Ajker Patrika

রামপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মাইনুদ্দিনের পরিবারের পাশে মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ৩৯
রামপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মাইনুদ্দিনের পরিবারের পাশে মেয়র আতিক

রামপুরায় বাস চাপায় নিহত শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রামপুরার তিতাস রোডে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ সময় আতিকুল ইসলাম মাইনুদ্দিনের বাবা আব্দুর রহমানকে একটি স্থায়ী দোকান ও বড় ভাই মনির হোসেনকে সিটি করপোরেশনে ড্রাইভারের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। 

ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সেবক হিসেবে আপনাদের কাছে এসেছি। মাইনুদ্দিনকে আল্লাহ নিয়ে গেছেন। আমরা সবাই দোয়া করি সে যেন জান্নাতবাসী হয়। আমার বড় ভাইও গাড়ি দুর্ঘটনায় তরুণ বয়সে মারা গেছে। তখন দেখেছি, আমার বাবা-মা কত কষ্ট পেয়েছেন।’ 

মা রাশিদা বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘বড় হয়ে সরকারি চাকরি করার ইচ্ছা ছিল মাইনুদ্দিনের।’ মেয়র আতিকুল ইসলাম সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই একদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব। তবে আজকে আপনাদের কথা দিতে চাই, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, উত্তর সিটি করপোরেশন আপনাদের পাশে আছে।’ 

এ সময় মাইনুদ্দিনের বাবার অস্থায়ী চা ও মুদি দোকানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স হাতে তুলে দেন ডিএনসিসির মেয়র। সেই সঙ্গে দোকানে মালামাল ওঠানোর জন্য দেওয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা। 

বাবা আব্দুর রহমানকে একটি স্থায়ী দোকান ও বড় ভাই মনির হোসেনকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে ড্রাইভার নিয়োগ করবো। যদি লাইসেন্স থাকে তাহলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ড্রাইভার হিসেবে মাইনুদ্দিনের ভাই মনিরকে শিগগিরই নিয়োগ দিয়ে দেব। আর মাইনুদ্দিনের বাবার এই দোকান যদি না থাকে তাহলে সিটি করপোরেশনের যেকোন জায়গা খুঁজে আমি স্থায়ী দোকান করে দেব।’ 

উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা টিভি রোডের পলাশবাগ এলাকায় বাসচাপায় নিহত হয় মাইনুদ্দিন। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফলের অপেক্ষায় ছিল। মাইনুদ্দিনের পরিবার জানিয়েছে, মাইনুদ্দিন তার ভগ্নিপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় অনাবিল পরিবহনের একটি বাস আরেক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে মাইনুদ্দিনকে চাপা দেয়। এতে মাইনুদ্দিন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা নয়টি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় আরও তিনটি বাসে ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে।   

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

টাকা চুরি করতে দেখে ফেলায় দুই খালাকে হত্যা করে কিশোর: ডিবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত