ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
কিছুদিন আগেও শীতের সবজি ও পেঁয়াজ আবাদে ব্যস্ত ছিলেন গোয়ালন্দের পদ্মাপাড়ের কৃষকেরা। পরিবারের নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে ছোট শিশুরাও নেমেছিল খেতের কাজে। তাদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দের জোয়ার। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সেই খুশি ম্লান। টানা বর্ষণে খেতে পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে ফসল। কৃষকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গত রোববার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে। হঠাৎ অতিবৃষ্টিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজিখেতে জমেছে পানি। কিছু কিছু খেত পুরোটাই পানির নিচে। এতে অনেক কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। কেউ কেউ খেতের পানি হাতে সেচে ফসল রক্ষার নিঃস্বফল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে রোপিত বীজ পচে গেছে, তাই শেষ রক্ষা হবে না বলে জানান চাষিরা।
গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাবিল মন্ডলেরপাড়া ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতুব্বরপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সবজি, মুড়িকাটা পেঁয়াজের খেত ও বীজতলায় জমে আছে পানি। কোনো কোনো জমির সবজির চারা মরতে শুরু করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। নতুন করে বীজতলা তৈরি এবং সবজির চারা রোপণের পর তা বাজারে আসতে দেরি হবে। তত দিন বাজারে সবজির দামও অনেক বেশি থাকবে। তা ছাড়া নতুন করে আবার আবাদ করায় উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে যাবে।
উপজেলা দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতুব্বরপাড়া গ্রামের কৃষাণী আব্দুল খালেকের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ‘এত-ক্যাতা (সর্বস্ব) বেইচা বিগা দেড়েক খ্যাতে পেঁয়াজ লাগাইচিলাম। হেরপরও পইরেতের (কৃষি শ্রমিক) দাম দিবার না পাইরে ঘরে কয়ডা খাওয়ার ধান আছিল, তাও বেইচা পইরেতের দাম দিছিলাম। দেওয়ার (বৃষ্টি) পানিতে হেই খ্যাত তলাইয়া গেছে। আমাগো সব শ্যাষ অইয়া গেছে। এহুন খাব কী? আবার ফের আবাদই বা করমু কী দিয়া?’
কৃষক বাচ্চু শেখ বলেন, ‘ব্যাংক থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। টানা বৃষ্টিতে পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।’
আরেক কৃষক আব্দুল কুদ্দুস শেখ জানান, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ নামের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে দুই বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছিলেন। খেতে বৃষ্টির পানি জমে কুমড়াগাছগুলো মরতে শুরু করেছে।’
নাসির সরদার নামের এক কৃষক জানান, ধারদেনা করে সোয়া বিঘা জমিতে লাউ ও লালশাক চাষ করেছিলেন। জমিতে এখন হাঁটুপানি। চোখের পানি মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি আমার সব শেষ কইরা দিল। নতুন করে আবাদ করব সেই সামর্থ্য নেই।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ১ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবজি ৫৫০ হেক্টর, পেঁয়াজ ১১০ হেক্টর, মাষকলাই ১১০ হেক্টর, কলা ২০ হেক্টর, রোপা আমন ৫০০ হেক্টর, নাবী পাটবীজ ১ হেক্টর, মুগডাল ৪ হেক্টর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পরে সবজিখেতে পচন রোগ দেখা দেয়। আর যাঁরা আগাম সবজির আবাদ করেছিলেন, তাঁদের ক্ষতি বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ উপজেলায় অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। সরকারি প্রণোদনার ঘোষণা পাওয়া গেলে তা কৃষকদের দেওয়া হবে।
কিছুদিন আগেও শীতের সবজি ও পেঁয়াজ আবাদে ব্যস্ত ছিলেন গোয়ালন্দের পদ্মাপাড়ের কৃষকেরা। পরিবারের নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে ছোট শিশুরাও নেমেছিল খেতের কাজে। তাদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দের জোয়ার। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সেই খুশি ম্লান। টানা বর্ষণে খেতে পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে ফসল। কৃষকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গত রোববার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে। হঠাৎ অতিবৃষ্টিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজিখেতে জমেছে পানি। কিছু কিছু খেত পুরোটাই পানির নিচে। এতে অনেক কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। কেউ কেউ খেতের পানি হাতে সেচে ফসল রক্ষার নিঃস্বফল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে রোপিত বীজ পচে গেছে, তাই শেষ রক্ষা হবে না বলে জানান চাষিরা।
গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাবিল মন্ডলেরপাড়া ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতুব্বরপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সবজি, মুড়িকাটা পেঁয়াজের খেত ও বীজতলায় জমে আছে পানি। কোনো কোনো জমির সবজির চারা মরতে শুরু করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। নতুন করে বীজতলা তৈরি এবং সবজির চারা রোপণের পর তা বাজারে আসতে দেরি হবে। তত দিন বাজারে সবজির দামও অনেক বেশি থাকবে। তা ছাড়া নতুন করে আবার আবাদ করায় উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে যাবে।
উপজেলা দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতুব্বরপাড়া গ্রামের কৃষাণী আব্দুল খালেকের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ‘এত-ক্যাতা (সর্বস্ব) বেইচা বিগা দেড়েক খ্যাতে পেঁয়াজ লাগাইচিলাম। হেরপরও পইরেতের (কৃষি শ্রমিক) দাম দিবার না পাইরে ঘরে কয়ডা খাওয়ার ধান আছিল, তাও বেইচা পইরেতের দাম দিছিলাম। দেওয়ার (বৃষ্টি) পানিতে হেই খ্যাত তলাইয়া গেছে। আমাগো সব শ্যাষ অইয়া গেছে। এহুন খাব কী? আবার ফের আবাদই বা করমু কী দিয়া?’
কৃষক বাচ্চু শেখ বলেন, ‘ব্যাংক থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। টানা বৃষ্টিতে পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।’
আরেক কৃষক আব্দুল কুদ্দুস শেখ জানান, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ নামের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে দুই বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছিলেন। খেতে বৃষ্টির পানি জমে কুমড়াগাছগুলো মরতে শুরু করেছে।’
নাসির সরদার নামের এক কৃষক জানান, ধারদেনা করে সোয়া বিঘা জমিতে লাউ ও লালশাক চাষ করেছিলেন। জমিতে এখন হাঁটুপানি। চোখের পানি মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি আমার সব শেষ কইরা দিল। নতুন করে আবাদ করব সেই সামর্থ্য নেই।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ১ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবজি ৫৫০ হেক্টর, পেঁয়াজ ১১০ হেক্টর, মাষকলাই ১১০ হেক্টর, কলা ২০ হেক্টর, রোপা আমন ৫০০ হেক্টর, নাবী পাটবীজ ১ হেক্টর, মুগডাল ৪ হেক্টর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পরে সবজিখেতে পচন রোগ দেখা দেয়। আর যাঁরা আগাম সবজির আবাদ করেছিলেন, তাঁদের ক্ষতি বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ উপজেলায় অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। সরকারি প্রণোদনার ঘোষণা পাওয়া গেলে তা কৃষকদের দেওয়া হবে।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্টার লাগানো ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাস ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের প্রশাসনিক...
২৯ মিনিট আগেপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ঋণ শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভুয়া স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
৩৮ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা। হুমকির ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরোববার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খানের নেতৃত্বে পালেরহাট এলাকায় ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদের দেওয়া তথ্যে সহযোগী নাঈমের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা...
২ ঘণ্টা আগে