Ajker Patrika

আশুলিয়ায় ১ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুই মামলা, এজাহারে ভিন্ন তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৪: ৩৪
আশুলিয়ায় ১ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুই মামলা, এজাহারে ভিন্ন তথ্য

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী আস-সাবুর নিহত হওয়ার ঘটনায় এক দিনের ব্যবধানে ঢাকার আশুলিয়া থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু একটি মামলার এজাহারের সঙ্গে অপর মামলার এজাহারের মিল নেই। 

আস-সাবুর নিহত হওয়ার ঘটনায় গত শুক্রবার আশুলিয়া থানায় প্রথম বাদী হয়ে মামলা (মামলা নম্বর-৭) দায়ের করেন আশুলিয়ার চিত্রাশাইল এলাকার আকবর আলী মোল্লার ছেলে সাহিদ হাসান মিঠু। এই মামলায় ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। 

অন্যদিকে আস-সাবুরের মা রাহেন জান্নাত ফেরদৌসী বাদী হয়ে ছেলে হত্যার ঘটনায় আরও একটি মামলা (মামলা নম্বর-১১) করেছেন গত রোববার রাতে। এই মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

আস-সাবুর (১৬) ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি জামগড়ার শিমুলতলা এলাকার এনাফ নায়েদ জাকিরের ছেলে। গ্রামের বাড়ি নওগাঁও জেলার মহাদেবপুরে। 

সাহিদ হাসান মিঠু এজাহারে আস-সাবুরকে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু চিত্রাশাইল ও শিমুলতলার দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে কেনাকাটার জন্য আস-সাবুর আশুলিয়ার বাইপাইলে যান। ওই দিন বেলা ২টার দিকে খবর পেয়ে বাইপাইল মোড়ে গিয়ে তিনি আস-সাবুরকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সাভারের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তাঁকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছেন বলে তিনি জানতে পারেন। পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করে নওগাঁর মহাদেবপুরে নিয়ে গিয়ে উপজেলার কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করেন। 

আস-সাবুরের মা রাহেন জান্নাত ফেরদৌসীর করা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তাঁর ছেলে আস-সাবুর গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলে যান। ওই দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন আস-সাবুর বাসায় ফেরেননি। পরদিন ৬ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে বাইপাইল মোড়ে তাঁর ক্ষতবিক্ষত পোড়া লাশ পাওয়া যায়। ওই দিনই লাশ নিয়ে তাঁরা নওগাঁর মহাদেবপুরে যান। পরদিন ৭ আগস্ট আস-সাবুরকে মহাদেবপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

এজাহারে রাহেন জান্নাত আরও উল্লেখ করেন, সাভারের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ আরও কয়েকজনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলেন। তাঁর এজাহারে সাভারে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের নাম নেই। 

মামলার অসংগতির বিষয়ে কথা বলার জন্য এজাহারে দেওয়া দুই বাদীর মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। 

একই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দুটি মামলা ও এজাহারে গরমিল থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত