Ajker Patrika

স্কুলছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ছবি ধারণ: যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০১: ৩৮
স্কুলছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ছবি ধারণ: যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু কারাগারে

সাভারে স্কুলছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা, নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো, ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগিতা করা ও ছাদ থেকে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা জেলা উত্তর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাবাসসুম মেহনাজ মিশুকে রিমাণ্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আজ রোববার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

স্কুলছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলায় বিকেলে মিশুকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যদিকে মিশুর জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ১৯ আগস্ট দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শাহানাজ গার্ডেনের এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওইদিন সকালে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মেহনাজ মিশু ও তার কথিত স্বামী আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিশুকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত মিশুকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন। ২৩ আগস্ট আদালত তিনদিন রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়, আসামিরা সাভারের গেন্ডা এলাকার বাসস্ট্যান্ড শাহানাজ গার্ডেনের বাসিন্দা।  বাদীর মেয়ে সাভারের একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। 

পূর্ব পরিচয় ও প্রতিবেশীর সূত্র ধরে সম্প্রতি ভুক্তভোগীকে কৌশলে মেহনাজ তার বাসায় নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে ছাত্রীকে বাসায় বিবস্ত্র করে ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টা করে। এ সময় আতিক ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রাজি না হলে তাকে সিগারেটের ছ্যাঁকা ও নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়। পরে বাসার ৫ম তলার বেলকুনি থেকে নীচে ফেলা দেয় মিশু ও আতিক। পরে স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে একটু সুস্থ হলে হাসপাতালে গিয়ে মিশু ভুক্তভোগীকে ঘটনা কাউকে না জানাতে হুমকি দেয় এবং সে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল বলে সবাইকে জানাতে বলে। ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার কিছুটা সুস্থ হলে খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে বাসায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করতেন মেহনাজ মিশু।  মিশু মেয়েদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করাতেন।

তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক একজন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার সহযোগী মিশু। তার বিবস্ত্র ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য এবং সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তার করতে মিশুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত