্ল্যানকে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, এই প্ল্যান বাস্তবায়নে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলোকে চিহ্নিত করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে সরকার। 

টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'নগর এবং গ্রাম দুটোকেই সমান বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হচ্ছে। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল-এমডিজি সফলভাবে বাস্তবায়ন করার পর এসডিজি-২০৩০ এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা-২০৪১ এর রোডম্যাপ অনুযায়ী লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।' 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী জানান, শর্ট টার্ম অথবা লং টার্ম যে প্রকল্পই নেওয়া হোক না কেন সেগুলো অবশ্যই টেকসই ও প্রডাক্টিভ হতে হবে এবং টাইমলাইন অনুযায়ী শেষ করতে হবে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'মানুষ শহরমুখী হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয় তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নাগরিকের আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত না করা। এটি করা না গেলে শহরমুখী মানুষ ঠেকানো সম্ভব হবে না। আবার মানুষকে শহরে না আসার জন্য বাধাও দেওয়া সম্ভব না। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত